বৈষম্যহীন বাংলাদেশ : সুশাসন ও জবাবদিহিতা
ড. মোহাম্মদ আবদুল মজিদ । সূত্র : দেশ রূপান্তর, ১৮ এপ্রিল ২০২৫

রাষ্ট্রীয় সম্পদ, সৌভাগ্য তথা স্বাধীনতার সুফল সবার মধ্যে সুষম বণ্টন ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও সুনিশ্চিত সুশাসন এবং জবাবদিহিতার সুযোগ ছাড়া গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাপনার প্রতি আস্থা গড়ে ওঠে না। গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠার জন্য অযুত ত্যাগ স্বীকারের প্রকৃত প্রতিফল অর্জন সম্ভব হয় না, ন্যূনতম সুশাসন সুনিশ্চিত না হলে। সম্পদ অর্জনের নৈতিক ভিত্তি বা প্রক্রিয়া স্বচ্ছ না হলে বণ্টন ব্যবস্থাপনাও সুষ্ঠু হয় না। সমাজে বণ্টনবৈষম্য দূর করার ক্ষেত্রে সুশাসন প্রেরণা ও প্রভাবক ভূমিকা পালন করে থাকে। এটি দায়িত্ববোধ গড়ে তোলার জন্যও জরুরি। যেমন আজকাল এক দেশের প্রচুর অর্থ বিদেশে কিংবা অন্য অর্থনীতিতে দেদার পাচার হচ্ছে। বিনা বিনিয়োগে বা বিনা পরিশ্রমে প্রকৃত পণ্য ও সেবা উৎপাদন ব্যতিরেকে অর্থ অর্জিত হলে, অবৈধভাবে অর্জিত সেই অর্থ পাচার হবেই। অর্থ বৈধ পন্থায় উপার্জিত না হলে, সেই অর্থের মালিকানার প্রতি দায়-দায়িত্ববোধও গড়ে উঠে না। জাতীয় ঐক্য ও সংহতি শক্তিশালীকরণেও স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতামূলক পরিবেশের আবশ্যকতা রয়েছে। কেননা, সমাজে একপক্ষ বা কতিপয় কেউ স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার মধ্যে থাকলে, আর অধিকাংশ কারও কাছে কোনো জবাবদিহির মধ্যে না থাকলে অর্থাৎ একই যাত্রায় ভিন্ন আচরণে নিষ্ঠ হলে পারস্পরিক অভিযোগের নাট্যশালায় জাতীয় ঐক্য গড়ে ওঠে না। সমতা বিধানের জন্য, সবার প্রতি সমান আচরণের (যা গণতন্ত্রের মর্মবাণী) জন্যও স্বচ্ছতা তথা আস্থার পরিবেশ প্রয়োজন।
আরেকটি বিষয়, সুশাসনের অবর্তমানে যেকোনো জবাবদিহিতাহীন পরিবেশে, আয়-ব্যয় ব্যবস্থাপনায় অস্বচ্ছতার অবয়বের (cause) অন্যতম প্রতিফল (effect) হলো দুর্নীতি। দুর্নীতি শুধু ব্যক্তিবিশেষ অর্থাৎ যে দুর্নীতি করে তাকে ন্যায়নীতিহীনতার জন্য ক্ষতিগ্রস্ত করে তা নয়, তার দ্বারা সমাজকে নেতৃত্বদান বা যেকোনো ক্ষেত্রে দৃঢ়চিত্ত অবস্থান গ্রহণে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালনকেও প্রশ্নবিদ্ধ করে দেয়। দুর্নীতিই দুর্নীতির উৎস। দুর্নীতি সবাইকে দুর্বল করে দেয়। দুর্নীতিবাজ নেতৃত্বের জন্য সমাজে আস্থার সংকট সৃষ্টি হয়। নেতৃত্বের এই অধোগতির প্রেক্ষাপটই প্রত্যক্ষভাবে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার অভাবজনিত পরিবেশ নির্মাণ করে। নেতৃত্বের কার্যকলাপে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা না থাকলে সমাজ-সংসারে সে নেতৃত্বের অধীনে আস্থার সংকট তৈরি হয়। এটি পরস্পর প্রযুক্ত সমস্যা। স্বচ্ছতা-জবাবদিহিতার অনুপস্থিতির অবসরে আত্মঘাতী পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়, যেমন যেকোনো রাষ্ট্রীয় সেবা কিংবা সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ।
অর্থ বিনিময় ও নানান অনিয়মের কারণে যোগ্যতা ও মেধার ভিত্তিতে ভালো ও যোগ্য সুশীল সেবক, চিকিৎসক, শিক্ষক আইন রক্ষক নিয়োজিত না হলে সেবাধর্মী তার পরিবর্তে আধিপত্যবাদী সিভিল সার্ভেন্ট (সুশীল সেবক), অমেধাবী চিকিৎসক ও অযোগ্য শিক্ষক ও অবিবেচক আইন প্রয়োগকারীর কাছ থেকে গুণগতমান সম্পন্ন প্রশাসনিক সেবা, চিকিৎসা, শিক্ষা বা আইনরক্ষা সম্ভব হয় না। যেসব নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রচুর অর্থ আদান-প্রদানের মাধ্যমে নিয়োগ বাণিজ্য চলে, সেখানে মেধাবী ও উপযুক্ত প্রার্থীরা প্রতিযোগিতায় টিকতে পারে না। তাদের বিপরীতে নিয়োগ পায় অদক্ষ-অযোগ্য লোক। কেউ বিশেষ গোষ্ঠীর সমর্থক হয়ে এবং অবৈধভাবে অর্থ দিয়ে নিয়োগ পেলে সে প্রথমে চাইবে, গোষ্ঠীর স্বার্থরক্ষা করে সেবা চিকিৎসা ও শিক্ষার পরিবেশকে বিপন্ন করে ওই অর্থ তুলতে। সেক্ষেত্রে সে প্রয়োজন হলে যে কোনোভাবে (কর্তব্য দায়িত্বহীন হয়ে, প্রশ্নপত্র ফাঁস করা থেকে শুরু করে নানা ফাঁকিঝুঁকি ও পক্ষপাতিত্ব অবলম্বন করে) ইচ্ছা করে নীতিনৈতিকতা ভুলে অর্থ উঠিয়ে নেবে। তখন সে তার চাকরি বা দায়িত্বশীলতার দিকে নজর দেবে না। কোনো পদপ্রার্থী কর্তৃক কোনো সংস্থা ও সংগঠনে স্রেফ প্রতিনিধি নির্বাচিত হওয়ার সময় কিংবা কোনো সংস্থায় নিয়োগ পাওয়ার সময় যে অর্থ ব্যয় করে, তা নিঃসন্দেহে একটি মারাত্মক মন্দ বিনিয়োগ। এতে সমাজ দুদিক থেকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। প্রথমত, একজন ভালো যোগ্য প্রার্থীর স্থলে একজন দুর্নীতিবাজ অদক্ষের অবস্থান সুযোগ সৃষ্টি হয় এবং দ্বিতীয়ত, সে চিকিৎসা কিংবা লেখাপড়ার পরিবেশ বা প্রশাসনিক প্রক্রিয়াকে এমনভাবে কুলষিত করতে পারে যে, এর ফলে যুগ যুগ ধরে দুষ্ট ক্ষতের সৃষ্টি হয়।
স্বচ্ছতা-জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠার অন্যতম উপায় হলো, যার যা কাজ তাকে সেভাবে করতে দেওয়া বা ক্ষমতা দেওয়া। যেমন স্থানীয় সরকার। স্থানীয় সরকার পরিচালনার আয়-ব্যয় ব্যবস্থাপনার ভার স্থানীয় সরকারের হতে দেওয়া হলে, সে সরকার হবে প্রকৃত প্রস্তাবে তার নির্বাচকম-লীর কাছে জবাবদিহিতামূলক স্থানীয় পর্যায়ের সরকার। স্থানীয় সরকারই সেখানকার ভোটারদের কাছে জবাবদিহি করবে। স্থানীয় সরকার পরিচালনার জন্য সেখান থেকে তারা যে কর নেবে তা থেকেই সেখানে সেবামূলক কাজ নিশ্চিত করবে, যে প্রতিশ্রুতি তারা দেবে তা তারাই পূরণ করবে। জাপানে দেখেছি এক এক প্রিফেকচার বা প্রদেশ বা রাজ্য নিজ নিজ আয় ব্যয় উন্নয়নের জন্য সার্বিকভাবে ক্ষমতাপ্রাপ্ত। সেখানে এক স্থানীয় সরকার অপর স্থানীয় সরকারের চাইতে সরকার পরিচালনায় কতটা পারদর্শী তার প্রতিযোগিতা চলছে। স্বচ্ছতা আনয়নে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বা সংস্থায় দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়ে অধিষ্ঠিত কর্তাব্যক্তিদের দায়িত্বপালনে অর্পিত ক্ষমতা প্রয়োগে প্রতিশ্রুত (commitment) ও দৃঢ়চিত্ততা প্রয়োজন। নিজেদের অধিক্ষেত্রে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের পরিবর্তে আদিষ্ট হয়ে যদি তাদের কর্মধারা পরিচালিত হয়, সেক্ষেত্রে কোনো প্রতিষ্ঠান কার্যকরভাবে জবাবদিহিমূলক ভূমিকা পালন করতে পারে না।
এক্ষেত্রে স্বেচ্ছাচার ও স্বচ্ছতার অভাবে আকীর্ণ হয়ে উঠতে পারে। সেখানে স্বেচ্ছচারিতার অজুহাত যৌক্তিকতা এমনকি স্বজনপ্রীতির পরিবেশ বা ক্ষেত্র তৈরি হয়। যারা নীতি প্রণয়ন করেন, নীতি উপস্থাপন করেন তাদের প্রত্যেকেরই নিজস্ব দৃঢ়চিত্ততা এবং নীতি-নিয়ম পদ্ধতির প্রতি দায়িত্বশীল থাকা আবশ্যক। এর পরিবর্তে তার যদি চাকরি যাওয়ার বা পদোন্নতি আটকে যাওয়ার ভয় থাকে, তাহলে কোনো বিভাগই স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে না। সুশাসন, স্বচ্ছতা-জবাবদিহিতা প্রয়োজন সবার স্বার্থে, গণতন্ত্রের স্বার্থে, অর্থনৈতিক উন্নয়নের স্বার্থে। কারণ এটা পরস্পরের পরিপূরক। আরেকটি বিষয় হচ্ছে, নীতিনির্ধারক বাস্তবায়নকারীদের দিয়ে, তাদের ভুল বা ব্যত্যয়ধর্মী নীতি বা সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত করিয়ে নিতে তাদের ওপর চাপ সৃষ্টি কিংবা প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণ ও তদারকির, কখনো তাদের নানান সুযোগ-সুবিধা পাইয়ে দিয়ে প্রলুব্ধ করতে পারেন কিংবা ক্ষেত্রেবিশেষে ষড়যন্ত্রের টোপে ফেলে বিব্রতও করতে পারেন। ক্ষমতায় থাকা বা যাওয়ার জন্য এ ধরনের রাজনৈতিক উৎকোচ কিংবা নিপীড়নের প্রথা প্রাচীনকাল থেকে কমবেশি ছিল বা আছে। তবে তা মাত্রাতিক্রমণের ফলে সেটি স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিমূলক পরিস্থিতির প্রতিবন্ধক হিসেবে প্রতিভাত হয়ে থাকে নিকট অতীতে সবাই তা প্রত্যক্ষ এবং সহ্য করেছে।
বিভিন্ন পরিস্থিতিতে মানবসম্পদ তৈরিতে যেকোনো জাতির জন্য শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে হওয়া উচিত সবচেয়ে বড় বিনিয়োগ। কারণ গুণগত মানসম্পন্ন শিক্ষাই ভবিষ্যৎ জনসম্পদ তৈরি করবে। মূল্যবোধ সম্পন্ন দায়িত্বশীল মানুষ তৈরি করবে, দায়িত্বশীল নেতা তৈরি করবে। যে মানুষ থাকবে লাঙ্গল, মেশিন বা নথির পেছনে সে মানুষ খাঁটি সৃজনশীল মানুষ হিসেবে দেশের ভবিষ্যৎ নির্মাণ করবে। ঠিক তেমনিভাবে স্বাস্থ্য খাত থেকে মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত হলে, মানুষ সুস্থ হলেই না তার উৎপাদনশীলতা, সৃজনশীলতা সবই বাড়বে। স্বাস্থ্য খারাপ থাকলে, পুষ্টিহীন হলে কর্মী ভালো কাজ করতে সমর্থ হয় না। বরং তাকে সুস্থ ও কর্মক্ষম করে তোলার জন্য পরিবার ও রাষ্ট্রকে বাড়তি অর্থ ব্যয় করতে হয়। স্বাস্থ্য খাতে পর্যাপ্ত বিনিয়োগ এ জন্য দরকার যে, সবাইকে সুস্থ, নীরোগ ও স্বাস্থ্যবান নিরাপদ পেতে হবে। লোকবল সুস্থ হলেই সবকিছু বিকাশ লাভ করবে।
এর বিপরীতে যদি দেখা যায়, স্বাস্থ্য খাতে ধীরে ধীরে বাজেট কমছে, অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বিবেচনার বাইরে থেকে যাচ্ছে, হাসপাতালে ওষুধ দেওয়া হচ্ছে, কিন্তু তা রোগী পাচ্ছে না, অথচ রোগীকে বাইরে থেকে ওষুধ কিনতে হচ্ছে। চিকিৎসককে বেতন দেওয়া হচ্ছে যাতে তারা হাসপাতাল বা সরকারি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানে রোগীকে সুষ্ঠু চিকিৎসা দেন। অথচ হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা না দিয়ে তাদের বাধ্য করা হচ্ছে প্রাইভেট চেম্বার কিংবা বেসরকারি ক্লিনিকে যেতে। জনগণের দেওয়া করের টাকায় চিকিৎসক, শিক্ষক, পাবলিক সার্ভেন্টকে বেতন দেওয়া হচ্ছে শিক্ষা-স্বাস্থ্য-প্রশাসনিক নিরাপত্তা, আইনশৃঙ্খলাসহ সব বাহিনীকে স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার জন্য। কিন্তু সেভাবে সেবাপ্রাপ্তি ঘটছে না। শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষে যথাযথভাবে না পড়িয়ে তাদের কোচিং/প্রাইভেট পড়তে বলা হচ্ছে। তাদের দ্বিগুণ খরচ করতে হচ্ছে। উপযুক্ত ও গুণগত শিক্ষাদানের প্রচেষ্টায় বাণিজ্যিক মনোভাব পরিলক্ষিত হতে থাকলে, যেকোনো সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়ন হবে না। তার মানে সেখানে শিক্ষক, সিভিল সার্ভেন্ট, চিকিৎসক, যেকোনো বাহিনী, কারোরই দায়িত্ব পালনে স্বচ্ছতা-জবাবদিহিতার পরিবেশ পরিব্যপ্ত হচ্ছে না ।
জিডিপি প্রবৃদ্ধির মূল কথা হলো, যে অর্থ আয় বা ব্যয় করা হোক না কেন, সেই অর্থ ব্যবহারের দ্বারা অবশ্যই পণ্য ও সেবা উৎপাদিত হতে হবে। পণ্য ও সেবা উৎপাদনের লক্ষ্যে যে অর্থ আয় বা ব্যয় হবে সেটাই বৈধ। আর যে আয়-ব্যয় কোনো পণ্য ও সেবা উৎপাদন করে না সেটা অবৈধ, অপব্যয়, অপচয়। আরও খোলাসা করে বলা যায় যে, কোনো আয় পণ্য ও সেবা উৎপাদনের মাধ্যমে অর্জিত হয় না এবং যখন কোনো ব্যয়ের মাধ্যমে পণ্য ও সেবা উৎপাদিত হয় না তখন আয়-ব্যয় জিডিপিতে কোনো অবদান রাখে না। কোনো প্রকার শ্রম বা পুঁজি বিনিয়োগ ছাড়াই যে আয়, তা শুধু সম্পদ বণ্টনে বৈষম্য সৃষ্টিই করে না অর্জিত অর্থ ব্যয়ের ক্ষেত্রেও সুশাসন, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার ধার ধারে না। ফলে তখনই সৃষ্টি হয় আর্থিক বিচ্যুতি।
এভাবে যে অর্থ আয় বা খরচ করা হয় তা প্রকারান্তরে অর্থনীতিকে পঙ্গু ও পক্ষাঘাতগ্রস্ত করে। এটা ঠিক যে, সুশাসন স্বচ্ছতা-জবাবদিহিতা নিশ্চিত না হলে, সত্যিকার অগ্রগতি সাধিত হবে না। সে উন্নয়ন টেকসইও হবে না। এটা পরস্পরের পরিপূরক। স্বচ্ছতার অস্বচ্ছতায় যে উন্নয়ন হয়, তাতে জনগণের সুফল নিশ্চিত হয় না। এই উন্নয়নের কোনো উপযোগিতা বা রিটার্ন নেই। এটা এক ধরনের আত্মঘাতী ভেলকিবাজি। অন্যের দোষ ধরা বা কূট সমালোচনায় নিজের উন্নতি নিশ্চিত হয় না। অন্যকে সমালোচনার আগে আত্মসমালোচনা আবশ্যক এ জন্য যে, সবার ভালো চাইতে হলে আগে নিজেকে ভালো হতে হয়।
লেখক: সাবেক সচিব এবং এনবিআর চেয়ারম্যান