কল করুন

কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স

ইকোনমিক করিডরে কার লাভ?

সুলতান মাহমুদ সরকার [প্রকাশ : দেশ রূপান্তর, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫]

ইকোনমিক করিডরে কার লাভ?

বিশ্বায়নের যুগে যখন বাণিজ্য, ভূরাজনীতি ও কৌশলগত অবস্থানের সমন্বয়ে নতুন নতুন অর্থনৈতিক বাস্তবতা তৈরি হচ্ছে, তখন দক্ষিণ এশিয়ার মানচিত্রে ‘বাংলাদেশ’ এমন এক অবস্থানে এসে দাঁড়িয়েছে যা অতীতের যেকোনো সময়ের তুলনায় অনেক বেশি শক্তিশালী। একই সঙ্গে সম্ভাবনাময় এবং কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ। সমুদ্রসীমা অর্জন, বন্দর সম্প্রসারণ, আঞ্চলিক যোগাযোগ রুটের পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং নেপাল-ভুটান ও উত্তর-পূর্ব ভারতের মতো ল্যান্ডলক দেশগুলোর জন্য, সাগরপথের একমাত্র কার্যকর প্রবেশদ্বার হয়ে ওঠার মাধ্যমে বাংলাদেশ এখন নতুন ভূ-অর্থনৈতিক শক্তিতে রূপান্তরিত হচ্ছে। একসময়ের নদীমাতৃক দেশ আজ পরিণত হচ্ছে স্থলবন্দর, সমুদ্রবন্দর ও আঞ্চলিক ইকোনমিক করিডরের ওপর দাঁড়ানো এক উদীয়মান বাণিজ্যকেন্দ্রে। যেখানে ভৌগোলিক অবস্থানই হয়ে উঠেছে, শুদ্ধ অর্থনৈতিক সম্পদ। প্রশ্ন কেবল একটাই, এই ইকোনমিক করিডর থেকে দেশ কতটা লাভবান হতে যাচ্ছে এবং কতটা দক্ষতার সঙ্গে,  সেই সম্ভাবনাকে বাস্তব উন্নয়নে রূপান্তর করতে পারবে?

 

 

এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গেলে সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে আলোচিত বিষয় ভুটানের সঙ্গে বন্দর ব্যবহার চুক্তি স্বভাবতই সামনে আসে। ভুটান দক্ষিণ এশিয়ার একটি ক্ষুদ্র কিন্তু পরিবেশবান্ধব রাষ্ট্র, যার অর্থনীতি নদীনির্ভর জলবিদ্যুৎ, কৃষিপণ্য এবং সীমিত উৎপাদনশিল্পকে ঘিরে। দেশটির বড় সমস্যা হলো এটি ল্যান্ড-লকড। সাগরে তাদের কোনো প্রবেশাধিকারের পথ নেই। আন্তর্জাতিক বাণিজ্য করতে হলে, একমাত্র ভারতকেই ব্যবহার করতে হয়। যা তাদের অর্থনীতিকে অনেক সময় সীমাবদ্ধ করে রাখে। এই অবস্থায় বাংলাদেশ যখন চট্টগ্রাম, মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দর ব্যবহারের অনুমতি ভুটানকে দিল, তখন শুধু একটি বন্দর চুক্তি নয় বরং দক্ষিণ এশিয়ার অর্থনৈতিক দিগন্তে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে ভুটান পেল সাগরে স্বাধীনভাবে প্রবেশের সুযোগ আর বাংলাদেশ পেল আঞ্চলিক বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণের একটি শক্ত ভিত্তি।

 

 


ইতিহাসের পাতা উল্টালে দেখা যায়, এই উপমহাদেশ একসময় ছিল বাণিজ্য উর্বর ভূমি। নদীপথ, রেললাইন, স্থলপথ সবই ছিল পরস্পর নির্ভরশীল। ব্রিটিশ আমলে কলকাতা থেকে সিলেট, ঢাকা, চট্টগ্রাম, আসাম পর্যন্ত বাণিজ্যচক্র এক সুতায় বাঁধা ছিল। কিন্তু বিভাজন সেই সুসংহত বাণিজ্য রূপকে ভেঙে দেয়। দেশভাগ শুধু মানুষের ভাগ্যই বদলায়নি; বদলে দিয়েছে বাণিজ্যের পথচিত্র। যে পথ দিয়ে আগে এক দেশের মানুষ আরেক দেশে যাতায়াত করত সহজে, সেই পথগুলো রাজনৈতিক সীমান্তের কারণে অচল হয়ে পড়ে।

 

 

 

দীর্ঘ সময় ধরে দক্ষিণ এশিয়া বন্ধ ছিল নিজের ভেতরেই। এক দেশ, অন্য দেশের বাজার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল। ১৯৭১-এর পর বাংলাদেশের জন্মের মধ্য দিয়ে, নতুন ভৌগোলিক বাস্তবতা তৈরি হয় যা পুরো অঞ্চলের বাণিজ্যকে নতুনভাবে ভাবতে বাধ্য করে। এই অঞ্চলের ভূ-রাজনৈতিক অবস্থান আরও স্পষ্ট হয়, যখন দেখা যায়, নেপাল ও ভুটান দুটি পাহাড়ি দেশ আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশ করতে চায়। কিন্তু সাগরে যেতে না পারার কারণে তারা পিছিয়ে থাকে। নেপালের কৃষিপণ্য, ভুটানের হাইড্রো-পাওয়ার, দুদেশের রপ্তানি পণ্য সবকিছুই আন্তর্জাতিক বাজারে পাঠাতে হলে ট্রানজিট লাগে। ভারত দীর্ঘদিন সেই রুট নিয়ন্ত্রণ করলেও এখন বাস্তবতা বদলে গেছে। বাংলাদেশ দ্রুতগতিতে বন্দর অবকাঠামো গড়ে তুলছে, চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক মানে পৌঁছেছে, পায়রা এগিয়ে যাচ্ছে গভীর সমুদ্রবন্দরের দিকে আর মাতারবাড়ী ইতিমধ্যেই জাপান-যুক্তরাষ্ট্র-ভারতের কৌশলগত নজর কেড়েছে। ফলে নেপাল-ভুটান-উত্তর-পূর্ব ভারতের জন্য বাংলাদেশ হয়ে উঠছে সবচেয়ে বাস্তবসম্মত, দ্রুততম এবং অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক সাগরপথ।

 

 

 


বাংলাদেশের লাভের জায়গাগুলো তাই বহুস্তরীয়। প্রথমত, ভুটান যে প্রতিটি কনটেইনার বাংলাদেশি বন্দর ব্যবহার করে পাঠাবে, সেখানে থাকবে কাস্টমস ফি, বন্দর চার্জ, হ্যান্ডলিং চার্জ, ট্রানজিট ফি, স্টোরেজ ফি, যা বাংলাদেশের রাজস্বের নতুন উৎস তৈরি করবে। বন্দরসংলগ্ন ব্যবসা যেমন ট্রাক-লরি, কনটেইনার ডিপো, ওয়্যারহাউজিং, কোল্ড স্টোরেজ, খাদ্যশিল্প, সার্ভিস সেক্টর এই চুক্তির ফলে ব্যাপকভাবে সম্প্রসারিত হবে। শুধু চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর নয়, পায়রা ও মাতারবাড়ীর মতো উদীয়মান বন্দরেও নতুন চাহিদা তৈরি হবে। যা নির্মাণশিল্প, সিমেন্ট, স্টিল, জ্বালানি খাত সবকিছুকে গতিশীল করবে।  এর সঙ্গে আছে লজিস্টিকস সেক্টরের উত্থান। আজকের বিশ্বে লজিস্টিকস-শিল্পই নতুন অর্থনীতি যেখানে পরিবহন, গুদামজাতকরণ, হ্যান্ডলিং, কোল্ড চেইন, প্যাকেজিং সব মিলিয়ে একটি বড় শিল্পনীতি  তৈরি হয়। বাংলাদেশ এতদিন শুধুই উৎপাদনমুখী অর্থনীতি ছিল।  এখন এটি লজিস্টিকস-ভিত্তিক অর্থনীতিতেও পরিণত হচ্ছে। যার উদাহরণ মেগা প্রকল্প পদ্মা সেতু, ৪-লেন ও ৬-লেন হাইওয়ে, কর্ণফুলী টানেল, রেললাইন সবই এখন আঞ্চলিক বাণিজ্যের নেটওয়ার্কে যুক্ত হতে শুরু করেছে। ভুটানের ট্রানজিট চালু হলে এই নেটওয়ার্ক আরও বিস্তৃত হবে, ফলে বাংলাদেশ হবে ভারত-নেপাল-ভুটান বাণিজ্যের কেন্দ্রীয় হাব। এটাই ইকোনমিক করিডরের প্রকৃত শক্তি। শুধু অর্থনৈতিক বিষয় নয়; রাজনৈতিক দিকও সমান গুরুত্বপূর্ণ। ভারতের ভূরাজনীতি এখানে প্রাসঙ্গিক। ভারত দীর্ঘদিন ধরে চেয়েছে নেপাল ও ভুটান তাদের ওপরই নির্ভরশীল থাকুক। তাদের বন্দর ব্যবহার ছাড়া যেন অন্য কোনো বিকল্প না থাকে।

 

 

কিন্তু এখন বাংলাদেশের বন্দর খোলার অর্থ হলো, নেপাল-ভুটানের সামনে ভারতের বিকল্প তৈরি হওয়া। এতে ভারতের মাথাব্যথা আছে। কারণ বিকল্প থাকলে দেশগুলো ভারতের চাপ, শর্ত বা একচেটিয়া সুবিধার ওপর পুরোপুরি নির্ভরশীল থাকবে না। আবার চীনও দক্ষিণ এশিয়ার বাণিজ্য নেটওয়ার্কে ঢুকতে চাইছে। ফলে বাংলাদেশ-ভুটান-নেপাল করিডরকে ঘিরে ভারত-চীন প্রতিযোগিতাও বাড়ছে। এই প্রতিযোগিতার কেন্দ্রবিন্দুতে যে দেশটি রয়েছে, তা হলো বাংলাদেশ। এই অবস্থান একটি দেশকে যেমন শক্তিশালী করে, তেমনি কৌশলগত দায়ও বাড়ায়। কৌশলগত দায়ের কথা এলে, নিরাপত্তার প্রসঙ্গ আসেই। ইকোনমিক করিডর মানে হলো মানুষের চলাচল বেড়ে যাওয়া, পণ্যের চলাচল বৃদ্ধি, বিদেশি গাড়ির সংখ্যা বৃদ্ধি, আন্তর্জাতিক লজিস্টিকসের চলাচল বেড়ে যাওয়া যা স্বাভাবিকভাবেই নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। মাদক, অস্ত্র, চোরাচালান, মানবপাচার এসব হুমকি বাড়তে পারে। তাই বাংলাদেশকে এখন থেকেই পরিকল্পনা করতে হবে, কীভাবে প্রতিটি চেকপোস্টকে স্মার্ট প্রযুক্তিতে রূপান্তর করা যায়, কীভাবে বন্দরের নিরাপত্তা শক্ত করা যায়, কীভাবে যৌথ টিম গঠন করে সীমান্ত নজরদারি বাড়ানো যায়। নিরাপত্তা শক্তিশালী হলেই করিডর টেকসই হবে।

 

 


নিরাপত্তা ঝুঁকি থাকা মানেই করিডর বন্ধ করে দেওয়া এটি কোনো উন্নয়নশীল রাষ্ট্রের নীতি হতে পারে না। বরং ঝুঁকি নিয়েই উন্নয়ন করতে হয় এবং সেই ঝুঁকি দক্ষতার সঙ্গে নিয়ন্ত্রণ করাই রাষ্ট্রের সক্ষমতা। বাংলাদেশ এখন সেই সক্ষমতার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। ডিজিটাল মনিটরিং, স্মার্ট কাস্টমস, ড্রোন নজরদারি, স্ক্যানার প্রযুক্তি সবকিছু একসঙ্গে ব্যবহার করলে করিডর নিরাপদ রাখা সম্ভব। করিডর অর্থনীতি শুধু ট্রানজিট ফি নয়, এটি দীর্ঘমেয়াদি শিল্পায়নের জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নেপাল ও ভুটান তাদের পণ্য বাংলাদেশের কারখানায় এনে প্রক্রিয়াজাত করতে চাইলে বাংলাদেশে নতুন শিল্প স্থাপন হবে। বিশেষ করে কৃষিপণ্য, ফল, সবজি, প্রাকৃতিক সম্পদ এসব রূপান্তরের সুযোগ বাড়বে। এর ফলে উত্তরবঙ্গ, খুলনা, বরিশাল এসব অঞ্চল রপ্তানিমুখী শিল্পের নতুন কেন্দ্র হয়ে উঠতে পারে। আমরা জানি, সরকারের উন্নয়ন পরিকল্পনায় দেশের অর্থনৈতিক কেন্দ্রগুলোকে বিভাজন করে নতুন আঞ্চলিক সমৃদ্ধি বেল্ট তৈরি করা হচ্ছে। এই ইকোনমিক করিডর সেই পরিকল্পনাকে বাস্তবায়নের সুযোগ দেবে। এদিকে বঙ্গোপসাগর ঘিরে নতুন ব্লুু ইকোনমি ইতিমধ্যেই বাংলাদেশের অর্থনীতির নতুন মুখ হয়ে উঠেছে। মাছ, সামুদ্রিক সম্পদ, বন্দরশিল্প, জাহাজ নির্মাণ, গ্যাস অনুসন্ধান এসব ক্ষেত্রে বিনিয়োগ বাড়ছে। করিডর চালু হলে বঙ্গোপসাগর হয়ে উঠবে আঞ্চলিক বাণিজ্যের প্রধান কেন্দ্র, ফলে বন্দরের গুরুত্ব বহু গুণ বাড়বে। চট্টগ্রাম বন্দর এখন বিশ্বের ২৪তম ব্যস্ততম বন্দর; ট্রানজিট চালু হলে এটি শিগগিরই শীর্ষ ১৫-এর জায়গায় উঠে যেতে পারে এবং একটি দেশের বন্দর যত ব্যস্ত হয়, সেই দেশের অর্থনীতি তত শক্তিশালী হয়, কারণ বন্দরই রপ্তানি-আমদানি-শিল্প-কর্মসংস্থান সবকিছুর কেন্দ্র।

 

 

 


বাংলাদেশের একটি বড় সুবিধা হলো, এটি স্থানীয় বাজারে ১৮ কোটি মানুষের দেশ। করিডর চালু হলে দেশের অভ্যন্তরীণ বাজারও বাড়বে। নতুন সড়ক, রেল সংযোগ, সমুদ্রপথ, নেপাল-ভুটানের ব্যবসায়ী আগমনসহ সবকিছু মিলে অভ্যন্তরীণ অর্থনীতি হবে অধিক সক্রিয়। দেশের উৎপাদকরা নতুন বাজার পাবে, স্থানীয় ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানও বাড়তি গ্রাহক পাবে। শিল্পের সঙ্গে সঙ্গে সার্ভিস সেক্টরও বৃদ্ধি পাবে। হোটেল, রেস্টুরেন্ট, ট্রেডিং, মেরামত শিল্প, ট্যুরিজম সব খাতে নতুন গতি আসবে। তবে অর্থনৈতিক লাভের পাশাপাশি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে বিষয়টি সামনে আসে তা হলো জাতীয় মর্যাদা। যে দেশ অন্য দেশের জন্য করিডর তৈরি করে দেয়, সেই দেশকে কখনো ছোট করে দেখা যায় না।

 

 

ভারতের উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলো চায় বাংলাদেশের সড়ক ও বন্দর ব্যবহার করতে। ভবিষ্যতে মিয়ানমার স্থিতিশীল হলে, চীনও চায় এই রুট। সব মিলিয়ে বাংলাদেশ হয়ে উঠছে উপমহাদেশের বাণিজ্য কেন্দ্রবিন্দু। কিন্তু এত সম্ভাবনা নিয়েও প্রশ্ন আছে, আমরা কি প্রস্তুত? ভবিষ্যতে উন্নত দেশে পরিণত হতে হলে শুধু পোশাকশিল্প নয়, লজিস্টিকস অর্থনীতি, আঞ্চলিক বাণিজ্য, সাগরভিত্তিক অর্থনীতি  এসবের ওপর নির্ভর করতে হবে। ইকোনমিক করিডর সেই পথকে আরও সুদৃঢ় করতে পারে। দক্ষভাবে ব্যবহার করা গেলে, এই করিডর বাংলাদেশকে পরবর্তী দুই-তিন দশকে দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতিতে পরিণত করবে। কারণ বিশে^র সব সফল দেশ সিঙ্গাপুর, দুবাই, নেদারল্যান্ডস, মালয়েশিয়া সবই করিডর অর্থনীতি থেকে লাভবান হয়েছে।

 

 

তারা পথ দিয়েছে, তারা বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ করেছে, তারা লজিস্টিকস শক্তিতে রূপান্তরিত হয়েছে। বাংলাদেশও এখন সেই রূপান্তরের দোরগোড়ায়। তাই ইকোনমিক করিডরের সম্ভাবনা বাংলাদেশের জন্য শুধু অর্থনৈতিক লাভের বিষয় নয়; এটি একটি জাতীয় পুনর্জাগরণ। ভৌগোলিক অবস্থান, বন্দর খাত, আঞ্চলিক বাণিজ্য, ব্লু ইকোনমি, রাজস্ব, কর্মসংস্থান সব মিলিয়ে এটি হতে পারে বাংলাদেশের দ্বিতীয় অর্থনৈতিক বিপ্লব। এখন দরকার শুধু দক্ষ পরিচালনা, নিরাপত্তা জোরদার, স্বচ্ছ নীতি এবং দূরদর্শী কূটনীতি। যদি বাংলাদেশ তা করতে পারে, তাহলে একদিন বিশ্ব বলবে দক্ষিণ এশিয়ার উন্নয়নের নতুন কেন্দ্র গড়ে উঠেছে বঙ্গোপসাগরের কোলঘেঁষা একটি দেশে, যার নাম বাংলাদেশ।