কল করুন

কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স

চিকিৎসার জন্য মিসরে নেয়া হচ্ছে আহত ও অসুস্থ ফিলিস্তিনিদের

সূত্র : বণিক বার্তা, ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

চিকিৎসার জন্য মিসরে নেয়া হচ্ছে আহত ও অসুস্থ ফিলিস্তিনিদের

রাফাহ সীমান্ত ক্রসিং পুনরায় খোলা একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হিসেবে দেখা হচ্ছে। কারণ এর মধ্য দিয়ে যুদ্ধবিরতি চুক্তি আরো শক্তিশালী হয়েছে। গাজায় হামাস শেষ জীবিত নারী বন্দিদের মুক্তি দেয়ার পর ইসরায়েল এ সীমান্ত পুনরায় খোলার বিষয়ে সম্মত হয়। রাফাহ সীমান্ত ক্রসিং প্রায় নয় মাস পর প্রথমবারের মতো খুলে দেয়া হয়েছে। এতে গাজার অসুস্থ ও আহত মানুষ চিকিৎসা নেয়ার জন্য মিসরে যেতে পারবে। খবর আল জাজিরা।

 


গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় শনিবার জানিয়েছে, ৫০ জন রোগী ও ৬১ সেবাদানকারী রাফাহ সীমান্ত অতিক্রম করে মিসরে পৌঁছেছে। মিসরের একটি টেলিভিশন চ্যানেলে দেখানো হয়েছে, ফিলিস্তিন রেড ক্রসের অ্যাম্বুলেন্সগুলো সীমান্ত ফটকের কাছে পৌঁছাচ্ছে। এ সময় কয়েকজন শিশুকে স্ট্রেচারে করে নামিয়ে মিসরের পাশে অ্যাম্বুলেন্সে তোলা হচ্ছিল।

 

 

১৫ মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধের কারণে এ রোগীরা চিকিৎসা নিতে পারেনি। তাদের মধ্যে অনেকেই ক্যান্সারসহ দীর্ঘস্থায়ী রোগে ভুগছে। ১৯ জানুয়ারি হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তির অংশ হিসেবে মোট ৪০০ ফিলিস্তিনিকে গাজা ত্যাগের অনুমতি দেয়া হচ্ছে।

 

 

রাফাহ সীমান্ত ক্রসিং পুনরায় খোলা একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হিসেবে দেখা হচ্ছে। কারণ এর মধ্য দিয়ে যুদ্ধবিরতি চুক্তি আরো শক্তিশালী হয়েছে। গাজায় হামাস শেষ জীবিত নারী বন্দিদের মুক্তি দেয়ার পর ইসরায়েল এ সীমান্ত পুনরায় খোলার বিষয়ে সম্মত হয়। হামাস গাজা থেকে শনিবার তিন ইসরায়েলি বন্দিকে মুক্তি দেয়ার পর পরই সীমান্ত ক্রসিং খুলে দেয়া হয়। বিনিময়ে ইসরায়েল তাদের কারাগার থেকে ১৮০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেয়।

 

 

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধিভুক্ত হাসপাতালগুলোর পরিচালক মোহাম্মদ জাকৌত বলেন, ‘‌ছয় হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি রোগীকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। তাছাড়া অন্তত ১২ হাজার রোগীর তাৎক্ষণিক চিকিৎসা প্রয়োজন। অল্পসংখ্যক রোগীকে সরিয়ে নেয়া প্রয়োজন মেটানোর জন্য যথেষ্ট নয়। আমরা আশা করি, এ সংখ্যা বাড়বে।’

 

 

ইন্টারন্যাশনাল নেটওয়ার্ক ফর এইড, রিলিফ অ্যান্ড অ্যাসিস্ট্যান্টের (আইএনএআরএ) প্রতিষ্ঠাতা আরওয়া ড্যামন আল জাজিরাকে বলেন, ‘‌জীবনরক্ষাকারী চিকিৎসা প্রয়োজন এমন প্রায় ২ হাজার ৫০০ ফিলিস্তিনি শিশুকে গাজা থেকে সরিয়ে নেয়ার প্রক্রিয়াটি খুব কঠিন।’

 

 

তিনি আরো বলেন, ‘একজন শিশুর অভিভাবক বা মা-বাবা তার চিকিৎসার জন্য বাইরে নিতে আবেদন করেন। এরপর গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আবেদনগুলো পর্যালোচনা করে। এরপর রোগীদের জরুরি প্রয়োজনের ভিত্তিতে কয়েকটি বিভাগে ভাগ করা হয়। এরপর ইসরায়েলের অনুমতি নেয়ার জন্য সব রোগীর নাম পাঠানো হয় এবং প্রত্যেকটি নাম আলাদাভাবে পরীক্ষা ও অনুমোদন করতে হয়।’