কল করুন

কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স

কেমন হবে ট্রাম্পের শাসনকাল

গাজীউল হাসান খান । সূত্র : কালের কণ্ঠ, ২৭ জানুয়ারি ২০২৫

কেমন হবে ট্রাম্পের শাসনকাল

এক আশা-নিরাশার দোলাচলের মধ্যে চলছে বর্তমান সময়ের আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র। ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্পের কথা অনুযায়ী, ডোনাল্ড ট্রাম্প কোনো দেশের প্রেসিডেন্ট হবেন আর তার নাগরিকরা সব দিক দিয়ে নিরুদ্বিগ্ন জীবন যাপন করবে, সেটি তো হতে পারে না। ডোনাল্ড ট্রাম্প অপরিকল্পিভাবে জীবন যাপন করেন, বিষয়টি কিন্তু তেমন নয়। তবে সেখানে তাঁর নিজস্ব কিছু খেয়ালখুশি কাজ করে।

 


যুক্তরাষ্ট্র একটি অভিবাসীদের দেশ। আদিবাসী রেড ইন্ডিয়ানরা ছাড়া আর কোনো আদি নেই। সবাই বহিরাগত। তারা বিভিন্ন সময়ের ব্যবধানে যুক্তরাষ্ট্রে এসেছে তাদের ভাগ্য পরিবর্তনের আশায়। কিন্তু সদ্য শপথ নেওয়া ডোনাল্ড ট্রাম্প চান না যুক্তরাষ্ট্র দখল করে নিক কতগুলো স্প্যানিশভাষী দক্ষিণ আমেরিকান। তাঁর মতে, কেউ চাইলেই বসবাসের জন্য দল বেঁধে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে পারবে না বেআইনি পথে। এভাবে সব কিছু চলতে থাকলে যুক্তরাষ্ট্রে হিসপানিকদের কাছে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারাবে ইংরেজি ভাষাভাষীরা। উত্তর আমেরিকার জনসংখ্যা কিংবা জনবসতির স্বরূপই বদলে যাবে।

 

 

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তাঁর রিপাবলিকান দলের বেশির ভাগ সমর্থকই সেটি চান না। ইংরেজদের শাসন থেকে স্বাধীনতা লাভের বহু পরও নব্য রিপাবলিকানদের সে মানসিকতার পরিবর্তন আসেনি বলে অভিযোগ রয়েছে। অথচ তাঁদের মধ্যে অনেকেই ব্রিটিশ নন, ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে আগত শ্বেতাঙ্গ মানুষ। এখানে বর্ণটিই আসলে দক্ষিণ আমেরিকান কিংবা হিসপানিকদের জন্য মূল সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে। অথচ শ্রমজীবী এই মানুষগুলো ছাড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চালানো দুঃসাধ্য হয়ে পড়বে।

 


মুখে না বললেও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও তাঁর সমর্থকদের বেশির ভাগই শ্বেতাঙ্গ শ্রেষ্ঠত্ববাদে বিশ্বাস করে। সেটি হয়তো বা তাদের কায়েমি স্বার্থের প্রশ্নেই। নতুবা যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানে চতুর্দশ সংশোধনী অনুযায়ী ধর্ম-বর্ণ-ভাষা-নির্বিশেষে যুক্তরাষ্ট্রে জন্ম নেওয়া যেকোনো মানুষের সন্তানেরই সে দেশের নাগরিকত্ব পাওয়ার কথা। সে সন্তানের মা-বাবা নিবন্ধিত, অনিবন্ধিত, এমনকি বহিরাগমনগতভাবে (ইমিগ্রেশন) অবৈধ হলেও যুক্তরাষ্ট্রে জন্ম নেওয়া শিশুর অধিকার অস্বীকার অথবা হরণ করা যাবে না।

 

 

প্রেসিডেন্ট হিসেবে এক অধ্যাদেশ জারি করে ডোনাল্ড ট্রাম্প তা অস্বীকার করেছেন। বলেছেন, অনিবন্ধিত কিংবা বাবা বা মায়ের মধ্যে একজনও যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক নন, এমন পরিবারকে সন্তানসহ সে দেশ ত্যাগ করতে হবে। প্রচলিত সংবিধান অনুযায়ী প্রেসিডেন্টের সে ঘোষণাকে সর্বোচ্চ আদালতে চ্যালেঞ্জ করার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে। তা ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কয়েকটি অঙ্গরাজ্য প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সে ঘোষণাকে সমর্থন না করার অভিমত বা সিদ্ধান্ত ব্যক্ত করেছে।

 

 

কিন্তু বাস্তব দিকটি হচ্ছে, সর্বোচ্চ আদালতে প্রেসিডেন্টের সে ঘোষণাটি উল্টে যাওয়া কিংবা নাকচ হওয়ার আগ পর্যন্ত তাকে অস্বীকার করা যাবে না। এতে দু-তিন বছরও সময় লেগে যেতে পারে। আদালত এ ব্যাপারে শেষ পর্যন্ত কী করবেন, তা কেউই নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারছে না। তা ছাড়া কংগ্রেসের দুই কক্ষেই সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া রিপাবলিকান পার্টি এ ব্যাপারে প্রেসিডেন্টের আনীত যেকোনো সংবিধান সংশোধনী প্রস্তাব বিবেচনাও করতে পারে। সে ক্ষমতা তাদের রয়েছে। তবে এ ক্ষেত্রে এখন একমাত্র ভরসা হচ্ছে উচ্চ আদালত।

 

 

কেমন হবে ট্রাম্পের শাসনকালযুক্তরাষ্ট্রের সিনেট ও প্রতিনিধি পরিষদে মধ্যবর্তী নির্বাচন হবে আগামী দুই বছর পর। সে নির্বাচনে হয়তো বা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের রিপাবলিকান পার্টির কোনো একটি হাউসে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারানোর আশঙ্কা রয়েছে। এতে ট্রাম্পের আদেশ কার্যকর না-ও হতে পারে। এবং এমনকি সংবিধানের কোনো কিছুই সংশোধন করা সম্ভব না-ও হতে পারে। তবে এখন থেকে আগামী দুই বছর অর্থাৎ মধ্যবর্তী নির্বাচন পর্যন্ত প্রেসিডেন্টের বিভিন্ন প্রশাসনিক আদেশ যে নিরুপায় মানুষকে ভোগাবে এবং তাদের রাতের ঘুম কেড়ে নেবে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই।

 

 

এই বিষয়টি এখানেই শেষ নয়। শোনা যাচ্ছে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সম্ভব হলে তাঁর শাসনকাল আরো এক টার্ম বাড়াতে সচেষ্ট হবেন। ট্রাম্পের যুক্তি হচ্ছে, তিনি পর পর দুই দফা প্রেসিডেন্ট ছিলেন না। তাঁর অভিযোগ, আগের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও তাঁর ডেমোক্রেটিক দল ষড়যন্ত্র করে ট্রাম্পকে নির্বাচনে পরাজিত করেছে। বিভিন্ন নির্বাচনী এলাকায় ব্যাপক কারচুপি হয়েছে। কিন্তু ট্রাম্পের সে সমস্ত অভিযোগের কোনো আইনি ভিত্তি নেই বা প্রমাণাদিও মেলেনি। তা ছাড়া মেক্সিকো সীমান্ত দিয়ে বেআইনিভাবে প্রবেশ করা হিসপানিক কিংবা লাতিনো কর্মজীবী মানুষকে বাইডেন প্রশাসন আপাতত যুক্তরাষ্ট্রে মানবিক বিবেচনায় আশ্রয় দিয়েছে। তাদের বিষয়টি আইনানুগভাবে বিবেচনারও আশ্বাস দিয়েছে পর্যায়ক্রমে। কিন্তু ট্রাম্পের এক ঘোষণায় তাদের যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিতাড়িত করা হবে সম্পূর্ণ অমানবিক পন্থায়।

 

 

এই বিষয়টি মার্কিন নাগরিকদের এখন যথেষ্ট দুশ্চিন্তাগ্রস্ত করে তুলেছে। কারণ আর যা-ই হোক, যুক্তরাষ্ট্র সম্পূর্ণভাবেই একটি অভিবাসীদের দেশ। এই অভিবাসী শ্রমিকরাই যুক্তরাষ্ট্রের কলকারখানা, উৎপাদনব্যবস্থা এবং অর্থনীতি সচল রেখেছে; উন্নাসিক শ্বেতাঙ্গ শ্রেষ্ঠত্ববাদীরা নয়। এই শ্রেষ্ঠত্ববাদীরা কৃষি খামার থেকে শুরু করে শহর-নগরের রাস্তাঘাট পরিষ্কার করা পর্যন্ত নিম্ন আয় কিংবা কষ্টসাধ্য কোনো কাজ করতেই প্রস্তুত নয়। তারা ইংরেজিভাষী শ্বেতাঙ্গ হলেও শিক্ষাদীক্ষা কিংবা প্রযুক্তি ও প্রকৌশলের ক্ষেত্রে এখনো অনেক পিছিয়ে রয়েছে। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের সর্বত্র বাড়িঘর মেরামত থেকে রাস্তাঘাট তৈরি কিংবা বিনির্মাণের ক্ষেত্রে উল্লিখিত হিসপানিক, লাতিনো, কৃষ্ণাঙ্গ কিংবা এশীয় শ্রমজীবী মানুষের কোনো বিকল্প নেই। তারা অত্যন্ত নিম্ন মজুরির এবং কর্মক্ষেত্রে দক্ষ পরিশ্রমী মানুষ।

 

 

যুক্তরাষ্ট্রে দ্বিতীয় টার্মের জন্য ক্ষমতায় আসা ডোনাল্ড ট্রাম্প আরো একটি ক্ষেত্রে অত্যন্ত অমানবিক আচরণ করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। আর সেটি হলো এইচ-ওয়ানবি  (H-1B)  ভিসায় যুক্তরাষ্ট্রে কাজ করতে আসা বিদেশি নাগরিকদের বেলায়। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এখন ওজর দেখাচ্ছেন যে এইচ-ওয়ানবি ভিসায় আগত মানুষ যুক্তরাষ্ট্রের বৈধ বা স্থায়ী নাগরিকদের কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রটি দখল করে নিয়েছে। অর্থাৎ উল্লিখিত বহিরাগত মানুষের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে করার মতো কোনো কাজ পাচ্ছে না।

 

 

কর্মসংস্থানের অভাবে তারা বেকার, অনিশ্চিত এবং নিম্নমানের জীবন যাপন করতে বাধ্য হচ্ছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ধারণা, উপরোল্লিখিত মার্কিন নাগরিকরাই তাদের সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে ট্রাম্পকে নির্বাচিত করেছে। সে বিবেচনায় ট্রাম্প বহিরাগত কর্ম বা পেশাজীবী মানুষকে অবিলম্বে যুক্তরাষ্ট্র থেকে তাড়াতে অস্থির হয়ে পড়েছেন। এই লাখ লাখ বহিরাগত কর্ম বা পেশাজীবী মানুষ এসেছে মূলত ভারত থেকে। তথ্য-প্রযুক্তি থেকে বিভিন্ন কারিগরি ও প্রকৌশলগত প্রযুক্তির ক্ষেত্রে কাজ করে তারা। যুক্তরাষ্ট্রে কর্মরত অবস্থায় তাদের এক দশক কিংবা তারও বেশি সময় পেরিয়ে গেছে।

 

 

 তাদের সন্তান-সন্ততিরাও এখন বড় হয়ে গেছে। অথচ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যদি এক কলমের খোঁচায় তাদের যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিদায় করেন, তাহলে যে বাস্তব পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে, তা ধারণা করা যায় না। কর্মজীবীদের ভিসায় যে শুধু ভারতীয়রা এসেছে, তা নয়। সেখানে পাকিস্তানি, বাংলাদেশি, কোরিয়ান, ভিয়েতনামিসহ অসংখ্য মানুষ রয়েছে। এই এইচ-ওয়ানবি ভিসা প্রদানের বিষয়টি পর্যায়ক্রমে অত্যন্ত বাস্তবসম্মতভাবেও করা সম্ভব ছিল।

 

 

করোনা-পরবর্তী বিশ্বমন্দার বাজারে চীন থেকে কানাডা, মেক্সিকো, ভারত এবং এমনকি ইউরোপের পণ্যসামগ্রী আমদানির ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার আগে থেকেই বর্ধিত কর আরোপ করার যে হুমকি-ধমকি দিচ্ছেন, তাতে অনেকটা অপ্রস্তুত হয়ে পড়েছে তারা। সাম্রাজ্যবাদী ও পুঁজিবাদী আদর্শে বিশ্বাসী রাজনীতিকরা বিশ্বের ব্যাপক জনগোষ্ঠীর জীবন-জীবিকার কোনো পরোয়া করেন না বলে যে অভিযোগ ছিল, তা এখন আরো বদ্ধমূল হতে চলেছে। ট্রাম্পের ঘোষিত বা গৃহীত বিভিন্ন অর্থনৈতিক ব্যবস্থার ফলে বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের সরকার এবং মানুষ এখন ক্রমে ক্রমে বিপর্যস্ত হয়ে পড়তে শুরু করেছে।

 

 

এ পর্যায়ে চীন, মেক্সিকো, কানাডা, ভারতসহ অন্যান্য উৎপাদনশীল ও রপ্তানিমুখী অর্থনীতির দেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের একটি অঘোষিত লড়াই শুরু হতে যাচ্ছে বলে তথ্যাভিজ্ঞ মহলের ধারণা। তা ছাড়া আন্তর্জাতিক এবং এমনকি কিছু প্রাতিষ্ঠানিক ক্ষেত্রেও ট্রাম্প যে সমস্ত ব্যবস্থা নিচ্ছেন, সেগুলো নিঃসন্দেহে কোনো গভীর বিবেচনাপ্রসূত নয়। এর মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে যুক্তরাষ্ট্রের অনুদান ও অন্যান্য সহযোগিতা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তটি।

 

এর পাশাপাশি রয়েছে প্যারিসভিত্তিক বৈশ্বিক পরিবেশ আন্দোলন বা কর্মসূচি থেকে নিজেদের আবার প্রত্যাহার করে নেওয়ার বিষয়টি। এখানে সংগত কারণেই তাই প্রশ্ন দেখা দেয়—কোন অবদানের বিনিময়ে যুক্তরাষ্ট্র নিজেদের বিশ্বের অন্যতম প্রধান পরাশক্তি হিসেবে দাবি করে? ট্রাম্পের ভাষায় সর্বক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রথম বা নেতা বলে বিবেচনা করতে হবে। কিন্তু কিসের বিনিময়ে? কোন কোন ক্ষেত্রে অবদান কিংবা সহযোগিতার কারণে?

 

 

যুক্তরাষ্ট্র ডোনাল্ড ট্রাম্পের মতো একজন অপরিণামদর্শী নেতার কারণে বিশ্বব্যাপী এখন চরম স্বার্থপর ও আত্মকেন্দ্রিক বলে চিহ্নিত হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ-সম্পদ কিংবা সামরিক শক্তিতে অন্যদের কিছুই আসে যায় না। এসব কারণে যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষিত, মননশীল ও সভ্য জনগোষ্ঠীর কাছে যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শিগগিরই তাঁর জনপ্রিয়তা কিংবা গ্রহণযোগ্যতা হারাবেন। আগামী দুই বছর পর অর্থাৎ যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যবর্তী নির্বাচনের আগেই ট্রাম্পের বিভিন্ন ক্ষেত্রে একঘরে হয়ে পড়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে।

 

 

এতে যুক্তরাষ্ট্র বিভিন্ন ক্ষেত্রে সমূহ ক্ষতির সম্মুখীন হবে বলে ওয়াকিফহাল মহলের বিশ্বাস। এখন সময় এসেছে নিজ নিজ অবস্থানে থেকে সংঘবদ্ধ হওয়ার এবং ডোনাল্ড ট্রাম্পের মতো সুবিধাবাদী, আত্মকেন্দ্রিক, শোষক ও আধিপত্যবাদীদের ঠেকানোর। নতুবা বেঁচে থাকার মতো মুক্তির আলো-বাতাস ও পরিবেশ খুঁজে পাবে না।

 

 

লেখক : বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) সাবেক প্রধান সম্পাদক ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক যুক্তরাষ্ট্রের বাংলাদেশ দূতাবাসে নিযুক্ত

সাবেক মিনিস্টার