কল করুন

কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স

ফ্যাসিবাদ না ফেরানোর অঙ্গীকার

আওয়ামী ফ্যাসিবাদ দেশকে সর্বনাশের প্রান্তসীমায় নিয়ে গেছে। ২০২৪ সালের গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে আমরা আবারো একটি বৈষম্যহীন, দুর্নীতিমুক্ত স্বাধীন ও সার্বভৌম গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার সুযোগ পেয়েছি। প্রফেসর ইউনূসের আহ্বান - আসুন শতবর্ষের সংগ্রাম ও বহুকষ্টে অর্জিত স্বাধীনতাকে পূর্ণতা দিতে নতুন প্রজন্মের জন্য একটি নিরাপদ ও সুন্দর বাংলাদেশ গড়ে তুলি। ধর্ম-বর্ণ-গোষ্ঠী এবং লিঙ্গপরিচয় নির্বিশেষে সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে হাতে হাত রেখে এগিয়ে যাই শান্তি, সমৃদ্ধি ও গণতন্ত্রের পথে। ড. আবদুল লতিফ মাসুম [প্রকাশ : নয়াদিগন্ত, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫]

ফ্যাসিবাদ না ফেরানোর অঙ্গীকার

সাম্প্রতিককালে বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে ফ্যাসিবাদ শব্দটি বারবার ব্যবহৃত হচ্ছে। রাষ্ট্র তথা সরকার থেকে ফ্যাসিবাদবিরোধী পদক্ষেপের কথা গুরুত্বের সাথে বলা হচ্ছে। রাজনৈতিক নেতৃত্ব ফ্যাসিবাদের তুলোধুনা করছেন। আমরা এই সেদিন একটি নিকৃষ্ট ফ্যাসিবাদ অতিক্রম করেছি। সাধারণ অর্থে ফ্যাসিবাদ মানেই অন্যায়-অত্যাচার, নিপীড়ন-নির্যাতন ও জনগণের শাশ্বত অধিকার অস্বীকার। বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের সাথে সাথে যে রাজনৈতিক শক্তিটি ক্ষমতাসীন হয় তখনো বিদ্বজ্জন ওই সরকারকে ফ্যাসিবাদী বলে অভিযুক্ত করেছেন। অপর দিকে রাজনৈতিক জনগণ ফ্যাসিবাদের শাসনকাঠামোর মধ্যেই বসবাস করতে বাধ্য হয়েছে। তখনকার দিনে লাল, নীল, সবুজ বাহিনীর সহিংসতায় ও আধিপত্যে পরিচালিত হয়েছে দেশ। একটি গণ-অধিকার স্বীকৃত সংবিধান রচিত হলেও তার বাস্তবায়ন হয়নি। বিশেষ আইন, সংবাদপত্র দলন আইন এবং অবশেষে বাকশালের মাধ্যমে জনগণের মৌলিক অধিকারকে অস্বীকার করেছে তারা। এ ছিল প্রথম দিকের প্রবণতা। বিস্ময়ের ব্যাপার যে, শেষের দিকেও তাদের একই রূপ। বাংলায় শ্লোক আছে কয়লা ধুলে ময়লা যায় না। একটি ইংরেজি প্রবাদ আছে, ‘নেকড়ে তার দাগ পরিবর্তন করতে পারে না।’ এসব অলঙ্ঘনীয় প্রবাদ আওয়ামী লীগের চরিত্রে বৈশিষ্ট্যে শতভাগ মিলে যায়। লোকেরা সেদিন এবং এদিনে তাদের ফ্যাসিস্ট বলে গালি দেয়। গত মঙ্গলবার ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের ভাষণে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস ফ্যাসিস্ট শক্তির বিরুদ্ধে কঠোর অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন। 

 

 
 

বারবার যখন ফ্যাসিবাদের উদ্ধৃতি আসছে, এখন দেখা যাক ফ্যাসিবাদ বিষয়টি আসলে কী, এর উৎস কী এবং বিষয় বৈশিষ্ট্যইবা কী - তা একটু জানা যাক। ইতালিতে ১৯১১ থেকে ১৯৪৫ অবধি বেনিতো মুসোলিনি ফেসিমো নামে যে মতাদর্শ ও আন্দোলনের সূত্রপাত করেন তার ইংরেজি প্রতিশব্দ হলো ফ্যাসিজম (Fascism)। এই মতাদর্শ হলো উগ্র জাতীয়তাবাদী, স্বৈরতন্ত্রী ও সাম্যবাদবিরোধী। আজকের ইতালি প্রাচীন ও রোম সাম্রাজ্যের উত্তরাধিকার বহন করে। প্রাচীন রোমে রাষ্ট্রীয় প্রতীক ছিল ‘একটি কুঠার মাঝখানে একগুচ্ছ লোহার রড (Fascism)’। মুসোলিনি ইতিবচকভাবেই তত্ত্বকথার মোড়কে ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছিলেন। তিনি বলতেন, ফ্যাসিবাদ হলো একাধারে কর্ম ও চিন্তা। আসলে প্রায়োগিকভাবে এটি ছিল অপকর্ম ও অপচিন্তা। এটি ছিল হিংসাশ্রয়ী দর্শন। বিনাশ করে গঠনের কথা বলতেন তারা। এরা ইতালীয় জনগণকে অজ্ঞানতা ও আক্রমণাত্মক দীক্ষা দেয়। মুসোলিনি সর্বাত্মক রাষ্ট্রের কথা বলতেন তা আধুনিক উদার গণতন্ত্রের বৈরী। ফ্যাসিবাদ সমগ্র সমাজকে এক জাতি এক স্বার্থ ও এক প্রাণসত্তায় নির্মাণ করতে চায়। বাকশালের সময়কালে এখানে যে স্লোগান উত্থিত হয়েছিল - ‘এক নেতা এক দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’ - এটি যথার্থভাবেই ফ্যাসিবাদের প্রতিধ্বনি করে। শেষ আওয়ামী সরকার কৌশলগতভাবে গণতন্ত্র ও নির্বাচনের মহড়া দিলেও বাস্তব অর্থে এটি ছিল বাকশালের চেয়েও নিকৃষ্ট অঘোষিত বাকশাল তথা ফ্যাসিবাদ।

 
 

ফ্যাসিবাদ সম্পর্কে অ্যাকাডেমিক বিশ্লেষণটি এরকম : ফ্যাসিবাদ হলো একটি চরমপন্থী রাজনৈতিক মতাদর্শ ও আন্দোলন, যা উগ্র জাতীয়তাবাদ, স্বৈরাচারী একনায়কতন্ত্র, সামরিক শক্তি ও রাষ্ট্রের ক্ষমতাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়, যেখানে ব্যক্তির চেয়ে রাষ্ট্রই বড় এবং বিরোধী মতকে কঠোরভাবে দমন করা হয়। এর মূলনীতি হলো ‘জনগণের জন্য রাষ্ট্র নয়, রাষ্ট্রের জন্য জনগণ’ এবং এটি সাধারণত একটি একক দল বা নেতার অধীনে থাকে, যেখানে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা থাকে না। ফ্যাসিবাদের মূল বৈশিষ্ট্য -

 

চরম জাতীয়তাবাদ : নিজেদের জাতি ও সংস্কৃতিকে শ্রেষ্ঠ মনে করা এবং অন্যকে হেয় করা। স্বৈরাচারী শাসন : একজন একনায়কের হাতে সব ক্ষমতা কেন্দ্রীভ‚ত থাকে এবং ভিন্নমত সহ্য করা হয় না। বিরোধীদের দমন : রাজনৈতিক বিরোধীদের নির্মূল করা এবং জনগণের ওপর কঠোর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা।

 

সামরিকীকরণ : সামরিক শক্তি বৃদ্ধি এবং যুদ্ধের মাধ্যমে জাতীয় গৌরব প্রতিষ্ঠা করা।

 

 

রাষ্ট্রের প্রাধান্য : রাষ্ট্রের স্বার্থকে ব্যক্তির স্বার্থের ঊর্ধ্বে স্থান দেয়া। সংক্ষেপে ফ্যাসিবাদ এমন একটি ব্যবস্থা যেখানে রাষ্ট্র বা জাতিই সব, ব্যক্তি কিছুই নয় এবং একটি শক্তিশালী, স্বৈরাচারী সরকার সামরিক শক্তি ও কঠোর নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে দেশ পরিচালনা করে।

 

 

এই তত্ত¡কথার বাস্তব প্রয়োগ দেখেছে বাংলাদেশ। বিগত ৫৪ বছরের মধ্যে আওয়ামী লীগ অধিকাংশ সময় শাসন ক্ষমতায় থাকে। প্রাথমিক সাড়ে তিন বছর+১৯৯৬ থেকে ২০০১+২০০৯ থেকে ২০২৪=প্রায় ২৪ বছর। আওয়ামী লীগ এই বছরগুলোতে ভিন্ন ভিন্ন প্রেক্ষিতে ভিন্নতরভাবে ক্ষমতায় আসে। আশ্চর্যের ব্যাপার, কোনো সময়ই তাদের গণতন্ত্রের প্রতি ও মানবাধিকারের প্রতি বিন্দুমাত্র সম্মান পরিলক্ষিত হয়নি। ১৯৭৫ সালের বিয়োগান্তক ঘটনাবলির ২১ বছর পরে ১৯৯৬ সালে ছলেবলেকলে কৌশলে ক্ষমতাসীন হয়। কিন্তু বাকশালের জন্য তাদের কোনো অনুতাপ পরিলক্ষিত হয়নি। একই ঘটনা ঘটে ২০২৪ সালে তাদের লজ্জাকর পলায়নের পর। বিগত ১৬ মাসে তাদের শীর্ষনেত্রী থেকে আদি নেতা, পাতি নেতা ও উপনেতা - কেউই রক্তপাতের জন্য এতটুকু আহাজারি করেনি। শেখ হাসিনার সর্বশেষ বয়ানেও ছিল ঔদ্ধত্যপূর্ণ উক্তি।

 

 

 

দিল্লিতে আশ্রয় নিয়ে বাংলাদেশ জাতিরাষ্ট্রের সমূল বিনাশে লিপ্ত হয়েছেন তিনি। হাসিনার নির্দেশে এখন যা হচ্ছে : ক. দেশের অভ্যন্তরে বোমাবাজি, অগ্নিসংযোগসহ নাশকতামূলক কাজ করে তাদের রাজনৈতিক উপস্থিতির প্রমাণ দিতে চাচ্ছেন। খ. আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নিরাপত্তার দিকে না তাকিয়ে গোপালগঞ্জের মতো আওয়ামী প্রভাবাধীন এলাকায় শক্তির মহড়া দিচ্ছেন। গ. জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে না পেরে জাতীয় পার্টির মতো বি টিমে ভর করার চেষ্টা করছেন। ঘ. নির্বাচন বানচালের জন্য শরিফ ওসমান হাদির মতো আরো হামলা করে সারা দেশে অরাজকতা সৃষ্টির অপচেষ্টা করছেন। ঙ. নির্বাচনের মাধ্যমে সম্ভাব্য ক্ষমতাধারী শক্তির সাথে রাজনৈতিক কৌশল ও সমীকরণের অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছেন।

 

 

জনগণ চায় না ফ্যাসিবাদী শক্তি আবার ক্ষমতায় ফিরে আসুক। ২০২৪ সালের গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে যে আওয়ামী-বিরোধী ঘৃণা ও ক্রোধ প্রকাশিত হয়েছে তা এখনো টগবগ করছে। কয়েক মাস আগে যখন হাসিনা আস্ফালন করলেন তখন ৩২ নম্বর বিধ্বস্ত করে জনগণ। এই সেদিনও ছাত্র-জনতা আবার গিয়েছিল। ৩২ নম্বর বাড়িটি এখন বাংলাদেশের মানুষের রাগ দুঃখ-কষ্ট ও ক্রোধের প্রতীকে পরিণত হয়েছে। নির্বাচন সামনে রেখে রাজনৈতিক দলগুলোর পারস্পরিক বাগবিতণ্ডা, দ্বন্দ্ব, কলহ দেখে অনেকেই হতাশ হন। জাতি দেখেছে যে শরিফ ওসমান হাদির মতো ইস্যুকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহল তাদের অর্জিত ঐকমত্য দেখাতে সক্ষম। নির্বাচনে যে দলই ক্ষমতাসীন হোক না কেন যদি তারা আওয়ামী আপসে লিপ্ত হয় তাহলে জনগণ তাদের লাল কার্ড দেখাবে। বস্তুত আওয়ামী লীগ মানুষের মন থেকে চিরতরে উঠে গেছে। আওয়ামী লীগ যদি আকারে প্রকারে রাজনৈতিকভাবে এগোতে চায় সাধারণ জনগণ তাদের প্রতিহত করবে। জনগণের এ ধরনের দাবির কারণে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তাদের রাজনৈতিক কার্যক্রম সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে।

 

 

 উচিত ছিল তাদের বেআইনি ঘোষণা করা। হয়তো দূরের ও কাছের শক্তির সমীকরণে সরকার এটি করতে পারেনি। কিন্তু তারা নির্বাচনে দাঁড়িয়ে দেখুক জনগণ তাদের স্বতঃস্ফ‚র্তভাবেই প্রতিহত করবে। সর্বোপরি নতুন প্রজন্ম তথা জেন-জি ২০২৪ অভ্যুত্থানে যে সাহস ও শৌর্য দেখিয়েছে তা ম্লান হবে না। বংশপরম্পরায় তাদের প্রতিজ্ঞা ও প্রতিরোধের ইতিহাস জনগণকে প্রেরণা জোগাবে। সুতরাং সঙ্গতভাবেই প্রধান উপদেষ্টা আশা করতে পারেন, পরাজিত ফ্যাসিস্ট শক্তি কোনো দিনই দেশের মাটিতে ফিরে আসবে না। তিনি দৃঢ়তার সাথে বলেন, ‘আমি পরিষ্কারভাবে বলতে চাই - পরাজিত শক্তি ফ্যাসিস্ট টেররিস্টদের এই অপচেষ্টা সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ করে দেয়া হবে। ভয় দেখিয়ে, সন্ত্রাস ঘটিয়ে বা রক্ত ঝরিয়ে এ দেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রা কেউ থামাতে পারবে না।’

 

 

 

নির্বাচন অবশ্যই জনগণের প্রতিধ্বনি করে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সংস্কারের একটি জাতীয় আবেদন নিয়ে ক্ষমতাসীন হয়েছে। তাদের কাছে জনগণের আরেকটি দাবি ফ্যাসিস্টদের বিচার। প্রফেসর ইউনূস তার ভাষণে এই তিনটি দায়িত্ব পালনের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারের প্রতি জনগণের দৃষ্টি আকর্ষণ করে প্রফেসর ইউনূস বলেন, ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল স্বাধীন ও স্বচ্ছ প্রমাণভিত্তিক বিচার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দেশের ছাত্র, শ্রমিক ও সাধারণ জনগণের ওপর নির্বিচার হত্যাকাণ্ডের প্রধান নির্দেশদাতা হিসেবে পতিত ফ্যাসিস্ট সরকারের প্রধান শেখ হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন। যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে, অভ্যুত্থানের পর পলাতক শেখ হাসিনা ও এ মামলায় সাজাপ্রাপ্ত অন্য আসামি সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে দেশে ফেরানোর জন্য সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে ভারত সরকারকে অনুরোধ জানিয়েছে।’ হয়তো বা ভারত সরকার তাদের কখনো ফেরত দেবে না। কিন্তু দেশের মধ্যে তাদের না ফেরার যে বন্দোবস্ত নির্ধারিত হয়েছে, তাই তাদের তথা আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক মৃত্যুর জন্য যথেষ্ট।

 

 

 

 

আওয়ামী ফ্যাসিবাদ দেশকে সর্বনাশের প্রান্তসীমায় নিয়ে গেছে। ২০২৪ সালের গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে আমরা আবারো একটি বৈষম্যহীন, দুর্নীতিমুক্ত স্বাধীন ও সার্বভৌম গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার সুযোগ পেয়েছি। প্রফেসর ইউনূসের আহ্বান - আসুন শতবর্ষের সংগ্রাম ও বহুকষ্টে অর্জিত স্বাধীনতাকে পূর্ণতা দিতে নতুন প্রজন্মের জন্য একটি নিরাপদ ও সুন্দর বাংলাদেশ গড়ে তুলি। ধর্ম-বর্ণ-গোষ্ঠী এবং লিঙ্গপরিচয় নির্বিশেষে সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে হাতে হাত রেখে এগিয়ে যাই শান্তি, সমৃদ্ধি ও গণতন্ত্রের পথে।

 

 

লেখক : অধ্যাপক (অব:), সরকার ও রাজনীতি বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়