কল করুন

কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স

বাংলাদেশে মোবাইল আর্থিক সেবার সমাজতত্ত্ব

ড. মতিউর রহমান। সূত্র : শেয়ার বিজ, ০৬ মে ২০২৫

বাংলাদেশে মোবাইল আর্থিক সেবার সমাজতত্ত্ব

বাংলাদেশে মোবাইল আর্থিক সেবা (এমএফএস) একটি উদ্ভাবনী প্রযুক্তি যা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আর্থিক লেনদেনকে সহজ ও সুলভ করেছে। এর মাধ্যমে সাধারণ মানুষ সহজেই টাকা পাঠানো, গ্রহণ করা, বিল পরিশোধ করা এবং অন্যান্য আর্থিক সেবা গ্রহণ করতে পারছে। বাংলাদেশে এই সেবাটির আবির্ভাব তুলনামূলকভাবে নতুন হলেও, খুব অল্প সময়ের মধ্যেই এটি দেশের আর্থিক লেনদেনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশে পরিণত হয়েছে।

 

 

বাংলাদেশের আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপটে মোবাইল আর্থিক সেবার গুরুত্ব অপরিসীম। এ দেশের একটি উল্লেখযোগ্য সংখ্যক জনগোষ্ঠী আগে ব্যাংকিং সুবিধার বাইরে ছিল। এমএফএস সেই সুবিধাবঞ্চিত মানুষের কাছে আর্থিক সেবা পৌঁছে দিয়েছে, যা আর্থিক অন্তর্ভুক্তিকে ত্বরান্বিত করেছে। বিশেষ করে গ্রামীণ অর্থনীতিতে এর প্রভাব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, যেখানে কৃষিভিত্তিক অর্থনীতির পাশাপাশি রেমিট্যান্স একটি বড় ভূমিকা রাখে। এমএফএসের মাধ্যমে দ্রুত ও নিরাপদে অর্থ স্থানান্তর সম্ভব হওয়ায় গ্রামীণ জনপদের মানুষ উপকৃত হচ্ছে। এছাড়াও ক্ষুদ্র ব্যবসা ও উদ্যোক্তাদের জন্য নতুন নতুন সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে, যা সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে সহায়ক।

 

 

মোবাইল আর্থিক সেবার সমাজতাত্ত্বিক আলোচনাকে আরও গভীরতা দিতে, কিছু গুরুত্বপূর্ণ তাত্ত্বিক প্রেক্ষাপট বিবেচনা করা অপরিহার্য। প্রযুক্তিগত বিস্তার কীভাবে সমাজের পরিবর্তন ঘটায়, তা বুঝতে উদ্ভাবনী প্রসারের তত্ত্ব (উরভভঁংরড়হ ড়ভ ওহহড়াধঃরড়হং ঞযবড়ৎু) একটি গুরুত্বপূর্ণ কাঠামো প্রদান করে। এই তত্ত্ব অনুযায়ী, কোনো নতুন প্রযুক্তি বা ধারণা কীভাবে একটি নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠীর মধ্যে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ছড়িয়ে পড়ে এবং এর বিভিন্ন পর্যায় ও প্রভাবগুলো বিশ্লেষণ করা যায়। বাংলাদেশে এমএফএসের দ্রুত বিস্তার এবং বিভিন্ন আর্থসামাজিক গোষ্ঠীর মধ্যে এর গ্রহণযোগ্যতা এই তত্ত্বের আলোকে অনুধাবন করা যেতে পারে। এছাড়াও নেটওয়ার্ক সমাজের তত্ত্ব (ঘবঃড়িৎশ ঝড়পরবঃু ঞযবড়ৎু) তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির মাধ্যমে গঠিত আন্তঃসংযুক্ত সমাজের ওপর আলোকপাত করে। এমএফএস এক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান, যা মানুষকে ডিজিটাল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে আর্থিক লেনদেন এবং অন্যান্য সুযোগের সঙ্গে যুক্ত করে।

 

 

আর্থিক অন্তর্ভুক্তি এবং এর সঙ্গে উন্নয়নের সম্পর্ক সমাজতাত্ত্বিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। আর্থিক অন্তর্ভুক্তি কেবল অর্থনৈতিক বিষয় নয়, এটি সামাজিক ন্যায্যতা ও উন্নয়নের একটি অপরিহার্য দিক। সমাজের প্রান্তিক ও সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীকে আর্থিক সেবার আওতায় আনার মাধ্যমে বৈষম্য কমানো এবং সামাজিক গতিশীলতা বৃদ্ধি করা সম্ভব। এমএফএস এক্ষেত্রে একটি শক্তিশালী হাতিয়ার হিসেবে কাজ করতে পারে, যা আগে ব্যাংকিং সুবিধার বাইরে থাকা বিশাল জনগোষ্ঠীকে আর্থিক মূলধারার সঙ্গে যুক্ত করছে। ফলে তাদের জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন এবং অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণের সুযোগ বাড়ছে।

 

 

মোবাইল আর্থিক সেবার ব্যবহার এবং এর সাফল্যের ক্ষেত্রে বিশ্বাস, আস্থা ও সামাজিক পুঁজির ভূমিকাও অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। নতুন একটি প্রযুক্তি ব্যবহারের ক্ষেত্রে মানুষের মধ্যে প্রাথমিকভাবে দ্বিধা ও অনিশ্চয়তা কাজ করে। এমএফএসের ক্ষেত্রে ব্যবহারকারীদের মধ্যে সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান এবং লেনদেন প্রক্রিয়ার ওপর আস্থা তৈরি হওয়া জরুরি। সামাজিক পুঁজি, অর্থাৎ সমাজের মানুষের মধ্যে পারস্পরিক বিশ্বাস ও সহযোগিতার সম্পর্ক, এক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যখন কোনো নতুন প্রযুক্তি সমাজের পরিচিত গণ্ডির মধ্যে ইতিবাচক অভিজ্ঞতার মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে, তখন অন্যদের মধ্যে বিশ্বাস ও আস্থা তৈরি হতে থাকে এবং এর ব্যবহার বাড়ে। বাংলাদেশে এমএফএসের প্রসারে সামাজিক যোগাযোগ এবং পারস্পরিক সুপারিশ একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকতে পারে।

 

 

বাংলাদেশে মোবাইল আর্থিক সেবা (এমএফএস) বর্তমানে একটি পরিণত এবং বহুল ব্যবহৃত আর্থিক মাধ্যম। বেশ কয়েকটি প্রধান প্রতিষ্ঠান এই সেবা প্রদান করছে, যাদের মধ্যে বিকাশ এবং নগদ উল্লেখযোগ্যভাবে এগিয়ে রয়েছে। এছাড়াও উপায়, রকেট এবং অন্যান্য ব্যাংক-ভিত্তিক এমএফএস সেবাও বাজারে বিদ্যমান। এই প্রতিষ্ঠানগুলো মূলত মোবাইল ফোনের মাধ্যমে অর্থ স্থানান্তর, বিল পরিশোধ, মোবাইল রিচার্জ, কেনাকাটার পেমেন্ট এবং সরকারি ভাতা বিতরণের মতো বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করে। তারা দেশব্যাপী বিস্তৃত এজেন্ট নেটওয়ার্কের মাধ্যমে গ্রাহকদের কাছে সেবা পৌঁছে দেয়।

 

 

এমএফএসের ব্যবহারকারীর সংখ্যা বাংলাদেশে দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে কোটি কোটি মানুষ এই সেবার সঙ্গে যুক্ত। ব্যবহারকারীদের আর্থ-সামাজিক বৈশিষ্ট্য বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় যে, এটি শহরের পাশাপাশি গ্রামীণ জনপদেও সমানভাবে জনপ্রিয়। বিভিন্ন পেশার মানুষ, যেমন- শ্রমিক, কৃষক, শিক্ষার্থী, গৃহিণী এবং ছোট ব্যবসায়ী সবাই তাদের আর্থিক লেনদেনের জন্য এমএফএস ব্যবহার করছেন। এটি আর্থিক অন্তর্ভুক্তির একটি গুরুত্বপূর্ণ উদাহরণ, কারণ যারা আগে ব্যাংকিং সুবিধার বাইরে ছিলেন, তারাও এখন সহজে আর্থিক লেনদেন করতে পারছেন।

 

 

এমএফএসের মাধ্যমে লেনদেনের ধরন বহুমুখী। এর মধ্যে সবচেয়ে প্রচলিত হলো এক ব্যক্তি থেকে অন্য ব্যক্তির কাছে অর্থ স্থানান্তর (চ২চ)। এছাড়াও মোবাইল রিচার্জ, বিভিন্ন ইউটিলিটি বিল (বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানি), শিক্ষা ফি, এবং অনলাইন কেনাকাটার পেমেন্টও উল্লেখযোগ্য। সরকার কর্তৃক বিভিন্ন ভাতা ও উপবৃত্তি বিতরণের ক্ষেত্রেও এমএফএস একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। লেনদেনের পরিমাণ ক্রমে বাড়ছে, যা এই সেবার ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তা ও প্রয়োজনীয়তা প্রমাণ করে।

 

 

গ্রামীণ ও শহুরে অঞ্চলে এমএফএসের ব্যবহারে কিছু পার্থক্য লক্ষ্য করা যায়। গ্রামীণ অঞ্চলে মূলত রেমিট্যান্স গ্রহণ ও প্রেরণ, কৃষি পণ্যের ক্রয়-বিক্রয় এবং দৈনন্দিন ছোটখাটো লেনদেনের জন্য এর ব্যবহার বেশি। শহরাঞ্চলে এর ব্যবহার আরও বিস্তৃত, যেখানে বিল পরিশোধ, অনলাইন শপিং এবং বিভিন্ন ব্যবসায়িক লেনদেনের ক্ষেত্রেও এমএফএস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তবে উভয় অঞ্চলেই আর্থিক লেনদেনের সুবিধা এবং দ্রুততা এমএফএস-কে একটি অপরিহার্য মাধ্যম করে তুলেছে। ডিজিটাল আর্থিক সেবার প্রসারে এমএফএস একটি শক্তিশালী ভিত্তি তৈরি করেছে, যা বাংলাদেশের অর্থনীতি ও সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনছে।

 

 

মোবাইল আর্থিক সেবা (এমএফএস) বাংলাদেশের সমাজের ওপর সুদূরপ্রসারী প্রভাব ফেলেছে, যার মধ্যে অর্থনৈতিক প্রভাব বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। প্রথমত, এমএফএস আর্থিক অন্তর্ভুক্তিকে অভাবনীয়ভাবে বৃদ্ধি করেছে। দেশের একটি বিশাল জনগোষ্ঠী, বিশেষত যারা প্রত্যন্ত অঞ্চলে বসবাস করেন বা যাদের আনুষ্ঠানিক ব্যাংকিংয়ের সুযোগ সীমিত ছিল, তারা এখন মোবাইল ফোনের মাধ্যমেই বিভিন্ন আর্থিক সেবা যেমন- অর্থ জমা, উত্তোলন ও স্থানান্তর করতে পারছেন। ফলে ব্যাংকিং সুবিধার বাইরে থাকা বিপুল সংখ্যক মানুষ আর্থিক মূলধারার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে, যা একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনীতির বিকাশে সহায়ক; দ্বিতীয়ত, রেমিট্যান্স বিতরণ প্রক্রিয়ায় এমএফএস একটি বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছে। প্রবাসী শ্রমিকদের পাঠানো অর্থ দ্রুত, নিরাপদে এবং কম খরচে তাদের পরিবারের কাছে পৌঁছে দেয়া এখন অনেক সহজ হয়েছে। আগে যেখানে দীর্ঘ সময় এবং জটিল প্রক্রিয়ার মাধ্যমে রেমিট্যান্স গ্রহণ করতে হতো, এখন এমএফএসের কল্যাণে মুহূর্তের মধ্যেই সেই অর্থ হাতে পাওয়া যাচ্ছে। এটি গ্রামীণ অর্থনীতিতে সরাসরি ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে, কারণ রেমিট্যান্স গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে এবং স্থানীয় অর্থনীতিকে সচল রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে; তৃতীয়ত, এমএফএস ক্ষুদ্র ব্যবসা ও উদ্যোক্তাদের জন্য নতুন দিগন্ত উšে§াচন করেছে।

 

 

ছোট আকারের ব্যবসায়ীরা এখন সহজেই তাদের লেনদেন পরিচালনা করতে পারছেন, যা আগে জটিল এবং সময়সাপেক্ষ ছিল। মোবাইল পেমেন্টের সুবিধা থাকায় তারা দূর থেকেও তাদের পণ্য বা সেবার মূল্য গ্রহণ করতে পারছেন, যা তাদের ব্যবসার পরিধি বাড়াতে সাহায্য করছে। এছাড়াও ক্ষুদ্র ঋণ বিতরণ এবং অন্যান্য আর্থিক সহায়তার ক্ষেত্রেও এমএফএস একটি কার্যকর মাধ্যম হিসেবে ব্যবহƒত হচ্ছে, যা নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টিতে উৎসাহিত করছে; চতুর্থত, সরকারি ভাতা ও সামাজিক সহায়তার বিতরণ ব্যবস্থায় এমএফএস একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। সরকার কর্তৃক প্রদত্ত বিভিন্ন ভাতা, যেমন- বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা এবং অন্যান্য আর্থিক সহায়তা সরাসরি উপকারভোগীদের মোবাইল অ্যাকাউন্টে পৌঁছে দেয়া সম্ভব হচ্ছে। এর ফলে বিতরণ প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা ও দক্ষতা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য কমেছে। একইসঙ্গে, সুবিধাভোগীরা সহজে এবং দ্রুত তাদের প্রাপ্য অর্থ হাতে পাওয়ায় তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নত হচ্ছে।

 

 সামগ্রিকভাবে, এমএফএস বাংলাদেশের অর্থনীতিতে একটি গতিশীলতা এনেছে এবং সমাজের অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়া অংশকে এগিয়ে যেতে সাহায্য করছে।
মোবাইল আর্থিক সেবা (এমএফএস) কেবল অর্থনীতির ক্ষেত্রেই নয়, বাংলাদেশের সমাজের ওপরও গভীর ও বহুমাত্রিক প্রভাব ফেলেছে। লেনদেনের ক্ষেত্রে এমএফএস সুবিধা ও নিরাপত্তা উভয়ই বৃদ্ধি করেছে। নগদ অর্থ বহনের ঝুঁকি এবং দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে অর্থ লেনদেনের ঝামেলা অনেকাংশে কমে গেছে। মোবাইল ফোনের মাধ্যমে সহজেই অর্থ আদান-প্রদান করা যায় বলে ব্যবহারকারীরা এখন অধিকতর নিরাপদ ও স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। ডিজিটাল লেনদেনের এই সুবিধা আর্থিক কর্মকাণ্ডকে আরও সহজলভ্য করে তুলেছে।

 

 

এমএফএস ব্যবহারের ফলে মানুষের সময় ও অর্থের সাশ্রয় হচ্ছে। আগে অর্থ স্থানান্তর বা বিল পরিশোধের জন্য যে সময় ব্যয় হতো, এখন মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তা মুহূর্তেই করা সম্ভব। যাতায়াত খরচ এবং অন্যান্য আনুষঙ্গিক ব্যয়ও হ্রাস পেয়েছে। বিশেষত গ্রামীণ এলাকার মানুষ, যাদের ব্যাংকিং সুবিধা পেতে দীর্ঘ পথ অতিক্রম করতে হতো, তারা এখন ঘরে বসেই আর্থিক সেবা গ্রহণ করতে পারছেন।

 

 

নারী ক্ষমতায়ন ও আর্থিক স্বাধীনতা বৃদ্ধিতে এমএফএস একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে, বিশেষ করে গ্রামীণ নারীদের ক্ষেত্রে। অনেক নারী, যারা সামাজিক বাধার কারণে সরাসরি আর্থিক প্রতিষ্ঠানে যেতে দ্বিধা বোধ করতেন, তারা এখন মোবাইল ফোনের মাধ্যমে নিজেদের আর্থিক লেনদেন পরিচালনা করতে পারছেন। এটি তাদের আর্থিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা বাড়িয়েছে এবং অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হতে সাহায্য করছে। নিজস্ব মোবাইল অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে অর্থ গ্রহণ ও ব্যবহারের সুযোগ পাওয়ায় গ্রামীণ নারীরা আগের তুলনায় বেশি স্বাধীনতা ও আত্মবিশ্বাস অর্জন করছেন।

 

 

[বাকি অংশ আগামীকাল]

লেখক: গবেষক ও উন্নয়নকর্মী