ডিসেম্বরে পণ্য রপ্তানিতে আয় বেড়েছে ১৭.৭২%, বৈরী সময়ে রপ্তানিতে বড় প্রবৃদ্ধি
নিজস্ব প্রতিবেদক । সূত্র : কালের কণ্ঠ, ০৩ জানুয়ারি ২০২৫

রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর শ্রমিক অসন্তোষসহ শিল্পাঞ্চলগুলোতে নানা প্রতিকূলতা থাকলেও রপ্তানি আয়ে বড় ধরনের ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি এসেছে। শিল্পসংশ্লিষ্টরা মনে করেন, গত এক যুগেরও বেশি সময় ধরে তৈরি পোশাকশিল্প যেভাবে সক্ষমতা বাড়িয়েছে, তারই ফসল ঘরে তুলছে বাংলাদেশ। এ ছাড়া রপ্তানির বড় গন্তব্য ইউরোপ ও আমেরিকার অর্থনৈতিক মন্দা থেকে অনেকটা ঘুরে দাঁড়িয়েছে। এরই ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে দেশের রপ্তানি আয়ে।
চলতি অর্থবছরের (২০২৪-২৫) ডিসেম্বরে দেশে রপ্তানি আয়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৭.৭২ শতাংশ, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১২.৮৪ শতাংশ বেশি। এ সময় মোট রপ্তানি আয় হয়েছে দুই হাজার ৪৫৩ কোটি ডলার। এর আগের অর্থবছরের একই সময়ে ছিল দুই হাজার ১৭৪ কোটি ডলার।
এই প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তৈরি পোশাক খাতের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি ও ইভেন্স গ্রুপের চেয়ারম্যান আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী (পারভেজ) কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘শিল্পের সক্ষমতা অনুসারে এখনো কার্যাদেশ কম। একই সঙ্গে বর্তমান প্রবৃদ্ধি কতট টেকসই এটা পুরোপুরি বোঝা যাবে পুরো অর্থবছরের পরিসংখ্যানের পর। তবে এটা ইতিবাচক যে ইপিবি বর্তমানে সঠিক পরিসংখ্যান দিচ্ছে।
প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, ডিসেম্বর মাসে সবচেয়ে বেশি রপ্তানি আয় এসেছে তৈরি পোশাক (আরএমজি) থেকে। এ খাতে রপ্তানি আয় ২০২৩ সালের একই সময়ের তুলনায় ১৭.৪৫ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৭৭ কোটি পাঁচ লাখ ডলারে। ২০২৩ সালে যা ছিল ৩২১ কোটি চার লাখ ডলার।
তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের তৈরি পোশাকের বড় বাজার যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) মূল্যস্ফীতির চাপ কমে এসেছে। আবার ক্রেতা প্রতিষ্ঠানের মজুদ পণ্যও কমে আসছে। সে জন্য ক্রয়াদেশ বাড়ছে।’
কৃষি পণ্যের রপ্তানি আয় ১৪.৪১ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০ কোটি এক লাখ ডলারে। চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের রপ্তানি আয় বেড়েছে ২৪.১৯ শতাংশ, যা ডিসেম্বরে রপ্তানি হয়েছে ১১ কোটি ৯ লাখ ডলারের। হোম টেক্সটাইলের রপ্তানি আয় ২০.৪৭ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে আট কোটি ৩৯ লাখ ডলারে।
এদিকে বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক, ওষুধ ও চামড়াসহ ২৭ ধরনের পণ্য ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বর মাসে বিশ্ববাজারে রপ্তানি হয়েছে। এ সময় বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি হয়েছে দুই হাজার ৪৫৩ কোটি ৩৫ লাখ মার্কিন ডলারের পণ্য, যা গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১২.৮৪ শতাংশ বেশি।