ইসরায়েলের পথে হাঁটছে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ
প্রকাশ : রূপান্তর,, ০৩ জানুয়ারি ২০২৫

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা অধিকৃত পশ্চিম তীরে তাদের সম্প্রচারসহ সবরকম কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থগিত রাখার নির্দেশ দিয়েছে ফিলিস্তিনি
কর্র্তৃপক্ষ। ‘উসকানিমূলক কনটেন্ট’ প্রচারের অভিযোগে গত বুধবার ফিলিস্তিন কর্র্তৃপক্ষ ওই আদেশ দেয়। এদিকে ওই আদেশের নিন্দা জানিয়েছে আল জাজিরা কর্র্তৃপক্ষ। তারা বলছে, দখলদার ইসরায়েলের পথে হেঁটে ফিলিস্তিন কর্র্তৃপক্ষ আল-জাজিরার স্টাফদের বিরুদ্ধে এ পদক্ষেপ নিয়েছে।
ফিলিস্তিনি সংবাদ সংস্থা ওয়াফার খবরে বলা হয়, ‘সংস্কৃতি, স্বরাষ্ট্র ও যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীরা একযোগে আল-জাজিরা চ্যানেলের সম্প্রচার ও এর কার্যালয়ের কার্যক্রম স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। চ্যানেলটি এমন সব প্রতিবেদন সম্প্রচার করছে যা প্রতারণামূলক এবং বিবাদ উসকে দিচ্ছে।’
সম্প্রচার সাময়িক বন্ধ থাকবে বলা হলেও আদেশনামায় কার্যক্রম আবার শুরুর কোনো তারিখ উল্লেখ করা হয়নি।
ফিলিস্তিন কর্র্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়ায় গতকাল বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে আল জাজিরা বলেছে, আল জাজিরা মিডিয়া নেটওয়ার্ক পশ্চিম তীরে তাদের কাজ এবং সংবাদ সংগ্রহ বন্ধের ফিলিস্তিনি কর্র্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের নিন্দা জানাচ্ছে। অধিকৃত ওই অঞ্চলে দ্রুত বাড়তে থাকা বিভিন্ন ঘটনা মানুষের সামনে তুলে আনা থেকে চ্যানেলটিকে বিরত রাখার চেষ্টা ছাড়া এই সিদ্ধান্ত আর কিছুই না বলেই মনে করে আল জাজিরা।
সংবাদমাধ্যমটির বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, দুঃখজনকভাবে এ ধরনের সিদ্ধান্ত ইসরায়েল সরকারের আগের সিদ্ধান্তের পথে হেঁটেই নেওয়া হয়েছে। ইসরায়েল রামাল্লায় আল জাজিরার কার্যালয় বন্ধ করেছিল। ফিলিস্তিন কর্র্তৃপক্ষকে অবিলম্বে এমন সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসা এবং এ সিদ্ধান্ত বাতিলের আহ্বান জানিয়েছে আল-জাজিরা। অবাধে পশ্চিম তীরে সংবাদ সংগ্রহ করতে দেওয়া এবং কোনোরকম ভয়ভীতি প্রদর্শন ছাড়া কাজ করতে দেওয়ার আহ্বানও জানিয়েছে তারা।
তা ছাড়া, ফিলিস্তিন কর্র্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের কারণে আল জাজিরা পশ্চিম তীরে তাদের সংবাদ সংগ্রহ এবং ঘটনাবলি তুলে আনার পেশাদারি দায়িত্ব পালন থেকে পিছু হটবে না বলেও জানিয়েছে।
ফিলিস্তিন কর্র্তৃপক্ষ গত সপ্তাহে আল-জাজিরার সংবাদ প্রচার নিয়ে সমালোচনা করে। ইসরায়েল অধিকৃত পশ্চিম তীরের জেনিন ক্যাম্পে ফিলিস্তিনি নিরাপত্তা বাহিনী ও সশস্ত্র যোদ্ধাদের দীর্ঘদিনের দ্বন্দ্ব নিয়ে আল জাজিরার প্রতিবেদনের সমালোচনা করেছিল ফিলিস্তিনি কর্র্তৃপক্ষ।