কল করুন

কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস : অন্য উচ্চতায় বাংলাদেশ

সিরাজুল ইসলাম [সূত্র : আমাদের সময়, ২৭ মে ২০২৫]

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস : অন্য উচ্চতায় বাংলাদেশ

পৃথিবীটা আমাদের বাসভূমি, নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা যার প্রধান অনুষঙ্গ। কিন্তু এর বুকে যুগে যুগে যুদ্ধ-দাঙ্গা আর রক্তপাত হয়েছে অগণিতবার। কিছু মানুষ বারবার যুদ্ধ-সংঘাতের ডঙ্কা বাজিয়েছে আর এ ধরণীতলকে করেছে বসবাসের অযোগ্য। ফলে যুদ্ধবিধ্বস্ত ও ঝঞ্ঝা-বিক্ষুব্ধ পৃথিবীকে শান্ত করার জন্য প্রয়োজন হয়ে পড়েছে কার্যকর পদক্ষেপ। সেই কার্যকর পদক্ষেপের একটি অংশ হলো বিশ্ব শান্তিরক্ষা কার্যক্রম।

 

 

 

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর বিশ্বজুড়ে যে ভয়াবহ ধ্বংসযজ্ঞ এবং মানবিক বিপর্যয় দেখা দেয়, তা মানবজাতিকে একটি সুসংগঠিত, নিরপেক্ষ এবং কার্যকর আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান গঠনের মুখোমুখি দাঁড় করায়। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৪৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় জাতিসংঘ, যার অন্যতম প্রধান লক্ষ্য ছিল বিশ্বজুড়ে শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখা। এই লক্ষ্যকে বাস্তবায়নের জন্য ১৯৫৬ সালে সুয়েজ সংকটের সময় প্রথমবারের মতো গঠিত হয় ‘United Nations Emergency Force (UNEF)’- এটাই ছিল জাতিসংঘের প্রথম শান্তিরক্ষী মিশন। সময়ের পরিক্রমায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষীরা বিশ্বের নানা প্রান্তে যুদ্ধবিধ্বস্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন, রক্ষা করেছেন নিরীহ প্রাণ, উড়িয়েছেন শান্তির নিশান। ফলে ২৯ মে এই বিশেষ দিনটি কেবল শান্তিরক্ষীদের সাহসিকতা ও আত্মত্যাগের স্বীকৃতি নয়, বরং একটি বার্তা বহন করে চলেছে। বিশ্ব যখন অশান্তির আগুনে পুড়ছে, তখন কিছু মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শান্তির পতাকা বহন করে চলেছেন। বাংলাদেশও এ যাত্রায় গর্বিত শরিক। বাংলাদেশ এখন জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী মিশনে অন্যতম বৃহৎ সেনা প্রেরণকারী দেশ। আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষায় বাংলাদেশের অবস্থান এখন অন্যরকম এক উচ্চতায়।

 

 

 

কেন শান্তিরক্ষী বাহিনী গঠিত হলো : ১৯৩৯ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কবলে পড়ে এই পৃথিবী। মারা যায় সাত থেকে সাড়ে আট কোটি মানুষ। এই হত্যাযজ্ঞের পর বিশ্বব্যাপী শান্তি প্রতিষ্ঠা অপরিহার্য হয়ে পড়ে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হওয়ার পর দেখা যায়, বিশ্বজুড়ে বিশাল ধ্বংসযজ্ঞ ও মানবিক বিপর্যয় ঘটেছে। এই বিপর্যয় থেকে শিক্ষা নিয়ে বিশ্বনেতারা একটি স্থায়ী বিশ্ব শান্তিরক্ষার ব্যবস্থা করার সিদ্ধান্ত নেন। এর অংশ হিসাবে ১৯৪৫ সালে বিশ্বযুদ্ধ থামার পর জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠা করা হয়। কিন্তু পরবর্তী সময়ে কিছু সংঘাত ও যুদ্ধ সংঘটিত হলে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বুঝতে পারে শুধু কূটনৈতিক আলোচনা নয়, জরুরি দরকার হলো ‘শান্তিরক্ষী বাহিনী’ বা ‘Peacekeeping Force’। এ সময় জোরালোভাবে বিশ্বাস করা হয়- শান্তিরক্ষী বাহিনী গঠন করা সম্ভব হলে বাহিনীর সদস্যরা সরাসরি সংঘাতপূর্ণ এলাকায় গিয়ে শান্তি প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখতে পারবেন।

 

 

 

শান্তিরক্ষী বাহিনীর মিশন : ১৯৫৬ সালে মিশর ও ইসরাইলের মধ্যে সুয়েজ খালের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সংঘর্ষ শুরু হয়। জাতিসংঘ তখন প্রথমবারের মতো ‘United Nations Emergency Force (UNEF)’ নামে শান্তিরক্ষী বাহিনী গঠন করে। এ বাহিনীর দায়িত্ব ছিল সংঘাত রোধ এবং দুই পক্ষের মধ্যে অস্ত্রবিরতি নিশ্চিত করা।

 

 

 

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীর প্রধান লক্ষ্য হলো- সংঘাত বন্ধ করা, শান্তি প্রতিষ্ঠা করা, মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং মানবাধিকার রক্ষা করা। তারা কখনও সশস্ত্র সংঘর্ষ বন্ধ করতে, কখনও বা মানবিক সহায়তা পৌঁছে দিতে কাজ করে। আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে প্রথম অংশগ্রহণকারী দেশ হলোÑ কানাডা, ভারত, সুইডেন, ফিনল্যান্ড প্রভৃতি।

 

 

১৯৮৮ সাল থেকে বাংলাদেশ জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী মিশনে যোগ দেয়। অবশ্য তার আগে থেকেই অনেক দেশ যেমন- নরওয়ে, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, পাকিস্তান, নাইজেরিয়া, রুয়ান্ডা, দক্ষিণ আফ্রিকা ও আরও অনেক দেশ নিয়মিত অংশগ্রহণ করে আসছিল। বর্তমানে প্রায় ১২০টি দেশ জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী মিশনে সেনা ও পুলিশ পাঠিয়ে থাকে। ১৯৮৮ সাল থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত বাংলাদেশ নিয়মিত সেনা ও পুলিশ সদস্য পাঠিয়ে আসছে। আন্তর্জাতিক শান্তি মিশনে দিন দিন আমাদের অংশগ্রহণ বাড়ছে।

 

 

এ কথা ঠিক- শান্তিরক্ষী বাহিনী গঠিত হলেও বিভিন্ন দেশ বা গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘাত লেগেই থাকে। এসব সংঘাত বন্ধ করতে এবং সেই জনপদে শান্তি ফিরিয়ে আনতে এই বাহিনী প্রয়োজন। যুদ্ধবিধ্বস্ত অঞ্চলে নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে শান্তিরক্ষী বাহিনীর বিকল্প নেই। এ ছাড়া যুদ্ধকবলিত জনগোষ্ঠীর কাছে মানবিক সাহায্য যেমন- খাদ্য ও চিকিৎসাসামগ্রী পৌঁছে দিতে এবং তাদের জন্য আশ্রয় নিশ্চিত করার কাজগুলো করতে এই বাহিনীর ভূমিকা সত্যিই গৌরবের। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক আইন ও মানবাধিকার রক্ষা, সন্ত্রাসবাদ ও দমন-পীড়ন ঠেকাতে শান্তিরক্ষী বাহিনী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সুয়েজ খালকে কেন্দ্র করে সংঘাত, কঙ্গোর গৃহযুদ্ধ, সাইপ্রাসে গ্রিক-তুর্কি সংঘাত কিংবা ইসরায়েল-লেবানন সংঘাত ঠেকাতে লেবাননে শান্তি মিশন, বসনিয়া ও হার্জেগোভিনার ভয়াবহ গণহত্যা বন্ধ, সিয়েরা লিওনের গৃহযুদ্ধ বন্ধ এবং দক্ষিণ সুদানের শান্তি রক্ষায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনী বিশেষ ভূমিকা রেখেছে।

 

 

বিশ্ব শান্তিরক্ষায় বাংলাদেশ : ১৯৮৮ সালে বাংলাদেশ প্রথমবার জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীতে সেনা ও পুলিশ সদস্য পাঠায়। এর পর থেকে লেবানন, কঙ্গো, হাইতি, মালি, দক্ষিণ সুদানসহ বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীরা দায়িত্ব পালন করেছে। ১৯৮৮ সালে জাতিসংঘ ইরান-ইরাক মিলিটারি অবজারভেশন গ্রুপ মিশনে মাত্র ১৫ জন সেনা পর্যবেক্ষক পাঠানোর মাধ্যমে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশের যাত্রা শুরু হয়। সেই থেকে বাংলাদেশের গৌরবোজ্জ্বল পথচলা। পরবর্তী কয়েক বছর বাংলাদেশের শান্তিরক্ষী বাহিনী বেশ সুনাম ও কৃতিত্বের সঙ্গে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে কাজ করে গেছে। ১৯৯৩-৯৪ সালে সবচেয়ে আলোচিত রুয়ান্ডা, সোমালিয়া ও বসনিয়া- এ তিনটি শান্তি মিশনে দক্ষতার পরিচয় দিয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসে। বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দরিদ্র দেশের সেনাবাহিনী দক্ষতা এবং সামরিক জ্ঞানে রুয়ান্ডায় বেলজিয়ান, সোমালিয়ায় আমেরিকান ও বসনিয়ায় ফ্রান্সের সেনাবাহিনীকে যে টেক্কা দিতে পারে তা জাতিসংঘসহ সংশ্লিষ্ট দেশের কর্মকর্তাদের চিন্তার বাইরে ছিল। ফলে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে তখন থেকে বাংলাদেশের অবস্থান সুদৃঢ় হতে থাকে।

 

 

শুরু থেকে এ পর্যন্ত জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশের মোট ১৬৮ জন শান্তিরক্ষী শহীদ হয়েছেন। এ পর্যন্ত বাংলাদেশ ৫৭টি মিশনে সেনা মোতায়েন করেছে এবং চলমান আছে ১৪টি। অংশ নিয়েছে ১২০টিরও বেশি দেশ। ২০২৪ সালের তথ্য অনুযায়ী, পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলে ১০টি শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর ৯,১৮৭ জন এবং পুলিশ বাহিনীর ২,০৯৩ জন সদস্য নিয়োজিত আছেন।

 

 

১৯৯৪ সালে আফ্রিকা মহাদেশের রুয়ান্ডার গণহত্যার সময় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি ব্রিগেড গ্রুপ সেখানে নিয়োজিত ছিল। প্রায় ১০০ দিনের গৃহযুদ্ধে তখন ৬ লাখের বেশি মানুষ নিহত হয়। উল্লিখিত শান্তিরক্ষা মিশনের মধ্যেই গৃহযুদ্ধ শুরু হলে বেলজিয়ানসহ আফ্রো-ইউরোপিয়ান ব্যাটালিয়নগুলো দ্রুত প্রত্যাহার করে তাদের মিশন গুটিয়ে ফেললেও বাংলাদেশের সেনাসদস্যরা বুকে সাহস নিয়ে মিশন এলাকায়ই থেকে যান। ফলে গণহত্যায় মৃত্যুহার অনেক কম হয়েছিল। জাতিসংঘের সিদ্ধান্তে শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশকেও সেখান থেকে প্রত্যাহার করতে হয়েছিল। বাংলাদেশি সৈনিকদের এমন সাহস ও দক্ষতা দেখে তখন সবাই অবাক হয়েছিল। সোমালিয়া থেকে যখন শান্তি মিশন গুটিয়ে নেয় তখন আমেরিকান সেনাদের দাবি ছিল, তাদের শেষ সৈনিক সোমালিয়া না ছাড়া পর্যন্ত বাংলাদেশের সেনাদের তাদের সঙ্গে থাকতে হবে। শান্তি মিশনে বাংলাদেশি সেনাদের এই ভূমিকা সত্যিই গর্বের।

 

 

জাতিসংঘের অভিযানে বাংলাদেশি সৈন্যদের সবচেয়ে বড় সম্পদ স্থানীয় জনগণের শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা। প্রতিটি মিশনে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের দক্ষতা দেখে জাতিসংঘ কর্তৃপক্ষ মুগ্ধ হয়েছে। বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের শৃঙ্খলা, সততা, অধ্যবসায় এবং সামরিক দক্ষতা তাদের যে কোনো সামরিক কমান্ডারের জন্য অপরিহার্য করে তুলেছে। ১৯৯৫ সালে ফরাসি শান্তিরক্ষা ব্যাটালিয়ন বসনিয়া ত্যাগ করলে বাংলাদেশি সৈন্যরা তাদের দায়িত্ব গ্রহণ করে। বাংলাদেশ ব্যাটালিয়ন ৩৪টি দেশের সামরিক বাহিনীর সঙ্গে সহযোগিতা করে শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে তাদের শক্তি প্রদর্শন করেছে। সিয়েরা লিওন বাংলাকে তাদের জাতির অন্যতম সরকারি ভাষা হিসেবে গ্রহণ করে। এর মধ্য দিয়ে তারা বাংলাদেশি সৈন্যদের গুরুত্ব স্বীকার করেছে।

 

 

বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীরা সাহস, মানবিক সহানুভূতি ও দক্ষতার জন্য আন্তর্জাতিক প্রশংসা অর্জন করেছে। এই প্রশংসা খুব সহজে আসেনি, এর পেছনে রয়েছে অনেক ত্যাগ আর সাহসী ভূমিকার গল্প। কর্মরত অবস্থায় অথবা নিরীহ মানুষকে রক্ষার্থে এ পর্যন্ত ১০৫ জন বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী জীবন দিয়েছেন। এ ছাড়া পেশাদারি দায়িত্ব পালনের সময় আহত হয়েছেন ১১৬ জন শান্তিরক্ষী। এত এত মায়ের বুক খালি হলেও আমাদের সাহসী সেনারা আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে নিজেদের দায়িত্ব পালন থেকে বিরত হননি।

 

 

 

অর্থনৈতিক ক্ষেত্রেও শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের সেনা পাঠানোর বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। জাতিসংঘ শান্তি মিশনে সেনা মোতায়েনের মাধ্যমে এ পর্যন্ত ২ হাজার কোটিরও বেশি টাকা রেমিট্যান্স এসেছে। পাশাপাশি যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশগুলোতে শান্তি এনে দিয়ে সেসব জাতির জনগণের সম্মান অর্জন করছে। জাতিসংঘের কার্যক্রম এবং বহুজাতিক বাহিনীর প্রতি স্বতন্ত্র অঙ্গীকারের কারণে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান বিশেষভাবে উন্নত হয়েছে।

 

 

 

পরিশেষে এ কথাই বলবÑ জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস শুধু একটি স্মরণীয় দিন নয়, এটি আমাদের সবার কাছে একটি বার্তাÑ শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য একসঙ্গে কাজ করে শান্তিরক্ষীরা তাদের জীবন উৎসর্গ করে বিশ্ব শান্তি ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠায় অবদান রাখছেন। তাদের প্রতি সম্মান ও সমর্থন প্রদর্শন আমাদের দায়িত্ব। আগামী ২৯ মে আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস পালিত হতে চলেছে। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি পালন করা হবে। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণকারী বিশ্বের সব দেশের শান্তিরক্ষীদের অসামান্য অবদানকে এই দিনে গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করা হবে। এই দিনে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীর কার্যক্রমে অংশগ্রহণকারী সব নারী-পুরুষকে শান্তি রক্ষার লক্ষ্যে সর্বোৎকৃষ্ট পেশাদারি মনোভাব বজায় রেখে নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে তাদের আত্মত্যাগের ঘটনাকে গভীর কৃতজ্ঞতা ও যথাযথ সম্মানপূর্বক স্মরণ করা হবে। ২০০৩ সাল থেকে এ দিনটি পালন করা হয়।

 

 

সিরাজুল ইসলাম : সিনিয়র সাংবাদিক ও কলামিস্ট