কল করুন

কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স

২৭তম বিসিএসে নিয়োগবঞ্চিত ১১৩৭ জনের পক্ষে করা আপিলের শুনানি শেষ, রায় কাল

সূত্র : প্রথম আলো, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

২৭তম বিসিএসে নিয়োগবঞ্চিত ১১৩৭ জনের পক্ষে করা আপিলের শুনানি শেষ, রায় কাল

২৭ তম বিসিএসে নিয়োগবঞ্চিত ১ হাজার ১৩৭ জনের পক্ষে করা আপিলের ওপর আগামীকাল বৃহস্পতিবার রায়ের জন্য দিন ধার্য করেছেন আপিল বিভাগ। এ-সংক্রান্ত রায়ের বিরুদ্ধে করা তিনটি আপিলের ওপর শুনানি শেষে আজ বুধবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের আপিল বিভাগ রায়ের এ দিন ধার্য করেন। ওই বিসিএসে প্রথমবারের মৌখিক পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত বৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বহাল রেখে ২০১০ সালের ১১ জুলাই আপিল বিভাগ রায় দেন।

 

এ রায় পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে ১ হাজার ১৩৭ জনের পক্ষে ১৪০ জন গত বছর পৃথক আবেদন করেন। শুনানি নিয়ে গত বছরের ৭ নভেম্বর আপিল বিভাগ লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি) মঞ্জুর করে আদেশ দেন। এর ধারাবাহিকতায় পৃথক তিনটি আপিলের ওপর শুনানি হয়। আদালতে আপিলকারীদের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সালাহ উদ্দিন দোলন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনীক আর হক। পিএসসির পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ খালেকুজ্জামান ভূঁইয়া।

 

 

জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সালাহ উদ্দিন দোলন জানান, এর আগে এক-এগারোর সরকারের সময় ২৭ তম বিসিএসে দ্বিতীয় মৌখিক পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ১ হাজার ১৩৭ জন চূড়ান্ত সুপারিশের পর চাকরিতে প্রবেশ করবেন—এ পর্যায়ে ওই সিদ্ধান্ত হয়।

 

 

আইনজীবীদের তথ্যমতে, পরে দ্বিতীয় মৌখিক পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নিয়ে উচ্চ আদালতে মামলা হয়। ২০০৮ সালের ৩ জুলাই হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ ২৭ তম বিসিএসের প্রথম মৌখিক পরীক্ষার ফলাফল বাতিলের সিদ্ধান্ত বৈধ ঘোষণা করে রায় দেন। হাইকোর্টের অপর একটি বেঞ্চ ২০০৯ সালের ১১ নভেম্বর দ্বিতীয় মৌখিক পরীক্ষা অবৈধ ঘোষণা করেন। প্রথম রায়ের বিরুদ্ধে নিয়োগবঞ্চিত ২৫ জন আপিল বিভাগে দুটি লিভ টু আপিল করেন। দ্বিতীয় রায়ের বিরুদ্ধে সরকার তিনটি লিভ টু আপিল করে। এ ক্ষেত্রে ২০৫ জন হাইকোর্টে রিট করেছিলেন। কিছু পর্যবেক্ষণ দিয়ে আপিল বিভাগ সরকারের লিভ টু আপিল নিষ্পত্তি করে ২০১০ সালের ১১ জুলাই রায় দেন। এই রায়ে দ্বিতীয় মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া সঠিক বলা হয়।

 

 

ওই রায় নিয়ে রিভিউ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে লিভ টু আপিল মঞ্জুরের পর নিয়োগবঞ্চিত ১ হাজার ১৩৭ জনের পক্ষে করা পৃথক আপিলের ওপর আজ শুনানি শেষ হলো।