বিনামূল্যে পানামা খাল পারাপারের মার্কিন দাবি নাকচ
সূত্র : বণিক বার্তা, ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

হোয়াইট হাউজের দাবি প্রত্যাখ্যান করে পানামা জানিয়েছে, মার্কিন সরকারি জাহাজের বিনামূল্যে পানামা খাল পারাপারের বিষয়টি সত্য নয়। এর আগে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছিল, সরকারি জাহাজগুলো এখন কোনো ফি ছাড়াই পানামা খাল পার হতে পারবে। এতে প্রতি বছর মার্কিন সরকারের কয়েক মিলিয়ন ডলার সাশ্রয় হবে। খবর বিবিসি।
এক প্রতিক্রিয়ায় পানামা ক্যানাল অথরিটি (এসিপি) বলেছে, তারা টোল ও অন্যান্য ফি নির্ধারণের ক্ষমতা রাখে এবং এতে কোনো পরিবর্তন আনা হয়নি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি একাধিকবার বলেছেন, বিশ্ব বাণিজ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এ জলপথ তিনি ফের নিয়ন্ত্রণে নিতে চান। ৮২ কিমি দীর্ঘ পানামা খাল মধ্য আমেরিকার দেশটির ভেতর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এটি আটলান্টিক ও প্রশান্ত মহাসাগরের মধ্যে প্রধান সংযোগ।
সপ্তাহজুড়ে লাতিন আমেরিকা সফরকালে সম্প্রতি মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও পানামা খাল পরিচালনায় পরিবর্তন আনার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি এ খালের ওপর চীনের ‘প্রভাব ও নিয়ন্ত্রণ’ রয়েছে বলে উল্লেখ করেন। মার্কিন এ শীর্ষ কূটনীতিক বলেছেন, পানামাকে অবশ্যই ব্যবস্থা নিতে হবে। অন্যথায় যুক্তরাষ্ট্র নিজেদের অধিকার রক্ষায় দুই দেশের মধ্যকার চুক্তির অধীনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে।
পানামা সফরকালে মার্কো রুবিও দেশটির প্রেসিডেন্ট হোসে রাউল মুলিনো এবং খালের প্রশাসক রিকার্তে ভাসকেজ মোরালেসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। মার্কিন জাহাজ এ খালে চলাচলকারী নৌযানের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ২০২৪ সালে জলপথটির মধ্য দিয়ে যাওয়া ৫২ শতাংশ ট্রানজিটের উৎপত্তি বা গন্তব্য ছিল যুক্তরাষ্ট্র।
প্রতি বছর প্রায় ১৪ হাজার জাহাজ এ খাল ব্যবহার করে, যা দক্ষিণ আমেরিকার ঘুরে দীর্ঘ ও ব্যয়বহুল যাত্রা এড়াতে সহায়তা করে।
এর আগে অভিষেক বক্তৃতায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জানান, খালটি ‘পুনরায় দখলের’ পরিকল্পনা করছেন। এখন চীন এটি পরিচালনা করছে এবং পানামা ‘নিরপেক্ষ থাকার’ প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেছে। প্রতিক্রিয়ায় পানামার প্রেসিডেন্ট মুলিনো বলেছেন, এ গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যপথ ‘পানামার হাতেই রয়েছে এবং থাকবে’।