জাতীয় শহীদ সেনা দিবস
সূত্র : বণিক বার্তা, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি। রোববার সকাল ৯টা। রাজধানীর পিলখানার দরবার হলে শুরু হয় তৎকালীন বাংলাদেশ রাইফেলসের (বিডিআর) দরবার। বক্তব্য শুরু করেন মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদ।
২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি। রোববার সকাল ৯টা। রাজধানীর পিলখানার দরবার হলে শুরু হয় তৎকালীন বাংলাদেশ রাইফেলসের (বিডিআর) দরবার। বক্তব্য শুরু করেন মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদ। তার বক্তব্য চলাকালে মঞ্চের বাঁ দিকের পেছন থেকে দুজন বিদ্রোহী জওয়ান অতর্কিতে মঞ্চে প্রবেশ করেন। একজন ছিলেন সশস্ত্র। দরবার হলের বাইরে থেকে গুলির আওয়াজ ভেসে আসে। কিছুক্ষণের মধ্যে নাক-মুখ বাঁধা আরো বিদ্রোহী জওয়ানরা দরবার হল ঘিরে শুরু করেন গুলি। একসময় দরবার হল থেকে কর্মকর্তাদের সারিবদ্ধভাবে বের করে আনতে শুরু হয় ব্রাশফায়ার।
বিডিআর প্রধান শাকিল আহমেদসহ হত্যা করা হয় আরো বেশ কয়েকজন কর্মকর্তাকে। পুরো পিলখানার ভেতরে চলে ধ্বংসযজ্ঞ ও তাণ্ডব। সন্ধ্যায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে সেনা কর্মকর্তাদের মরদেহ মাটিতে পুঁতে ও সরিয়ে ফেলা হয়। পিলখানার চার দেয়ালের ভেতরে সংঘটিত এ ঘটনার নৃশংসতা ও হত্যাযজ্ঞের প্রকৃত অবস্থা বুঝতে সময় লেগে যায় আরো দুইদিন। বিদ্রোহী জওয়ানদের নারকীয় হত্যাযজ্ঞে ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ নিহত হন ৭৪ জন। ইতিহাসের কলঙ্কিত অধ্যায় ও নারকীয় এ ঘটনার স্মরণে সম্প্রতি অন্তর্বর্তী সরকার দিনটিকে ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করেছে। গত ডিসেম্বরে সরকার এ ঘটনার তদন্তে একটি স্বাধীন কমিশন গঠন করলেও কারা ছিলেন এর অন্তরালে কিংবা কারা নেড়েছিল এই নারকীয় হত্যাযজ্ঞের কলকাঠি তা এখনো রয়ে গেছে অজানা ছবি: শহীদ পরিবারের সদস্য আশরাফুল আলম হান্নানের সৌজন্যে