মহাকাশ অর্থনীতির ভবিষ্যৎ
সরদার সিরাজ [সূত্র : ইনকিলাব, ১৫ মে ২০২৫]

মানুষের জ্ঞানের পরিধি যতই বাড়ছে, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উৎকর্ষ ততই প্রসারিত হচ্ছে। সেই সাথে বাড়ছে মহাবিশ্বে বিচরণের ক্ষেত্র। মহাকাশ অর্থনীতির পরিধিও বাড়ছে। মহাকাশ কর্মসূচিতে এক ডলার বিনিয়োগ করলে আট ডলারের অর্থনৈতিক সুবিধা পাওয়া যায়। মহাকাশ কর্মসূচিত অংশ নিয়ে ধর্মও পালন করা যায়। ১৯৮৫ সালে সউদী যুবরাজ সুলতান বিন সালমান মহাকাশে গিয়েছিলেন। সেখানে থাকাকালে তিনি রোজা রেখেছিলেন ও পবিত্র কুরআন পাঠ করেছিলেন স্বাচ্ছন্দে। ২০২১ সালে প্রকাশিত এসআই-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৈশ্বিক মহাকাশ অর্থনীতির আকার ৩৮৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের। সামনের দিনগুলোতে মহাকাশ অর্থনীতি আরও বড় ও শক্তিশালী হবে। অপরদিকে, মার্কিন বহুজাতিক বিনিয়োগ ব্যাংকের সিটি গ্রুপের ২০২২ সালের জুন মাসে প্রকাশিত তথ্য মতে, ২০৪০ সালের মধ্যে মহাকাশ শিল্পের বার্ষিক আয় ১ লাখ কোটি ডলারে পৌঁছবে। প-িতদের মতে, আরো বেশি হবে। কারণ, প্রচ- প্রতিযোগিতা চলছে মহাবিশ্বের গ্রহ-নক্ষত্রের বিভিন্ন কাজকর্মে। ফলে মহাকাশ অর্থনীতির আকার বাড়ছে কল্পনাতীতভাবে। মহাকাশের সাম্প্রতিক কিছু কর্মকা-ই তার জ্বলন্ত প্রমাণ।
উল্লেখ্য যে, মহাকাশে ২টি স্থায়ী কেন্দ্র রয়েছে। এর একটি চীনের নিজস্ব ‘থিয়াংকং’ এবং অন্যটি আন্তর্জাতিক আইএসএস (এটি যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, জাপান, কানাডা এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের পাঁচটি মহাকাশ সংস্থার যৌথ প্রকল্প। ১৯৯৮ সাল থেকে এটি কক্ষপথে রয়েছে), যা পৃথিবী থেকে ৩৫৪ কি.মি. দূরে স্থাপিত। এছাড়া, ২০২৪ সালের জুলাই মাসে নাসা ঘোষণা করেছে যে, নাসা চাঁদের কক্ষপথে একটি নতুন মহাকাশ স্টেশন নির্মাণ করবে, যার নাম রাখা হবে ‘লুনার গেটওয়ে’। উল্লেখ্য যে, ২০১১ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে নাসাকে চীনের সঙ্গে কাজ করতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। এরপর থেকে চীন নিজস্ব উদ্যোগে মহাকাশ স্টেশন তৈরি করে নিয়ে কাজ করছে। যা’হোক, মহাকাশের সাম্প্রতিক কিছু কর্মকা- হচ্ছে, যেমন: চীন ন্যাশনাল স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন গত ১৭ এপিল, ২০২৫ ঘোষণা করেছে যে, ২০২৫ সালে চীন মহাকাশে একাধিক মিশন পরিচালনা করবে।
এর মধ্যে রয়েছে থিয়ানওয়েন-২ গ্রহাণু অভিযান, শেনচৌ-২০ ও শেনচৌ-২১ মানববাহী মহাকাশযানের উৎক্ষেপণ। যুক্তরাষ্ট্রের বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ফায়ারফ্লাই এরোস্পেস-এর মহাকাশযান পৃথিবী থেকে ২৮ লক্ষ মাইল দূরে অবস্থিত চাঁদে পৌঁছেছে গত ২৫ মার্চ। এর আগে ইনটুইটিভ ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে চাঁদে যান পাঠিয়েছে। এছাড়া, সোভিয়েত ইউনিয়ন, চীন, ভারত ও জাপানও চাঁদে যান পাঠিয়েছে।
সুনিতা ও ব্যারি উইলমোর গত ৫ জুন, ২০২৪ বোয়িং স্টার লাইনার ক্যালিপসোতে চড়ে মহাকাশে যান ৮ দিনের জন্য। কিন্তু ঐ মহাকাশযানটির ত্রুটির কারণে তারা নির্ধারিত সময়ে ফিরে আসতে পারেননি। দীঘ ৯ মাস পর তথা গত ১৮ মার্চ , ২০২৫ তারা স্পেস এক্স ড্রাগন মহাকাশযানে ফেরত আসেন। এই সময়ে তাদের তেমন কোনো সমস্যা হয়নি, স্বাভাবিক ছিলেন এবং পৃথিবীর খাবার খেয়েছিলেন। এর আগে নাসার ফ্রাঙ্ক রুবিও এক বছরেরও বেশি সময় মহাকাশে এবং রাশিয়ান মহাকাশচারী ভ্যালেরি পলিয়াকভ মির স্পেস স্টেশনে ৪৩৭ দিন ছিলেন। যুক্তরাজ্যের সেন্ট্রাল ল্যাঙ্কাশায়ার ইউনিভার্সিটির পিএইচডি শিক্ষার্থী লোপেজ ও তাঁর সহকর্মীরা মহাকাশে অতি বিশাল এক আংটির আকৃতির কাঠামো আবিষ্কার করেছেন ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে, যার ব্যাস ১৩০ কোটি আলোকবর্ষ। আর চাঁদের চেয়ে ১৫ গুণ বড়। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা কাঠামোটির নাম দিয়েছেন ‘বিগ রিং’। যুক্তরাজ্যের রয়াল অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটির উপ-পরিচালক ড. রবার্ট ম্যাসির মতে, ‘বিগ রিং মহাবিশ্বে এ পর্যন্ত আবিষ্কৃত সপ্তম বৃহৎ কাঠামো।
’ ২০২৪ সালের ২৬ এপ্রিল প্রকাশিত টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী নাসার জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপের মাধ্যমে বিজ্ঞানীরা মহাকাশে ডাইমিথাইল সালফাইড গ্যাসের সন্ধান পেয়েছেন, যা শুধুমাত্র প্রাণ দ্বারা উৎপাদিত হয়। নাসার বিজ্ঞানীরা হাবল টেলিস্কোপ ব্যবহার করে সৌরম-লের বাইরে ভিনগ্রহে পানির সন্ধান পেয়েছেন ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে, যা পৃথিবীর প্রায় ৯৭ আলোকবর্ষ দূরে এবং ব্যাস পৃথিবীর ব্যাসের প্রায় দ্বিগুণ। বিজ্ঞানীরা গ্রহটির নাম দিয়েছেন জিজে ৯৮২৭ডি। বিজ্ঞানীরা ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে অষ্টম ‘মহাদেশের’ খোঁজ পেয়েছেন, যার নামকরণ করেছেন জিল্যান্ডিয়া। প্রায় ৮ কোটি ৩০ লক্ষ বছর আগে পৃথিবীতে এক অতিকায় মহাদেশ ছিল, যার স্থলভাগ এক সময়ে ভেঙে যায়, যা থেকে এর সৃষ্টি। প্রায় ৫০ লক্ষ বর্গ কিলোমিটার জুড়ে জিল্যান্ডিয়ার বিস্তৃতি। সমুদ্রের তলায় ডুবে রয়েছে এর বেশিরভাগ। জেগে রয়েছে ছিটে ফোঁটা কিছু দ্বীপ, যার একটি নিউজিল্যান্ড। এর বিশদ বিবরণ প্রকাশিত হয়েছে টেকটনিক্স জার্নালে। বিজ্ঞানীরা প্রথমবারের মতো মহাকাশে ইঁদুরের ভ্রুণ বিকাশের পরীক্ষায় সাফল্য পেয়েছেন ২০২৩ সালের অক্টোবরে। আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে মানুষের গর্ভাবস্থার পরিস্থিতি বুঝতে এই পরীক্ষা চালানো হয়।
ইলন মাস্কের স্টার লিঙ্ককে চ্যালেঞ্জ করার আশায় অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস ব্রডব্যান্ড স্যাটেলাইট ইন্টারনেটের জন্য মহাকাশে কৃত্রিম উপগ্রহ পাঠিয়েছেন ২০২৩ সালের অক্টোবরে। ভারতের চন্দ্রযান-৩ চাঁদের রহস্যময় দক্ষিণ মেরু থেকে নতুন চিত্র প্রকাশ করেছে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে। সে মতে, চন্দ্রপৃষ্ঠের তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মতো। আর ৩ ইঞ্চির মতো নিচের তাপমাত্রা মাইনাস ১০ ডিগ্রি, যা একেবারে হিমশীতল। সেখানে যুক্তরাষ্ট্র, চীন এবং রাশিয়া যাওয়ার চেষ্টা করেছে। এছাড়া চীনের চ্যাংগ’ই-৪ রোভার চাঁদের দক্ষিণ মেরুর কাছে একটি বিশাল গর্তের প্রমাণ পেয়েছে। চাঁদের মাটিতে সালফার, অ্যালুমিনিয়াম, ক্যালসিয়াম আয়রন, টাইটানিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, ক্রোমিয়াম এবং অক্সিজেনের উপস্থিতি রয়েছে। ইলন মাস্কের স্পেস এক্স কক্ষপথে ৪৮০০টি কৃত্রিম উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করেছে। বেজোসের লক্ষ্য কক্ষপথে ৩২০০টিরও বেশি কৃত্রিম উপগ্রহ স্থাপন করার। অ্যাপোলো ১১, ১২ এবং ১৭ অভিযানের মাধ্যমে চাঁদ থেকে আনা মাটিতে গাছ লাগিয়ে প্রথমবারের মতো সফল হয়েছেন ফ্লোরিডা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা ২০২২ সালের মে মাসে, যা প্রকাশিত হয়েছে কমিউনিকেশন বায়োলজি জার্নালে।
আমাজন ও ব্লু অরিজিনের প্রতিষ্ঠাতা ও বিশ্বের অন্যতম ধনকুবের জেফ বেজোসের মতে, মহাশূন্যে একদিন মানবশিশু জন্ম নেবে। উপরন্তু সেখানে আস্ত একটা উপনিবেশ গড়ে উঠবে। যার নামকরণ হবে নিল স্পেস কলোনি। সেখান থেকে মানুষ সহজে পৃথিবীতে বেড়াতে আসবে। ১৯৭৬ সালে প্রিন্স টনের পদার্থবিজ্ঞানী জিরার্ড ও’নিল প্রথম মহাশূন্যে উপনিবেশ স্থাপনের ধারণার কথা জানান। তাঁর স্মরণে জেফ বেজোস মহাশূন্যে সম্ভাব্য উপনিবেশের নাম দিয়েছেন ‘নিল স্পেস কলোনি’। ২০২১ সালের নভেম্বরে প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে কাঁচা মরিচ চাষ করা হয়েছে। মহাকাশচারীরা সেই কাঁচা মরিচ খেয়েছেন বলে নাসা জানিয়েছে। ২০২১ সালের অক্টোবরে প্রকাশিত নাসা সায়েন্স সূত্রে জানা গেছে, ল্যান্ডারের পর এবার চাঁদে চলবে মোটরসাইকেল, যা চলবে সৌরশক্তিতে। এই মোটরসাইকেলের নকশা বানিয়েছেন রাশিয়ার প্রযুক্তবিদ অ্যান্ডু ফাবিশেভস্কি।
পেশায় তিনি অটোমোটিভ ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডিজাইনার। বিজ্ঞানীরা ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে নতুন একটি গ্রহ পেয়েছেন, যার নাম এইচডি১১৪০৮২বি ও আকার পৃথিবীর প্রায় দ্বিগুণ। গ্রহটি প্রায় ৩০০ আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত। জার্মানির ম্যাক্স প্ল্যাঙ্ক ইন্সটিটিউট ফর অ্যাস্ট্রোনমির অ্যাস্ট্রোফিজিসিস্ট জাখোজায় বলেন, এর বয়স মাত্র দেড় কোটি বছর, যা একটি তরুণ গ্রহের বয়সের দুই-তিন গুণ বেশি। এর ভর বৃহস্পতি থেকে আট গুণ বেশি। জাপানের বেসরকারি প্রতিষ্ঠান আই স্পেসের হাকুতো-আর চাঁদের উদ্দেশ্যে একটি মহাকাশযান পাঠিয়েছে ২০২২ সালের ডিসেম্বরে, যা ২০২৩ সালের এপ্রিলে চাঁদে অবতরণ করেছে, যার মূল লক্ষ্য ২০৪০ সালের মধ্যে একটি স্থায়ী ‘চন্দ্র-উপনিবেশ’ নির্মাণ করা-ভোয়া। নাসা ও সিএনইএস পৃথিবীর ভূপৃষ্ঠ থেকে ৮৫০ কিলোমিটার ওপরে একটি স্যাটেলাইট স্থাপন করেছে ২০২২ সালের ডিসেম্বরে, যা পৃথিবীর ৯০% অঞ্চলের সমুদ্র, হ্রদ, বিল, নদী পর্যবেক্ষণ করে তথ্য পাঠাবে। এতে জলবায়ু পরিবর্তনের আসল চিত্র বের করতে সুবিধা হবে বলে এক দৈনিকে প্রকাশ।
ইতালির ‘লুকা কার্সি আর্কিটেক্ট’ এবং যুক্তরাজ্যের স্থপতি টিম ফু নেতৃত্বে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সহায়তায় একটি টেকসই এবং পরিবেশ-বান্ধব ভাসমান শহরের নকশা প্রস্তত করা হয়েছে ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে, যাতে বসবাসের জায়গাগুলো সবই স্থলপথ, আকাশপথ এবং পানিপথে সংযুক্ত এবং আধুনিক জীবনযাত্রার সমস্ত ব্যবস্থাই রয়েছে। সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতার পরিবর্তনের সাথে সাথে এর উচ্চতাও বাড়ে। ইতালির ভেনিসে আলব্রিজি-ক্যাপেলো ২০২৩ সম্মেলনে এবং অন্যান্য স্থানে এটি উন্মোচন করা হয়েছে।
মার্কিন নাগরিক ডেনিস এম হোপ গ্যালাকটিক গভর্নমেন্ট বা ছায়াপথ সরকারের প্রথম রাষ্ট্রপতি। চাঁদ, মঙ্গল গ্রহ, ভেনাস, বুধ এমনকি জুপিটারের চাঁদ আইওর মালিক তিনি। ইচ্ছা করলেই তিনি চাঁদ অথবা মঙ্গলের শত শত একর জমি বিক্রি করতে পারেন। ইতোমধ্যেই তিনি প্রতি একর ১৯.৯৯ মার্কিন ডলার হারে চাঁদের ৬১ কোটি ১০ লাখ একর (চাঁদের ৭.৫ শতাংশেরও বেশি) বিক্রি করেছেন। বিশ্বের নানা দেশের ৪২ লাখ ৫০ হাজার ব্যক্তি চাঁদে জমি কিনেছেন।তাঁদের মাঝে রয়েছেন আড়াই শ সেলেব্রিটি। যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক তিন প্রেসিডেন্ট জর্জ সিনিয়র বুশ, জিমি কার্টার এবং রোনাল্ড রিগানও এই কাতারে রয়েছেন। জমি কেনার তালিকায় রয়েছে অনেক খ্যাতিমান প্রতিষ্ঠানও। ছায়াপথ সরকারের রয়েছে নিজস্ব মুদ্রা। এটার নাম ‘ডেল্টা’। রয়েছে নিজস্ব সংবিধান। তারা চাঁদের বুকে তিন কিলোমিটার দীর্ঘ ও আড়াই কিলোমিটার উঁচু একটি নগরী স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এটা দেখতে হবে চার কোণাকার পিরামিডের মতো।
৭০ হাজার লোক সেখানে থাকতে পারবে। অথচ, ১৯৬৭ সালে চালু হওয়া এক আন্তর্জাতিক চুক্তি অনুযায়ী কোনো ব্যক্তি বা সংস্থার পৃথিবী বহির্ভূত কোনো সম্পত্তির মালিকানা স্বীকৃত নয়। এ চুক্তিতে পৃথিবী বহির্ভূত যাবতীয় বস্তুকে সমগ্র মানবজাতির ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে বলে ২০২৪ সালের এক দৈনিকে প্রকাশ। নাসার মহাকাশযান ইউরোপা ক্লিপার এলিয়েনের সন্ধানে ২০২৪ সালের ১৪ অক্টোবর যাত্রা করে বৃহস্পতির চাঁদ ইউরোপায়, যা ২০৩০ সালে ইউরোপার কাছে পৌঁছবে, যার উদ্দেশ্য হলো, বৃহস্পতির চাঁদের পৃষ্ঠের নিচে সম্ভাব্য জীবন সমর্থনকারী উপাদানগুলো খুঁজে বের করা। বাংলাদেশের স্পারসো ও বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট মহাকাশ অর্থনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়েছে। কিন্তু এসবের সুফল নেই তেমন। স্পারসোর সাবেক চেয়ারম্যান মো. জাফর উল্লাহ খানের মতে, অদূর ভবিষ্যতে মহাকাশ অর্থনীতির যে বিশাল আকার দাঁড়াবে, তার ন্যূনতম অংশ ধরতে চাইলে প্রথম দিকের বিনিয়োগগুলো সরকারকে করতে হবে। পরে নীতিমালা করেতে হবে। তারপর বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এগিয়ে এলে এই শিল্প বিকশিত হবে।
লেখক: সাংবাদিক ও কলামিস্ট।