নির্বাচন হলেই সংকট দূর হবে?
রায়হান আহমেদ তপাদার। সূত্র : দেশ রূপান্তর, ০৪ মে ২০২৫

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর দেশে একটা অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এ রকম পরিস্থিতিতে রাষ্ট্র পরিচালনার চ্যালেঞ্জিং কাজটিতে হাত দিয়েছেন নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তার অদম্য সাহস ও মনোবল আছে বলেই তিনি চ্যালেঞ্জিং কাজটি সহজভাবে নিয়েছেন। দুর্নীতিগ্রস্ত ও অগণতান্ত্রিকভাবে ভেঙে পড়া একটা রাষ্ট্রকে গড়ে তোলার কাজে নেমে পড়েছেন। গঠন করেছেন বিভিন্ন সংস্কার কমিশন। গত তিনটি নির্বাচনে জনগণ যে ভোট দিতে পারেননি, সেই আক্ষেপ ও নির্বাচনের প্রতি মানুষের যে অনাস্থা, তা ফিরিয়ে আনতে গঠন করেছেন নির্বাচন সংস্কার কমিশন। অধ্যাপক ইউনূস জাতির উদ্দেশে তার প্রতিটি ভাষণে বলেছেন, আগে সংস্কার, তারপর নির্বাচন হবে। সংস্কারের মাধ্যমে নির্বাচনব্যবস্থাকে সমুন্নত করে জনগণের আস্থা ফেরানো হলে তিনি সুন্দর ও সুষ্ঠু একটা নির্বাচন দিয়ে বিদায় নেবেন। কিন্তু বিএনপিসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দল ও রাজনীতিবিদদের বক্তব্য এবং বিবৃতি দেখে মনে হয়, অধ্যাপক ইউনূস আজীবনের জন্য ক্ষমতা দখল করে ফেলেছেন।
রাজনীতিবিদদের এসব বক্তব্যের কারণে অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর জনগণের যে আস্থা রয়েছে, সেখানে ফাটল ধরতে শুরু করেছে। যারা সংস্কারবিহীন নির্বাচন চায়, তাদের বোঝা উচিত, অন্তর্বর্তী সরকার কেন গঠিত হয়েছিল? কেবল একটি নির্বাচনের ব্যবস্থা করে বিদায় নেওয়ার জন্য নয়? গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ সরকার মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে পুঁজি করে যে লুটপাট, গুম, খুন, ধর্ষণ ও দুর্নীতি করেছে, স্বাধীনতার ৫৪ বছরে এভাবে কোনো গোষ্ঠী লুটপাট করেনি। গত তিনটি নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণকে যেভাবে ভোট থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে, তা কোনো গণতান্ত্রিক সংবিধান ব্যবস্থায় বৈধ হতে পারে না। আওয়ামী লীগ সরকারের এমন ব্যবস্থাকে বিলুপ্ত করার জন্য কেবল একটিই মাধ্যম ছিল, সেটি হলো সংস্কার। অন্তর্বর্তী সরকার সে পথেই হাঁটছে, কাজ করে যাচ্ছে। আর এই সংস্কারে কিছুটা সময় ব্যয় হলে রাজনৈতিক দলগুলোর সমস্যা কোথায়?
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস আবারও জানিয়েছেন, তারা দেশের ইতিহাসে সেরা নির্বাচন আয়োজন করবেন। এশিয়ান নেটওয়ার্ক ফর ফ্রি ইলেকশনসের (এএনএফআরইএল) প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে তিনি বলেছেন, ‘আমরা নিশ্চিত করতে চাই, এ নির্বাচন হবে বাংলাদেশের ইতিহাসের সেরা এবং দেশে গণতান্ত্রিক অভিযাত্রায় এক মাইলফলক।’ এর আগেও তিনি একই কথা বলেছেন। সরকারপ্রধানের আসন থেকে আসা এ বক্তব্যকে সরকারের অঙ্গীকার হিসেবে ধরে নেওয়া সংগত হবে। পরপর তিনটি একতরফা ও কলঙ্কিত নির্বাচনের পর একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন শুধু রাজনৈতিক দল নয়, দেশবাসীর কাছে বহুল প্রত্যাশিত। তবে প্রশ্ন হচ্ছে, রাজনীতির মাঠের বাস্তবতা কী এ অঙ্গীকার পূরণ হওয়া সম্ভাব? অন্তর্বর্তী সরকারকে শুরু থেকেই অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে চলতে হচ্ছে।
কর্র্তৃত্ববাদী শেখ হাসিনার ধ্বংস করে যাওয়া নির্বাচন ব্যবস্থা, লুটপাট ও চৌর্যতন্ত্রের ফলে ধ্বংস হওয়া অর্থনীতি এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসনকে দলীয়করণের জের এখনো বহন করতে হচ্ছে। সরকার আইনশৃঙ্খলায় পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি। হত্যাকাণ্ড, মব সহিংসতা, চাঁদাবাজি, দখল, নারীকে হেনস্তা অব্যাহত আছে। এ পরিস্থিতির সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলোর বিভিন্ন বিষয়ে বিপরীতমুখী অবস্থান। বিশেষ করে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি নির্বাচনী রোডম্যাপ, সংস্কার, গণহত্যার বিচার ইত্যাদি ইস্যুতে ভিন্ন মেরুতে দাঁড়িয়ে আছে। বিএনপি ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের তাগিদ দিচ্ছে। বিএনপি শুরু থেকে বলে আসছে, নির্বাচনের জন্য যতখানি সংস্কার দরকার ততখানি সংস্কার করে ডিসেম্বরেই নির্বাচন করা সম্ভব। সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। নির্বাচিত সরকার ও সংসদ সংস্কার কর্মসূচি ধারাবাহিকভাবে বাস্তবায়ন করবে। কিন্তু তা কতটুকু বাস্তবায়ন করতে পারবেন সেটাই ভাবার বিষয়।
অন্যদিকে নির্বাচনী রোডম্যাপ ও সংস্কার প্রশ্নে জামায়াতে ইসলামীর অবস্থান স্পষ্ট নয়। শুরুতে জামায়াতের বক্তব্য ছিল, সংস্কার বাস্তবায়ন ছাড়া যেনতেনভাবে একটি নির্বাচন কোনো ফল বয়ে আনবে না। জামায়াত গণহত্যার বিচারের দাবিও সামনে নিয়ে আসে। জামায়াতের অবস্থান হলো, সংস্কার, জুলাই গণহত্যার বিচারের দৃশ্যমান অগ্রগতি এবং রাজনৈতিক সহাবস্থান সংসদ নির্বাচনের আগে এই তিন শর্ত পূরণ করতে হবে। রাজনীতির মাঠের আরেক শক্তি নবগঠিত জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এখন সংস্কার বাস্তবায়নের পর নির্বাচনের দাবি জানাচ্ছে। গত ২০ এপ্রিল সিইসির সঙ্গে বৈঠক শেষে অনুষ্ঠিত এক ব্রিফিংয়ে দলটির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশ অক্ষরে অক্ষরে বাস্তবায়নের পর নির্বাচনের দাবি জানান।
এনসিপি সংস্কার ও গণহত্যার বিচারের আগে নির্বাচনী রোডম্যাপের বিরোধিতা করে চলেছে। ইসির তৎপরতা নিয়েও এনসিপি সন্দেহ পোষণ করছে। এনসিপি বর্তমান নির্বাচন কমিশনের গঠন প্রক্রিয়া নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে। এর আগে দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম অভিযোগ তুলেছেন, প্রশাসন বিএনপির পক্ষে, তাদের অধীনে নির্বাচন সম্ভব নয়। গত ১৬ এপ্রিল ট্রাম্প প্রশাসনের কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠক শেষে নাহিদ বলেন, ‘প্রশাসন বিএনপির পক্ষ অবলম্বন করছে অনেক জায়গায়।’ মৌলিক সংস্কার ছাড়া এনসিপি নির্বাচনে অংশ নেবে না বলেও আভাস দিয়েছেন তথ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব ছেড়ে আসা এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর বৈঠক গত রমজান মাসের শুরু থেকে ধারাবাহিকভাবে চলছে।
কমিশনের সুপারিশের সঙ্গে একমত, আংশিক একমত, ভিন্নমতের পাশাপাশি বিভিন্ন দলের নতুন সুপারিশ নিয়ে বৈঠক চলছে। সংস্কার প্রশ্নে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সমঝোতা প্রতিষ্ঠার জন্য কমিশন কাজ করছে। তবে সংস্কারের অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাবে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ব্যাপক মতভিন্নতা রয়েছে। বিশেষ করে সংবিধান এবং নির্বাচনী ব্যবস্থা সংস্কার সুপারিশের ক্ষেত্রে বিএনপি এবং এনসিপির অবস্থান একেবারেই বিপরীতমুখী। যেমন বিএনপি প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা কমানোর বিপক্ষে। অন্যদিকে এনসিপি প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা কমানোর প্রস্তাব করেছে। প্রধানমন্ত্রী শাসিত নয়, এনসিপি মন্ত্রিপরিষদ শাসিত সরকারের কথা বলেছে। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের অনেক চ্যালেঞ্জের মধ্যে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হবে সংস্কার প্রশ্নে রাজনৈতিক দলগুলোকে এক প্ল্যাটফর্মে নিয়ে আসা। নির্বাচনের রোডম্যাপ নিয়েও ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে চাপের মধ্যে থাকতে হবে। শুধু বিএনপি নয়, সিপিবি, বাসদসহ অনেক দলই ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের দাবি জারি রেখেছে।
ইতিমধ্যে অভিযোগ উঠেছে, অন্তর্বর্তী সরকারপ্রধান প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস তার নিয়োগকর্তা ছাত্রদের দল এনসিপিকে সুবিধা করে দেওয়ার জন্য নির্বাচনের সময়সীমা নিয়ে কালক্ষেপণ করছেন। আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা অন্যতম দাবি এনসিপির। প্রধান উপদেষ্টা এর আগে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার পরিকল্পনা নেই এমন বক্তব্য দেওয়ার পর এনসিপি তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপির মধ্যে বিভিন্ন বিষয়ে যে দূরত্ব বিরাজ করছে, তা দূর করা অথবা কমিয়ে আনা সহজ নয়। সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান তার বিভিন্ন বক্তৃতায় ১৮ মাসের মধ্যে নির্বাচন দিয়ে গণতন্ত্রে ফিরে যাওয়ার কথা বলেছেন। ড. মুহাম্মদ ইউনূস দেশের ইতিহাসে সেরা নির্বাচন আয়োজনের কথা বলেছেন। সেরা নির্বাচন হবে কি না, তা এখনই বলা মুশকিল। তবে আগামী জাতীয় নির্বাচন যে দেশের ৫৩ বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে কঠিন নির্বাচন হবে, এ কথা বলাই যায়। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, সংস্কার ছাড়া একটা নির্বাচন দিয়ে দিলেই সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে কি?
মূলত গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার বা সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ তৈরির জন্যই তো দরকার নির্বাচনব্যবস্থার সংস্কার। এ জন্য বিএনপিসহ অন্য রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত অন্তর্বর্তী সরকারকে সহযোগিতা করা। উৎকৃষ্ট গণতন্ত্র চাইলে শুধু নির্বাচন দিলে হবে না, প্রয়োজনীয় সংস্কার করতে হবে। এ ক্ষেত্রে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় উত্তরণের জন্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে তৈরি করা চ্যালেঞ্জ। এই বক্তব্য এসেছে ঢাকায় এক আলোচনা সভায়। আলোচকরা এও বলেছেন, ‘এখানে জোড়াতালি দিয়ে সংস্কার করা হলে সেটা দীর্ঘস্থায়ী হবে না। কোনো রাজনৈতিক দল এসব সংস্কার করেনি; কিন্তু দলগুলোর মধ্যে এমনটা অনুধাবন করতে দেখা যাচ্ছে না যে, তাদেরও বদলাতে হবে। গণতন্ত্রের পথে উত্তরণে চ্যালেঞ্জ কোথায় এবং গণতন্ত্র কেন প্রয়োজন তা বুঝতে হবে। এটা নির্ধারণ করা না গেলে চ্যালেঞ্জ কোথায়, তা বের করা যাবে না। মানুষ কতকগুলো ন্যূনতম অধিকার জন্মসূত্রে পায়।
সেসব অধিকার রক্ষার পথ হলো গণতন্ত্র। আর তা নিশ্চিত করতে পারে রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠান। বিগত সরকারের আমলে প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস করা হয়েছে। স্বৈরাচারী ব্যবস্থা থেকে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় উত্তরণের জন্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে তৈরি করা চ্যালেঞ্জ। রাষ্ট্রের পরিবর্তন ছাড়া সমাধান সম্ভব নয়। এখানে পট্টি দিয়ে করলে সেটা বেশিক্ষণ স্থায়ী হবে না। এই পরিবর্তন এক দিনে, এক বছরে, পাঁচ বছরে হবে না। এখানে দেখতে হবে রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠান তৈরির নির্ধারিত পথে আছে কি না। গণতন্ত্রে উত্তরণের দ্বিতীয় পথ হলো ঐকমত্যে পৌঁছানোর চেষ্টা। সবাই একমত হবে তা নয়। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে ভিন্নমত থাকতেই পারে। যৌক্তিক দ্বিমত পোষণ করার অধিকারই গণতন্ত্র। কিন্তু ঐকমত্যে পৌঁছানোর আন্তরিক চেষ্টা থাকতে হবে। এত বড় একটি অভ্যুত্থান হয়েছে, আওয়ামী লীগ কার্যত গণহত্যার সঙ্গে জড়িত ছিল। তবে আশঙ্কার বিষয় হচ্ছে, দলটির একজন নেতাও অনুশোচনা প্রকাশ করেননি।
অপরদিকে আন্দোলন সফল হওয়ার পর অন্য কোনো দলেও নিজ থেকে পরিবর্তনের চেষ্টা দেখা যাচ্ছে না। দলগুলো যদি সংস্কৃতি বদলের পদক্ষেপ না নেয়, তাহলে পরিবর্তন আশা করা কঠিন। সংস্কার প্রয়োজন, কিন্তু রাজনৈতিক দলগুলো অনুধাবন করছে না যে, তাদেরও দলীয় রাজনৈতিক সংস্কৃতির পরিবর্তন করতে হবে। মনে রাখতে হবে, শুধু নির্বাচনের জন্য বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে এত মানুষ জীবন দেয়নি। সিদ্ধান্ত নিতে হবে, আমরা কেমন সংস্কার ও গণতন্ত্র চাই? এরপর নির্বাচনের দিকে এগোতে হবে। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে বলতে হচ্ছে যে, আমাদের দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সম্পর্ক সাপে-নেউলের মতো। কেউ কাউকে সহ্য করতে পারে না।
একজন যদি চলে ডানে, অন্যজন বামে। কেউ কারও মুখোমুখি হতে রাজি নয়। যদি এ রূপ অবস্থা হয় তাহলে কীভাবে সংলাপে বসবে? আর সংলাপ ছাড়া শান্তিপূর্ণভাবে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। কেননা, যে দল নির্বাচনে জয়লাভ করবে তার বিপরীত দল বলবে এ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়নি। তখন আবার রাজনৈতিক অস্থিরতা বিরাজ করবে। দেশ ধ্বংসের মুখে নিমজ্জিত হবে। যেখানে মানুষ কঠোর পরিশ্রম করে জীবন ধারণ করতে ব্যর্থ হয়, সেখানে যদি আবার রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব শুরু হয় তা হলে অনেক অসহায় মানুষকে কষ্টের সাগরে ভাসতে হবে। বিনা চিকিৎসায় অনেকের জীবনের প্রদীপ নিভে যাবে। খাদ্যের অভাবে ক্ষুধা নিয়ে রাজপথে ঘুরতে হবে।
এতে জনগণ তাদের মৌলিক অধিকার হারাবে। জনগণের অধিকার নিয়ে ছিনিমিনি খেলার অধিকার রাজনৈতিক দলগুলোর নেই। ক্ষমতার লোভ ত্যাগ করে দেশের উন্নয়নের কথা চিন্তা করে সব দলকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা উচিত। কারণ দেশের সাধারণ নাগরিক শান্তি চায়, বিশৃঙ্খলা ও অশান্তি আর দেখতে চায় না। সবশেষে বলি, করিডর নিয়ে যে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে, তার প্রেক্ষাপট ভিন্ন। সে আলোচনা অন্য একটি লেখায় বিস্তারিত বলা যাবে। তবে সবাইকে নিশ্চিতভাবেই মনে রাখা দরকার, দেশের সার্বভৌমত্ব এবং নিরাপত্তার বিষয়ে কোনো দলই ছাড় দেবে না। এ বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলো একমত।
লেখক: গবেষক ও কলাম লেখক