কল করুন

কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স

ইরান-যুক্তরাষ্ট্র পরমাণু আলোচনার ভবিষ্যত কী?

[প্রকাশ: যুগান্তর, ১৩ জুন ২০২৫]

ইরান-যুক্তরাষ্ট্র পরমাণু আলোচনার ভবিষ্যত কী?

ইরান গোপনে ইউরেনিয়ামের মজুদ সমৃদ্ধ করছে এমন অভিযোগ এনে দেশটির ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা জারি রেখেছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মার্কিনিদের এমন অভিযোগ অবশ্য শুরু থেকেই অস্বীকার করে আসছে দেশটি। পরমাণু ইস্যুতে যখন দুদেশের মধ্যে উত্তেজনা বাড়ছিল তখন মধ্যস্থতায় এগিয়ে আসে ওমান।

এরইমধ্যে পাঁচবার দুদেশের সঙ্গে বৈঠকও করেছে দেশটি। শনিবার ষষ্ঠ দফা বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। তবে সেটি এখন শঙ্কার মুখে। শুক্রবার ভোরে ইসরাইলের সামরিক হামলার পর ইরান-যুক্তরাষ্ট্র পরমাণু আলোচনার ভবিষ্যত কী? এমন প্রশ্ন উঠেছে।

এর আগে, গত মাসে পঞ্চম দফা আলোচনার পর জানা যায়, তেহরান মার্কিন প্রস্তাব গ্রহণ করবে না। যা নিয়ে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি বলেছিলেন, তাদের প্রস্তাবে অস্পষ্টতা রয়েছে। আমরা শীঘ্রই আমাদের নিজস্ব প্রস্তাবিত পরিকল্পনা চূড়ান্ত হওয়ার পরে ওমানের মাধ্যমে অন্য পক্ষের কাছে জমা দেব।

 

আকাশসীমা বন্ধ করল জর্ডান
দুদেশের মধ্যে এই উত্তেজনা নিরসনে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করা ওমান অনেক দূর এগিয়ে গিয়েছিল। তবে শুক্রবার হঠাৎই ইরানজুড়ে ইসরাইলের ভয়াবহ সামরিক হামলার পর সেই আলোচনা এখন আলোর মুখ দেখবে কিনা তাই নিয়ে দেখা দিয়েছে সন্দেহ।

 

 

ইসরাইলের এই হামলাকে মধ্যস্থতাকারী ওমান ‘বিপজ্জনক এবং বেপরোয়া উত্তেজনা’ বলে নিন্দা জানিয়েছে যা আন্তর্জাতিক আইনের নীতি লঙ্ঘন করে বলে অভিযোগ ওমানের।

 

 

এ ব্যাপারে দেশটির পক্ষ থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘এটি (হামলা) অগ্রহণযোগ্য এবং চলমান আগ্রাসী আচরণের প্রতিনিধিত্ব করে যা এই অঞ্চলে স্থিতিশীলতার ভিত্তিকে ক্ষুণ্ণ করে। এই উত্তেজনা এবং এর পরিণতির জন্য ইসরাইল দায়ী।’

 

 

অথচ, এই হামলার আগে চলতি সপ্তাতেই ওমানে ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য দূত স্টিভ উইটকফের সঙ্গে ষষ্ঠ দফা আলোচনার কথা ছিল ইরানি প্রতিনিধি দলের। যার লক্ষ্য ছিল তেহরানের পারমাণবিক কর্মসূচি রোধ করা।

 

 

কিন্তু এই হামলার পর ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ওয়াশিংটনকে ইসরাইলের হামলায় জড়িত বলে অভিযোগ করেছে। সেই সঙ্গে প্রতিশোধ নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে। যার ফলে এখন প্রশ্ন উঠেছে- ইরান-যুক্তরাষ্ট্র পরমাণু আলোচনার ভবিষ্যত কী?