দৃষ্টিপাত : ‘মব ভায়োলেন্স’ বন্ধ করতে হবে
ড. আনোয়ারউল্লাহ চৌধুরী [সূত্র : যুগান্তর, ১৩ মে, ২০২৫]

গত বছর মাসাধিককালব্যাপী চলা ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে ৫ আগস্ট স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারের সাড়ে ১৫ বছরের নির্মম শাসনের পরিসমাপ্তি ঘটলে দেশের মানুষ স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে। দেশ নতুন করে আলোর পথে যাত্রা শুরু করে। নোবেলবিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রাষ্ট্রপরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করে। বিগত সরকারের আমলে দেশের অর্থনীতি থেকে শুরু করে প্রতিটি সেক্টর বিপর্যয়ের মুখোমুখি এসে দাঁড়িয়েছিল। সেই অবস্থা থেকে দেশকে স্বাভাবিক পথে ধাবিত করা ছিল খুবই চ্যালেঞ্জিং।
দীর্ঘদিনের পুঞ্জীভূত সমস্যার রাতারাতি সমাধান সম্ভব নয়। তারপরও বিভিন্ন ক্ষেত্রে দৃশ্যমান উন্নতি ও অগ্রগতি লক্ষ করা যাচ্ছে, যা মানুষের মনে আশার সঞ্চার করেছে। বিশেষ করে অর্থনীতি ও পররাষ্ট্রনীতির ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থান ক্রমেই উজ্জ্বল হয়ে উঠছে। আগে পররাষ্ট্রনীতির ক্ষেত্রে একদেশদর্শিতা লক্ষ করা যেত, যা বর্তমানে অনেকটাই দূরীভূত হতে চলেছে। বাংলাদেশ এখন স্বাধীনভাবে তার পররাষ্ট্রনীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করতে পারছে। সৌদি আরব বাংলাদেশে একটি তেল শোধনাগার নির্মাণ করতে চাচ্ছে। চীন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে বেশ কয়েকটি উন্নতমানের আধুনিক হাসপাতাল নির্মাণ করার চিন্তাভাবনা করছে।
এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি) তাদের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে, ২০২৪ সালে বাংলাদেশের গ্রস ডমেস্টিক প্রোডাক্টের (জিডিপি) পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪৫০ দশমিক ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে অর্থনীতির আকার বিবেচনায় বাংলাদেশের অবস্থান হচ্ছে নবম। তবে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির আশাব্যঞ্জক উন্নতি না হওয়ার কারণে চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার কিছুটা হ্রাস পেতে পারে।
এডিবি এর আগে পূর্বাভাস দিয়েছিল, বাংলাদেশ চলতি অর্থবছরে ৪ দশমিক ৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করবে। এখন তা কমিয়ে ৩ দশমিক ৯ শতাংশ করেছে। এ মুহূর্তে বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে উচ্চ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের ইস্যুটি। ইন্টারন্যাশনাল মানিটারি ফান্ড (আইএমএফ) তাদের সর্বশেষ প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে, বাংলাদেশের অর্থনীতিতে এ বছর (২০২৫) মূল্যস্ফীতির হার ১০ শতাংশের উপরে থাকবে।
আবার বিশ্বব্যাংক বলেছে, বাংলাদেশের অর্থনীতিতে খাদ্য খাতে বর্তমানে যে মূল্যস্ফীতি বিরাজ করছে, তা দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ। উচ্চ মূল্যস্ফীতি এবং মন্থর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পেছনে নানা কারণ কাজ করছে। তবে একটি উল্লেখযোগ্য কারণ হচ্ছে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির আশানুরূপ উন্নতি না হওয়া। অতীতে দেখা গেছে, আন্দোলনের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তিত হলে কিছুদিন সামাজিক ক্ষেত্রে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি বিরাজ করলেও ত্বরিত স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসে। কিন্তু গত আগস্টে সরকার পরিবর্তিত হওয়ার পর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এখনো পুরোপুরি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসেনি।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির এ অবনতির জন্য মূলত বিগত সরকারের ভুল নীতিই দায়ী। আওয়ামী লীগ সরকার আমলে পুলিশ বাহিনীকে দলীয় অস্ত্রধারী ক্যাডারের মতো ব্যবহার করা হয়েছে। হেন অপকর্ম নেই, যা পুলিশ দ্বারা করানো হয়নি। সরকারি দলের সমর্থনে অনৈতিক ভূমিকা পালনের কারণে পুলিশের নৈতিক মনোবল এখন শূন্যের কোঠায়। অতীতে একাধিকবার আন্দোলনের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তিত হয়েছে। কিন্তু কোনোবারই পুলিশ থানা থেকে পালিয়ে যায়নি। কিন্তু গত বছর আন্দোলনের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তিত হলে অধিকাংশ থানা থেকে পুলিশ সদস্যরা পালিয়ে যায়। কোনো কোনো থানায় সেনাসদস্যদের প্রহরায় পুলিশ সদস্যরা দায়িত্ব পালন করেছেন। এখনো পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের অনেকেই দূরবর্তী স্থানে অভিযানে যেতে ভয় পান।
সার্বিকভাবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির জন্য পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের নিষ্ক্রিয়তা অনেকাংশে দায়ী। পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের অনেকেই সঠিকভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করছেন না। দেশে বিভিন্ন বাহিনী থাকলেও সামাজিক অপরাধ দমনের ক্ষেত্রে পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের কোনো বিকল্প নেই। পুলিশ বাহিনীই একমাত্র সংগঠন, যারা তৃণমূল পর্যায়ের অপরাধীদের সম্পর্কে খোঁজখবর রাখে।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করেছে আজ থেকে ৯ মাস আগে। কিন্তু এ দীর্ঘ সময়েও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি। সবচেয়ে উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে দেশের বিভিন্ন স্থানে ‘মব জাস্টিসে’র নামে মানুষ হত্যার প্রবণতা। মব জাস্টিস শব্দটি সবসময়ই নেতিবাচক অর্থে ব্যবহৃত হয়। আসলে এটা মব জাস্টিস নয়, এটা মব ভায়োলেন্স। বাংলাদেশের প্রচলিত আইনে মব জাস্টিস বা মব ভায়োলেন্স বলে কোনো শব্দ নেই। সাধারণভাবে মব জাস্টিস বা মব ভায়োলেন্স বলতে এমন একটি পরিস্থিতিকে বোঝানো হয়, যেখানে এক বা একাধিক ব্যক্তি কোনো নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা ব্যক্তিদের ওপর অপরাধের অভিযোগ আরোপপূর্বক উপস্থিত সাধারণ মানুষকে উত্তেজিত করে উদ্দিষ্ট ব্যক্তির ওপর হামলা চালাতে উদ্বুদ্ধ করে।
আমাদের সমাজে কিছু মানুষ আছে, যারা সত্য-মিথ্যা যাচাই না করেই অন্যের ওপর আক্রমণ চালাতে অতি উৎসাহ প্রদর্শন করে থাকে; যার ওপর তারা আক্রমণ চালায় তাকে হয়তো তারা চেনে না। তার সঙ্গে আক্রমণকারীদের কোনো ব্যক্তিগত শত্রুতাও থাকে না। তারা হুজুগে মেতে এ ধরনের অপকর্মে লিপ্ত হয়। শিক্ষিত-অশিক্ষিত কোনো বিভেদ নেই। একদল মানুষ আছে, যারা সুযোগ পেলেই অন্য মানুষের ওপর আক্রমণ চালাতে উদ্যত হয়। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি দোষী কী নির্দোষ, এটা তাদের বিবেচ্য বিষয় বলে প্রতীয়মান হয় না।
বাংলাদেশে মব জাস্টিস বা মব ভায়োলেন্সের ঘটনা যে এবারই প্রথম ঘটল তা নয়; অতীতেও এমন ঘটনা সংঘটিত হয়েছে। তবে সংখ্যার দিকে থেকে তা ছিল কম। কিন্তু সাম্প্রতিক গণআন্দোলনের পর দেশের বিভিন্ন স্থানে মব সৃষ্টি করে মানুষ হত্যার ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে মাঝেমধ্যেই মব জাস্টিসের নামে মানুষ হত্যা করার খবর পাওয়া যাচ্ছে। প্রতিপক্ষকে শায়েস্তা করার একটি কৌশল হচ্ছে মব জাস্টিস বা মব ভায়োলেন্স। কিছু মানুষের নির্মম আচরণের কারণে কত পরিবার যে নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছে, তার খবর কেউ রাখে না। কয়েক বছর আগে রাজধানীর বাড্ডা এলাকায় একজন নারী অভিভাবক মব ভায়োলেন্সের নির্মম শিকার হয়ে প্রাণ হারিয়েছিলেন।
সেই স্মৃতি এখনো মনে জাগ্রত হয়ে আছে। ভদ্রমহিলা স্কুলে গিয়েছিলেন তার সন্তানকে নিয়ে আসার জন্য। সেই সময় কিছু মানুষ তাকে ছেলেধরা আখ্যায়িত করে আটকে ফেলে এবং নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করে। মহিলা বারবার বলছিলেন, আমি ছেলেধরা নই, আমি আমার সন্তানকে স্কুল থেকে নিতে এসেছি। কিন্তু তার মর্মান্তিক আকুতিতে কেউ কর্ণপাত করেনি। ভাবতে কষ্ট হয়, কীভাবে একজন মানুষকে এভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হতে পারে! যারা এ কাজটি করেছে, তারা মানুষ নামের কলঙ্ক।
কারও বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অপরাধের অভিযোগ পাওয়া গেলে তাকে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার হাতে তুলে দেওয়া যেতে পারে। কিন্তু কোনোভাবেই তাকে হত্যা করা উচিত নয়। কারণ একজন অপরাধীরও আইনি সহায়তা পাওয়ার অধিকার আছে। এমনকি কারও বিরুদ্ধে অপরাধের সুস্পষ্ট প্রমাণ পাওয়া গেলেও তাকে বিচারবহির্ভূতভাবে হত্যা করা যায় না। বাংলাদেশের প্রচলিত আইনে এ ধরনের কর্মকাণ্ডকে ক্রিমিনাল অফেন্স হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে। কেউ যদি মব ভায়োলেন্স সৃষ্টির মাধ্যমে কাউকে হত্যা করেন, তাহলে সংশ্লিষ্ট সবাইকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর সুযোগ রয়েছে।
অপরাধীকে শাস্তি প্রদানের জন্য আইন আছে; কিন্তু সেই আইন কোনোভাবেই নিজ হাতে তুলে নেওয়া যাবে না। যারা মব ভায়োলেন্স সৃষ্টির মাধ্যমে মানুষ হত্যা করে, তাদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি প্রদান করা যেতে পারে। তবে সবচেয়ে বড় প্রয়োজন হলো, সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টি করা। যারা মব ভায়োলেন্সের নামে সংঘবদ্ধ হয়ে মানুষ হত্যা করে, তাদের বুঝতে হবে যাকে হত্যা করা হচ্ছে, তিনি কারও মা অথবা বাবা, কারও স্ত্রী বা স্বামী। তার ওপর সংসারের দায়িত্ব নির্ভর করছে। যে কোনো হত্যাকাণ্ড সংশ্লিষ্ট পরিবারের জন্য বিপদ ডেকে আনতে পারে।
গণপিটুনি বা মব ভায়োলেন্সের নামে কাউকে হত্যা করা হলে এক ধরনের দায়মুক্তি পাওয়া যায়। এ ধরনের অপরাধের জন্য শাস্তি হয় খুব কম ক্ষেত্রেই। বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্টের এক সিনিয়র আইনজীবীর সঙ্গে ইস্যুটি নিয়ে আলাপ হলে তিনি বলেন, মব জাস্টিস বা মব ভায়োলেন্স অথবা গণপিটুনি যাই বলা হোক না কেন, বিনাবিচারে কাউকে হত্যা করার অধিকার বাংলাদেশের প্রচলিত আইন কাউকে দেয়নি। উপযুক্ত আদালতের মাধ্যমে বিচার না করে কাউকে হত্যা বা আহত করা কোনোভাবেই কাম্য হতে পারে না। তাই যারা এ ধরনের অপরাধের সঙ্গে যুক্ত হন, তাদের বিষয়টি ভেবে দেখতে হবে।
বিগত সরকারের আমলে দেশের বিভিন্ন স্থানে যারা বিরোধীদলীয় নেতাকর্মী ছিলেন, তাদের নানাভাবে হয়রানি করা হয়েছে। এখন পরিস্থিতি পালটে যাওয়ার কারণে কেউ কেউ হয়তোবা পূর্বশত্রুতার প্রতিশোধ নিচ্ছে। এক্ষেত্রে সবচেয়ে সহজ উপায় হচ্ছে, কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ উত্থাপন করে জনগণকে খেপিয়ে তোলা এবং শেষ পর্যন্ত তাকে আক্রমণ ও হত্যা করা। সামাজিক অস্থিতিশীলতা বিরাজ করলে একটি দেশে এ ধরনের অপরাধ বৃদ্ধি পেতে পারে। এমনও অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে, বিগত সরকারের একটি সুবিধাভোগী মহল উদ্দেশ্যমূলকভাবে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর লক্ষ্যে পরিকল্পিতভাবে মব ভায়োলেন্স সৃষ্টি করে সরকারকে বিব্রত করতে চাচ্ছে। আমরা এ অভিযোগ বিশ্বাস করতে চাই না। তবে বিষয়টি হালকাভাবে নেওয়ার সুযোগ নেই। মহলবিশেষ পরিকল্পিতভাবে মব ভায়োলেন্স সৃষ্টি করে মানুষ হত্যা করছে, নাকি তাৎক্ষণিক উত্তেজনাবশত এ ধরনের ঘটনা ঘটাচ্ছে, সেটা বড় বিষয় নয়।
বিবেচ্য বিষয় হচ্ছে, এ ধরনের সমাজবিরোধী অন্যায় কর্ম কেন চলতে থাকবে? রাষ্ট্রের প্রত্যেক মানুষের জীবনের নিরাপত্তা বিধানের দায়িত্ব সরকারের। সরকার এক্ষেত্রে কোনো ব্যর্থতার পরিচয় দিতে পারে না। যে বা যারাই মব ভায়েলেন্স সৃষ্টির মাধ্যমে বিচারবহির্ভূতভাবে মানুষ হত্যা করবে, তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। আর রাজনৈতিক দল এবং সামাজিক সংগঠনগুলোকে মব ভায়োলেন্সের বিরুদ্ধে গণসচেতনতামূলক কার্যক্রম হাতে নিতে হবে। সরকারিভাবে প্রচারমাধ্যমে মব ভায়োলেন্সের ক্ষতিকর দিক নিয়ে আলোচনা করা যেতে পারে। যে যায় সে আর ফিরে আসে না। মব ভায়োলেন্সের নামে যাদের হত্যা করা হচ্ছে, তাদের পরিবারের অবস্থা কি আমরা একবারও ভেবে দেখার প্রয়োজনবোধ করব না? আমাদের ভাবতে হবে, আজ যদি মব ভায়োলেন্সের নামে আমার একজন আপনজন হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়, তাহলে কেমন লাগবে?
মব ভায়োলেন্স বা মব জাস্টিস অথবা গণপিটুনি যাই বলি না কেন, আর যেন এ ধরনের একটি মৃত্যুও আমাদের দেখতে না হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে। মানুষের মধ্যে সামাজিক মূল্যবোধ এবং অপরের প্রতি সহমর্মিতার মনোভাব সৃষ্টি করতে হবে। বাংলাদেশে বসবাসকারী প্রত্যেক মানুষ একজন আরেকজনের ভাই-বন্ধু-এ মনোভাব জাগ্রত করতে হবে। মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন একটি উন্নত দেশ গঠনে আমাদের এখনই উদ্যোগী হতে হবে।
ড. আনোয়ারউল্লাহ চৌধুরী : সাবেক উপাচার্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়; বাহরাইনে নিযুক্ত বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত