কল করুন

কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স

কাবুল থেকে কক্সবাজার বাণিজ্য করিডোর দক্ষিণ এশিয়ার সিল্করুটের পুনঃস্থাপন

কাজী মো. আবু সাইদ; ড. রেজাউল করিম চৌধুরী । সূত্র : বণিক বার্তা, ১০ মার্চ ২০২৫

কাবুল থেকে কক্সবাজার বাণিজ্য করিডোর দক্ষিণ এশিয়ার সিল্করুটের পুনঃস্থাপন

বাংলাদেশ আঞ্চলিক সংযোগ নিশ্চিত করতে পরিবহন যোগাযোগ উন্নয়ন, বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদার এবং অবকাঠামো উন্নয়নের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নিয়েছে। বাংলাদেশ রিজিওনাল কানেক্টিভিটি প্রজেক্ট (BRCP) এ উদ্যোগগুলোর একটি উদাহরণ। এসব সংযোগ প্রকল্প বাংলাদেশের বৈশ্বিক অর্থনীতির সঙ্গে একীভূত হওয়া এবং অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করার সম্ভাবনা সৃষ্টি করছে।

 

 

 

এ প্রকল্পগুলোর মূল উদ্দেশ্য হলো বাণিজ্যিক সম্পর্ক মজবুত, পর্যটন খাতকে উৎসাহিত এবং বিদেশী বিনিয়োগ আকর্ষণ করা। আন্তর্জাতিক সরবরাহ ও উৎপাদন চেইনের সঙ্গে সংযুক্ত হওয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশের বৈশ্বিক বাণিজ্যে বড় ভূমিকা রাখার সুযোগ তৈরি হয়েছে।

 

 

 

দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা (SAARC) এবং বেঙ্গল বে ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টিসেক্টরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কো-অপারেশনের (BIMSTEC) প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হিসেবে বাংলাদেশ ট্রান্স-এশিয়ান রেলওয়ে এবং এশিয়ান হাইওয়ে প্রকল্পে সক্রিয় অংশগ্রহণ করছে। চট্টগ্রাম, মোংলা, মাতারবাড়ী, বে টার্মিনাল এবং পায়রা বন্দরের মতো গুরুত্বপূর্ণ সমুদ্রবন্দরগুলো ভূমিবেষ্টিত দেশগুলোকে সমুদ্রপথের সংযোগ প্রদানের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করা হয়।

 
 

এ উদ্যোগে বাংলাদেশ বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগীর সঙ্গে একযোগে কাজ করছে। পাশাপাশি বাংলাদেশ প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সড়ক ও রেলপথ করিডোর গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখছে বাংলাদেশ। বিদ্যমান বন্দরগুলোর বাইরে দেশের বিভিন্ন স্থানে ডিপ সি পোর্ট, নদীবন্দর এবং মাল্টিমোডাল পরিবহন কেন্দ্র গড়ে তোলার বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে।

 
 

ভৌগোলিক ও ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট: বিশ্বের বৃহত্তম ব-দ্বীপগুলোর একটি হলো বঙ্গোপসাগর অববাহিকা, যেখানে তিনটি প্রধান নদী প্রবাহিত হয়েছে এবং যার দুটির কেন্দ্রে অবস্থিত বঙ্গীয় ব-দ্বীপ, যা বর্তমানে বাংলাদেশ নামে পরিচিত। দক্ষিণ এশিয়ার তিনটি বড় নদ-নদী অববাহিকা রয়েছে, যার একটি হলো সিন্ধু নদ অববাহিকা, যা দক্ষিণ এশিয়ার পশ্চিম প্রান্তে অবস্থিত এবং বাকি দুটি হলো গঙ্গা ও ব্রহ্মপুত্র অববাহিকা, যার সম্মিলন বা মিলনস্থলে রয়েছে বাংলাদেশ। দক্ষিণ এশিয়ার পূর্ব ও পশ্চিম প্রান্তের মধ্যবর্তী স্থলবেষ্টিত অংশে একটি বাণিজ্য করিডোর স্থাপনের প্রয়োজনীয়তা এবং অনিবার্যতা তুলে ধরাই আজকের আলোচনার বিষয়বস্তু।

 

 

ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে স্থল ও সমুদ্রসীমা ভাগাভাগি করে বাংলাদেশ দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশদ্বার হিসেবে কাজ করে। বেঙ্গল ব-দ্বীপ এবং ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল একটি সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও ঐতিহাসিকভাবে সংযুক্ত উপ-অঞ্চল, যার কেন্দ্রজুড়ে রয়েছে বর্তমান বাংলাদেশ।

 

 

বহু শতাব্দী ধরে এ উপ-অঞ্চল বঙ্গোপসাগর অঞ্চলের কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে কাজ করেছে, যা সমুদ্র মহাসড়ক হিসেবে হিমালয়ের পূর্বের চীন এবং হিমালয়ের পশ্চিমে অবস্থিত ভারতকে সংযুক্ত করত।

 

 

১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ শাসন অবসানের পর ভারতীয় উপমহাদেশ ভাগ হয়ে ভারত ও পাকিস্তান (পূর্ব পাকিস্তানসহ) এবং কয়েকটি স্বাধীন রাষ্ট্র—হায়দরাবাদ, কাশ্মীর, নেপাল, ভুটান, সিকিম, শ্রীলংকা ও বার্মা গঠিত হয়। ঐতিহাসিকভাবে বঙ্গোপসাগর-তীরবর্তী বাংলা ব-দ্বীপ অঞ্চলটি ছিল একটি স্বতন্ত্র ও সমৃদ্ধ এলাকা, যা ভৌগোলিক ও অর্থনৈতিকভাবে একীভূত ছিল।

 

 

এ অঞ্চল থেকে উৎপাদিত পণ্য রেল ও সড়কপথে পূর্ববঙ্গ (বর্তমান বাংলাদেশ) হয়ে ভারতের অন্যান্য অঞ্চলে পৌঁছে যেত। চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার করে পণ্য বিদেশে রফতানি করা হতো। বিংশ শতাব্দীর প্রথমার্ধ পর্যন্ত এটি একটি সমৃদ্ধ অর্থনৈতিক অঞ্চল ছিল।

 

 

১৯৪৭ সালে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল বিভক্ত হয়ে ভারতের মূল ভূখণ্ড থেকে চিকেনস নেক (শিলিগুড়ি করিডোর) নামক সংকীর্ণ করিডোরের মাধ্যমে সংযুক্ত হয়। পরবর্তীকালে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল মোট আটটি রাজ্যে বিভক্ত হয়। ধর্মীয়, জাতিগত ও ভৌগোলিক বিভাজন, বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন এবং সংযোগহীনতা পুরো অঞ্চলকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলে। বাংলাদেশ ভৌগোলিক সংযোগের বাইরে গিয়ে মানুষ, প্রতিষ্ঠান এবং সেবার মধ্যেও সংযোগ তৈরি করতে চায়। এভাবে অবকাঠামো ও লজিস্টিকস ব্যবস্থার উন্নয়নের মাধ্যমে শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার সুযোগ সৃষ্টি করছে।

 

 

গ্র্যান্ড ট্রাঙ্ক রোড-প্রাচীন ইতিহাস ও বাণিজ্যিক গুরুত্ব: গ্র্যান্ড ট্রাঙ্ক রোড (জিটি রোড) দক্ষিণ এশিয়ার একটি প্রাচীন এবং ঐতিহাসিক সড়ক, যা বাংলা ও উত্তর ভারতের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করে। বর্তমানে জীর্ণ হলেও এই রাস্তা একসময় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যপথ ছিল। প্রাচীন যুগ, মধ্য যুগ এবং পরবর্তী সময়ের সঙ্গে দক্ষিণ এশিয়ার ভৌগোলিক ও অর্থনৈতিক পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে এটি বিকশিত হয়েছে।

 

 

প্রাচীন এই বাণিজ্যপথের শিকড় খুঁজলে দেখা যায়, বঙ্গ অঞ্চল থেকে উত্তর ভারত পর্যন্ত এটি বিভিন্ন সময়ে ভিন্ন নামে পরিচিত ছিল। মধ্যযুগে এটিকে জিটি রোড নামে ডাকা হতো। আজও এ সড়ক দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সড়কপথ হিসেবে বিবেচিত হয় এবং দ্রুত দেশের একপ্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্তে যাতায়াতের জন্য ব্যবহৃত হয়। এছাড়া মধ্য এশিয়া ও ভারত উপমহাদেশের মধ্যে বাণিজ্যের অন্যতম মাধ্যম ছিল এ জনপথ। উত্তরাপথ বা উত্তরের পথ নামে শব্দটি প্রাচীন বৌদ্ধ শাস্ত্র এবং মহাভারতসহ হিন্দু ধর্মগ্রন্থগুলোয় পাওয়া যায়। ইংরেজিতে এটি ‘Northern Road’ নামে পরিচিত। এটি বাংলাকে মধ্য এশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য ও সাংস্কৃতিক বিনিময়ের জন্য সংযুক্ত করত।

 

 

খ্রিস্টপূর্ব তৃতীয় শতাব্দীতে চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য মৌর্য সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠা করেন এবং এ রুটে একটি বিশাল সড়ক নেটওয়ার্ক তৈরি করেন। এ সড়ক তক্ষশীলা থেকে পাটলিপুত্র (বর্তমান পাটনা) পর্যন্ত সংযোগ স্থাপন করত। চন্দ্রগুপ্তের এ উদ্যোগ পারস্যের রাজপথ (Persian Royal Road) দ্বারা অনুপ্রাণিত ছিল। এ মহাসড়ক নেটওয়ার্ক পশ্চিম এশিয়ার সঙ্গে স্থলপথে বাণিজ্যিক সংযোগ তৈরিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে।

 

 

সম্রাট অশোক উত্তরাপথে ভ্রমণকারীদের সুবিধার্থে বিশ্রামাগার (নিমিষিধায়) নির্মাণ করেন। রাস্তার পাশে ছায়াদানকারী গাছ রোপণ এবং নির্দিষ্ট দূরত্বে কূপ খনন করে যাত্রাপথকে সহজতর করেন। তার শিলালিপিতে এ রাস্তাগুলোর গুরুত্ব বারবার উল্লেখ করা হয়েছে। তিনি বাণিজ্য এবং মানুষের চলাচলকে নিরাপদ ও সহজ করার জন্য এ পথগুলো রক্ষণাবেক্ষণের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছিলেন।

 

 

প্রাচীন উত্তরাপথ রুট দীর্ঘদিন ধরে অবহেলা ও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে হারিয়ে যায়। ১৬ শতকে সম্রাট শের শাহ সুরি এ রাস্তাকে নতুন করে গড়ে তোলেন। তিনি সোনারগাঁও থেকে রোহতাস পর্যন্ত বিশাল গ্র্যান্ড ট্রাঙ্ক রোড নির্মাণ করেন। রাস্তা প্রশস্ত করেন এবং রাস্তার পাশে সরাইখানা নির্মাণ করেন, যা ভ্রমণকারীদের জন্য বেশ আরামদায়ক ছিল। তার এ উদ্যোগ, ভ্রমণ ও বাণিজ্য উভয় ক্ষেত্রেই সুবিধা সৃষ্টি করে।

 

 

মোগল সম্রাট জাহাঙ্গীরের আমলে শের শাহ সুরি নির্মিত গ্র্যান্ড ট্রাঙ্ক রোডের আরো উন্নতি সাধন করা হয়। রাস্তার পাশে পোড়া ইট ও পাথরের তৈরি টেকসই সরাইখানা নির্মাণ করা হয়। রাস্তার প্রশস্ত অংশে বড় পাতার গাছ লাগানো হয় ছায়া দেয়ার জন্য এবং নদীর ওপরে সেতু তৈরি করা হয়। ১৮৩৩ থেকে ১৮৬০ সালের মধ্যে ব্রিটিশ শাসনামলে গ্র্যান্ড ট্রাঙ্ক রোডের ব্যাপক পুনর্নির্মাণ হয়। ব্রিটিশরা মূলত সড়কটি বাণিজ্য ও সামরিক চলাচলের সুবিধার্থে পুনর্গঠন করে।

 

 

বর্তমানে ভারতের জাতীয় মহাসড়ক, বাংলাদেশের ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক এবং পাকিস্তানের জাতীয় সড়কগুলো এ প্রাচীন রুটের অংশ। আজও এটি ভারত, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের প্রধান শহরগুলোকে সংযুক্তকারী গুরুত্বপূর্ণ পরিবহন করিডোর হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এটি এশিয়ার প্রাচীনতম বাণিজ্যপথগুলোর একটি হিসেবেই প্রতীয়মান।

 

 

১৯৪৭ সালে ভারত বিভাগের আগে ঢাকা, হায়দরাবাদ ও আসাম সরাসরি সংযুক্ত ছিল। এ সংযোগের মূল কেন্দ্র ছিল কলকাতা, যা তখনকার সময়ে অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক এবং সামাজিক যোগাযোগের কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে কাজ করত। ব্রিটিশ ভারতের রেলপথ এবং সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে এ অঞ্চলগুলো পারস্পরিক সংযোগ বজায় রাখতে সক্ষম হয়েছিল।

 

 

ইস্টার্ন বেঙ্গল রেলওয়ে ঢাকা থেকে ভারতের বৃহত্তর রেলওয়ে নেটওয়ার্কের সঙ্গে সংযুক্ত ছিল। তৎকালীন সময়ে কলকাতা থেকে ঢাকা হয়ে গুয়াহাটি পর্যন্ত ট্রেনযাত্রা ছিল সাধারণ বিষয়। কিন্তু ১৯৪৭ সালের ভারত-পাকিস্তান বিভক্তি আকস্মিকভাবে এ যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে দেয়। ঢাকা ও পূর্ববঙ্গ (পরে পূর্ব পাকিস্তান এবং বর্তমান বাংলাদেশ) অন্যান্য অঞ্চলের সঙ্গে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। এ যোগাযোগ ব্যবস্থা ধ্বংস হওয়ার ফলে পুরো অঞ্চল অর্থনৈতিক মন্দার মধ্যে পড়ে। আঞ্চলিক ব্যবসা-বাণিজ্য এবং স্থানীয় উৎপাদন মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর প্রভাব সরাসরি জনগণের দারিদ্র্য বৃদ্ধি এবং মাথাপিছু আয় হ্রাসের দিকে নিয়ে যায়।

 

 

তবে বঙ্গোপসাগরের মাধ্যমে সামুদ্রিক বাণিজ্য সংযোগ বাংলাদেশের জন্য নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দেয়। এ সংযোগের মাধ্যমে বাংলাদেশ ধীরে ধীরে বৈশ্বিক বাণিজ্যে অংশ নেয় এবং আঞ্চলিক অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। বর্তমানে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় এ অঞ্চলের মধ্যে অন্যতম শীর্ষে।

 

 

কাবুল থেকে কক্সবাজার: দক্ষিণ এশীয় বাণিজ্য করিডোর পুনস্থাপন : এখন সময় এসেছে দক্ষিণ এশিয়ার উত্তর প্রান্ত থেকে দক্ষিণ প্রান্ত পর্যন্ত অর্থাৎ আফগানিস্তানের কাবুল থেকে বাংলাদেশের কক্সবাজার পর্যন্ত দক্ষিণ এশীয় বাণিজ্য করিডোর পুনরায় চালু করার। এর মাধ্যমে দক্ষিণ এশিয়ার ভূমিবেষ্টিত অঞ্চলগুলোকে বঙ্গোপসাগরের সঙ্গে সংযুক্ত করা সম্ভব হবে। এ সংযোগ আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের সুযোগ বাড়াবে এবং বহুমুখী অর্থনৈতিক সম্ভাবনা সৃষ্টি করবে। বাণিজ্য করিডোরটি অতিরিক্ত সম্পদ উৎপাদন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, দারিদ্র্য হ্রাস, মাথাপিছু আয় এবং জিডিপি বৃদ্ধি করবে। এতে দক্ষিণ এশিয়ার দরিদ্রতম জনগোষ্ঠীর জীবনযাত্রার মান উন্নত হবে। এ দক্ষিণ এশীয় বাণিজ্য করিডোরের কেন্দ্রবিন্দু হবে ঢাকা। ঢাকা চার দিক থেকে করিডোরের মাধ্যমে সংযুক্ত হবে—

১. দক্ষিণ-পূর্ব করিডোর: রাখাইন রাজ্য ও আসিয়ান দেশগুলোর সঙ্গে সংযুক্ত হবে।

২. উত্তর-পূর্ব করিডোর: উত্তর-পূর্ব ভারত, নেপাল, ভুটান ও দক্ষিণ-পশ্চিম চীনের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করবে।

৩. উত্তর-পশ্চিম করিডোর: হিমালয়ের পশ্চিমে হিন্দি, পাঞ্জাবি ও পশতু ভাষাভাষী অঞ্চলের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করবে।

৪. পশ্চিম ও দক্ষিণ-পশ্চিম করিডোর: হায়দরাবাদ ও ভারতের হিন্দি অঞ্চলগুলোকে ঢাকা ও কক্সবাজারের সঙ্গে সংযুক্ত করবে।

কাবুল থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত এ করিডোর আঞ্চলিক বাণিজ্যের একটি নতুন অধ্যায় রচনা করতে পারে।

ঢাকাকেন্দ্রিক দক্ষিণ এশীয় বাণিজ্য করিডোরের রূপরেখা

 

 

ড. রেজাউল করিম চৌধুরী: ক্যাপ্টেন, মেরিটাইম পরামর্শদাতা, আইনজীবী; ফ্যাকাল্টি ইউনিভার্সিটি টেরেংগানু মালয়েশিয়া

কাজী মো. আবু সাইদ : মেরিন ইঞ্জিনিয়ার ও মেরিটাইম পলিসি গবেষক