ইইউতে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি বেড়েছে
[সূত্র : শেয়ার বিজ, ২৪ জুন ২০২৫]

ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়ে ২০২৫ সালের জানুয়ারি-এপ্রিল সময়কালে ৮ দশমিক ০৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে, যা ২০২৪ সালের একই সময়ে ছিল ৬ দশমিক ৫১ বিলিয়ন ডলার। এই সময়ে দেশের তৈরি পোশাক রপ্তানি ২৩ দশমিক ৯৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এ সময় পোশাক রপ্তানির পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে ১৯ দশমিক ৭১ শতাংশ এবং একক মূল্য বেড়েছে ৩ দশমিক ৫৭ শতাংশ, যা রপ্তানি আয়, পরিমাণ ও দামের একটি ভারসাম্যপূর্ণ বৃদ্ধি নির্দেশ করে।
ইউরোস্ট্যাটের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালের জানুয়ারি-এপ্রিল সময়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বৈশ্বিক পোশাক আমদানিতে ১৪ দশমিক ২১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে, যার আর্থিক পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩২ দশমিক ৪৯ বিলিয়ন ডলার। পরিমাণের দিক থেকে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৫ দশমিক ৮৪ শতাংশ, তবে গড় ইউনিট মূল্য ১ দশমিক ৪১ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। একই সময়ে চীন, ভারত, পাকিস্তান ও কম্বোডিয়াও ইইউতে উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে।
২০২৫ সালের জানুয়ারি-এপ্রিল সময়কালে ইইউতে চীনের রপ্তানি ২১ দশমিক ৪৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৮ দশমিক ৩৯ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে, যেখানে ইউনিট মূল্য ৭ দশমিক ৩৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে তুরস্কের রপ্তানিতে নেতিবাচক প্রবণতা দেখা গেছে। দেশটির ইইউতে রপ্তানি ৫ দশমিক ৪১ শতাংশ হ্রাস পেয়ে ৩ দশমিক ১০ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে ভিয়েতনামের রপ্তানি ১৫ দশমিক ৬২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ১ দশমিক ৪৮ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে এবং ইউনিট মূল্য ৫ দশমিক ৬৮ শতাংশ বেড়েছে।
ভারত, পাকিস্তান ও কম্বোডিয়া যথাক্রমে ২ দশমিক ০১ বিলিয়ন, ১ দশমিক ৪২ বিলিয়ন ও ১ দশমিক ৫৬ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি করেছে, যার প্রবৃদ্ধির হার যথাক্রমে ২০ দশমিক ৫৮ শতাংশ, ২৩ দশমিক ৪২ শতাংশ ও ৩১ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
শিল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, ইইউ বাজারে বাংলাদেশের অবস্থান ক্রমেই শক্তিশালী হচ্ছে। বিশেষ করে ইউনিট মূল্যে বাড়তি আয় একটি ইতিবাচক দিক হলেও চীন এখনও এগিয়ে এবং ভিয়েতনামও প্রতিযোগিতামূলক অবস্থানে রয়েছে।
এ বিষয়ে বিজিএমইএ’র সাবেক পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, ‘ইইউ বাজারে আমাদের প্রতিযোগিতামূলক অবস্থান ধরে রাখতে হলে আসন্ন ইইউ নিয়মনীতি অনুসরণ করে কৌশল গ্রহণ এবং উৎপাদন সক্ষমতা উন্নয়ন জরুরি।’ তিনি বলেন, একই সঙ্গে নতুন বাজার অনুসন্ধান চালিয়ে যেতে হবে, যাতে ইইউ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাজারের ওপর অতিনির্ভরতা কমে আসে এবং বাংলাদেশ আরও শক্তিশালী অবস্থানে পৌঁছতে পারে।’