কল করুন

কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স

প্রাথমিক লক্ষ্য গণপরিষদের মাধ্যমে নতুন সংবিধান প্রণয়ন

সূত্র : প্রথম আলো, ০১ মার্চ ২০২৫

প্রাথমিক লক্ষ্য গণপরিষদের মাধ্যমে নতুন সংবিধান প্রণয়ন

নতুন বাংলাদেশ গড়ার শপথ নিয়ে আত্মপ্রকাশ করল জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে নেতৃত্বদানকারীদের রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। ‘সেকেন্ড রিপাবলিক’ (দ্বিতীয় প্রজাতন্ত্র) প্রতিষ্ঠার জন্য গণপরিষদ নির্বাচনের মাধ্যমে একটি নতুন সংবিধান প্রণয়ন করা এই দলের অন্যতম প্রাথমিক লক্ষ্য। তাঁরা বলেছেন, সেকেন্ড রিপাবলিকে জাতীয় স্বার্থ সুরক্ষায় শক্তিশালী প্রতিরক্ষাব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে। ভেঙে পড়া রাজনৈতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানগুলো গড়ে তোলা ও গণতান্ত্রিক চরিত্র রক্ষা করা হবে তাঁদের রাজনীতির অগ্রাধিকার।

 

 

শুক্রবার জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে বিশাল জমায়েতের মাধ্যমে তারুণ্যনির্ভর নতুন এই রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ ঘটেছে। জুলাই অভ্যুত্থানের নেতৃত্বে থাকা ছাত্র-তরুণেরাই আছেন এই দলের নেতৃত্বে। দলটির আহ্বায়ক হয়েছেন জুলাই অভ্যুত্থানের অন্যতম মুখ নাহিদ ইসলাম। সদস্যসচিব হয়েছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্যসচিব আখতার হোসেন।

 

বাংলাদেশকে আর কখনোই বিভাজিত করা যাবে না। বাংলাদেশে ভারতপন্থী, পাকিস্তানপন্থী কোনো রাজনীতির ঠাঁই হবে না।

 

নাহিদ ইসলাম আহ্বায়ক, এনসিপি

নতুন দলের আত্মপ্রকাশ উপলক্ষে শুক্রবার দুপুর থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে আসতে থাকেন ঢাকা ও দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা নেতা-কর্মীরা। তাঁদের বড় অংশ তরুণ ও শিক্ষার্থী। জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা বরাবর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে করা হয়েছিল পূর্বমুখী মঞ্চ। সেখান থেকে পূর্ব দিকে খামারবাড়ি মোড় পর্যন্ত (এক পাশে) জমায়েত ছিল। দলের আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন বিএনপি, জামায়াতে ইসলামীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা।
বিকেল সোয়া চারটার দিকে আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়। শুরুতে পবিত্র কোরআন, গীতা, ত্রিপিটক ও বাইবেল থেকে পাঠ করা হয়। এরপর জাতীয় সংগীত এবং জুলাই অভ্যুত্থানে নিহত ব্যক্তিদের স্মরণে নীরবতা পালনের পর শুরু হয় মূল অনুষ্ঠান।

 

 

মূল অনুষ্ঠানের শুরুতে জুলাই গণ–অভ্যুত্থান নিয়ে একটি এবং বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাস ও নতুন দলের আত্মপ্রকাশের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আরেকটি প্রামাণ্যচিত্র দেখানো হয়। বিকেল পাঁচটার পরপর মঞ্চে আসেন নাহিদ ইসলাম, সারজিস আলম, হাসনাত আবদুল্লাহ, সামান্তা শারমিন ও নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীরা।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতাদের বক্তব্যের পর নতুন রাজনৈতিক দলের ঘোষণা দেন জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ ইসমাইল হোসেন রাব্বীর বোন মিম আক্তার। তিনি নতুন দলের নাম এবং আহ্বায়ক হিসেবে নাহিদ ইসলাম ও সদস্যসচিব হিসেবে আখতার হোসেনের নাম ঘোষণা করেন। এরপর আখতার হোসেন দলের আংশিক আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করেন।

 

 

পরে দলের ঘোষণাপত্র পাঠ করেন নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, ‘এই নতুন বাংলাদেশ গড়ায় আমরা সবাই প্রত্যেকে যার যার অবস্থান থেকে শপথ করি। ঐক্যবদ্ধ হই এবং আমাদের কাঙ্ক্ষিত সেকেন্ড রিপাবলিক প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে দৃঢ়চিত্তে এগিয়ে যাই।’

 

 

 

জুলাই গণ–অভ্যুত্থানে স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই আলোচনায় ছিল ছাত্র-তরুণদের নেতৃত্বে নতুন রাজনৈতিক দল গঠন। জুলাই আন্দোলনের নেতৃত্বে থাকা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পাশাপাশি তরুণদের উদ্যোগে গত বছরের ৮ সেপ্টেম্বর গঠন করা হয়েছিল ‘জাতীয় নাগরিক কমিটি’। তারা দেশের বিভিন্ন জায়গায় কমিটি গঠন করে। মূলত এই দুটি প্ল্যাটফর্মের সম্মিলনে গঠন করা হয়েছে নতুন দল—জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। দলের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ থেকে পদত্যাগ করেছেন নাহিদ ইসলাম।

 

 

অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন দেওয়ার কথা বলছে। বিএনপিসহ বিভিন্ন দলও এ বছরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আসছে। এর মধ্যে গতকাল আত্মপ্রকাশ করা নতুন দলটি গণপরিষদ নির্বাচনের দাবি হাজির করল। গণপরিষদ হলো মূলত সংবিধান সভা। অর্থাৎ নির্বাচনের মাধ্যমে যে গণপরিষদ (সংসদ) গঠিত হবে, তারা শুধু একটি সংবিধান প্রণয়ন করবে। এই নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার গঠন করা হবে না।

 

 

বিকল্পের জায়গা থেকে নতুন দল

শেখ হাসিনার আমলে আওয়ামী লীগ একটি বয়ান তৈরি করেছিল, শেখ হাসিনার বিকল্প নেই। এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতার মধ্য থেকে স্লোগান উঠেছিল—‘‘তুমি কে, আমি কে? বিকল্প বিকল্প’’। আজকে সেই বিকল্পের জায়গা থেকে নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ ঘটেছে। আমরা মনে করি, বাংলাদেশে বিভাজনের রাজনীতি তৈরি করে ও জনগণকে দুর্বল করে রেখে রাষ্ট্রকে দুর্বল করে রাখার যে ষড়যন্ত্র তৈরি হয়েছিল, সেই ষড়যন্ত্র আমরা জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সকলের ঐক্যের মাধ্যমে ভেঙে দিয়েছি। আমরা আজকের এই মঞ্চ থেকে শপথ করতে চাই যে বাংলাদেশকে আর কখনোই বিভাজিত করা যাবে না। বাংলাদেশে ভারতপন্থী, পাকিস্তানপন্থী কোনো রাজনীতির ঠাঁই হবে না।’

 

 

অতীতকে পেছনে ফেলে সামনে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আজকের এই মঞ্চে দাঁড়িয়ে আমরা কেবল সামনের কথা বলতে চাই। আমরা পেছনের ইতিহাসকে অতিক্রম করে একটি সামনের সম্ভাবনার বাংলাদেশের স্বপ্নের কথা বলতে চাই। সেই স্বপ্নের বাস্তবায়নের লক্ষ্যেই আজকে আমরা এখানে উপস্থিত হয়েছি।’ নতুন দল ঘোষণার ক্ষণটিকে ঐতিহাসিক মুহূর্ত আখ্যা দিয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশকে সামনে রেখে, বাংলাদেশের জনগণের স্বার্থকে সামনে রেখে সকলে ঐক্যবদ্ধভাবে রাজনীতি এবং রাষ্ট্র নির্মাণ করব।’

 

 

নতুন দেশ স্বপ্ন নয়, প্রতিজ্ঞা

ছাত্র-তরুণেরা একটি নতুন ‘রাজনৈতিক বন্দোবস্তের’ কথা বলে আসছেন। নতুন দলের ঘোষণাপত্রেও সেটি উঠে এসেছে। সংক্ষেপে এই জনপদের ইতিহাস তুলে ধরে ঘোষণাপত্রে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘স্বাধীনতার পাঁচ দশক পেরিয়েও আমরা গণতন্ত্র, সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার নিশ্চিত করে—এমন একটি রাজনৈতিক বন্দোবস্ত তৈরি করতে পারিনি। বরং বিগত ১৫ বছর দেশে একটি নিষ্ঠুর ফ্যাসিবাদী শাসনব্যবস্থা কায়েম হয়েছিল, যেখানে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে ক্ষমতাসীন দলের স্বার্থে বেপরোয়া ব্যবহার করে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করা হয়েছে। বিরোধী মতের কণ্ঠরোধ, গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, সর্বগ্রাসী দুর্নীতি ও অর্থ পাচারকে একটি রাষ্ট্রীয় সংস্কৃতিতে পরিণত করা হয়েছে।’

 

 

নাহিদ ইসলাম বলেন, ছাত্র-জনতা বিপুল আত্মত্যাগের মাধ্যমে এক অভূতপূর্ব অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে দীর্ঘ দেড় দশক ধরে জেঁকে বসা ফ্যাসিবাদী সরকারের পতন ঘটিয়েছে। কিন্তু হাজারো শহীদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত এই নতুন স্বাধীনতা কেবল একটি সরকার পতন করে আরেকটি সরকার বসানোর জন্য ঘটেনি। জনগণ ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা বিলোপের মাধ্যমে একটি নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের আকাঙ্ক্ষা থেকে এই অভ্যুত্থানে সাড়া দিয়েছিল; যেন জনগণের অধিকারভিত্তিক একটি রাষ্ট্র পুনর্গঠিত হয়। সেই লক্ষ্য নিয়েই তাঁরা জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দিচ্ছেন। এটি হবে একটি গণতান্ত্রিক, সমতাভিত্তিক ও জনগণের প্রতিনিধিত্বকারী রাজনৈতিক দল।

 

 

নিজেদের লক্ষ্য–উদ্দেশ্যও দলের ঘোষণাপত্রে তুলে ধরা হয়। তাতে বলা হয়, ‘আমরা এমন একটি রাজনৈতিক সংস্কৃতির বিকাশ চাই, যেখানে সমাজে ও রাষ্ট্রের সর্বস্তরে বিভেদের বদলে ঐক্য, প্রতিশোধের বদলে ন্যায়বিচার এবং পরিবারতন্ত্রের বদলে মেধা ও যোগ্যতার মানদণ্ড প্রতিষ্ঠিত হবে। আমাদের রাজনীতিতে দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির কোনো স্থান হবে না। আমাদের সেকেন্ড রিপাবলিকে সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর কণ্ঠস্বরকে মূলধারায় তুলে আনা হবে। আমাদের রিপাবলিকে সাধারণ মানুষ; একমাত্র সাধারণ মানুষই হবে ক্ষমতার সর্বময় উৎস।’

 

 

স্বনির্ভর, আয়বৈষম্যহীন ও প্রাণ-প্রকৃতি-পরিবেশের প্রতি সংবেদনশীল অর্থনীতি গড়ে তোলার লক্ষ্য তুলে ধরে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, জুলাই ২০২৪ গণ-অভ্যুত্থান কেবল একটি ফ্যাসিবাদী শাসনের বিরুদ্ধেই বিজয় নয়, এটি আমাদের ভবিষ্যৎ নির্মাণেরও শপথ। চলুন আমরা একসঙ্গে, হাতে হাত রেখে, এমন এক বাংলাদেশ গড়ে তুলি, যেখানে প্রতিটি নাগরিকের কণ্ঠস্বর প্রতিধ্বনিত হবে, যেখানে ন্যায় প্রতিষ্ঠা, মানুষের অধিকারের সংগ্রামই হবে রাজনীতির অন্যতম লক্ষ্য। যেখানে সাম্য ও মানবিক মর্যাদা হবে রাষ্ট্রের ভিত্তি। এখনই সময়—নতুন স্বপ্ন দেখার, নতুন পথচলার এবং একটি নতুন বাংলাদেশ গড়ার!’
নতুন বাংলাদেশ গড়তে সবাইকে যার যার অবস্থান থেকে শপথ করা ও ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে নাহিদ বলেন, ‘আমাদের দেশ, আমাদের অধিকার, আমাদের ভবিষ্যৎ—আমাদের সেকেন্ড রিপাবলিক অধরা কোনো স্বপ্ন নয়, এটি আমাদের প্রতিজ্ঞা।’

 

 

আংশিক আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণার পর গণপরিষদ নির্বাচনের দাবি জানান এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন। তিনি বলেন, একটি নতুন সংবিধানের বাস্তবতা তৈরি হয়েছে। এই তরুণেরা স্বপ্ন দেখেছেন বাংলাদেশ এক নতুন সংবিধানের মাধ্যমে পরিচালিত হবে। সে স্বপ্ন বাস্তবায়নে গণপরিষদ নির্বাচনের দাবি জানান তিনি।

 

 

অন্যরা যা বললেন

জুলাই অভ্যুত্থানের সময় গুলিতে নিহত ছয় বছরের শিশু জাবিরের বাবা কবির হোসেনও নতুন দলের আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা একজন সিরিয়াল কিলার (ক্রমিক খুনি)। বিডিআরের ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তার মধ্য দিয়ে হত্যাকাণ্ড শুরু করেন, যা শেষ হয় ৫ আগস্ট তাঁর ছেলেকে হত্যার মধ্য দিয়ে।


কবির হোসেন বলেন, তিনি আর কোনো রক্তক্ষরণ চান না। নতুন দলের প্রতি তাঁর অকুণ্ঠ সমর্থন থাকবে।

 

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক ও এনসিপির মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, দেশের জনগণ ঠিক করবে সংসদে কে যাবে। কামারের ছেলেও দেশের প্রধানমন্ত্রী হবে। নেতৃত্ব উঠে আসবে যোগ্যতার ভিত্তিতে। জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক ও এনসিপির মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম বলেন, ৫ আগস্ট–পরবর্তী বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়নে রাজনৈতিক দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। রাষ্ট্রীয় প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে খুনি হাসিনা ধ্বংস করেছে। এগুলো ঠিক করতে হবে। খুনি হাসিনার বিচার ঐক্যবদ্ধভাবে করতে হবে।

 

 

জাতীয় নাগরিক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ও এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক তাসনিম জারা বলেন, তাঁরা নতুন রাজনীতি শুরু করতে চান। এত দিন রাজনীতির অর্থ ছিল ক্ষমতার খেলা, অর্থের লেনদেন। তাঁরা এই রাজনীতির অবসান চান। তাঁরা ক্ষমতা দখল নয়, জনগণের কাছে ক্ষমতা ফিরিয়ে দিতে চান। বাংলাদেশ অবশ্যই বদলাবে, শিগগিরই বদলাবে।

 

 

অন্যদের মধ্যে জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, মুখপাত্র সামান্তা শারমিন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক আব্দুল হান্নান মাসউদ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যসচিব আরিফ সোহেল, নির্বাহী কমিটির সদস্য নুসরাত তাবাসসুম, মাহিন সরকার প্রমুখ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন। নতুন দলের কমিটি ঘোষণার আগে তাঁরা বক্তৃতা দেন।

 

ছিলেন বিভিন্ন দলের নেতারাও

নতুন দলের আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। বিএনপির পক্ষ থেকে দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ও যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী, জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, খেলাফত মজলিসের মহাসচিব আহমদ আবদুল কাদের, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা জালাল উদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মহাসচিব মুফতি সৈয়দ ফখরুল ইসলাম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য আশরাফ আলী আকন, হেফাজতে ইসলামের নায়েবে আমির আহমদ আলী কাসেমী, ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব সাখাওয়াত হোসেন রাজী, বিকল্পধারা বাংলাদেশের নির্বাহী সভাপতি মেজর (অব.) আবদুল মান্নান, বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, এবি পার্টির মহাসচিব আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, জেএসডির জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি তানিয়া রব ও সাধারণ সম্পাদক শহীদউদ্দিন মাহমুদ, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা আকবর খানসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

 

এ ছাড়া ঢাকায় নিযুক্ত ভ্যাটিকান সিটির রাষ্ট্রদূত ও পাকিস্তান হাইকমিশনের পলিটিক্যাল কাউন্সিলর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বলে সভামঞ্চ থেকে মাইকে বলা হয়।