কল করুন

কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স

আর্থসামাজিক বিশৃঙ্খলায় দেশ

মীর আব্দুল আলীম । সূত্র : দেশ রূপান্তর, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

আর্থসামাজিক বিশৃঙ্খলায় দেশ

বর্তমানে দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থা এক অস্থিরতার মধ্যে চলছে। কিছু ক্ষেত্রে বেশ ইতিবাচক পরিবর্তন দেখা গেলেও, বেশ কিছু খারাপ দিক পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলছে। মূল্যস্ফীতি, আইনশৃঙ্খলার অবনতি, বিনিয়োগের স্থবিরতা এবং রাজনৈতিক অস্থিরতা দেশের ভবিষ্যৎ উন্নয়নের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে কিছু ক্ষেত্রে কিছুটা স্বস্তির ইঙ্গিতও পাওয়া গেছে, যেমন রিজার্ভে পতন নিয়ন্ত্রণ, ব্যাংক খাতে স্থিতিশীলতা, খাদ্য মূল্যস্ফীতির কিছুটা হ্রাস এবং মুদ্রা পাচারের বিরুদ্ধে সরকারের কঠোর ব্যবস্থা।

 

 

 

১. ঝুঁকিতে উচ্চ মূল্যস্ফীতি : উচ্চ মূল্যস্ফীতি বর্তমানে একটি গুরুতর অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের মার্চ থেকে মুদ্রাস্ফীতি ৯ শতাংশের ওপরে রয়েছে, যা দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রধান কারণ। বিশেষ করে খাদ্যপণ্যের দাম উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে, যা সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয়ে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, করোনাভাইরাসের সংক্রমণের শেষ সময় থেকে বাংলাদেশে প্রতি মাসে খাদ্যপণ্যের দাম ৫ শতাংশের বেশি থেকে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, বাজার ব্যবস্থাপনার দুর্বলতা এবং শুল্কছাড় দেওয়া সত্ত্বেও বাজারে তার প্রভাব না পড়া এই মূল্যবৃদ্ধির প্রধান কারণ। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ ব্যাংক নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণা করেছে, যেখানে নীতি সুদহার (রেপো রেট) ১০ শতাংশে অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর আশা প্রকাশ করেছেন যে, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের ফলে জানুয়ারি মাসে মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমেছে এবং চলতি অর্থবছরের (২০২৪-২০২৫) শেষ মাস জুন নাগাদ এটি ৭ থেকে ৮ শতাংশে নেমে আসবে। এ ছাড়া আগামী বছরে মূল্যস্ফীতি ৫ শতাংশে নামিয়ে আনার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।

 

তবে অর্থনীতিবিদরা মনে করছেন যে, শুধু মুদ্রানীতি পরিবর্তন করে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। বাজার ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন, সরবরাহ চেইনের স্থিতিশীলতা এবং আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নীতিমালা গ্রহণের মাধ্যমে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা যেতে পারে। সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে এনে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন এবং অর্থনীতির স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা সম্ভব।

 

 

 

 

২. আইনশৃঙ্খলার অবনতি : বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সময়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি একটি গুরুতর উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে এবং ২০২৫ সালের শুরুতেই ধর্ষণ, চুরি, ডাকাতি ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনা পূর্ববর্তী বছরের তুলনায় ১৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে মাদক চোরাচালান, সন্ত্রাস এবং গ্যাং কালচারের বিস্তারের ফলে নগর এলাকায় কিশোর অপরাধীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। বিচারহীনতা এবং দুর্বল আইন প্রয়োগের কারণে অপরাধীরা বারবার একই ধরনের অপরাধ সংঘটিত করছে, যা সমাজে ভয় ও অনিরাপত্তার পরিবেশ সৃষ্টি করছে। এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকার ২০২৫ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ নামে একটি বিশেষ অভিযান শুরু করেছে। এই অভিযানের মূল লক্ষ্য সন্ত্রাস দমন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি এবং অপরাধীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা। তবে এই অভিযানের পদ্ধতি ও পরিসর নিয়ে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তাদের মতে, রাজনৈতিক সহিংসতা মোকাবিলায় নিরপেক্ষতা ও আইনের শাসন নিশ্চিত করা জরুরি এবং অভিযানের নামে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও মানবাধিকারের লঙ্ঘন হওয়া উচিত নয়।

 

 

 

আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় শুধু কঠোর অভিযানই যথেষ্ট নয়; প্রয়োজন বিচারব্যবস্থার স্বচ্ছতা, আইন প্রয়োগের নিরপেক্ষতা এবং মানবাধিকারের প্রতি সম্মান। অপরাধ দমনে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি, শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি এবং যুবসমাজকে সঠিক পথে পরিচালিত করার মাধ্যমে দীর্ঘমেয়াদে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি সম্ভব।

 

 

 

৩. বিনিয়োগে স্থবিরতা : বিনিয়োগ খাত বর্তমানে স্থবিরতার সম্মুখীন, যা দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও কর্মসংস্থানের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। বেসরকারি বিনিয়োগের হার হ্রাস, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের অনাগ্রহ এবং নতুন প্রকল্প ও শিল্প কারখানার সম্প্রসারণে অনুৎসাহে উৎপাদনশীলতা ব্যাহত হচ্ছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে দেশে জিডিপির অনুপাতে বেসরকারি বিনিয়োগের হার ছিল ২৩.৬৪ শতাংশ, যা তার আগের অর্থবছরে ছিল ২৪.৫২ শতাংশ। এই নিম্নমুখী ধারা দীর্ঘদিন ধরে অব্যাহত রয়েছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) প্রাক্কলন অনুযায়ী, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বিনিয়োগের পরিমাণ দাঁড়াবে ১৫ লাখ ৬৪ হাজার কোটি টাকার কিছু বেশি, যা গত বছরের চেয়ে ১২.৬০ শতাংশ বেশি। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথম আট মাসে (জুলাই-ফেব্রুয়ারি) মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানির জন্য ১৭৭ কোটি ডলারের ঋণপত্র খোলা হয়েছে, যা গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১৯ শতাংশ কম। এ ছাড়া শিল্পের প্রাথমিক কাঁচামাল ও মধ্যবর্তী কাঁচামাল আমদানিও যথাক্রমে ৪ শতাংশ ও ১৬ শতাংশ কমেছে।

 

 

 

বিদেশি বিনিয়োগেও ভাটার টান। বিদ্যমান উদ্যোক্তারা বিনিয়োগে সাহস পাচ্ছেন না। অনেকের বড় ধরনের ব্যাংক ঋণ রয়েছে, সুদহার বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাদের উদ্বেগও বাড়ছে। সরকার স্থানীয় ও বিদেশি বিনিয়োগকারীদের সমস্যাগুলো কার্যকরভাবে অনুধাবন করতে পারছে না। এ কারণে এখন নতুন বিনিয়োগের চিন্তা কেউ করছে না। ফলে উৎপাদন ও বাণিজ্য প্রবৃদ্ধি সঙ্কুচিত হয়েছে অন্তত ১৫ থেকে ২৫ শতাংশ পর্যন্ত। বিনিয়োগ স্থবিরতা কাটিয়ে উঠতে সরকার ও সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর উচিত বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি করা, রাজনৈতিক ও নীতিগত স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা এবং ব্যবসায়িক খরচ কমাতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, অর্থনীতির বেশিরভাগ সূচক খারাপ হচ্ছে, যা বিনিয়োগ স্থবিরতার অন্যতম কারণ।

 

 

 

৪. কর্মসংস্থান সংকট : বাংলাদেশে প্রতি বছর প্রায় ২০ থেকে ২২ লাখ তরুণ শ্রমবাজারে প্রবেশ করলেও, তাদের জন্য পর্যাপ্ত কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে না। ফলে অনেক তরুণই হতাশ হয়ে বিদেশে কর্মসংস্থানের জন্য পাড়ি জমাচ্ছেন, যা দেশের মেধা পাচারের অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের (বিআইডিএস) তথ্য অনুযায়ী, ৬৬ শতাংশ স্নাতক ডিগ্রিধারী তরুণ কর্মহীন। অপরদিকে বিশ্বব্যাংকের মতে, টেকনিক্যাল খাতে দক্ষ মানবসম্পদের ঘাটতি প্রায় ৬৯ শতাংশ। ফলে দেশের শিল্প খাতে গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোতে বিদেশি কর্মী নিয়োগ দিতে হচ্ছে, যা অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও মেধা পাচার রোধে কর্মসংস্থান বৃদ্ধির জন্য সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করা জরুরি।

 

 

 

৫. আইনশৃঙ্খলা ও সামাজিক নিরাপত্তার সংকট : বাংলাদেশে সম্প্রতি বেআইনি অস্ত্রের প্রসার একটি গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা, যা দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থার জন্য এক গুরুতর হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। ধারণা করা যায় বিভিন্ন গ্যাং, রাজনৈতিক দল এবং অপরাধ চক্রের হাতে বর্তমানে অস্ত্রের সহজপ্রাপ্যতা তৈরি হয়েছে। বেআইনি অস্ত্রের কারণে বাংলাদেশে খুন, চাঁদাবাজি, দাঙ্গা ও সন্ত্রাসী হামলার সংখ্যা বেড়েছে, যা জনসাধারণের নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলেছে। প্রতিপক্ষরা সহজেই টার্গেটে পরিণত হচ্ছে। অস্ত্রধারী গোষ্ঠীগুলোর কারণে রাজনৈতিক সহিংসতা বৃদ্ধি পেয়েছে, যা গণতন্ত্রের জন্য হুমকি সৃষ্টি করছে। গ্যাং কালচার ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম বৃদ্ধি পাওয়ায় তরুণ সমাজের একটি অংশ অপরাধের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে। এই সংকট মোকাবিলায় শক্তিশালী আইন, প্রশাসনিক কার্যকারিতা বৃদ্ধি এবং জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা জরুরি। অন্যথায় এটি রাজনৈতিক ও সামাজিক স্থিতিশীলতাকে আরও হুমকির মুখে ফেলবে।

 

 

৬. রাজনৈতিক অস্থিরতা : গণঅভ্যুত্থানের পরবর্তী সময়ে রাজনৈতিক অস্থিরতা বৃদ্ধি পেয়েছে, যা দেশের অর্থনীতি ও সমাজের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। অন্তর্রর্তী সরকার বর্তমানে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছে। বিশেষ করে, দ্রুত নির্বাচন আয়োজন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতবিরোধ পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে। বিভিন্ন ইস্যুতে আন্দোলন ও বিক্ষোভ বৃদ্ধি পেয়েছে, যা দেশের স্থিতিশীলতা ও অর্থনীতির ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।

 

 

 

তবে বর্তমানে সবই যে নেতিবাচক, তা বলা যাবে না। অভ্যুত্থান পরবর্তী বাস্তবতাকে বিবেচনায় নিলে উল্লিখিত বিষয়গুলোতে যে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে, তা জানা কথা। একই সঙ্গে দায়িত্ব গ্রহণের পর অন্তর্বর্তী সরকারের পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে কিছু পদক্ষেপ ইতিবাচক ফল দিয়েছে। যেমন :

 

১. রিজার্ভে পতন কিছুটা ঠেকানো গেছে : ২০২৩ এবং ২০২৪  সালে বাংলাদেশে রিজার্ভের মারাত্মক পতন ঘটে, যা আমদানি ব্যয় মেটানো ও মুদ্রার মান রক্ষার ক্ষেত্রে বড় চ্যালেঞ্জ তৈরি করে। ২০২৪ সালের শেষের দিকে অন্তর্বর্তী সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংক কিছু কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করে, যার ফলে রিজার্ভ পতন আংশিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়েছে। যদিও এটি এখনো কাক্সিক্ষত মাত্রায় পৌঁছেনি।

 

২. ব্যাংক খাতে সামান্য স্বস্তি : বাংলাদেশের ব্যাংক খাত গত কয়েক বছর ধরে বিভিন্ন সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, বিশেষ করে উচ্চ পরিমাণের খেলাপি ঋণ এবং লিকুইডিটি সংকট বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়। ২০২৪ সালে এবং ২০২৫ সালের শুরুতে ব্যাংকিং খাতে কিছুটা স্থিতিশীলতা ফিরে আসে, যার পেছনে রয়েছে : (ক) ঋণ বিতরণ নীতিমালায় পরিবর্তন, (খ) নগদ অর্থের প্রবাহ বৃদ্ধি, (গ) খেলাপি ঋণ পুনঃতফসিলের সুযোগ। ব্যাংকগুলো এখনো স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বৃদ্ধির মাধ্যমে দীর্ঘমেয়াদে টেকসই স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার চেষ্টায় রয়েছে বর্তমান ইউনূস সরকারের।

 

 

৩. খাদ্য মূল্যস্ফীতি কমেছে : খাদ্য মূল্যস্ফীতি বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ২০২৩ সালে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব, জ্বালানি সংকট ও পরিবহন ব্যয় বৃদ্ধির কারণে খাদ্যপণ্যের দাম ব্যাপক হারে বেড়ে গিয়েছিল। ২০২৪ সালে সরকার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করে, যার ফলে খাদ্য মূল্যস্ফীতিতে কিছুটা নিয়ন্ত্রণ আসে (ক) বাজার মনিটরিং, (খ) ভর্তুকি প্রদান, (গ) আমদানি শুল্ক হ্রাস, (ঘ) দেশীয় উৎপাদন বৃদ্ধি। এই উদ্যোগগুলোর কারণে খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার ৯ শতাংশ থেকে কমে ৭-৮ শতাংশের মধ্যে নেমে এসেছে। ৪. মুদ্রা পাচারে স্থিতিশীলতা : বৈদেশিক মুদ্রা পাচার দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য একটি বড় সমস্যা। যা বিগত হাসিনা সরকারের ১৭ বছরে চরম পর্যায়ে গিয়ে ঠেকে। ২০২৪ সালে অন্তর্বর্তী সরকার ও বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (ইঋওট) বেশ কিছু কড়া পদক্ষেপ নেয়, যার ফলে মুদ্রা পাচার কিছুটা কমানো সম্ভব হয়েছে।

 

 

লেখক: সাংবাদিক, গবেষক