কল করুন

কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স

বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস আজ

[প্রকাশ : দেশ রূপান্তর, ৩১ মে ২০২৫]

বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস আজ

তামাক সেবনের কারণে তামাকজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে দেশে বছরে মারা যায় ১ লাখ ৬১ হাজার। পঙ্গুত্ব বরণ করে প্রায় চার লাখ মানুষ। প্রজ্ঞা এই তথ্য জানায়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দ্রুত তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশোধনী চূড়ান্তকরণের কথা; তা না হলে তামাকের আরও বিস্তার জনস্বাস্থ্য মারাত্মক হুমকিতে পড়বে।

 

 

এ ব্যাপারে প্রজ্ঞার নির্বাহী পরিচালক এবিএম জুবায়ের বলেন, তামাকই পৃথিবীর একমাত্র বৈধ পণ্য, যা অবধারিতভাবে তার ভোক্তাকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়। এক প্রজন্মের তামাকসেবী যখন মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে কিংবা ঘাতক ব্যাধির প্রকোপে তামাক সেবন ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়, ব্যবসা টিকিয়ে রাখতেই তামাক কোম্পানির জন্য তখন নতুন প্রজন্মের তামাকসেবী তৈরি করা অপরিহার্য হয়ে পড়ে। মোহনীয় বিজ্ঞাপনের ফাঁদে পড়ে যে শিশু বা কিশোর-কিশোরী আজ ঠোঁটে তামাকপণ্য তুলে নিচ্ছে, কাল সেই পরিণত হচ্ছে তামাক কোম্পানির আমৃত্যু ভোক্তায়।

 

 

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিশ্বে ১৩-১৫ বছর বয়সী অন্তত ৩ কোটি ৭০ লাখ কিশোর-কিশোরী নিয়মিত তামাক ব্যবহার করে। যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোলের (সিডিসি) এক গবেষণায় দেখা গেছে, ২১ বছর বয়সের আগেই যারা তামাকে আসক্ত হয়ে পড়েছে, তাদের মধ্যে নিকোটিন নির্ভরতা এবং আমৃত্যু তামাক ব্যবহারের প্রবণতা সবচেয়ে বেশি।

 

 

এমন পরিস্থিতিতে আজ শনিবার পালিত হচ্ছে বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস। দিবসটি উপলক্ষে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন তামাকবিরোধী ও স্বাস্থ্যসেবা সংগঠন দিবসটি উপলক্ষে নানা কর্মসূচি নিয়েছে।

 

 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. সৈয়দ আব্দুল হামিদ বলেন, তামাক ব্যবহারের অর্থনৈতিক ক্ষতির (চিকিৎসা ব্যয় এবং উৎপাদনশীলতা হারানো) পরিমাণ বছরে ৩০ হাজার ৫৬০ কোটি টাকা। তামাক ব্যবহারজনিত মৃত্যু এবং অসুস্থতা এসডিজির তৃতীয় লক্ষ্যমাত্রা সুস্বাস্থ্য অর্জনের একটি বড় বাধা। কাজেই তামাক ও নিকোটিন পণ্যমুক্ত একটি সুস্থ, সুখী ও উদ্যমী প্রজন্ম গড়ে তুলতে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালী করতে হবে।

 

 

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও পাবলিক হেলথ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট ইলেক্ট ডা. আবু জামিল ফয়সাল বলেন, তামাকপণ্য জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি। যিনি ধূমপান করেন তিনি ক্ষতিগ্রস্ত হন। সেই সঙ্গে অন্যকেও ক্ষতিগ্রস্ত করেন। সেজন্য তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালী করার কোনো বিকল্প নেই।