কল করুন

কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স

ন্যায়বিচার নিশ্চিতে স্বাধীন বিচার বিভাগের ভূমিকা

আ ন ম মাছুম বিল্লাহ ভূঞা । সূত্র : শেয়ার বিজ, ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

ন্যায়বিচার নিশ্চিতে স্বাধীন বিচার বিভাগের ভূমিকা

‘তেল আর জল’ দুটো তরল পদার্থ হলেও একসঙ্গে না মেশার প্রধান কারণ পোলারাইজেশন। যার কারণে দুটি তরল পদার্থ একপাত্রে রাখলেও একসঙ্গে মেশে না। তেমনি নির্বাহী বিভাগ ও বিচার বিভাগ রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হলেও পোলারাইজেশনের কারণে একসঙ্গে মেশার সুযোগ খুবই কম। কারণ রাষ্ট্রের প্রধান তিনটি অঙ্গের (আইন, নির্বাহী, বিচার বিভাগের) মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য ঠিক রাখতে হয়। বিচার বিভাগ (জুডিশিয়ারি) হচ্ছে রাষ্ট্রের অন্যতম প্রধান অঙ্গ।

 

 

পানিকে নিরাপদ ও সুপেয় করতে যেভাবে ফিল্টার করা হয়, ঠিক তেমনি সাম্য ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় বিচার বিভাগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সাম্য ও ন্যায়বিচারের মাধ্যমে নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করা সম্ভব। নির্বাহী বিভাগ সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্র পরিচালনা করছে কিনা, আইন বিভাগ জনগণের স্বার্থের বিরুদ্ধে জাতীয় সংসদে আইন পাস করছে কিনা, তা দেখবাল করার দায়িত্ব বিচার বিভাগের হাতে ন্যস্ত। তিন বিভাগের মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য নীতি না থাকলে, আইন ও নির্বাহী বিভাগ স্বৈরাচারী হয়ে উঠতে পারে।

 

 

বাংলাদেশে ২০০৭ সালে বিচার বিভাগ পৃথকীকরণের পর ১৭ বছর অতিবাহিত হলো। আজও অনেকের মনে প্রশ্ন যে, এই তথাকথিত পৃথকীকরণ এর ফলে জনগণ কী পেল? বিচার বিভাগ বিভাগ নির্বাহী বিভাগ থেকে আলাদা হয়েছে, কিন্তু স্বাধীন কি? তাদের অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে, পৃথকীকরণের ফলে তেমন সুফল জনগণ পায়নি, কারণ ১৫ বছরেরও বেশি সময় স্বৈরাচার (মাফিয়া) সরকার রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে ছিল। তবে বিচার বিভাগ নির্বাহী বিভাগ থেকে পৃথক-ই শুধু নয়, স্বাধীন করা হলে যে আমূল পরিবর্তন করা যেত তার পুরো সুফল জনগণ ভোগ করতে পারত।

 

 

 যদিও ২০০৭ সনের আগে পূর্ণকালীন ও খণ্ডকালীন মিলিয়ে যেখানে দুই হাজারের বেশি ম্যাজিস্ট্রেট কাজ করতেন সেখানে মাত্র ৬৪৩ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের পদ সৃজন করা হয়, তথাপি এই ৬৪৩ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তাদের নিরলস পরিশ্রম, দক্ষতা, যোগ্যতা ও পেশাদারিত্ব দিয়ে এ দেশের ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থাকে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যেতে প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হয়েছে। তার কয়েকটি উদাহরণ উল্লেখ করা হলো: ফ্যাসিবাদী সরকারের আইন ও বিচারমন্ত্রী আনিসুল হকের দাপট ছিল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট থেকে শুরু করে মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ পর্যন্ত ছিল।

 

 

আপিল বিভাগের প্রধান বিচারপতির আসনে থাকা হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ফ্যাসিবাদ অনুগত ছিল। তার নেতৃত্বে আপিল বিভাগ আরও একধাপ এগিয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে খুশি করে। হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর আপিল বিভাগ ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের জামিন বহাল রাখে এবং উল্টো জামিনের বিরুদ্ধে হাইকোর্ট বিভাগে দায়ের করা পুরো আবেদনটি বাতিল করে দেয়। বিচার বিভাগ এখনও ফ্যাসিবাদী শাসন আমলের সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করছে। এ রকম ঘটনাও ঘটেছে বলে রিপোর্ট প্রকাশ করেছে বেশ কয়েকটি গণমাধ্যম।

 


তাদের দাপটের কাছে আইন ছিল অসহায়। তাদের পছন্দ না হলে হাইকোর্ট বিভাগের রায় পরিবর্তন করত। এ ক্ষেত্রে আইনের কোনো তোয়াক্কাই ছিল না। আনিসুল হক এর চাওয়াটাই ছিল আইন। বিচার বিভাগের প্রতিটি স্তরে রায় আসত ফ্যাসিবাদী সরকারের মতো করেই। ব্যতিক্রম হলে রায় ফিরিয়ে নেয়ার ঘটনাও ঘটেছে খোদ হাইকোর্ট বিভাগে। বাংলার বিখ্যাত প্রবাদ ছিল ‘হাকিম নড়বে, তবুও হুকুম নড়বে না’। এই প্রবাদকে হার মানিয়েছে মন্ত্রী আনিসুল হকের দাপট ও ফ্যাসিবাদ অনুগত বিচারকরা।

 

 

শুধু কি প্রবাদ বাক্যকে হার মানিয়েছেন তারা? সিআরপিসি বা ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৬৯ ধারা লঙ্ঘন করে অন্তর্বর্তী আদেশ পরিবর্তন করা হয়েছে। অনুগত বিচারকরা নিজেদের পদ-পদবির অপব্যবহার করেছেন ফ্যাসিবাদের আইন ও বিচারমন্ত্রীকে খুশি রাখতে। নিজেও হাতিয়েছেন কোটি কোটি টাকা এবং জেলা আদালতের অনুগত বিচারকরা হয়েছেন নানাভাবে পুর¯ৃ‹ত। কেউ ঢাকায় পোস্টিং ধরে রেখেছেন, কেউ পদোন্নতি পেয়ে হাইকোর্ট বিভাগে নিয়োগ পেয়েছেন। অনুসন্ধানে আরও জানা যায়, মন্ত্রী আনিসুল হক আলোচিত দুটি মামলার রায় পরিবর্তন করেছিলেন; এর মধ্যে রয়েছে, ২০১৭ সালের ২৮ মার্চ বনানীর রেইন ট্রিতে সংঘটিত ধর্ষণ মামলার রায়।

 

 

অর্থের বিনিময়ে আইন মন্ত্রণালয়ে মামলার রায়ের নথি লেখা হয়। ফারমার্স ব্যাংকের ঋণ কেলেঙ্কারির দুর্নীতির মামলায় চিশতি পরিবারেরকে বিপুল অঙ্কের টাকার বিনিময়ে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ থেকে জামিনের ব্যবস্থা করানো হয়। এ ছাড়া নারায়ণগঞ্জের একটি ফুড কোম্পানির কারখানায় ৫১ জন মানুষ পুড়ে মারা যায়। আরও ৫০ জন পুড়ে গুরুতর জখম হন। আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করার পর অভিযুক্তদের জামিনের ব্যবস্থা করা হয়। তাছাড়াও গুলশানের চাঞ্চল্যকর মুনিয়া ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় অর্থবাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে আনিসুল হকের বিরুদ্ধে, বিপুল অর্থের বিনিময়ে এ মামলা থেকে আসামিরা অব্যাহতি পান।

 

 

নির্বাহী বিভাগ, আইনসভা বা পার্লামেন্ট এবং বিচার বিভাগ: এ তিনটি হলো একটি রাষ্ট্রের মূল স্তম্ভ। এ তিন স্তম্ভ পরস্পরের জবাবদিহি নিশ্চিত করে ক্ষমতার ভারসাম্য রক্ষা করে। নির্বাহী বিভাগের প্রধান যিনি, নির্বাহী বিভাগের সর্বোময় কর্তা তিনিই, একই সঙ্গে আইনসভা বা পার্লামেন্টের নিয়ন্ত্রক। ফলে নির্বাহী প্রধান যা বলবেন, তার বাইরে পার্লামেন্টে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়ার সুযোগ আমাদের সংবিধানে নেই। সংবিধানের ৪৮ অনুচ্ছেদে বলা আছে, রাষ্ট্রপতি শুধু দুটো কাজ, প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ এবং প্রধান বিচারপতি নিয়োগদান ছাড়া বাকি সব কাজ প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ (অবশ্যপালনীয়) মোতাবেক করতে হবে।

 

 

এর মানে, রাষ্ট্রপতি যে কাজগুলো করছেন, সেগুলো করছেন প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ মোতাবেক। এককথায় নি¤œ আদালত রাষ্ট্রপতির নির্দেশে চলা মানে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে চলা। অর্থাৎ নি¤œ আদালত প্রধানমন্ত্রীর নিয়ন্ত্রণে কাজ করবেন। উচ্চ আদালতের ব্যাপারে সংবিধানের ৯৫ অনুচ্ছেদে বলা আছে, ‘প্রধান বিচারপতি রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিযুক্ত হইবেন এবং প্রধান বিচারপতির সহিত পরামর্শ করিয়া রাষ্ট্রপতি অন্যান্য বিচারককে নিয়োগ দান করিবেন।’ এখানে প্রধান বিচারপতির পরামর্শ অবশ্যপালনীয় নয়।

 

 

বাংলাদেশের ১৯৭২ সালের মূল সংবিধানেই ৭০ অনুচ্ছেদে দলত্যাগ বিরোধী বিধান সন্নিবেশ করা হয়। সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদের কারণে সংসদে দলের বাইরে যাওয়ার নিয়ম নেই। সংসদে সরকার প্রধানের বাইরে গেলে ৭০ অনুচ্ছেদে বর্ণিত নিয়ম অনুযায়ী, সরকারি দলের সংসদ সদস্যপদ চলে যায়। অনুচ্ছেদ- ৪৮ (১) বাংলাদেশের একজন রাষ্ট্রপতি থাকিবেন, যিনি আইন অনুযায়ী সংসদ-সদস্যরা কর্তৃক নির্বাচিত হইবেন। [এই সংসদ সদস্যবৃন্দ প্রধানমন্ত্রীর আজ্ঞাবহ দাস বটে, সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ অনুসারে সংসদ সদস্যদের মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে খর্ব করা হয়েছে]।

 

 

 সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতার কারণে বিজয়ী ক্ষমতাসীন দলের প্রধান (যিনি একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী) তার ইচ্ছা অনুযায়ী সব প্রস্তাব পাস অথবা বাতিল করতে পারবেন। নির্বাহী বিভাগ প্রধানমন্ত্রীর অধীনে, তাই তার নির্দেশনা ও সম্মতি ছাড়া নির্বাহী বিভাগ কোনো কাজ করে না। প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছার ওপর মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় সংসদের স্পিকার নির্বাচিত হয়ে থাকেন। তাই সব ক্ষমতা একজনের হাতে, তিনি হলেন প্রধানমন্ত্রী। নির্বাহী বিভাগের পুরো নিয়ন্ত্রণ তার হাতে, সংসদের নিয়ন্ত্রণও তারই হাতে। বিচার বিভাগের অল্পকিছু অংশ বাদে বাকি ক্ষমতাও প্রধানমন্ত্রীর হাতে। তাকে কোনো বিষয়ে জবাবদিহিতা করতে হয় না। তিনি সব আইনের ঊর্ধ্বে। এটাকে গণতন্ত্র বা গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা বলে না।

 

 

 

আইনের অত্যন্ত ক্ষুদ্র শিক্ষার্থী হলেও কিছু দিন রসায়ন বিজ্ঞান পড়ার ফলে রসায়ন ও পদার্থ বিজ্ঞানের ভাষায় কিছু লিখতে চেষ্টা করছি। ‘তেল আর জল (পানি)’ উভয়ই তরল পদার্থ হলেও দুটো পর্দাথের আপেক্ষিক গুরুত্ব আলাদা আলাদা। বিচার বিভাগ (জুডিশিয়ারি) ও নির্বাহী বিভাগ রাষ্ট্রের খুবই গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা হলেও তাদের কাজের ধরনের কারণে উভয়ের আপেক্ষিক গুরুত্ব আলাদা আলাদা হওয়ার কথা, কিন্তু আমাদের চোখে দৃশ্যমান হয়েছে এখন দুটি সংস্থার আপেক্ষিক গুরুত্ব সমান, যা নির্বাহী বিভাগের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

 

 

অদৃশ্যভাবে পোলারাইজেশন ভেঙে নির্বাহী বিভাগ বিচার বিভাগের মধ্যে মিশে গেছে। নির্বাহী বিভাগের কাজ সরকারের আদেশ ও নির্দেশে কাজ করা, বিচার বিভাগের কাজও কি তাই হওয়ার কথা ছিল! নিশ্চয়ই নয়। কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি এই কোন দৃশ্য। এটা আমাদের দুর্ভাগ্য নয় কি! আমাদের নির্বাহী বিভাগের আপেক্ষিক গুরুত্ব, জুডিশিয়ারির (বিচার বিভাগ) আপেক্ষিক গুরুত্ব অপেক্ষায় কম হলেও তা জুডিশিয়ারির নিচে না থেকে ওপরে অবস্থান করছে। তাই এই রকম দৃশ্য অহরহ (বিভিন্ন প্যাকেজে) এ দেখা যাচ্ছে।

 

 

ফরাসি দার্শনিক মন্টেশকো তার ‘স্পিট অব ল’ (১৭৪৮) বইতে, ক্ষমতার ভারসাম্য নীতির কথা বলেছেন, তাই পোলারাইজেশন। যে বিচার বিভাগ কখনোই নির্বাহী বিভাগের সঙ্গে মিশবে না। কারণ যখন একই ব্যক্তি আইন বিভাগ, নির্বাহী বিভাগ ও বিচার বিভাগের ক্ষমতা একই ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বা সংস্থার ওপর একত্রিত করা হয়, তখন কোনো প্রকার ব্যক্তি স্বাধীনতা থাকতে পারে না। কারণ ওই ব্যক্তি বা কর্তৃপক্ষ স্বৈরাচারীভাবে আইন প্রণয়ন করে, যথেচ্ছভাবে প্রয়োগ করতে পারে। মন্টেস্কুর সঙ্গে ওই বিষয়ে ইংরেজ চিন্তাবিদ ইষধপশংঃড়হব (১৭৬৫) ঈড়সসবহঃধৎরবং ড়হ ঃযব খধংি ড়ভ ঊহমষধহফ তার গ্রন্থে একই মত পোষণ করেন।

 

 


অধ্যাপক ডধফব-এর মতে তিনটি বিষয়ে এই নীতি ব্যাখ্যা করেন: একই ব্যক্তি সরকারের তিনটি বিভাগের একটির বেশিতে বসতে পারবেন না। যেমন: কোন মন্ত্রী পার্লামেন্ট বা জাতীয় সংসদে বসতে পারবেন না। বিচার বিভাগের ওপর আইন বিভাগ ও শাসন বিভাগের কোনো রূপ নিয়ন্ত্রণ বা হস্তক্ষেপ করবে না। এক বিভাগ অন্য বিভাগের কাজ করবে না, যেমন: মন্ত্রীদের কখনও আইন প্রণয়নের ক্ষমতা থাকবে না। কিন্তু বাংলাদেশে যিনি কোনো দলের প্রধান, তিনিই আবার সংসদের প্রধান এবং ওই ব্যক্তিই মন্ত্রিসভার প্রধান। এখানে মূলত পোলারাইজেশন থাকার কথা ছিল।

 

 

ক্ষমতার ভারসাম্যনীতি আমাদের দেশে নেই। তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আছে, না হলে ‘ডোনাল্ড ট্রাম্প’ প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর অনেক কালো রঙের মানুষ ও মুসলিমকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র হতে বের করে দিতেন, কিন্তু ক্ষমতার ভারসাম্যনীতি থাকার কারণে তিনি তা করতে পারেন নি। তাই আমাদের মতো দেশে এখনও নির্বাহী বিভাগের মানুষই বিচার বিভাগ এর দায়িত্বে।

 

 

উদাহরণস্বরূপ : আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী। আইন তৈরি করা বা তদরকি মাননীয় আইনমন্ত্রীর হাতে ন্যস্ত, সংসদবিষয়ক বিষয়ও কেন নির্বাহী বিভাগের দায়িত্বে থাকবে? বিচার বিভাগও নির্বাহী বিভাগের দায়িত্বে ও হাতে ন্যস্ত। এতেই বুঝতে পারা যায়, বিচার বিভাগ স্বাধীন নয়। তাছাড়া দায়িত্বকে ক্ষমতা মনে করার কারণে এটা সমস্যার সমাধানের মহাসংকট তৈরি করেছে।