কল করুন

কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স

‘অপারেশন সিন্দুর’, পাকিস্তানে ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

সূত্র : বণিক বার্তা, ০৬ মে ২০২৫

‘অপারেশন সিন্দুর’, পাকিস্তানে ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

ভারতশাসিত জম্মু ও কাশ্মীরের পেহেলগামে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ বেসামরিক নাগরিক নিহত হওয়ার দুই সপ্তাহ পর পাকিস্তান ও পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীরে (পিওকে) হামলা চালিয়েছে ভারত। নয়াদিল্লি বলছে, পাকিস্তানের কোনো সামরিক স্থাপনা করে হামলা চালানো হয়নি। সন্ত্রাসী অবকাঠামোর লক্ষ্য করে সুনির্দিষ্ট বিমান হামলা চালিয়েছে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী। মঙ্গলবার গভীর রাতে চালানো এই হামলার কোডনেম ছিল ‘অপারেশন সিন্দুর’।

 

 

ভারতের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমাদের এই পদক্ষেপ অত্যন্ত নিখুঁত, পরিমিত এবং উত্তেজনা বৃদ্ধিমূলক নয়। পাকিস্তানের কোনো সামরিক স্থাপনায় হামলা চালানো হয়নি। ভারত লক্ষ্যবস্তু ও হামলার কৌশল বাছাইয়ে যথেষ্ট সংযম প্রদর্শন করেছে।’ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘পাকিস্তানের মাটিতে থাকা জঙ্গি ঘাঁটি, যা সরাসরি ভারতীয় নাগরিকদের প্রাণনাশে জড়িত, সেগুলোকেই টার্গেট করা হয়েছে।’

 
 
 

এর আগে পাকিস্তানের ভাওয়ালপুর, কোটলি এবং মুজাফ্‌ফরাবাদে ভারত ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে দেশটির আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)। বুধবার রাত ১টা ৬ মিনিটে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম এআরওয়াই নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আইএসপিআরের মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী এ অভিযোগ করেন।

 
 
 

তিনি বলেন, ‘কিছু সময় আগে ভারতের কাপুরুষোচিত শত্রু বাহিনী ভাওয়ালপুরের আহমেদ ইস্ট এলাকার সুবহানউল্লাহ মসজিদ, কোটলি ও মুজাফফরাবাদের তিনটি স্থানে আকাশপথে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে।’ তিনি আরো বলেন, ‘পাকিস্তান বিমানবাহিনীর সব যুদ্ধবিমান এরই মধ্যে আকাশে টহলে রয়েছে। তবে হামলাগুলো ভারতীয় আকাশসীমার ভেতর থেকেই চালানো হয়েছে। ভারতীয় যুদ্ধবিমানগুলো পাকিস্তানের আকাশসীমায় প্রবেশ করেনি বলেও জানান তিনি।’ এ ঘটনাকে কাপুরুষোচিত ও লজ্জাজনক আক্রমণ আখ্যা দিয়ে জেনারেল চৌধুরী বলেন, ‘আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই—পাকিস্তান এর উপযুক্ত জবাব দেবে, তবে সময় ও স্থান বেছে নিয়ে। এই ন্যক্কারজনক উসকানির জবাব অবশ্যই দেওয়া হবে।’