কল করুন

কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স

গাজায় নির্মমতা আর ঐতিহাসিক চক্রান্ত

রাজেকুজ্জামান রতন । সূত্র : দেশ রূপান্তর, ১২ এপ্রিল ২০২৫

গাজায় নির্মমতা আর ঐতিহাসিক চক্রান্ত

গাজায় মারছে মানুষ, মরছে মানবতা। গোটা বিশ্বে মানুষ প্রতিবাদ করছে গাজাবাসীর ওপর ইসরায়েলের নির্মম আক্রমণের। জনসংখ্যা ২৩ লাখ আর ২০ কিলোমিটার  দৈর্ঘ্য এবং ১০ কিলোমিটার প্রস্থের মাত্র ৪১০ বর্গকিলোমিটার আয়তনের ছোট্ট একটি অঞ্চল গাজা। এর ওপর বিশ্বের সর্বাধুনিক অস্ত্র নিয়ে, বিশ্বের শক্তিশালী দেশগুলোর সমর্থন-সহায়তা নিয়ে ইসরায়েল ঝাঁপিয়ে পড়েছে। ইতিমধ্যে ৬২ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনিকে হত্যা করে গাজা উপত্যকাকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করা হয়েছে। এই আক্রমণে আহত হয়েছে লাখ লাখ, গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বাড়িঘর, হাসপাতাল, ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে ফসলের জমি, ফলের বাগান। ঘর নেই, পানি নেই, খাদ্য নেই, ওষুধ নেই আছে বিমান হামলা আর মৃত্যু। মানবতার এত বড় বিপর্যয়, মানুষ এর আগে প্রত্যক্ষ করেনি। আজ থেকে ৭৭ বছর আগে ফিলিস্তিনিদের ওপর অনিঃশেষ এক বিপর্যয় নেমে আসে। ১৯৪৮ সালের ১৪ মে। ফিলিস্তিনের ভূমিতে আনুষ্ঠানিকভাবে ইসরায়েল রাষ্ট্র স্থাপনের ঘোষণা আর ফিলিস্তিনিদের নিজ ভূমি থেকে বিতাড়িত ও রাষ্ট্রহীন হওয়ার বিপর্যয় শুরু হয় সেদিন। আরবিতে বিপর্যয়কে বলা হয় ‘নাকবা’। ফিলিস্তিনিরা প্রতিবছর ১৫ মে তারিখটিকে ‘আল-নাকবা’ দিবস হিসেবে পালন করে।

 

 

১৯৯৮ সালে ইসরায়েল যখন স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ঘটা করে উদযাপনের প্রস্তুতি নেয়, তখন ফিলিস্তিনিদের কিংবদন্তি নেতা ও ফিলিস্তিনের সাবেক প্রেসিডেন্ট ইয়াসির আরাফাত সিদ্ধান্ত নেন যে, তারাও তাদের নাকবার ৫০ বছর পূর্তি পালন করবেন। তিনি ইসরায়েলের স্বাধীনতা দিবসের পরের দিনটিকে নাকবা দিবস হিসেবে ঘোষণা দেন। ইসরায়েলের স্বাধীনতা মানে ফিলিস্তিনিদের নাকবা। একটু ইতিহাসের দিকে চোখ বুলানো যাক। ১৮৯৫ সালে অস্ট্রীয় লেখক নাথান বারনবুম ‘জায়নইজম’ বা জায়নবাদ শব্দটি প্রবর্তন করেন। অস্ট্রিয়ার ইহুদি সাংবাদিক, নাট্যকার ও রাজনীতিক থিওডর হারজেলের উদ্যোগে ১৮৯৭ সালের আগস্ট মাসে সুইজারল্যান্ডের ব্যাসেল নগরে অনুষ্ঠিত হয় প্রথম বিশ্ব জায়নবাদী সম্মেলন (ওয়ার্ল্ড জায়নিস্ট কংগ্রেস)। তিন দিনব্যাপী এ সম্মেলন থেকে ইহুদিদের জন্য একটি স্বতন্ত্র স্বাধীন রাষ্ট্র গঠনের রূপরেখা গৃহীত হয়। মোটা দাগে এই হলো ইসরায়েল রাষ্ট্র গঠনের স্বপ্ন। যেহেতু ইহুদি হওয়ার কারণেই বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে অন্য জাতি-গোষ্ঠী, সম্প্রদায় ও ধর্মের মানুষ দ্বারা নির্যাতিত হয়েছে এই সম্প্রদায়ের মানুষেরা, ফলে তারা মনে করে যে, একটি স্বতন্ত্র আবাসভূমি তথা দেশ না হলে তাদের ওপর এই নির্যাতন বন্ধ হবে না। এই চিন্তা থেকেই  জায়নবাদী আন্দোলন শুরু। আর জায়নবাদীরা ফিলিস্তিনের ভূমিতেই ইহুদিদের নিজস্ব দেশ গঠনের কোনো বিকল্প নেই বলে দাবি তুলতে থাকে।

 

প্রথম বিশ্বযুদ্ধে বিধ্বস্ত ওসমানীয় সাম্রাজ্যকে নিজেদের মধ্যে বাটোয়ারা করে নিতে ১৯২০ সালে ইতালির সান রেমো শহরে গ্রেট ব্রিটেন, ফ্রান্স ও ইতালির প্রধানমন্ত্রী এবং জাপান, বেলজিয়াম ও গ্রিস সরকারের প্রতিনিধিরা একত্র হন। সেখানে সিদ্ধান্ত হয় যে, সিরিয়া ফরাসি ম্যান্ডেটে আর ফিলিস্তিন ও মেসোপটেমিয়া বা ইরাক ব্রিটেনের ম্যান্ডেটে শাসিত হবে। ১৯২২ সালে লিগ অব নেশনসের মাধ্যমে এই ম্যান্ডেট অনুমোদন করা হয়। এক সুদূরপ্রসারী লক্ষ্য থেকে ফিলিস্তিনকে ব্রিটিশ ম্যান্ডেটে নেওয়া হয়। ১৯১৭ সালের ২ নভেম্বর ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লর্ড আর্থার বেলফোর জায়নবাদী নেতা ব্যারন রথচাইল্ডকে ৬৭ শব্দের এক পত্রে জানান, ব্রিটিশ সরকার ফিলিস্তিনে ইহুদিদের জাতীয় আবাসভূমি গড়ে তুলবে। এর জন্য যা করা প্রয়োজন, তার সবই করবে। এটি ‘বেলফোর ঘোষণা’ হিসেবে পরিচিত, ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে ইসরায়েল রাষ্ট্র গঠনের এটাই ছিল মহাপরিকল্পনা। সে কারণেই সান রেমো সম্মেলনে বেলফোর ঘোষণা বাস্তবায়ন করার দায়িত্ব দেওয়া হয় ব্রিটিশ সরকারকে আর মিত্রশক্তিগুলো তা সমর্থন দেয়। এরপর থেকে ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে ইউরোপ থেকে ইহুদিরা দলে দলে এসে জমিজমা কিনতে থাকে। প্রথম দিকে বেশি টাকার লোভে ফিলিস্তিনিরা জমি বিক্রি করেছে। এর ভয়াবহতা বুঝতে পারেনি।

 

 

তা ছাড়া তখন মুসলমানদের পাশাপাশি ইহুদি ও খ্রিস্টানরাও বসবাস করত। এই তিন ধর্মের মানুষ হাজার বছরের বেশি সময় ধরেই এই ভূমিতে বসবাস করে আসছিল। এই ইহুদিরা ছিল বেশিরভাগই প্রাচ্যের ইহুদি, যারা মিজরাহি হিসেবে পরিচিত। আর ইউরোপ থেকে আসতে থাকে আশকেনাজি ইহুদিরা, যারা আবার ইহুদিদের মধ্যে নিজেদের সবচেয়ে উচ্চবর্ণের বলে দাবি করে থাকে। ১৮৮২ ও ১৯০৪ সালে রাশিয়া ও ইউরোপ থেকে হাজার হাজার ইহুদি অভিবাসন ঘটতে থাকে ফিলিস্তিনে। ইউরোপীয় ইহুদিদের আগমন বৃদ্ধির ফলে স্থানীয় ফিলিস্তিনি-আরবদের সঙ্গে বিরোধ এবং প্রতিরোধ দেখা দিতে থাকে। ১৯৩৩ সালে ফিলিস্তিনিদের প্রতিবাদ-বিক্ষোভ ব্রিটিশ সরকার কঠোরভাবে দমন করে। আর ইহুদি রাষ্ট্র গঠনের নানামুখী পরিকল্পনা ও কর্মকাণ্ড চলতেই থাকে। এর অংশ হিসেবে ১৯৩৭ সালে ব্রিটিশ সরকার নিযুক্ত পিল কমিশন ফিলিস্তিনকে দুই ভাগ করে ৭৫ শতাংশ আরব ও বাকিটা ইহুদি রাষ্ট্র গঠনের সুপারিশ করে। তবে তিন ধর্মের পবিত্র স্থান জেরুজালেমকে জাফাসহ ব্রিটিশ ম্যান্ডেট ও আন্তর্জাতিক তত্ত্বাবধানে রাখার কথাও বলা হয়। আরব ও ইহুদি দুই পক্ষই এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে। ১৯৩৯ সালে শুরু হওয়া ছয় বছরব্যাপী বিশ্বযুদ্ধে  জার্মান নেতা হিটলারের নেতৃত্বে ইউরোপে ইহুদি নিধনযজ্ঞ (হলোকাস্ট) সারা দুনিয়ায় বিভীষিকা তৈরি করে। কমবেশি ৬০ লাখ ইহুদি নাৎসি বাহিনীর হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়।

 

 

 

প্রাণ বাঁচাতে সে সময় অনেক ইহুদি যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমাতে থাকে, অনেকে আসে ফিলিস্তিনে। যুদ্ধ চলাকালে ১৯৪২ সালে যুক্তরাষ্ট্রের বাল্টিমোরে জায়নবাদী সম্মেলনে ফিলিস্তিনে ইহুদি রাষ্ট্র গঠনের ঘোষণা গৃহীত হয়। ১৯৪৫ সালে জার্মানির পরাজয় এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হয়। ইউরোপে ইহুদি নিধনের বিভীষিকাময় ঘটনা সারা বিশ্বের সমবেদনা তৈরি করে। এই সহানুভূতিকে  ইহুদিদের রাষ্ট্র স্থাপনের ক্ষেত্রে ব্যবহার করে ১৯৪৭ সালের ২৯ নভেম্বর ব্রিটিশ ম্যান্ডেটে শাসিত ফিলিস্তিন ভূখণ্ডের ৫৬ শতাংশ ইহুদি ও ৪৩ শতাংশ ফিলিস্তিনি আরবদের মধ্যে ভাগ করে দেওয়ার পরিকল্পনা জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে গ্রহণ করা হয়। এতে জেরুজালেমকে আন্তর্জাতিক নগরের মর্যাদা দেওয়া হয়। ইহুদিরা এটা মেনে নিলেও আরবরা এতে আপত্তি জানায়। আরব লিগ নেতৃত্ব প্রশ্ন তোলেন, হলোকাস্ট হলো ইউরোপে আর অপরাধের শাস্তি কেন আরবরা পাবে? এরপর শুরু হলো ফিলিস্তিনিদের তাড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা, প্ল্যান দালেত বা প্ল্যান ডি। এই পরিকল্পনার নেতৃত্বে ছিলেন ডেভিড বেন গুরিয়ন। প্ল্যান ডি ছিল হত্যা-ধর্ষণ-লুটতরাজ-সন্ত্রাসের মাধ্যমে ফিলিস্তিনি আরবদের নিজ ভূমি থেকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়ার মহাপরিকল্পনা। ১৯৪৮ সালের ১০ মার্চ এই পরিকল্পনা চূড়ান্ত হলে হাগানাহ, স্টার্ন গ্যাংসহ ইসরায়েলি সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলো তা বাস্তবায়নে পুরোদমে নেমে যায়। স্থানীয় আরবরা ইহুদিদের হামলা ও হত্যার শিকার হতে থাকে। ফলে নিজ ঘরবাড়ি ছেড়ে নিঃস্ব অবস্থায় অক্টোবরের মধ্যে সাত লাখ ফিলিস্তিনি আশপাশের আরব দেশগুলোতে শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় নেয়। ১৯৪৮ সালের ১৪ মে ফিলিস্তিনে ব্রিটিশ ম্যান্ডেট বা শাসন শেষ হলে বেন গুরিয়ন আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীন ইসরায়েল রাষ্ট্র ঘোষণা করেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রুম্যান সঙ্গে সঙ্গে একে স্বীকৃতি দেন। আনুষ্ঠানিকভাবে আল-নাকবা বা মহাবিপর্যয় নেমে আসে ফিলিস্তিনিদের ওপর। 

 
 

ফিলিস্তিনিদের ওপর এই মহাবিপর্যয় নামিয়ে আনতে আরবের মুসলিম দেশগুলোর ব্যর্থতাও দায়ী। ১৯৪৮ সালের ১৫ মে আরব লিগের সদস্য মিসর, সিরিয়া, লেবানন, জর্ডান ও ইরাকের সেনাবাহিনী ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে প্রবেশ করে এবং সদ্য ঘোষিত ইসরায়েল রাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধে লিপ্ত হয়। প্রথম দিকে আরবরা কিছুটা সুবিধা করতে পারলেও দ্রুতই তারা পিছু হটতে থাকে। ফলে ১৯৪৯ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে জুলাইয়ের মধ্যে আরব দেশগুলো যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষর করে। এর পেছনে ষড়যন্ত্রের ইতিহাস আছে। ১৯৪৭ সালেই জায়নবাদী নেতা গোল্ডা মেয়ার (ইসরায়েলের চতুর্থ প্রধানমন্ত্রী ও এখন পর্যন্ত একমাত্র নারী প্রধানমন্ত্রী) গোপনে ট্রান্সজর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এতে বাদশাহ পূর্ব জেরুজালেমসহ পশ্চিম তীর পাওয়ার বিনিময়ে, ফিলিস্তিনে ইহুদি রাষ্ট্র স্থাপনের বিরোধিতা করা থেকে বিরত থাকতে সম্মত হন। প্রথম আরব-ইসরায়েল যুদ্ধে জর্ডান তাই পশ্চিম তীর দখলে নিতে সক্ষম হয়। ওদিকে মিসর দখল করে নেয় গাজা উপত্যকা। তবে ১৯৬৭ সালের যুদ্ধে ইসরায়েল গাজা ও পশ্চিম তীর মিসর ও জর্ডানের কাছ থেকে দখল করে নেয়।

 

 

মার্কিন ব্রিটিশ সমর্থনে গত ৭৭ বছরে ইসরায়েল দানবীয় শক্তি অর্জন করেছে। ফলে চারটি আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের প্রতিটিতে আরব দেশগুলো পরাজিত হয়েছে আর ফিলিস্তিনিরা নিজ ভূমে ক্রমে কোণঠাসা হয়েছে। ইসরায়েল এখন বিশ্বের অন্যতম প্রধান সামরিক শক্তি, যার আছে পারমাণবিক অস্ত্রভান্ডার, এর গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ ভয়ংকর। প্রযুক্তি ও বৈজ্ঞানিক উদ্ভাবনে বিশ্বের অন্যতম সেরা দেশটির প্রতি ১০ হাজারে ১৩৫ জন বিজ্ঞানী ও প্রকৌশলী। আর এর পেছনে রয়েছে পশ্চিমা বিশ্বের অকুণ্ঠ সমর্থন। এই সমর্থনের জোরে, ফিলিস্তিনিদের ভূমি-পানি-গাছপালা-ঘরবাড়ি, সবই এখন ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণে। আরব দেশগুলোর অর্থবহ ও কার্যকর সহযোগিতা অতীতে যেমন পায়নি, আজও পাচ্ছে না প্যালেস্টাইনিরা। অকাতরে জীবন দিচ্ছে ইসরায়েলিদের বোমা, গুলিবর্ষণে। জীবন বাঁচাতে পালিয়ে বেড়ানো আর জমিরক্ষায় নিজস্ব প্রতিরোধ-সংগ্রাম করছে তারা। শেষ হচ্ছে না নাকবা বা মহাবিপর্যয়। 

 
 

পৃথিবীর সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত কারাগারে যে নির্মমতা চলছে তার পেছনে আছে পুঁজির স্বার্থ, সাম্রাজ্যবাদী চক্রান্ত। গাজাকে জনশূন্য করে মধ্যপ্রাচ্যের রিভেরা বা বিলাসবহুল নগরী ও পর্যটন কেন্দ্র বানানোর ঘোষণা দিয়েছেন ট্রাম্প। গাজার জন্য নতুন ইতিহাস  তৈরির কথা বলেছেন। কিন্তু গাজাবাসী ফিলিস্তিনিরা দেখছে ভয়ংকর রূপে ফিরে আসছে পুরনো ইতিহাস, তাদের বর্তমানকে মুছে ফেলার, নিশ্চিহ্ন করার ভয়াবহ আক্রমণ। একটি সমৃদ্ধ জনপদের মানুষকে ভূমিহীন, দেশহীন, পরিচয়হীন উদ্বাস্তু বানানোর এই নির্মমতার প্রতিবাদ না করলে কি নিজেকে মানুষ হিসেবে দাবি করা যাবে? ইউরোপ আমেরিকাসহ বিশ্বের দেশে দেশে তাই প্রতিবাদে উচ্চারিত হচ্ছে, গাজায় নৃশংসতার প্রতিবাদ শুধু মুসলমানের নয়, সব মানুষের। মানবতার বিপর্যয় রুখে দাঁড়াতে হলে সাম্রাজ্যবাদী চক্রান্ত রুখতে হবে।

 

 

লেখক: রাজনৈতিক সংগঠক ও কলাম লেখক