জুলাই স্মৃতি উদ্যাপনে কর্মসূচি ঘোষণা
অনলাইন সংস্করণ [সূত্র : আলোকিত বাংলাদেশ, ২৫ জুন ২০২৫]

সরকার ১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত 'জুলাই স্মৃতি উদ্যাপন অনুষ্ঠানমালা' পালনের ঘোষণা দিয়েছে, যা গত বছরের জুলাই মাসে সংঘটিত গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিকে কেন্দ্র করে আয়োজিত হচ্ছে। ২০২৩ সালের এই সময়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে কোটা সংস্কার আন্দোলন, যার চূড়ান্ত রূপ নেয় ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের মাধ্যমে। এই আন্দোলনের স্মৃতিকে সম্মান জানাতে ৩৬ দিনের কর্মসূচির পরিকল্পনা করা হয়েছে।
১ জুলাই ধর্মীয় উপাসনালয়ে শহিদদের স্মরণে দোয়া ও প্রার্থনার মাধ্যমে কর্মসূচির সূচনা হবে। একই দিনে 'জুলাই ক্যালেন্ডার' প্রকাশ, 'জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচার' দাবিতে গণ-সাক্ষর সংগ্রহ এবং 'জুলাই শহিদ স্মৃতি শিক্ষাবৃত্তি' চালুরও ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এরপর ধাপে ধাপে ৫ জুলাই, ৭ জুলাই, ১৪ জুলাইসহ নির্ধারিত তারিখগুলোতে আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, মিছিল, ডকুমেন্টারি প্রদর্শনসহ নানা আয়োজন থাকবে।
কর্মসূচির শেষ দিন ৫ আগস্ট (৩৬ জুলাই) পালিত হবে শহিদদের স্মরণে পুষ্পস্তবক অর্পণ, শহিদ পরিবারের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষাৎ, বিজয় মিছিল, ড্রোন শো ও '৩৬ ডেইস অব জুলাই' প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনের মধ্য দিয়ে। সরকার বলছে, এই কর্মসূচির মূল লক্ষ্য গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার সংগ্রামকে স্মরণ করা এবং শহিদদের প্রতি যথাযথ সম্মান জানানো।