অন্তর্বর্তী সরকারের বাজেট ভাবনা ও প্রত্যাশা
অতীতে আমরা দেখেছি, অর্থবহ উন্নয়নের চেয়ে সংখ্যার ধূম্রজাল তৈরি করে চকচকে অর্থনীতি দেখানো হচ্ছিল। অর্থনীতির ক্ষেত্রে এগোতে হলে আমাদের পরিসংখ্যানের ক্ষেত্রে একটি সংস্কার প্রয়োজন। - মোহাম্মদ আব্দুল জব্বার [সূত্র : নয়াদিগন্ত, 23 জুন ২০২৫]

অর্থ উপদেষ্টা বাজেট-উত্তর সংবাদ সম্মেলনে নিজেই বলেছেন, এই বাজেট একটি গতানুগতিক বাজেট। এখান থেকে এটি প্রতীয়মান হয়, এবার ছোট আকারের এই বাজেটের কারণে তা থেকে কেউ প্রবৃদ্ধির আশা না করে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণকেই সর্বাধিক গুরুত্ব দিচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। ২০২৪ এ প্রবৃদ্ধি ছিল ৩.৫০ শতাংশ, যেখানে প্রত্যাশা ছিল ৫.৫০ শতাংশ। কেন হয়নি তার কারণ সবারই জানা। আগে থেকেই তা শ্লথ হয়ে আসছে। এই বাজেটেও সাড়ে ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি আশা করা হচ্ছে, যদিও তা হবে কি না সে বিষয়ে সন্দেহ আছে। এই বাজেট সরকারের একটি ব্যয় নির্বাহের বাজেট মাত্র। এটাও ঠিক যে, প্রভ‚ত প্রবৃদ্ধি অর্জন করার মতো বাজেটের যে সামর্থ্য এবং পরিবেশ দরকার তা বর্তমান বাংলাদেশের অর্থনীতিতে অনুপস্থিত। বিগত সরকারের অব্যবস্থাপনার কারণে এটি হয়েছে।
সাধারণ অবস্থায় আশা করা যায়, প্রতিটি বাজেট প্রণয়নের সময় কিছু উদ্বৃত্ত সম্পদ পাওয়া যাবে, যা দিয়ে উন্নয়নমূলক কাজ করা সম্ভব হবে। কিন্তু বর্তমানে সেই অবস্থা নেই। প্রতিটি সরকারই তার রাজনৈতিক সময়ে বেশি বাজেট, জিডিপির, প্রবৃদ্ধি বা বেশি উন্নয়ন হয়েছে বলে দেখাতে চায়। কিন্তু বাংলাদেশের সমস্যা হচ্ছে- বাংলাদেশের জিডিপির পরিমাণ কত তার সঠিকভাবে এখনো নির্ণীত হয়নি।
অতীতে আমরা দেখেছি, অর্থবহ উন্নয়নের চেয়ে সংখ্যার ধূম্রজাল তৈরি করে চকচকে অর্থনীতি দেখানো হচ্ছিল। অর্থনীতির ক্ষেত্রে এগোতে হলে আমাদের পরিসংখ্যানের ক্ষেত্রে একটি সংস্কার প্রয়োজন। অর্থনৈতিক অবস্থার প্রকৃতস্বরূপ বুঝে সেই আলোকে প্রবৃদ্ধি অর্জনের পরিকল্পনা নেয়া প্রয়োজন।
আমাদের দেশে সবসময় ঘাটতি বাজেট তৈরি করা হয়। বর্তমানে এই প্রস্তাবিত বাজেটে ঘাটতি বাজেটের পরিমাণ হচ্ছে ৩.৫০ শতাংশ। অর্থনীতিবিদরা একটি কাম্য মানের ঘাটতি বাজেট বলতে জিডিপির ৫ শতাংশকে বুঝিয়ে থাকেন। কিন্তু প্রতি বছরই যদি অস্বচ্ছ পরিসংখ্যানের ওপর ভিত্তি করে এভাবে ঘাটতি বাজেট প্রণয়ন করা হয়, তবে সঠিক উন্নয়ন পরিকল্পনা ব্যাহত হয় এবং তাতে অনুপাত হিসেবে রাজস্ব আদায় ব্যাহত হয়।
রাজস্ব আদায় বাড়িয়ে ঘাটতি কমানো
বাজেটের মূল লক্ষ্য রাজস্ব আদায় বাড়িয়ে ঘাটতি কমানো এবং আইএমএফের শর্ত পূরণ করা। প্রস্তাবিত বাজেটে কর বাড়ানোর একগুচ্ছ প্রস্তাব এবং ভ্যাট অব্যাহতি সুবিধা প্রত্যাহারের কারণে সাধারণ জনগণ ও ব্যবসায়ীদের ওপর চাপ বাড়তে চলেছে। বাজেটে রাজস্ব আদায়ের যে লক্ষ্যমাত্রা নেয়া হয়েছে, সেটি অবাস্তব। কার্যকর কর সংস্কার ছাড়া পাঁচ লাখ ৬৪ হাজার কোটি টাকার লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব নয়। এই বছরে রাজস্ব আদায় আরো কম হওয়ার আশঙ্কা। কেননা ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের ফলে অনেক ব্যবসায়-বাণিজ্য বন্ধ হয়ে গেছে। শিল্প উদ্যোক্তারাও রয়েছেন উৎকণ্ঠায়। ফলে রাজস্ব আদায় কম হবে সামনের বছরে। এ জন্য বাজেটের আকার বাড়ালে শুধু ঘাটতিই বাড়বে।
বিগত সরকারের সময় একটি মনস্তাত্তি¡ক ধারণা মানুষের কাছে উপস্থাপন করা হয়েছে এই বলে যে, আমরা ব্যাপক উন্নয়ন করছি এবং সে জন্যই আমাদেরকে ক্ষমতায় রাখা দরকার। একটি স্লোগানে রূপান্তরিত হয় যে, ভোট না উন্নয়ন, উন্নয়ন উন্নয়ন। অনেক উন্নয়ন কাজ হয়েছে। কিন্তু প্রতি বছরই বাজেট তার লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারেনি।
আমরা যদি বাহুল্য খরচ বন্ধ করতে এবং দুর্নীতি কমিয়ে আনতে পারি তবে বর্তমান বাজেটকে একটি যথাযথ বাজেট বলা যেতেই পারে। বিশেষ করে রূপপুর পাওয়ার প্লান্টের দুর্নীতির ক্ষেত্রে এ কথা বিশেষভাবে প্রযোজ্য। এমনকি বড় বড় প্রকল্পের আওতায় নির্মিত বিভিন্ন মহাসড়ক, পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল তৈরিতে যে বিপুল বাড়তি খরচ করা হয়েছে এবং এর সাথে যে পরিমাণ দুর্নীতি জড়িয়ে আছে তা যেন উত্তরাধিকারদের ভেতর সংক্রমিত না হয় তা নিশ্চিত করা দরকার। দুর্নীতি নির্মূলের কোনো আর্থিক চিত্র বা অঙ্গীকার এই বাজেটে নেই। আমাদের ছাত্র-জনতা যে পরিবর্তনের প্রত্যাশায় জীবন উৎসর্গ করেছিল, তার প্রতিফলন আমরা তখনই দেখতে পাবো যখন সরকারি যাবতীয় অর্থনৈতিক কার্যক্রম থেকে দুর্নীতি সমূলে উৎপাটন করতে পারব। বিষয়টি অবশ্যই চ্যালেঞ্জিং এবং এর জন্য ড. ইউনূস সরকার বিশেষ নজর না দিলে নতুন বন্দোবস্তর অর্থনীতি বলতে কিছুই অর্জিত হবে না।
প্রবৃদ্ধি প্রসঙ্গে
দেখা যায় যে, উচ্চ আয়ের মানুষ বা করপোরেশনগুলোর আয় বেড়ে যাচ্ছে। শুধু গরিব নয়, মধ্যবিত্তরাও কঠিন পরিস্থিতির মুখে। এটা হলো ইংরেজি ‘কে’ অক্ষরের মতো; একদিকে একটি শ্রেণী উপরে উঠে যাচ্ছে; আরেক দিকে আরেকটি শ্রেণী নিচের দিকে নেমে যাচ্ছে।
শুধু জিডিপির দিকে তাকিয়ে থাকলে মনে হবে, সব কিছু ভালো চলছে। বর্তমানে তরুণদের বেকারত্ব একটি ‘গ্রোয়িং থ্রেট’ হিসেবে বিবেচনায় নিতে হবে। প্রতি বছর প্রায় ২০ লাখ কর্মক্ষম মানুষ শ্রমবাজারে প্রবেশ করে। এদের কর্মসংস্থানের জন্য বেসরকারি খাতের দিকে সরকারের নজর দেয়া উচিত। ড. ইউনূসের ওপর যতই আশা থাকুক না কেন, প্রায়োগিক ক্ষেত্রে তার প্রতিফলন না ঘটলে তা হবে দুর্ভাগ্যজনক ।
মূলধনী যন্ত্রপাতি
চলমান অর্থনৈতিক স্থবিরতা এবং রাজনৈতিক অস্থিরতার প্রভাব পড়েছে দেশের বিনিয়োগ ও শিল্প খাতে। মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানির ক্ষেত্রেও বড় ধরনের পতন লক্ষ করা যাচ্ছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে এলসি নিষ্পত্তি কমার হার ২৫ দশমিক ৫৬ শতাংশ, যা দেশের নতুন শিল্প স্থাপনা ও কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে উদ্বেগজনক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যালান্স অব পেমেন্টস অনুযায়ী, জুলাই থেকে এপ্রিল পর্যন্ত দেশে নিট এফডিআই এসেছে মাত্র ৯১ কোটি ডলার। আগের অর্থবছরের একই সময়ে এর পরিমাণ ছিল ১২৭ কোটি ডলার, অর্থাৎ চলতি অর্থবছরের (২০২৪-২৫) প্রথম ১০ মাসে (জুলাই-এপ্রিল) সরাসরি বিদেশী বিনিয়োগ (এফডিআই) ২৮ দশমিক ৭ শতাংশ কমেছে।
বেসরকারি খাতে ঋণ
বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্চের সভাপতি বলেন, বিদেশীরা তখনই বিনিয়োগ করেন, যখন দেশীয় বিনিয়োগকারীরা এগিয়ে আসেন। কিন্তু বর্তমানে দেশীয় উদ্যোক্তারা বিভিন্ন কারণে পিছিয়ে, তাই বিদেশীরা আসছেন না। চলতি অর্থবছরের প্রথম আট মাসে (জুলাই-ফেব্রæয়ারি) বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি হয়েছে মাত্র ২ দশমিক ৬৩ শতাংশ, যেখানে আগের বছর এই হার ছিল ৫ দশমিক ৫৩ শতাংশ। সব মিলিয়ে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও নীতিগত সংস্কার ছাড়া বিনিয়োগে কাক্সিক্ষত অগ্রগতি সম্ভব নয়।
কাঠামোগত সংস্কার
কেউ কেউ বলেছে, বাজেট প্রস্তাবে কর প্রশাসন, ঋণ টেকসই করা ও সরকারি ব্যয় ব্যবস্থাপনার মৌলিক সংস্কারের প্রস্তাব নেই। ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ, সুদহারজনিত সমস্যা ও শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার দিকনির্দেশনাও নেই। এ ছাড়া কালো টাকা সাদা করার সুযোগ রেখে সৎ করদাতাদের প্রতি অন্যায় করা হচ্ছে যা আর্থিক শৃঙ্খলা ক্ষতিগ্রস্ত করবে।
বেসরকারি খাত উপেক্ষিত
প্রস্তাবিত বাজেটে বেসরকারি খাত উপেক্ষিত। ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা, রফতানিকারক ও স্টার্টআপদের জন্য কার্যকর প্রণোদনা নেই। গবেষণা, কারিগরি প্রশিক্ষণ ও ডিজিটাল রূপান্তরে উল্লেখযোগ্য বরাদ্দ নেই। সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রমও অপ্রতুল। বেসরকারি খাতকে উদ্দীপ্ত করতে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের জন্য সহজ ঋণ, স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করা প্রয়োজন।
ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ কমানো, সুশাসন নিশ্চিত করা ও কম সুদে ঋণ সহজলভ্য করার পরামর্শ দিয়েছে আইবিএফবি। সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির স্বচ্ছতা বাড়ানো, পুনরাবৃত্তি রোধ ও প্রকৃত দরিদ্রদের কাছে সহায়তা পৌঁছানোর দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি। প্রস্তাবিত বাজেটে নারী উদ্যোক্তাদের জন্য এক হাজার কোটি টাকার তহবিল করা হয়েছে, যা তাদের অর্থনৈতিক অন্তর্ভুক্তি উৎসাহিত করবে।
মূল্যস্ফীতি
এমনিতেই দীর্ঘ দুই বছর ধরে দেশে উচ্চ মূল্যস্ফীতি বিরাজ করছে। ২০২৪ সালের মার্চ থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত টানা ১০ মাস মূল্যস্ফীতি ছিল ১০ শতাংশের উপরে। বর্তমানে তা ৯ শতাংশে নেমেছে, যা স্বস্তিকর নয়। সীমিত আয়ের মানুষ এখনো ব্যয় সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে। ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পরিকল্পনার অভাব আছে। বিদেশ থেকে আমদানি করা পণ্যের দাম যদি উৎস স্থলেই বাড়ে তবে বিক্রয় মূল্য বেড়ে যায়, যা দেশে বাড়তি মূল্যস্ফীতির চাপ তৈরি করে। দেশের উৎপাদনের উপকরণ যা বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয় তথা মেশিনারি, যন্ত্রাংশ ও উপকরণ ইত্যাদির দাম বেড়ে গেলেও দেশে উৎপাদন খরচ বাড়ে।
বৈদেশিক মুদ্রা বাজার
আমদানিকৃত দ্রব্যের দাম বাড়বে কি না তা নির্ভর করে স্থানীয় বাজারে মুদ্রার বিনিময় হারের ওপর। আমরা গত রেজিমে দেখেছি ডলারের দাম একটি নির্দিষ্ট পর্যায়ে রাখার জন্য দীর্ঘদিন ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এতে একটি বিশেষ সম্প্রদায় বিশেষভাবে উপকৃত হলেও দীর্ঘমেয়াদে অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিশেষ করে বিপুল সম্পদ বিদেশে পাচারের কারণে ডলারের ওপর চাপ পড়ে এবং এর বাজার অস্থির হয়ে পড়ে।
একটি ভালো বিষয় হচ্ছে- অন্তর্বর্তী সরকার আসার পর বৈদেশিক মুদ্রাবাজার একটা পর্যায়ে নিয়ে আসতে পেরেছে যার অন্যতম কারণ প্রবাসী শ্রমিকদের দেশে বৈদেশিক মুদ্রা পাঠানো। এ অবস্থায় বাংলাদেশ ব্যাংক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সঠিক ডলার ব্যবস্থাপনা বাজারকে স্থিতিশীল করবে। এতে যে সুবিধা হচ্ছে তা হলো- বাজার অনুযায়ী মুদ্রার সরবরাহ এবং চাহিদার ওপর তার মান নির্ভর করবে। ফলস্বরূপ প্রবাসী ও রফতানিকারকরা ডলারের ভাল মূল্য পাবে এবং একটি নির্দিষ্ট সময় হঠাৎ করে ডলারের দাম অনেক বেড়ে বা কমে যাবে না। ফলে দেশের ব্যবসায়-বাণিজ্য ও শিল্প কারখানা স্থাপনের ক্ষেত্রে গতি আসবে এবং ফলস্বরূপ দেশের রিজার্ভ ধীরে ধীরে বাড়তে থাকবে। তবে এই ধারা অব্যাহত রাখার জন্য যা গুরুত্বের সাথে নজর দিতে হবে তা হলো যেকোনোভাবে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখা এবং প্রশাসনিক দুর্নীতি ন্যূনতম পর্যায়ে নিয়ে আসা।
আমাদের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের অন্যতম দু’টি খাত হচ্ছে প্রবাসীদের আয় এবং রফতানি খাত। সে জন্য এই দু’টি হাত যেন উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পায় দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক ঘাত-প্রতিঘাতে যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয় তার জন্য সরকারকে বিশেষ দৃষ্টি দিতে হবে। এসব সেক্টরে সুশাসন নিশ্চিত করতে হবে। বিশেষ করে রফতানি খাতের আন্তর্জাতিক বাজার ধরে রাখা এবং রফতানির ক্ষেত্রগুলোতে বৈচিত্র্য আনতে হবে।
বৈদেশিক ঋণ ও বিনিয়োগ
বৈদেশিক ঋণ ও বিনিয়োগ থেকে বৈদেশিক মুদ্রা পেতে পারি। উপযুক্ত পরিবেশের অভাবে দেশীয় বিনিয়োগ প্রসারিত না হলে বৈদেশিক বিনিয়োগ কিভাবে বাড়বে! এর মধ্যে জ্বালানির সহজলভ্যতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের দেশে ব্যবসায়িক খরচ (কস্ট অব বিজনেস) খুব বেশি। এর অন্যতম কারণ হচ্ছে- দেশে সুশাসনের অভাব এবং নেতিবাচক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি। এ ব্যাপারে দ্রæত এবং খুব দৃঢ় পদক্ষেপ নেয়া উচিত। এমন পরিস্থিতিতে সামনের নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সাথে সাথে ন্যূনতম সংস্কার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এসব ক্ষেত্রে সামান্য কালক্ষেপণও দেশের জন্য কাল হয়ে দেখা দিতে পারে।
গত দুই দশক ধরে বড় বাজেট প্রণয়নের মাধ্যমে ব্যাপকভাবে অর্থ পাচারের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। ফলে বর্তমান অর্থনৈতিক শৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে। এটি ঠিক যে, সব সমস্যার সমাধান একবারেই করা যাবে না। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে অবশ্যই জরুরি পদক্ষেপ নিতে হবে।
লেখক : অর্থনৈতিক বিশ্লেষক