শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান সেনানায়ক থেকে রাষ্ট্রনায়ক হয়েছিলেন। বিএনপি নামক রাজনৈতিক দল প্রতিষ্ঠা করেছেন তিনি। জিয়ার নেতৃত্বের স্ফুরণ ঘটেছিল ১৯৭১ সালে, মুক্তিযুদ্ধের প্রথম প্রহরে। মুক্তিযুদ্ধ শুরুর মহূর্তে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন তিনি। তার কণ্ঠস্বর বিপদের দিনে জাতিকে উজ্জীবিত করে। অষ্টম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের উপ-অধিনায়ক মেজর জিয়াউর রহমান ২৫ মার্চ রাতে পাদপ্রদীপের আলোয় চলে আসেন। স্বাধীনতার ঘোষণা দেন।
১৯৭২ সালে যখন আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে, তখন এটি ছিল দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় দল এবং শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন অবিসংবাদিত জাতীয় নেতা। আওয়ামী লীগের মাত্র সাড়ে তিন বছরের শাসনে অবস্থা বদলে যায়। ১৯৭৩ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ একচেটিয়া জয় পেলেও অনেক আসনে এই নির্বাচন ছিল প্রশ্নবিদ্ধ। এরপর চারটি উপনির্বাচনের দু’টিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা হেরে যান। এটি ছিল আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তায় ভাটার লক্ষণ।
লাগামহীন মুদ্রাস্ফীতি, খাদ্যসঙ্কট, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি এবং রাজনৈতিক সহিংসতা, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের নেতাকর্মীদের গুম-খুন দেশকে বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দেয়। পঁচাত্তরের মধ্য-আগস্টে রাজনৈতিক দৃশ্যপট থেকে আওয়ামী লীগ যখন সরে যায়, তখন দলটির জনপ্রিয়তার পারদ নেমে যায় তলানিতে। একদলীয় সরকারব্যবস্থা চালু হওয়ায় গণতন্ত্র নির্বাসিত হয়। জাতীয়করণ করা কলকারখানার ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলা ভেঙে পড়ে। লাভজনক প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যবহার করে একদল মানুষ হঠাৎ করে বিত্তবৈভবের মালিক বনে যায়।
স্বাধীন বাংলাদেশে রাজনীতির প্রেক্ষাপট বদলে যায় ১৯৭২ সাল থেকে। শাসকরা তাদের সমালোচকদের পাকিস্তানের দালাল বলা শুরু করেন। স্বাধীনতা-পরবর্তী ভারতের ব্যাপারে এ দেশের জনগণের মধ্যে ভাটার টান শুরু হয়। সীমান্তে চোরাচালান, বাণিজ্য-ঘাটতি, গঙ্গা থেকে একতরফা পানি প্রত্যাহার ইত্যাদি এ দেশে ভারতবিরোধী রাজনীতি উসকে দেয়। ডান-বাম প্রায় সব দল এই জোয়ারে শামিল হয়। ফলে যে বিষয়গুলো ১৯৭১ সালে নিষ্পত্তি হয়ে গিয়েছিল বলে মনে করা হতো, তা আবার রাজনীতিতে ফিরে আসে।
ঠিক এ সময়ে উত্থান হয় বিএনপির। পঁচাত্তরের পরপর তিনটি সেনা-অভ্যুত্থানে সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে বিকাশমান মধ্যবিত্ত শ্রেণী ঝুঁকির মধ্যে পড়েছিল। তাদের একটিই চাওয়া ছিল; সমাজ ও রাষ্ট্র যেন ‘স্থিতিশীল’ থাকে।
পঁচাত্তর-পরবর্তী উথাল-পাতাল দিনগুলোতে জিয়াউর রহমান শক্ত হাতে লাগাম টেনে ধরেন এবং দেশে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনেন। মুদ্রাস্ফীতিও কমে আসে এবং পরপর কয়েক বছর প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হওয়ায় ফসল ভালো হয়। এ প্রেক্ষাপটে জিয়াউর রহমানের একটি দেশপ্রেমিক ও জাতীয়তাবাদী ভাবমর্যাদা গড়ে ওঠে। তার গড়া বিএনপি দাঁড়ানোর মতো অনুকূল জমি পেয়ে যায়। পঁচাত্তর-পরবর্তী রাজনৈতিক শূন্যতায় বিএনপির মতো একটি দলের আবির্ভাব অনিবার্য হয়ে উঠেছিল।
জিয়াউর রহমান যখন সেনাপ্রধান নিযুক্ত হন, সামরিক বাহিনী তখন নানা উপদলে বিভক্ত। রাজনৈতিক দলগুলো ছিল বৈরী। জিয়া ভেবেছিলেন, সামরিক বাহিনীতে ঐক্য ফিরিয়ে আনতে হবে। অনুকূল রাজনৈতিক পরিবেশ তৈরি করতে হবে। এ ক্ষেত্রে তিতি সফল হন। সামরিক বাহিনীতে তার বিরুদ্ধে অভ্যুত্থানের চেষ্টা শক্ত হাতে দমন করেন। একটি রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্মের সাহায্যে রাষ্ট্রক্ষমতা প্রয়োগের আইনি ভিত্তি তৈরির চেষ্টা করেন। তুরস্কের কামাল আতাতুর্ক, মেক্সিকোর তার্কো এলিয়াস কালেম ও লাজারো কার্দেনাস এবং দক্ষিণ কোরিয়ার পার্ক চুং হির পথ ধরে অসামরিক জনগোষ্ঠীর সমর্থন নিয়ে ক্ষমতার ভিত পাকাপোক্ত করেন জিয়া।
বাংলাদেশের রাজনীতিতে জিয়াউর রহমানের উত্থানের পেছনে তিনটি কারণ কাজ করেছে বলে মনে হয়। ১. আওয়ামী লীগের শাসনামলের ‘দুর্নীতি ও দুঃশাসন’ থেকে দেশকে বাঁচানো; ২. দুর্বল ও ভঙ্গুর রাজনৈতিক ব্যবস্থার ফলে তৈরি হওয়া শূন্যতা পূরণ এবং ৩. সামরিক বাহিনীর গোষ্ঠীগত স্বার্থ দেখা।
শুরুতে সামরিক বাহিনীর প্রাধান্য দৃশ্যমান হলেও রাজনৈতিক প্রক্রিয়া শুরুর চূড়ান্ত পর্যায়ে জিয়া সামরিক বাহিনীকে নেপথ্যে সরিয়ে রাখতে সমর্থ হন। ওই সময় রাজনৈতিক দলগুলো ছিল বিভক্ত এবং এদের প্রচারণা ছিল নেতিবাচক। কোনো দলের ইশতেহারে বা কথাবার্তায় নতুন কিছু ছিল না। বিরোধী শিবিরের বিভক্তির সুযোগ নিয়ে বিএনপি একক বিকল্প হিসেবে দাঁড়িয়ে যায়। বিএনপি তৈরির মাধ্যমে জিয়া সামরিক বাহিনীর বাইরে ক্ষমতার ভিত তৈরি করতে চেয়েছিলেন। তবে সামরিক বাজেট বাড়িয়ে এবং সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে তাদের ভূমিকা রাখার সুযোগ দিয়ে জিয়া একটি ভারসাম্য বজায় রাখার চেষ্টা করেন।
জিয়া রাজনৈতিক দল গঠনে মনোযোগ দেয়ায় পুরনো দ্ব›দ্ব মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। জিয়ার সাথে অনেক সেনা কমান্ডারের দূরত্ব তৈরি হয়। এ রকম একটি পরিস্থিতিতে চট্টগ্রামে ১৯৮১ সালের ৩০ মে জিয়াউর রহমান নিহত হন।
বিএনপির দ্রুত বেড়ে ওঠার পথ অবশ্য তৈরি করে দিয়েছিল বিরোধী রাজনৈতিক শিবিরের অন্তঃকলহ। জিয়া সামরিক শাসন থেকে অসামরিক ব্যবস্থায় যেতে যে প্রক্রিয়া শুরু করেছিলেন, তা সফলতা পায় ১৯৭৯ সালের সংসদ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে। বিএনপিতে নানা পেশার লোকের সমাবেশ ঘটেছিল। তাদের মধ্যে ছিলেন সামরিক বাহিনীর সাবেক কর্মকর্তা, অবসরপ্রাপ্ত অসামরিক আমলা, শিক্ষাবিদ, চিকিৎসক, সাংবাদিক, আইনজীবী, শিল্পপতি ও ব্যবসায়ী। এ ছাড়া ছিলেন পরস্পরবিরোধী রাজনৈতিক দলের অনেক নেতা।
মত ও পথের দিক থেকে এ ধরনের একটি বহুকেন্দ্রিক প্ল্যাটফর্ম হয়েও একটি মতাদর্শকে ভিত্তি করে রাজনৈতিক দল হতে পেরেছিল বিএনপি। এ মতাদর্শ শুধু আওয়ামী লীগের বিরোধিতা ছিল না। ‘বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ’ অনেক মত ও পথের মানুষকে একত্র করতে পেরেছিল। দল ও সরকারে একই ব্যক্তি থাকলে ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত হয়। এর ফলে দল ও সরকার উভয়ে সমস্যায় পড়তে পারে। বিএনপি যখন তৈরি হয়, তখনো এরকম চিন্তাভাবনা ছিল। বিএনপির স্থায়ী কমিটি ছিল সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী কমিটি। এ কমিটির একটি অলিখিত নিয়ম ছিল- কেউ মন্ত্রী হলে তাকে স্থায়ী কমিটির সদস্যপদ ছেড়ে দিতে হতো। স্মরণে রাখা প্রয়োজন, জিয়াউর রহমানের বিরোধিতা হয়েছিল সামরিক বাহিনীর মধ্যে সবচেয়ে বেশি। তাকে ১৭-১৮টি ক্যু সামাল দিতে হয়েছিল। কিন্তু দলের মধ্যে একজন সৎ মানুষ হিসেবে তার ইতিবাচক ভাবমর্যাদা ছিল।
জিয়ার ব্যক্তিগত জনপ্রিয়তার কয়েকটি কারণ চিহ্নিত করা হয়। প্রথমত, জিয়াকে সেনাবাহিনীতে একজন জাতীয়তাবাদী হিসেবে মনে করা হতো। দ্বিতীয়ত, স্বাধীনতার ঘোষণা দেয়ার সুবাদে মুক্তিযুদ্ধের সবচেয়ে পরিচিত সেনানায়কে পরিণত হন তিনি। তৃতীয়ত, সে সময়কার বেশির ভাগ সেনা অফিসারের বিপরীতে জিয়া ছিলেন তুলনামূলকভাবে নীতিবান।
কাফি খান ছিলেন ভয়েস অব আমেরিকার সংবাদপাঠক। ১৯৭৭ সালের ১ ডিসেম্বর তিনি রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব পদে নিয়োগ পান। খুব কাছে থেকে জিয়াকে দেখেছেন তিনি। তার বর্ণনা অনুযায়ী, আত্মীয়স্বজনদের কেউ কোনো তদবিরে বঙ্গভবনে বা তার বাসায় আসার সাহস পাননি। তার স্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া অফিসের ধারে-কাছেও আসতেন না। তাকে শুধু রাষ্ট্রপতি জিয়া কোনো রাষ্ট্রীয় সফরে বিদেশে গেলে সেখানে দেখা যেত। তা-ও সব সফরে নয়। এ ছাড়া কোনো রাষ্ট্র বা সরকারপ্রধান বাংলাদেশ সফরে এলে প্রটোকলের স্বার্থে বেগম জিয়া রাষ্ট্রীয় ভোজে অংশ নিতেন। জিয়াউর রহমান তিন-চার হাজার টাকার মতো বেতন পেতেন। সেখান থেকে ১৫০ টাকা রাষ্ট্রপতির রিলিফ ফান্ডে জমা দিতেন। বাকি টাকাটা দিয়ে সংসার চালাতেন।
জিয়াউর রহমানের যুদ্ধদিনের সাথী ছিলেন মেজর (পরে লে. জেনারেল, অবসরপ্রাপ্ত) মীর শওকত আলী। জিয়ার মৃত্যুর পর বিএনপির রাজনীতির সাথে যুক্ত হন তিনি। তার মতে, জিয়া ছিলেন স্বাধীনচেতা ও প্রখর ব্যক্তিত্বসম্পন্ন। তার আশপাশে মৌমাছির মতো অনেক চাটুকারের সমাবেশ ঘটেছিল। কিন্তু জিয়া চাটুকারিতা একদম পছন্দ করতেন না। এ প্রসঙ্গে মীর শওকত আলী একটি লেখায় উল্লেখ করেন, আমাদের জাতিগত স্বাধীনতা এখনো হয়নি। আমরা এখনো নিজেদের চেয়ে সাদা চামড়াদের বিশেষ খাতির করি। একজন ইউরোপীয় প্রেসিডেন্টকে দেখেন। তিনি নিজের ব্রিফকেস নিজে নিয়ে গাড়ির দরজা খুলে গাড়িতে উঠছেন। আমাদের এখানে দরজা খোলার জন্য চামচারা রীতিমতো কম্পিটিশন করে। আমাদের এখানে নেতার সামনে জড়োসড়ো হয়ে থাকতে হয়। আমাদের এখানে একধরনের হীনম্মন্যতা আছে এবং স্বাধীন জাতির স্বাধীনতার অহঙ্কারের জাগরণ এখনো হয়নি। দিস ইজ প্যাথেটিক অ্যান্ড ট্র্যাজিক। জিয়াউর রহমান আমাকে এক দিন বলেছিলেন, মীর, যত দিন আমাদের দেশের ১০ হাজার টাউট ও চামচা নিশ্চিহ্ন না হবে, তত দিন আমাদের কষ্ট থাকবে।
এ দেশে স্থানীয় সরকারব্যবস্থা ইউনিয়ন পর্যায়ে মোটামুটি টেকসই হয়েছে। জিয়াউর রহমান এ ব্যবস্থা আরো তৃণমূলে নিয়ে যান, গঠন করেন গ্রাম সরকার। এটি তিনি প্রশাসনের বিকেন্দ্রীকরণে করেছিলেন, নাকি গ্রামপর্যায়ে ক্ষমতার ভিত তৈরিতে ব্যবহার করেছিলেন, তা নিয়ে আলোচনার অবকাশ আছে। তবে এটা মানতে হবে যে, নিম্নতম পর্যায়ে ক্ষমতা, প্রশাসন ও উন্নয়ন-সুবিধা বিস্তৃত করতে তিনি তার জনভিত্তি বাড়াতে পেরেছিলেন। দীর্ঘ মেয়াদে ক্ষমতায় থাকা এবং উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে নিতে তিনি গ্রাম প্রতিরক্ষাবাহিনী বা ভিলেজ ডিফেন্স ফোর্স (ভিডিপি) গঠন করেন। ফলে তিনি তিন ধরনের প্রতিষ্ঠানকে ব্যবহার ও কাজে লাগানোর প্রয়াস পান : গ্রাম সরকার, গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী ও স্থানীয় পর্যায়ে বিএনপির কমিটি। এ তিনটি প্রতিষ্ঠানে সমাজের উঁচু-নিচু সব স্তরের মানুষের প্রতিনিধিদের সমাবেশ ঘটেছিল। আনুমানিক ৬৫ হাজার গ্রাম সরকার তৈরির কাজ শেষ হয় ১৯৮০ সালের ডিসেম্বরে।
গ্রাম সরকারগুলো স্থানীয় সালিস এবং ইউনিয়ন পর্যায়ের প্রতিনিধিদের সাথে আলোচনার ফোরাম হিসেবে কিছুটা ভূমিকা রাখে। এসব প্রতিষ্ঠান ছিল গ্রামপর্যায়ে জিয়ার ‘উন্নয়নের রাজনীতির’ বাহন। এসবের ফলে জিয়াউর রহমানের অনুকূলে গ্রামীণ ক্ষমতার কাঠামো তৈরি হয়ে যায়। গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীতে নিম্নবিত্ত পরিবারগুলো থেকে আসা মানুষজন শুধু জনজীবনে শৃঙ্খলা রক্ষার কাজে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে সহায়তাই দেয়নি, বিএনপিকে তৃণমূলে বিস্তৃত করতেও সাহায্য করেছে। রাজনৈতিক কৌশল বিএনপির রাজনৈতিক কৌশলের বৈশিষ্ট্যগুলোর একটি সারসংক্ষেপ করেছেন জিয়াউর রহমানের রাজনৈতিক সহকর্মী মওদুদ আহমদ। বৈশিষ্ট্যগুলো হলো : ১. প্রশাসন থেকে সামরিক বাহিনীকে দূরে রাখা। ২. দেশে ভারতবিরোধী শক্তিকে উৎসাহ দিয়ে ডান-বাম সবার সমন্বয়ে রুশ-ভারতবিরোধী মেরুকরণ তৈরির মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধা-অমুক্তিযোদ্ধা, স্বাধীনতার পক্ষ-বিপক্ষ সবাইকে নিয়ে রাজনৈতিক মঞ্চ তৈরি করা। ৩. অর্থনীতিতে ব্যক্তিপুঁজি ও ব্যক্তিমালিকানার গুরুত্ব বাড়ানো এবং একই সাথে রাষ্ট্রীয় খাত রেখে দেয়া। ৪. রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় সংসদের মধ্যে একধরনের ভারসাম্য বজায় রাখা। এসব পদক্ষেপের মাধ্যমে জিয়া নিজেকে একজন মধ্যপন্থী হিসেবে তুলে ধরেছিলেন।
লেখক : নব্বইয়ের সর্বদলীয় ছাত্র ঐকের কেন্দ্রীয় নেতা