কল করুন

কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স

গণ-অভ্যুত্থানের অর্জনগুলো যেন বিসর্জিত না হয়

অদিতি করিম । সূত্র : কালের কণ্ঠ, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

গণ-অভ্যুত্থানের অর্জনগুলো যেন বিসর্জিত না হয়

৫ আগস্টের গণ-অভ্যুত্থান বাংলাদেশের এক গুরুত্বপূর্ণ অর্জন। দীর্ঘ ১৫ বছরের বেশি সময় থাকা একটি স্বৈরাচারী সরকারকে ছাত্র-জনতা অভূতপূর্ব এক গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে বিদায় করেছে। মানুষের গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষা যে অপরাজেয়, তা জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে আবারও প্রমাণিত হয়। জনগণের সম্মিলিত শক্তির কাছে যে কেউ পরাজিত হবে, তা সে যত শক্তিশালীই হোক না কেন।

 

 

 

সেই বাস্তবতার প্রমাণ আমরা পেয়েছি জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে। কিন্তু ৫ আগস্টে গণ-অভ্যুত্থানের বিজয়ের সাত মাস পর আজ যদি আমরা পেছনে ফিরে তাকাই, তাহলে দেখব, আমাদের অর্জনগুলো যেন আস্তে আস্তে ম্লান হয়ে যাচ্ছে, প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে। অর্জিত অর্জন বিসর্জনের শঙ্কায় আচ্ছন্ন। অর্জনগুলো নষ্ট হওয়ার এক ভয়ংকর আয়োজন চলছে চারপাশে।

 

 

 

আর এ রকম প্রেক্ষাপটে ২৫ ফেব্রুয়ারি সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান কিছু গুরুত্বপূর্ণ, তাৎপর্যপূর্ণ এবং মূল্যবান কথা বলেছেন। সেনাপ্রধান বলেছেন, ‘আপনারা নিজেরা যদি কাদা ছোড়াছুড়ি করেন, মারামারি-কাটাকাটি করেন, তাহলে দেশ ও জাতির স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হবে।’ রাজধানীর মহাখালীর রাওয়া ক্লাবে জাতীয় সেনা দিবসের অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিতে গিয়ে তিনি দেশের পরিস্থিতির ভয়াবহতা তুলে ধরেন। তিনি গোটা জাতিকে একটি সতর্কবার্তা দিয়েছেন।

 

 

 

জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করে নির্বাচিত সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের পর সেনাবাহিনীর ব্যারাকে ফিরে যাওয়ার প্রত্যাশা পুনর্ব্যক্ত করেছেন।

 

 

 

সেনাপ্রধানের বক্তব্যের একই দিন লন্ডনে অবস্থানরত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও প্রায় একই সুরে কথা বলেছেন। কুমিল্লা টাউন হল প্রাঙ্গণে কুমিল্লা মহানগর বিএনপির সম্মেলনে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে তিনি দ্রুত নির্বাচনের তাগিদ দেন এবং বিভিন্ন স্থানে ষড়যন্ত্র হচ্ছে বলে সবাইকে সতর্ক করেন। তারেক রহমান তাঁর বক্তব্যে বলেছেন, ‘বর্তমান সংকট থেকে উত্তরণের একমাত্র উপায় নির্বাচন। এবং জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধির কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর।

 

 

’ তিনি বলেন, ‘আজ আমরা দেখছি কিছুসংখ্যক ব্যক্তি, কিছুসংখ্যক সংগঠন হঠাৎ করে কথায় কথায় বলে ওঠে বিএনপি শুধু নির্বাচন নির্বাচন করে, নির্বাচন ছাড়া অন্য কিছু বোঝে না।’ তিনি নির্বাচনের গুরুত্ব সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করে বলেন, ‘নির্বাচনকে বানচাল করার জন্য কোনো মহল ষড়যন্ত্র করছে কি না সে ব্যাপারে কর্মীদের সজাগ থাকতে হবে।’ একই দিন আবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রভাবশালী উপদেষ্টা এবং গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম নায়ক নাহিদ ইসলাম উপদেষ্টামণ্ডলী থেকে পদত্যাগ করেন। পদত্যাগের পর আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘এই মুহূর্তে সরকারে থাকার চেয়ে রাজপথে থাকাটা গুরুত্বপূর্ণ।’ তিনি গণ-অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের জন্য তাঁর রাজপথে থাকাটা জরুরি বলে মন্তব্য করেন। তাঁর নেতৃত্বে ছাত্র-তরুণদের নতুন রাজনৈতিক দল আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছে।

 

এই তিনটি বক্তব্য একসঙ্গে পাশাপাশি পড়লে আমরা অদ্ভুত এক সমীকরণ মেলাতে পারি। তিনজনই দেশের বিরাজমান সংকটের কথা বলেছেন। তিনজনই মনে করেছেন, জনগণের আকাঙ্ক্ষা এখনো পূরণ হয়নি। দেশ একটা সংকটে। এই তিনটি বক্তব্যের যদি আমরা সারমর্ম করি তাহলে যা দাঁড়ায় তা হলো, যে আকাঙ্ক্ষা নিয়ে ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থান সংঘটিত হয়েছিল, সেই আকাঙ্ক্ষার পথে আমরা এখন পর্যন্ত হাঁটতে পারিনি। সেই প্রত্যাশা অর্জনের পথে এখন নানা রকম প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়েছে এবং সরকার পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে। বিশেষ করে গত সাত মাসে দেশে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির ভয়াবহ অবনতি হয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে বর্তমানে দেশের মানুষ রীতিমতো ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে।

 

 

এর মধ্যে আবার স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা রাত ৩টায় সংবাদ সম্মেলন করে নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছেন। যদিও ওই সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছিলেন, সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) থেকে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির দৃশ্যমান অগ্রগতি হবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতিতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার প্রতিশ্রুতি পূরণ হয়নি। সারা দেশে খুন, ধর্ষণ, ছিনতাই, রাহাজানির মতো ঘটনা নিত্যনৈমিত্তিক বিষয়ে পরিণত হয়েছে। রাতের বেলা রাজধানীতে চলাফেরা করা ভয়াবহ একটি ঝুঁকিপূর্ণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ রকম পরিস্থিতি চলতে থাকলে মানুষ সরকারের প্রতি আস্থা হারাবে। এই কথাটি সরকারের নীতিনির্ধারকরা নিশ্চয়ই বোঝেন। সরকারের আন্তরিকতার কোনো ঘাটতি আমরা দেখছি না। তবে সরকারের অনেক ব্যক্তির নানা রকম কথাবার্তা জনবিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

 

 

আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে যেদিন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা রাত ৩টায় সংবাদ সম্মেলন করলেন সেদিনই আরেক উপদেষ্টা বললেন, ‘আওয়ামী লীগের লোকজন টাকা ছড়িয়ে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাচ্ছে।’ সরকারের কাজ কাউকে দোষারোপ করা নয়। সমস্যার সমাধান করা। কাউকে দোষারোপ করাটা আসলে দায় এড়ানোর কৌশল। কোনো ব্যর্থতার দায় বিরোধী পক্ষের ওপর চাপিয়ে দায় মুক্তি অর্জন বহুল ব্যবহৃত ও পরিত্যক্ত কৌশল। আওয়ামী লীগ সাড়ে ১৫ বছর যখনই আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি কিংবা দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়েছে, তখনই তারা বিএনপিসহ বিরোধী দলের ওপর দোষ চাপিয়েছে। ষড়যন্ত্রতত্ত্ব সামনে এনে দায় এড়াতে চেয়েছে। কিন্তু এ ধরনের কৌশল গ্রহণযোগ্য নয়। আওয়ামী লীগের জুজুর ভয় দেখিয়ে এখন আর পার পাওয়া যাবে না। আওয়ামী লীগ যদি টাকা ছড়িয়ে সন্ত্রাস করে, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটায়, সেটা প্রতিহত করা সরকারের কাজ। অপরাধীকে ধরতেই হবে, সে যেই হোক। কে ষড়যন্ত্র করছে, সেটা জনগণের কাছে মুখ্য বিষয় নয়। জনগণ চায় সন্ত্রাসমুক্ত দেশ। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি। স্বাভাবিক চলাফেরা করার গ্যারান্টি।

 

 

আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির কারণ কী তা খুঁজে বের করতে হবে সরকারকেই। শুধু খুঁজে বের করলেই হবে না, সমাধানও করতে হবে। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির একটা গুরুত্বপূর্ণ কারণ উন্মোচন করেছেন সেনাপ্রধান। রাওয়া ক্লাবে ২৫ ফেব্রুয়ারির বক্তব্যে জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির প্রধান কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন, ‘পুলিশ সদস্যরা কাজ করছেন না, অনেকের বিরুদ্ধে মামলা, অনেকে জেলে। র‌্যাব, বিজিবি, এনএসআই প্যানিকড।’

 

 

সেনাপ্রধান সুস্পষ্টভাবে বলেছেন, এই সংস্থাগুলো অতীতে দেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজ করেছে। কিছু খারাপ কাজের সঙ্গে অনেক ভালো কাজও করেছে। এসব প্রতিষ্ঠানে যারা অন্যায় করেছে তাদের বিচার অবশ্যই হবে। তবে কোনোভাবেই এই প্রতিষ্ঠানগুলোকে অসম্মান করা যাবে না। তিনি সুস্পষ্টভাবে বলেছেন, এই প্রতিষ্ঠানগুলোকে আন্ডারমাইন্ড করে যদি মনে করেন দেশে শান্তি-শৃঙ্খলা বিরাজ করবে, সবাই শান্তিতে থাকবেন সেটি হবে না। সেটা সম্ভব না।

 

 

সেনাপ্রধানের এই বক্তব্য খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির প্রধান কারণটি সম্ভবত তিনি খুঁজে বের করতে পেরেছেন। দেশের কোনো পুলিশ কর্মকর্তাই দায়িত্ব নিয়ে কাজ করছেন না। কারণ তাঁদের মধ্যে এক ধরনের আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। সেই আতঙ্ক হলো—কখন তাঁদের চাকরি যায়, কখন তাঁরা হয়রানির শিকার হন কিংবা কখন কে থানা আক্রমণ করে। ফলে কেউ দায়িত্ব নিতে রাজি নন।

 

 

সেনাবাহিনীও দীর্ঘদিন মাঠে থেকে ক্লান্ত। সেনাপ্রধানও তাঁর বক্তব্যে সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছেন আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি কেবল সেনাবাহিনীর কাজ না। এসব কারণে বর্তমানে একটি প্রশ্ন সামনে এসেছে, সরকারের সামনে করণীয় কী? এই করণীয় সম্পর্কে আবার রাজনৈতিক অঙ্গন দ্বিধাবিভক্ত। তবে অনেকে মনে করেন, এই মুহূর্তে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম করণীয় দ্রুত নির্বাচন দিয়ে একটি নির্বাচিত সরকারকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়া। নির্বাচিত সরকার যদি দায়িত্ব গ্রহণ করে, তাহলেই দেশের অনিশ্চিত পরিস্থিতির অবসান হবে। বিশেষ করে বিএনপি দ্রুত নির্বাচনের কথা বলছে এবং বিএনপির প্রায় সব নেতা প্রতিদিন বিভিন্ন ফোরামে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের বিষয়টিকে সামনে নিয়ে আসছেন। যারা নির্বাচন পেছাতে চায়, তারা নতুন করে ষড়যন্ত্র করছে বলেও বিএনপি মনে করছে। অন্যদিকে ছাত্রদের নেতৃত্বাধীন নতুন যে রাজনৈতিক দল আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছে, তারা দ্রুত নির্বাচনের পক্ষে না। তারা জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের পক্ষে। শেখ হাসিনাসহ গণহত্যায় জড়িতদের বিচারের পক্ষে।

 

 

বাংলাদেশের রাজনীতিতে নির্বাচন একটি নতুন সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে। এরই মধ্যে জামায়াতসহ আরো কয়েকটি রাজনৈতিক দলও প্রথমে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। অন্যদিকে বিএনপিসহ বেশির ভাগ রাজনৈতিক দল মনে করছে, দ্রুত নির্বাচন হওয়া উচিত। সেনাপ্রধানও তাঁর বক্তব্যে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তাঁর এ নিয়ে কথা হয়েছে এবং তিনিও (প্রধান উপদেষ্টা) এটি চান বলে ২৫ ফেব্রুয়ারির বক্তব্যে উল্লেখ করেছেন সেনাপ্রধান।

 

 

আমাদের বুঝতে হবে, ৫ আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানের প্রধান লক্ষ্য কী ছিল? প্রধান লক্ষ্য ছিল একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ, একটি গণতান্ত্রিক সরকার, যেখানে সবার মতের গুরুত্ব থাকবে। সবাই সমান অধিকার পাবে এবং এক ব্যক্তি, দল বা গোষ্ঠীর কাছে জনগণ জিম্মি থাকবে না। আর এই অন্তর্ভুক্তিমূলক একটি শাসনব্যবস্থার একমাত্র পথ হলো নির্বাচন। অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা।

 

 

জুলাই বিপ্লবের মূল আকাঙ্ক্ষা ছিল জনগণের ক্ষমতায়ন। জনগণ তার অধিকার ফিরিয়ে পেতে স্বৈরাচারের পতন ঘটিয়েছে। কিন্তু জনগণ কি তার অধিকার পেয়েছে? সোজাসাপ্টা উত্তর হলো—পায়নি। বরং বর্তমানে জনগণ নতুন নতুন সংকটের মুখোমুখি হচ্ছে। পাড়া-মহল্লায় গজিয়ে উঠছে মাস্তান বাহিনী। রাজপথে নিরাপত্তা নেই, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানও নিরাপদ না। নারীরা অনিরাপদ। সব কিছু স্থবির হয়ে আছে। এ অবস্থা কিন্তু জুলাই বিপ্লবের আকাঙ্ক্ষা ছিল না। জুলাই বিপ্লবের মূল চেতনা ছিল একটি বৈষম্যহীন সাম্যের বাংলাদেশ। সৌহার্দ্য এবং সম্প্রীতির বাংলাদেশ। কিন্তু সেই বাংলাদেশের যাত্রাপথ যেন ক্রমশ বন্ধুর হয়ে পড়ছে। এ কারণেই আমাদের এখনই সতর্ক হতে হবে। সেনাপ্রধানও সবাইকে সতর্ক করেছেন।

 

 

সেনাপ্রধানের এই বক্তব্যকে ভিন্নভাবে না নিয়ে এই সতর্কবার্তার মর্মার্থ আমাদের বুঝতে হবে। আমাদের সবাইকে ধৈর্য ও সহনশীলতার পরিচয় দিতে হবে। এ কথা অস্বীকার করার উপায় নেই, দেশে একটি নির্বাচিত সরকারের বিকল্পও নেই। একটি নির্বাচিত সরকারের পক্ষেই কেবল সম্ভব বর্তমান সংকট নিরসন করা। আর সে জন্য জুলাই বিপ্লবের অর্জনগুলো বিসর্জনে যাওয়ার আগেই একটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার রোডম্যাপ চূড়ান্ত করা উচিত। একটি নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের মাধ্যমে জুলাই বিপ্লবের আকাঙ্ক্ষাকে সফল করতে হবে।

 

লেখক : নাট্যকার ও কলাম লেখক