কল করুন

কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স

‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ’ থেকে ‘জনগণতন্ত্রী বাংলাদেশ’ করার প্রস্তাব, গণতন্ত্র বহাল রেখে রাষ্ট্র পরিচালনার তিন মূলনীতি বাদ নতুন চার নীতির সুপারিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক । সূত্র : বণিক বার্তা, ১৬ জানুয়ারি ২০২৫

‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ’ থেকে ‘জনগণতন্ত্রী বাংলাদেশ’ করার প্রস্তাব, গণতন্ত্র বহাল রেখে রাষ্ট্র পরিচালনার তিন মূলনীতি বাদ নতুন চার নীতির সুপারিশ

দেশের বিদ্যমান সংবিধানে রাষ্ট্র পরিচালনার মূল স্তম্ভ হিসেবে চার মূলনীতি অনুসরণের কথা বলা হয়েছে। এগুলো হলো জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা। এর মধ্যে শুধু ‘গণতন্ত্র’ বহাল রেখে বাকিগুলো বাদ দেয়ার সুপারিশ করেছে সংবিধান সংস্কার কমিশন। এজন্য সংবিধানের এ সংশ্লিষ্ট ৮, ৯, ১০ ও ১২ অনুচ্ছেদও বাদ দেয়ার কথা বলা হয়েছে কমিশনের প্রতিবেদনে।

 


এর পরিবর্তে নতুন চারটি মূলনীতি যুক্ত করার প্রস্তাব দিয়ে সুপারিশে বলা হয়েছে, সংস্কারকৃত সংবিধানের মূলনীতি হবে পাঁচটি। এগুলো হলো সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক সুবিচার, বহুত্ববাদ ও গণতন্ত্র। ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের আদর্শ এবং ২০২৪ সালের গণ-অভ্যুত্থানের জনআকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন হিসেবে সংবিধান ও রাষ্ট্রের মূলনীতি হিসেবে এ পাঁচ নীতি গ্রহণের প্রস্তাব করা হয়েছে বলে কমিশনের সুপারিশে উল্লেখ করা হয়।

 

 

অধ্যাপক আলী রীয়াজের নেতৃত্বে সংবিধান সংস্কার কমিশনের পক্ষ থেকে গতকালই প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে সংস্কারের সুপারিশসংবলিত প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়। প্রতিবেদনে ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ’ পরিবর্তন করে ‘জনগণতন্ত্রী বাংলাদেশ’ করার সুপারিশ করা হয়েছে। একই সঙ্গে সংবিধান ও রাষ্ট্র পরিচালনার প্রযোজ্য সব ক্ষেত্রে রাষ্ট্রকে ‘প্রজাতন্ত্রের’ পরিবর্তে ‘নাগরিকতন্ত্র’ হিসেবে উল্লেখেরও প্রস্তাব করা হয়েছে।

 

 

দেশের বিদ্যমান সংবিধানে বলা আছে ‘বাংলাদেশ একটি একক, স্বাধীন ও সার্বভৌম প্রজাতন্ত্র, যা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ নামে পরিচিত হবে।’ আর কমিশন সুপারিশ করেছে, সংবিধানের প্রযোজ্য সব ক্ষেত্রে ‘প্রজাতন্ত্র’ এবং ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ’ শব্দের পরিবর্তে ‘নাগরিকতন্ত্র’ এবং ‘জনগণতন্ত্রী বাংলাদেশ’ শব্দ ব্যবহৃত হবে। তবে ইংরেজি সংস্করণে ‘রিপাবলিক’ ও ‘পিপলস রিপাবলিক অব বাংলাদেশ’ অপরিবর্তিত থাকবে।

 

 

এছাড়া সুপারিশে সংবিধানের ‘প্রস্তাব’ হিসেবে বলা হয়েছে, ‘জনগণের সম্মতি নিয়ে আমরা এ সংবিধান জনগণতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান হিসেবে গ্রহণ করছি।’

বাংলাদেশের নাগরিকদের পরিচয়ের ক্ষেত্র হিসেবে ‘বাঙালি’-এর পরিবর্তে ‘বাংলাদেশী’ করার সুপারিশ করেছে সংবিধান সংস্কার কমিশন। এজন্য ‘বাংলাদেশের জনগণ জাতি হিসেবে বাঙালি...’ এ বিধান বিলুপ্ত করে বর্তমান সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৬(২)-এ ‘বাংলাদেশের নাগরিকগণ বাংলাদেশী বলে পরিচিত হবেন’ দিয়ে প্রতিস্থাপন করার কথা বলা হয়েছে।

 

 

প্রস্তাবে বাংলাদেশের আইনসভাকে এককক্ষের পরিবর্তে দ্বিকক্ষবিশিষ্ট করার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে জাতীয় সংসদ (ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি) হবে নিম্নকক্ষ। আরেকটি হবে উচ্চকক্ষ বা সিনেট। উভয় কক্ষের মেয়াদ হবে চার বছর। আর ২১ বছর বয়সে সংসদ নির্বাচনে প্রার্থিতার সুযোগ রাখার কথা বলা হয়েছে প্রস্তাবে।

সংসদের রূপরেখা নিয়ে কমিশনের সুপারিশে বলা হয়, কমিশন একটি দ্বিকক্ষবিশিষ্ট আইনসভার প্রস্তাব করছে। একটি নিম্নকক্ষ জাতীয় সংসদ এবং একটি উচ্চকক্ষ (সিনেট)। উভয় কক্ষের মেয়াদ হবে চার বছর। নিম্নকক্ষে সরাসরি ভোটে ৪০০ জন প্রতিনিধি নির্বাচিত হবেন। যেখানে ৩০০ সদস্য সমানসংখ্যক সংসদীয় এলাকা থেকে নির্বাচিত হবেন। আর ১০০টি নির্বাচনী এলাকা থেকে ভোটে নির্বাচিত হয়ে আসবেন ১০০ নারী সংসদ সদস্য।

 

 

নিম্নকক্ষের মোট আসনের ন্যূনতম ১০ শতাংশ আসনে তরুণ-তরুণীদের মধ্য থেকে প্রার্থী মনোনীত করার সুপারিশ রেখেছে সংবিধান সংস্কার কমিশন। নির্বাচনে প্রার্থিতার ন্যূনতম বয়স বর্তমানের ২৫ বছর থেকে কমিয়ে ২১ বছর করারও কথা বলা হয়েছে।

 

 

এছাড়া কোনো ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রী, সংসদ নেতা ও রাজনৈতিক দলের প্রধান—এ তিন পদের মধ্যে একাধিক পদে যাতে থাকতে না পারে, সে বিষয়েও সুপারিশ করেছে সংস্কার কমিশন। একই সঙ্গে নিম্নকক্ষের সংসদ সদস্যদের অর্থবিল ছাড়া অন্য সব ক্ষেত্রে তাদের মনোনয়নকারী দলের বিপক্ষে ভোট দেয়ার পূর্ণ ক্ষমতা ও স্বাধীনতা দেয়ারও সুপারিশ করা হয়েছে। আরেকটি প্রস্তাবে আইনসভার স্থায়ী কমিটিগুলোর সভাপতি সবসময় বিরোধীদলীয় সদস্যদের মধ্য থেকে মনোনীত হবেন।

 

 

প্রস্তাবে আরো বলা হয়, উচ্চকক্ষ সিনেটের সদস্য হবেন ১০৫ জন। এর মধ্যে ১০০ জন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেয়া মোট ভোটের সংখ্যানুপাতে নির্ধারিত হবেন। এর ব্যাখ্যায় কমিশন বলেছে, রাজনৈতিক দলগুলো সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতির ভিত্তিতে উচ্চকক্ষে মনোনয়নের জন্য সর্বোচ্চ ১০০ (একশো) জন প্রার্থীকে মনোনয়ন দিতে পারবে। আর এসব প্রার্থীর মধ্যে কমপক্ষে পাঁচজন ‘আইন দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে অনগ্রসর সম্প্রদায়’ থেকে মনোনীত হবেন। বাকি পাঁচটি আসন কোনো সংসদের বা রাজনৈতিক দলের সদস্য নন এমন নাগরিকদের মধ্য থেকে পাঁচজনকে দিয়ে পূরণ করবেন রাষ্ট্রপতি।

 

 

কমিশন বলছে, কোনো রাজনৈতিক দলকে সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতির ভিত্তিতে উচ্চকক্ষে প্রতিনিধিত্বের যোগ্য হতে হলে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রদত্ত ভোটের অন্তত ১ শতাংশ নিশ্চিত করতে হবে। উচ্চকক্ষের স্পিকার হিসেবে সাধারণ সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে সিনেট সদস্যদের মধ্য থেকে নির্বাচনের সুপারিশ করেছে কমিশন। উচ্চকক্ষের ডেপুটি স্পিকার নির্বাচিত হবেন সরকারদলীয় ছাড়া উচ্চকক্ষের অন্য সদস্যদের মধ্য থেকে।

 

 

সংবিধান সংস্কার কমিশনের সুপারিশে সংসদ ভেঙে দেয়া প্রসঙ্গে বলা হয়, আইনসভার মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার আগে প্রধানমন্ত্রী স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করলে বা আস্থা ভোটে হেরে গেলে কিংবা অন্য কোনো কারণে রাষ্ট্রপতিকে আইনসভা ভেঙে দেয়ার পরামর্শ দেয়ার পর যদি রাষ্ট্রপতির কাছে স্পষ্ট হয় যে নিম্নকক্ষের অন্য কোনো সদস্য সরকার গঠনে প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা সমর্থন অর্জন করতে পারছেন না, সেক্ষেত্রে তিনি আইনসভার উভয় কক্ষ ভেঙে দেবেন।

 

 

একজন ব্যক্তির প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সর্বোচ্চ দুইবার দায়িত্ব পালনের বিধান রাখার প্রস্তাব দিয়ে কমিশনের সুপারিশে বলা হয়, একজন ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সর্বোচ্চ দুইবার দায়িত্ব পালন করতে পারবেন। তিনি টানা দুইবার বা অন্য যেকোনোভাবেই এ পদে আসীন হন না কেন; এ বিধান সবার জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য হবে। প্রধানমন্ত্রী থাকা অবস্থায় তিনি কোনো রাজনৈতিক দলের প্রধান ও সংসদ নেতা হিসেবে অধিষ্ঠিত থাকতে পারবেন না।

 

 

রাষ্ট্রপতির পদের মেয়াদও এখনকার পাঁচ বছরের পরিবর্তে চার বছর করার সুপারিশ করেছে সংবিধান সংস্কার কমিশন। একই সঙ্গে একজন ব্যক্তি এ পদে সর্বোচ্চ দুইবারের বেশি দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না বলেও এতে প্রস্তাব করা হয়েছে। রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচনের নতুন পদ্ধতি অবলম্বনের সুপারিশ করে সংস্কার কমিশন বলছে, রাষ্ট্রপতি নির্বাচকমণ্ডলীর (ইলেক্টোরাল কলেজ) সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে নির্বাচিত হবেন। এজন্য আইনসভার উভয় কক্ষের সদস্য এবং জেলা ও সিটি করপোরেশন সমন্বয় কাউন্সিলগুলোর প্রতিটির পক্ষ থেকে সামষ্টিকভাবে একজন করে প্রতিনিধি নিয়ে নির্বাচকমণ্ডলী গঠিত হবে। নির্বাচকমণ্ডলীর সদস্যদের প্রত্যেকের একটি করে ভোট থাকবে।

 

 

রাষ্ট্রপতিকে অভিশংসনের পদ্ধতি হিসেবে কমিশন সুপারিশ করেছে, ‘রাষ্ট্রদ্রোহ, গুরুতর অসদাচরণ বা সংবিধান লঙ্ঘনের জন্য রাষ্ট্রপতিকে অভিশংসন করা যাবে। নিম্নকক্ষ অভিশংসন প্রস্তাবটি পাস করার পর তা উচ্চকক্ষে যাবে এবং সেখানে শুনানির মাধ্যমে প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হবে। কমিশন রাষ্ট্রীয় কার্যাবলিতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা আনা এবং রাষ্ট্রীয় অঙ্গ ও প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ভারসাম্য নিশ্চিত করতে নয় সদস্যের একটি জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল বা এনসিসি গঠনের সুপারিশ করেছে। রাষ্ট্রের তিনটি অঙ্গের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গঠিত জাতীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে এটি সুপারিশ করা হয়।

 

 এ কমিশনের সদস্য হবেন রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, বিরোধীদলীয় নেতা, নিম্নকক্ষের স্পিকার, উচ্চকক্ষের স্পিকার, প্রধান বিচারপতি, বিরোধী দল মনোনীত নিম্নকক্ষ ও উচ্চকক্ষের দুই ডেপুটি স্পিকার এবং প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধীদলীয় নেতার রাজনৈতিক দলের বাইরে থেকে উভয়কক্ষের কোনো একজন সংসদ সদস্য। সরকার ও প্রধান বিরোধী দলের বাইরে আইনসভার উভয় কক্ষের বাকি সদস্যরা সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে তাদের মধ্য থেকে ওই সদস্যকে মনোনীত করবেন।

 

কমিশনের সুপারিশে বলা হয়, এ ভোট আইনসভার উভয় কক্ষ গঠনের তারিখ থেকে সাত কার্যদিবসের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে। জোট সরকারের ক্ষেত্রে, প্রধানমন্ত্রীর প্রতিনিধিত্বকারী রাজনৈতিক দল ছাড়া জোটের অন্য দলের সদস্যরা এ মনোনয়নে ভোট দেয়ার যোগ্য হবেন।

 

 

আইনসভা ভেঙে গেলেও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা শপথ না নেয়া পর্যন্ত বিদ্যমান এনসিসি সদস্যরা কর্মরত থাকবেন এমন প্রস্তাব করে সংবিধান সংস্কার কমিশন বলেছে, আইনসভা না থাকাকালে এনসিসির রাষ্ট্রপতি, প্রধান উপদেষ্টা, প্রধান বিচারপতি এবং প্রধান উপদেষ্টার মনোনীত উপদেষ্টা পরিষদের দুজন সদস্য এই এনসিসির সদস্য হবেন।

 

 

কমিশনের সুপারিশে বলা হয়, এনসিসি নির্বাচন কমিশনের প্রধানসহ অন্যান্য কমিশনার; অ্যাটর্নি জেনারেল ও অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল; সরকারি কর্ম কমিশনের প্রধানসহ অন্যান্য কমিশনার; দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রধানসহ অন্যান্য কমিশনার; মানবাধিকার কমিশনের প্রধানসহ অন্যান্য কমিশনার; প্রধান স্থানীয় সরকার কমিশনারসহ অন্যান্য কমিশনার; প্রতিরক্ষা বাহিনীগুলোর প্রধান ও আইন দ্বারা নির্ধারিত অন্য কোনো পদে নিয়োগ দেবে।

 

 

সংবিধান সংস্কার কমিশনের পক্ষ থেকে আইনসভার মেয়াদ শেষে বা ভেঙে দেয়ার পর নতুন নির্বাচিত সরকার শপথ না নেয়া পর্যন্ত একটি অন্তর্বর্তী সরকার নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছে। আইনসভার মেয়াদ শেষের ১৫ দিন আগে বা আইনসভা অকালে ভেঙে যাওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে প্রধান উপদেষ্টা নিয়োগের কথা বলা হয়েছে সুপারিশে।

 

 

কমিশনের প্রস্তাব অনুযায়ী, প্রধান উপদেষ্টা সর্বোচ্চ ১৫ সদস্যের একটি উপদেষ্টা পরিষদের মাধ্যমে কার্যক্রম পরিচালনা করবেন। অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ সর্বোচ্চ ৯০ দিন হবে। নির্বাচন এ মেয়াদ শেষের আগে অনুষ্ঠিত হলে নতুন সরকারের প্রধানমন্ত্রী শপথ নেয়া মাত্র অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ শেষ হবে। এছাড়া জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিলের (এনসিসি) সিদ্ধান্তসহ মোট সাতটি পদ্ধতিতে প্রধান উপদেষ্টা নিয়োগের সুপারিশ করেছে সংবিধান সংস্কার কমিশন।

 

 

সংবিধান সংস্কার প্রসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম বণিক বার্তাকে বলেন, ‘অতীতের শাসকদের স্বৈরাচারী প্রক্রিয়া থেকে কাটিয়ে ওঠার জন্য ছাত্র-জনতা সবাই চেয়েছিল সাংবিধানিকভাবে কোনো শাসক যেন স্বৈরাচারী না হয়ে উঠতে পারে। সেজন্য কমিশনের সুপারিশে সংবিধানের বিদ্যমান সমস্যাগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে।

 

এসব সুপারিশ দেয়া হয়েছে যাতে করে ভবিষ্যতের শাসক সাংবিধানিকভাবে স্বৈরাচারী না হয়ে উঠতে পারে। এটি বাস্তবায়ন হলে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোর নিয়োগ দিতে হলে সরকারি ও বিরোধী দল উভয় দলেরই অংশগ্রহণ থাকবে। এর ফলে এককভাবে কোনো দল তার নিজের লোককে নিয়োগ দিতে পারবে না। ঐকমত্যের ভিত্তিতে কাজ করতে হবে। এর মধ্য দিয়ে আমাদের একটি সাংবিধানিক কাঠামো হলো। এর পাশাপাশি এখন এগুলোর চর্চার জন্য আমাদের সদিচ্ছা লাগবে।’