কল করুন

কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স

ক্রাইসিস গ্রুপের প্রতিবেদন : আরাকান আর্মির সঙ্গে বাংলাদেশের আলোচনা কেন জরুরি

‘রোহিঙ্গা বিদ্রোহের ঝুঁকি’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদন তৈরি করেছে ব্রাসেলসভিত্তিক আন্তর্জাতিক গবেষণা সংস্থা ‘ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপ’ (আইসিজি)। গত বুধবার প্রতিবেদনটি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে সীমান্তের ওপারে রাখাইন রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতি, বাংলাদেশে শরণার্থীশিবিরের চলমান অবস্থা, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে আশঙ্কা ও সুযোগের বিষয় তুলে ধরা হয়েছে। একইভাবে বাংলাদেশ, আরাকান আর্মিসহ সব পক্ষের জন্য কিছু সুপারিশ করা হয়েছে। ক্রাইসিস গ্রুপের প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে দুই পর্বের লেখার আজ প্রথম পর্ব প্রকাশিত হলো। [সূত্র : প্রথম আলো, ২৩ জুন ২০২৫]

ক্রাইসিস গ্রুপের প্রতিবেদন : আরাকান আর্মির সঙ্গে বাংলাদেশের আলোচনা কেন জরুরি

গত কয়েক বছরে বাংলাদেশে ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থী আশ্রয় নিয়েছে। ২০১৭ সালে যখন রাখাইন রাজ্যে মিয়ানমার সেনাবাহিনী রোহিঙ্গা মুসলিমদের বিরুদ্ধে অভিযান চালায়, তখন প্রায় সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা এসেছিল। তারপর নানা সময়ে আরও কয়েক লাখ রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে; এটি এখন বিশ্বের সর্ববৃহৎ শরণার্থীশিবির।

 

 

২০১৭ সালে বাংলাদেশ অভিমুখে রোহিঙ্গাদের ঢলের পর মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে ক্ষমতার নানামুখী পরিবর্তন এসেছে। বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী মিয়ানমারের এ রাজ্যটির বেশির ভাগ অংশের নিয়ন্ত্রণ এখন আরাকান আর্মির (এএ) হাতে। কয়েক মাস ধরে দীর্ঘ লড়াইয়ের মাধ্যমে মিয়ানমার সেনাবাহিনীকে হটিয়ে রাখাইনের দখল নিয়েছে সশস্ত্র গোষ্ঠীটি। রাখাইনের সংখ্যাগরিষ্ঠ বৌদ্ধ জনগোষ্ঠীর মধ্যে আরাকান আর্মির প্রতি সমর্থন বেশি।

 

 

রাখাইনে আরাকান আর্মির উত্থান, তাদের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর বিদ্রোহের আশঙ্কা, ত্রাণ কমে যাওয়া নিয়ে বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শিবিরগুলোয় উদ্বেগ ও হতাশা বৃদ্ধির মতো বিষয়গুলো প্রতিবেদনে জায়গা পেয়েছে।

 

 

 

প্রতিবেদনের শুরুতেই বলা হয়, আরাকান আর্মি ২০২৩ সালের নভেম্বরে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে চূড়ান্ত আক্রমণ শুরু করে। এ বছরের শুরুর দিকে দেশটির পশ্চিমের রাখাইন রাজ্যের প্রায় পুরোটাই তাদের দখলে চলে এসেছে। এমনকি আরাকান আর্মি রাখাইনের আন শহরে অবস্থিত সেনাবাহিনীর পশ্চিমাঞ্চলীয় কমান্ডও দখল করে নিয়েছে।

 

 

১০ লাখের বেশি জনসংখ্যা–অধ্যুষিত রাজ্যটিতে এখন কার্যত আরাকান আর্মির শাসন চলছে। প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা হিসেবে মিয়ানমারের জান্তা সরকার এখন রাখাইন রাজ্যে জরুরি পণ্য প্রবেশে বাধা দিচ্ছে, ত্রাণ বিতরণেও কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। রাখাইনে বিদ্যুৎ, যোগাযোগ, ব্যাংকব্যবস্থাও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

 

 

এসব কারণে আরাকান আর্মির কাছে প্রতিবেশী বাংলাদেশ ও ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

ক্রাইসিস গ্রুপের এই প্রতিবেদনে রোহিঙ্গা সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর সংগঠিত হওয়ার প্রক্রিয়া এবং রাখাইন রাজ্যের উত্তরে আরাকান আর্মির বিরুদ্ধে তাদের বিদ্রোহ শুরুর সম্ভাবনা—এ ধরনের ঝুঁকি বিশ্লেষণ করা হয়েছে।

 

 

শরণার্থীশিবিরে ক্রমবর্ধমান হতাশা কীভাবে রোহিঙ্গাদের সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর নতুন সদস্য সংগ্রহের সহজ শিকারে পরিণত করছে এবং এসব গোষ্ঠীর কার্যকলাপ কীভাবে ঢাকা ও আরাকান আর্মির মধ্যে সুসম্পর্কের সম্ভাবনাকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে, এই প্রতিবেদনে তা তুলে ধরা হয়েছে।

 

 

২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি ও মার্চে বাংলাদেশের মাঠপর্যায়ের গবেষণা এবং ছয় মাস ধরে দূর থেকে পরিচালিত সাক্ষাৎকারের ওপর ভিত্তি করে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে।

 

 

রোহিঙ্গা সশস্ত্র গোষ্ঠী
মিয়ানমারের স্বাধীনতার সময় থেকেই রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্ব করার দাবি করা কয়েকটি সশস্ত্র গোষ্ঠীর ইতিহাস পাওয়া যায়। এসব গোষ্ঠীর মধ্যে অন্যতম ছিল রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশন (আরএসও), যা ১৯৮২ সালে গঠিত হয়েছিল। তবে ১৯৯০-এর দশকের শেষ দিকে সশস্ত্র গোষ্ঠীটি কার্যত বিলুপ্ত হয়ে গেছে বলে ধারণা করা হতো।

 

 

২০১২ সালে রাখাইনে বৌদ্ধ ও রোহিঙ্গা মুসলিমদের মধ্যে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনা আরেকটি গোষ্ঠীর জন্ম দেয়—আরসা নামে পরিচিত আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (এআরএসএ)। এই গোষ্ঠী প্রথম ২০১৬ সালের অক্টোবরে মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশকে লক্ষ্য করে হামলা চালায়।

 

 

২০১৭ সালে মিয়ানমার সেনাবাহিনী রাখাইনে অভিযান ও রোহিঙ্গাদের ওপর ব্যাপক নির্যাতন শুরু করলে প্রায় সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে চলে আসে। তাদের সঙ্গে আরসার সদস্যরাও রাখাইন ছাড়ে। তারা ধীরে ধীরে কক্সবাজারের বিস্তৃত শরণার্থীশিবিরগুলোয় নিজেদের প্রভাবশালী শক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে।

 

 

এই দুটি প্রধান গোষ্ঠীর পাশাপাশি রোহিঙ্গা ইসলামিক মহাজ, আরাকান রোহিঙ্গা আর্মি এবং মুন্নাহ গ্রুপের মতো আরও কয়েকটি রোহিঙ্গা সশস্ত্র সংগঠন ও অপরাধী চক্র কক্সবাজারের শরণার্থীশিবিরে সক্রিয় হয়ে ছোট ছোট এলাকার নিয়ন্ত্রণ নেয় এবং পরস্পরের বিরুদ্ধে সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে।

 


গুতেরেসের সফর: রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান কোন দিকে


২০২৪ সালের শুরুতে আরাকান আর্মি রাখাইনের রোহিঙ্গা–অধ্যুষিত উত্তরাঞ্চলের দিকে অগ্রসর হয়। সে সময় রোহিঙ্গাদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে মিয়ানমার সেনাবাহিনী আরাকান আর্মিকে প্রতিরোধ করার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু তাদের সেই চেষ্টা ব্যর্থ হয়।

 

সেই সময়ে আরসা মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সঙ্গে মিলে আরাকান আর্মির বিরুদ্ধে লড়াই করেছিল। ওই সময় আরও দুই লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসে, যাদের বেশির ভাগই আসে গত বছর।

 

আরসা মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সঙ্গে মিলে আরাকান আর্মির বিরুদ্ধে লড়াই করার সময় রাখাইনে বৌদ্ধ ও মুসলিমদের মধ্যে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা আবারও বাড়তে থাকে। ভূ–উপগ্রহের তথ্যানুযায়ী, সে সময় রোহিঙ্গাদের ৩০টির বেশি গ্রাম প্রায় নিশ্চিহ্ন করে দেওয়া হয়। এ জন্য আরাকান আর্মির সেনাদের দায়ী করে রোহিঙ্গারা। রাখাইনে রোহিঙ্গা ও রাখাইন জনগোষ্ঠীর মধ্যে সম্পর্ক গুরুতর চাপের মুখে পড়ে।

 

উভয় পক্ষ ঘৃণা ও বিদ্বেষমূলক বার্তা দিতে থাকে এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সেগুলো দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ক্রাইসিস গ্রুপ অন্তত কিছু ক্ষেত্রে এ জন্য উভয় পক্ষের নেতাদের দায়ী করেছে। ধারণা করা হয়, এখনো প্রায় ৪ লাখ রোহিঙ্গা রাখাইন রাজ্যে বসবাস করছে, যাদের বেশির ভাগই আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলোয় রয়েছে।

 

 

রোহিঙ্গা বিদ্রোহ কি দানা বাঁধছে
২০২৪ সালের ডিসেম্বরে মংডু দখলের মাধ্যমে রাখাইন রাজ্যের উত্তরাঞ্চলে সংঘাতের একটি নতুন পর্ব শুরু করে আরাকান আর্মি। রাখাইনে আরাকান আর্মির উত্থানে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ভেতর ক্ষোভ ও নিজেদের ভবিষ্যৎ নিয়ে হতাশা বাড়তে থাকে। একটি স্বতন্ত্র রোহিঙ্গা স্বদেশ গঠনের লক্ষ্যে শরণার্থীশিবিরে সশস্ত্র সংগ্রামের প্রতি সমর্থন বৃদ্ধি পেতে থাকে। ফলে শরণার্থীশিবিরগুলো রোহিঙ্গা সশস্ত্র গোষ্ঠীর নতুন সদস্য সংগ্রহের উর্বর ক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে।

 

 

রোহিঙ্গা সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো সদস্য সংগ্রহের পাশাপাশি আরাকান আর্মির ওপর হামলার পরিকল্পনাও করছে বলে আইসিজির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, আরসা ইতিমধ্যে উত্তর রাখাইনে হামলা চালানো শুরু করেছে। প্রাথমিকভাবে বেসামরিক লোকজনকে লক্ষ্য করে এবং সম্প্রতি আরাকান আর্মির যোদ্ধাদের ওপরও তারা হামলা চালিয়েছে।

 

 

সীমান্তের দুই পাশে রোহিঙ্গা সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর কার্যকলাপ রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের পটভূমি প্রস্তুত করতে আরাকান আর্মির সঙ্গে ঢাকার সম্পৃক্ত হওয়ার প্রচেষ্টাকে ব্যাহত করতে পারে। কারণ, আরাকান আর্মি মনে করে, বাংলাদেশ, বিশেষ করে দেশটির নিরাপত্তা সংস্থাগুলো তাদের (আরাকান আর্মি) প্রতিপক্ষদের সঙ্গে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।

 

 

বাংলাদেশের প্রধান লক্ষ্য হলো, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের রাখাইনে প্রত্যাবাসন—যাদের সংখ্যা এখন ১০ লাখের বেশি। সীমান্তের দুই পাশে দুই দেশের ভেতর রাজনৈতিক অস্থিরতা সত্ত্বেও বাংলাদেশের এই লক্ষ্য অপরিবর্তিত রয়েছে। এ জন্য দেশের ভেতর এবং আন্তর্জাতিকভাবে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।

 

এসব পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সঙ্গে সহযোগিতার মাধ্যমে আলোচনার পথেই রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান কামনার ইঙ্গিত দেয়। তবে এই কৌশল বাস্তব পরিস্থিতির সঙ্গে অনেকাংশেই সাংঘর্ষিক বলে আইসিজির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

 


প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশেষ করে শরণার্থীশিবিরগুলো ও সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোয় যা ঘটছে, সেখানে রোহিঙ্গা সশস্ত্র গোষ্ঠী ও তাদের সহযোগীরা বাংলাদেশের নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর কাছ থেকে কিছুটা সহায়তা পাচ্ছে। কক্সবাজারে বাংলাদেশের নিরাপত্তা সংস্থাগুলো শরণার্থীশিবিরগুলোর ওপর কঠোর নিয়ন্ত্রণ বজায় রেখেছে এবং রোহিঙ্গা সশস্ত্র গোষ্ঠী ও আরাকান আর্মি—উভয়ের সঙ্গেই যোগাযোগ রাখছে।

 

ক্রাইসিস গ্রুপের প্রতিবেদনে রোহিঙ্গা শরণার্থী, আরাকান আর্মি এবং কয়েকজন বিশ্লেষকের বরাত দিয়ে আরও বলা হয়, তাঁরা দাবি করেছেন যে ২০২২ সালের শেষ দিক থেকে আরসার পুনরুত্থানের পেছনে বাংলাদেশের নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর ভূমিকা রয়েছে। তাঁদের মতে, আরসা জনপ্রিয়তা হারানোর পর এসব সংস্থা শরণার্থীশিবির থেকে তাদের উৎখাত করতে চেয়েছে। এ কারণে ২০২৪ সালের এপ্রিল-মে মাসে আরসার প্রতিদ্বন্দ্বী গোষ্ঠী আরএসও জোর করে সদস্য সংগ্রহ শুরু করলে তাদের বাধা দেওয়া হয়নি।

 


ক্রাইসিস গ্রুপ তাদের এই অনুসন্ধান নিয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সঙ্গে কথা বলেছে। ক্রাইসিস গ্রুপের সঙ্গে কথা বলার সময় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর গোয়েন্দা সংস্থা ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্সের (ডিজিএফআই) কর্মকর্তারা বলেছেন, শরণার্থীশিবিরে জোর করে সদস্য সংগ্রহ কার্যক্রমের কোনো ঘটনা ঘটেনি।

 

তবে নতুন সদস্য দলে টানার পরিমাণ এতটাই ব্যাপক ছিল যে বিষয়টি গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর চোখ এড়ানোর কথা নয়, ক্রাইসিস গ্রুপের প্রতিবেদনে তেমনটাই দাবি করা হয়েছে। রাখাইনে আরাকান বাহিনীর উত্থানের পর রোহিঙ্গা সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষের পথ ছেড়ে ঐক্যবদ্ধ হতে শুরু করে। ২০২৪ সালের নভেম্বরে এসব গোষ্ঠী একটি সমঝোতা চুক্তিতে পৌঁছায়।

 

রোহিঙ্গা সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে ৮ নভেম্বর হওয়া ওই সমঝোতা চুক্তির কৃতিত্ব দাবি করে ডিজিএফআই। সংস্থাটি এর নাম দিয়েছে ‘মিশন হারমনি’ এবং তাদের ‘মধ্যস্থতাকারী’ হিসেবে দিল মোহাম্মদকে বিশ্বের সামনে পরিচয় করিয়ে দেয়। উল্লেখ্য, জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস এ বছর মার্চে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্প সফর করেছেন।

 

 বাংলাদেশের কর্মকর্তা এবং বৈদেশিক নীতিবিশেষজ্ঞরা জোর দিয়ে বলেছেন, রোহিঙ্গা সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর প্রতি দেশটির কোনো আনুষ্ঠানিক সমর্থন নেই। বাংলাদেশি কর্মকর্তারা ও পররাষ্ট্রনীতি বিশ্লেষকেরা জোর দিয়ে বলেছেন, রোহিঙ্গা সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর প্রতি সরকারের কোনো সমর্থন নেই।

 

একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, ‘সরকারের নীতি আগের মতোই আছে। কোনোভাবেই আমরা তাদের সাহায্য করব না। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ভালো করেই জানেন, এটা করলে শুধু বিপদ বাড়বে। কেউ কি তাঁর নির্দেশ অমান্য করবে? কেউই এই বোকামিতে জড়াবে না।’

 

 

তবে সাবেক একজন বাংলাদেশি কূটনীতিক বলেন, ‘এসব স্থানীয় পর্যায়ে ঘটে। আমি ২০০ শতাংশ নিশ্চিত, এটা সরকারি নীতি নয়।’