পরিবেশ ভাবনা : পর্যটন ও প্লাস্টিক দূষণে দেশের পরিবেশ সংকটাপন্ন
ড. শফি মুহাম্মদ তারেক [আপডেট: বণিকবার্তা, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫]

বাংলাদেশ প্রকৃতির রঙে ভরপুর একটি দেশ। নদী, হাওর, বন, উপকূল, পাহাড় ও দ্বীপ—এ ছোট্ট দেশের দৃশ্যপটে রয়েছে অসাধারণ বৈচিত্র্য। এ বৈচিত্র্য শুধু সৌন্দর্য নয়, বরং দেশের অর্থনীতি, জীববৈচিত্র্য, জলবায়ু ও পরিবেশগত স্থিতিশীলতার জন্য অপরিহার্য। বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পও এ প্রাকৃতিক বৈচিত্র্যের ওপর ভিত্তি করেই প্রতিনিয়ত বাড়ছে। প্রতি বছর লাখ লাখ মানুষ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ভ্রমণে যায়। কক্সবাজার, সেন্ট মার্টিন, সুন্দরবন, কুয়াকাটা, টাঙ্গুয়ার হাওর, হাকালুকি হাওর, রাঙ্গামাটি-বান্দরবান-খাগড়াছড়ি, সিলেটের চা-বাগান—সব জায়গাতেই ছুটির সময় প্রচুর পর্যটকের সমাগম হয়। ফলে অঞ্চলের অর্থনীতি যেমন সমৃদ্ধ হয়, ঠিক তেমনি পর্যটনের সঙ্গে বাড়ছে ভয়াবহ পরিবেশ দূষণ, বিশেষ করে প্লাস্টিক দূষণ, যা দেশের পরিবেশগতভাবে সংকটাপন্ন অঞ্চলগুলো বা ইকোলজিক্যালি ক্রিটিক্যাল এরিয়াগুলোর অস্তিত্বের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
দেশে বর্তমানে প্রায় ১২টি অঞ্চলকে পরিবেশগত সংকটাপন্ন অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এ অঞ্চলগুলো এমন জায়গা যেখানে প্রকৃতি অতিমাত্রায় সংবেদনশীল এবং সামান্য অব্যবস্থাপনাও জীববৈচিত্র্যের ওপর দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে। যেসব অঞ্চলকে ইকোলজিক্যালি ক্রিটিক্যাল জোন ঘোষণা করা হয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছে সেন্ট মার্টিন দ্বীপ, সুন্দরবনসংলগ্ন অঞ্চল, কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ, হাকালুকি হাওর, টাঙ্গুয়ার হাওর, গাজীপুরের কয়েকটি বনাঞ্চল এবং উপকূলের বিভিন্ন সংরক্ষিত এলাকা। এসব জায়গা পরিবেশগত দিক থেকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এখানে বিরল প্রাণী, উদ্ভিদ, সামুদ্রিক জীব, প্রবালসহ বিভিন্ন প্রজাতির অস্তিত্ব টিকে আছে, যা কেবল বাংলাদেশের নয়, বরং বিশ্বের জন্য গুরুত্বপূর্ণ প্রাকৃতিক সম্পদ।
কিন্তু পর্যটনের অতি দ্রুত বৃদ্ধি এবং পর্যটন ব্যবস্থাপনার বিশৃঙ্খলা এসব এলাকার পরিবেশকে ধীরে ধীরে ধ্বংস করছে। সবচেয়ে ভয়াবহ ক্ষতি হচ্ছে প্লাস্টিক দূষণ থেকে। বাংলাদেশের মতো দেশে প্লাস্টিকের ব্যবহার অতি সহজলভ্য এবং সস্তা হওয়ায় এটি মানুষের দৈনন্দিন জীবনের সঙ্গে গভীরভাবে মিশে গেছে। পানির বোতল, চিপসের প্যাকেট, সফট ড্রিংকের বোতল, পলিথিন ব্যাগ, স্ট্র, প্লাস্টিকের কাপ-প্লেট, আইসক্রিমের মোড়ক, টুথপেস্ট-শ্যাম্পুর স্যাশে—সব মিলিয়ে মানুষের ভোগ্যপণ্যের একটি বিশাল অংশই প্লাস্টিকনির্ভর। পর্যটন এলাকায় তো এ ব্যবহারের মাত্রা আরো অনেক বেশি। মানুষ ঘুরতে আসে, খাবার খায়, ছবি তোলে—কিন্তু তাদের ব্যবহার করা প্লাস্টিকগুলো বেশির ভাগই সঠিকভাবে ডাস্টবিনে যায় না। হাওয়ায় উড়ে, বালুর শরীরে পড়ে থাকে অথবা জোয়ারের সঙ্গে সমুদ্রে মিশে যায়।
এছাড়া শিল্প-কারখানা ও বাণিজ্যিক কার্যক্রমও প্লাস্টিক দূষণ বাড়ায়। প্যাকেজিং শিল্প, বাজার থেকে ফেলা প্লাস্টিক মোড়ক, এমনকি মাছ ধরার জাল—সবকিছুই নদী ও উপকূলে বর্জ্য হিসেবে পৌঁছে যায়। তদুপরি বাংলাদেশে প্রাকৃতিক দুর্যোগের হার বেশি হওয়ায় বন্যা, সাইক্লোন ও জোয়ারের কারণে শহর ও গ্রামাঞ্চলের জমে থাকা প্লাস্টিক দূরবর্তী ইকোলজিক্যাল জোনে ভেসে গিয়ে জমা হয়। এসবই সম্মিলিতভাবে বাংলাদেশের সংবেদনশীল ইকোসিস্টেমে প্লাস্টিক দূষণকে আরো গুরুতর করছে। প্লাস্টিক দূষণের প্রভাব বিস্তৃত ও গভীর। প্রথমেই জীববৈচিত্র্যের ওপর বিরূপ প্রভাব সৃষ্টি হয়। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, নদী ও সাগরের পানিতে মাইক্রোপ্লাস্টিক ছড়িয়ে পড়েছে, যা মাছ, চিংড়ি, কচ্ছপ, ডলফিন, পাখি ও জলজ প্রাণীর শরীরে প্রবেশ করছে। মাইক্রোপ্লাস্টিক খাদ্যচক্রে ঢুকে শেষ পর্যন্ত মানুষের খাবারেও চলে আসে, যা দীর্ঘমেয়াদে মানবস্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। বড় আকারের প্লাস্টিক যেমন মাছ ধরার জাল, পলিথিনের গাদা, প্লাস্টিক রিং ইত্যাদি নানা প্রাণীর ঘাড়, পাখা বা পায়ে জড়িয়ে তাদের চলাফেরা এবং শ্বাস-প্রশ্বাসে বাধা সৃষ্টি করে, অনেক প্রাণহানির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
বিশ্বে প্রতি বছর প্রায় ৪০০ মিলিয়ন টন প্লাস্টিক উৎপাদন হয়, যার অর্ধেকই একবার ব্যবহারের জন্য তৈরি। একবার ব্যবহারের প্লাস্টিকই পরিবেশ দূষণের সবচেয়ে বড় কারণ। বাংলাদেশে প্রতি বছর প্রায় ৮ দশমিক ৭ লাখ টন প্লাস্টিক বর্জ্য তৈরি হয়, যার বড় অংশ পুনর্ব্যবহার করা সম্ভব নয়। ঢাকায় প্রতিদিন কয়েকশ টনের বেশি প্লাস্টিক বর্জ্য তৈরি হয়—এটি দেশের মোট উৎপাদনের প্রায় অর্ধেকের সমান। সারা দেশে যে পরিমাণ প্লাস্টিক তৈরি হয় তার আংশিক পুনর্ব্যবহার হয়। বাকিটা প্রবেশ করে নদী, খাল, হাওর, সমুদ্র ও উপকূলীয় অঞ্চলে। পর্যটন অঞ্চলগুলোর প্লাস্টিক দূষণের মাত্রা আরো অনেক বেশি।
কক্সবাজার বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত এবং বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র। ছুটির দিনে এখানে প্রতিদিন এক থেকে দুই লাখ মানুষ ভ্রমণে যায়। গবেষণায় দেখা গেছে, কক্সবাজারের সৈকতে প্রতিদিন প্রায় কয়েক টন প্লাস্টিক বর্জ্য জমা হয়। এর অর্ধেকেরও বেশি হলো পানির বোতল, সফট ড্রিংকের বোতল, ফাস্টফুড প্যাকেট ও পলিথিন ব্যাগ। সৈকত পরিষ্কার করার কাজ প্রতিদিনই হয়, কিন্তু প্লাস্টিকের পরিমাণ এত বেশি যে সব সংগ্রহ করা সম্ভব হয় না। বালির ভেতরে হাজার হাজার ছোট প্লাস্টিকের টুকরো, যাকে মাইক্রোপ্লাস্টিক বলা হয়, জমা হতে থাকে। জোয়ার আসলে সেগুলো সমুদ্রের দিকে ভেসে যায়। প্লাস্টিক সমুদ্রের লোনা পানির সংস্পর্শে এসে আরো ক্ষুদ্র অংশে ভেঙে পড়ে এবং এই ছোট কণাগুলো মাছ, শামুক, ঝিনুক ও অন্যান্য সামুদ্রিক প্রাণীর দেহে প্রবেশ করে। এভাবে প্লাস্টিক মানুষের খাদ্যশৃঙ্খলে এসে মানুষের স্বাস্থ্যেও প্রভাব ফেলছে। আজ বিশ্বজুড়ে মানুষ প্রতি সপ্তাহে গড়ে প্রায় ৫ গ্রাম প্লাস্টিক খাচ্ছে, যা একটি ক্রেডিট কার্ডের সমান। বাংলাদেশের মানুষও এর ব্যতিক্রম নয়। বিশেষ করে উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষ মাছের ওপর বেশি নির্ভরশীল হওয়ায় তাদের শরীরে মাইক্রোপ্লাস্টিকের প্রভাব আরো বেশি।
সেন্ট মার্টিন দ্বীপ বাংলাদেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ। কিন্তু পর্যটকদের ভিড় এবং প্লাস্টিক দূষণের কারণে দ্বীপটি তার স্বাভাবিক বৈশিষ্ট্য হারাচ্ছে। সেন্ট মার্টিনে শীতের সময় প্রতিদিন প্রায় ২ হাজার পর্যটক যায়, যদিও দ্বীপটির পর্যটক ধারণক্ষমতা সর্বোচ্চ ৫০০ থেকে এক হাজার মানুষ। পর্যটকরা দ্বীপে যেকোনো জায়গায় প্লাস্টিক ফেলে যান। খাবারের প্যাকেট, পানির বোতল, স্ট্র, চকোলেটের মোড়ক—সবখানে ছড়ানো থাকে।
আরেকটি বড় ইকোলজিক্যালি ক্রিটিক্যাল অঞ্চল হলো সুন্দরবন ও সংলগ্ন এলাকা। সুন্দরবন পৃথিবীর বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন এবং ইউনেস্কো ঘোষিত ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট। সুন্দরবনে বছরে প্রায় দুই লাখের বেশি পর্যটক যান। সুন্দরবনের নদী-খালে পর্যটনবাহী লঞ্চগুলোর অধিকাংশই প্লাস্টিক বর্জ্য নদীতে ফেলে দেয়। পানির বোতল, খাবারের প্যাকেট, থার্মোকল, গ্লাস—সব নদীতে জমা হতে থাকে। ২০১৮-২৩ সালের একটি গবেষণায় দেখা গেছে সুন্দরবনের নদীতে মাইক্রোপ্লাস্টিকের উপস্থিতি দ্বিগুণ হয়েছে। অনেক মাছের পেটে মাইক্রোপ্লাস্টিক পাওয়া গেছে। বাঘ, হরিণসহ বনজ প্রাণীরা দূষিত পানি পান করার কারণে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।
বাংলাদেশের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের সুনামগঞ্জ জেলার বিস্তীর্ণ জলাভূমি টাঙ্গুয়ার হাওর দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পরিবেশগতভাবে সংবেদনশীল অঞ্চল। এটি শুধু একটি হাওর নয়, বরং একটি বৈশ্বিক গুরুত্বপূর্ণ জলাভূমি বা রামসার সাইট। অসংখ্য দেশী-বিদেশী পাখির বিচরণভূমি, মাছের উন্নত প্রজনন ক্ষেত্র, জলজ উদ্ভিদের বিশাল বৈচিত্র্য—সব মিলিয়ে টাঙ্গুয়ার হাওর আমাদের জীববৈচিত্র্যের জন্য অমূল্য সম্পদ। কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলোয় হাওরটির ওপর প্লাস্টিক দূষণের প্রভাব ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। টাঙ্গুয়ার হাওরে প্লাস্টিক দূষণের প্রধান উৎস হলো স্থানীয় জনবসতি, পর্যটন কার্যক্রম এবং এলাকা দিয়ে যাওয়া নৌ-পরিবহন। পর্যটকদের ব্যবহৃত পানির বোতল, স্ন্যাকসের প্যাকেট, স্ট্র, কাপ, পলিথিন ব্যাগ ইত্যাদি অনেক সময় নৌকা থেকে সরাসরি পানিতে ফেলে দেয়া হয়। বর্ষার সময় পার্শ্ববর্তী গ্রাম ও বাজারের বর্জ্যও প্লাস্টিকসহ বিভিন্ন পদার্থ বৃষ্টির পানির সঙ্গে ভেসে এসে হাওরে জমা হয়। এ প্লাস্টিক বর্জ্য কয়েক দশক ধরে না পচে পানিতে ভেসে থাকে এবং ধীরে ধীরে ক্ষুদ্র কণিকায় ভেঙে মাইক্রোপ্লাস্টিকে রূপ নেয়।
প্লাস্টিক শুধু পরিবেশকেই দূষণ করছে না, বরং মানুষের স্বাস্থ্য, জীবজন্তুর জীবন, অর্থনীতি এবং পর্যটন শিল্পকেও ক্ষতি করছে। প্লাস্টিক ভাঙতে ৪৫০-১০০০ বছর পর্যন্ত সময় লাগে। এর মধ্যে অনেক রাসায়নিক মাটি ও পানিতে মিশে দূষণ সৃষ্টি করে। প্লাস্টিক পোড়ালে ডাইঅক্সিনসহ নানা বিষাক্ত উপাদান বাতাসে মিশে শ্বাসকষ্ট, ক্যান্সার, হরমোনজনিত সমস্যা, ত্বকের জ্বালা-যন্ত্রণা সৃষ্টি করে। বর্জ্য সঠিকভাবে না থাকায় ড্রেন বন্ধ হয়ে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। বিশেষ করে উপকূলীয় অঞ্চলে প্লাস্টিক বর্জ্য সাইক্লোনের সময় পানির সঙ্গে মিশে ঘরবাড়ি, চাষাবাদ ও পানির উৎস দূষিত করে।
প্লাস্টিক দূষণ এত ভয়াবহ হওয়ার মূল কারণ হলো সমাজে সচেতনতার অভাব, পর্যটন ব্যবস্থাপনার দুর্বলতা এবং সঠিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অভাব। বাংলাদেশে পলিথিন নিষিদ্ধ করা হলেও বাস্তবে এর প্রয়োগ তেমন দেখা যায় না। পর্যটন স্থানে বর্জ্য ব্যাবস্থাপনার জন্য নির্দিষ্ট ডাস্টবিন থাকলেও অনেক সময় সেগুলো ভেঙে থাকে বা সংগ্রহ করা হয় না। পর্যটকের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণের কোনো ব্যবস্থা নেই। পর্যটকদের অধিকাংশই দায়িত্বশীল আচরণ করেন না।
যদিও সমস্যাটা বড়, কিন্তু এর সমাধান অসম্ভব নয়। পৃথিবীর অনেক দেশ ইতোমধ্যে একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক নিষিদ্ধ করেছে। বাংলাদেশও চাইলে ধাপে ধাপে এ নিয়ম চালু করতে পারে। পর্যটন অঞ্চলে প্লাস্টিক-ফ্রি জোন তৈরি করা যেতে পারে। সব হোটেল ও রিসোর্টকে পুনর্ব্যবহারযোগ্য পানির বোতল ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা উচিত। দোকানগুলোতে কাগজের ব্যাগ ব্যবহার করতে হবে। কক্সবাজার এবং সেন্ট মার্টিনে প্রবেশের সময় প্লাস্টিকসামগ্রী পরীক্ষা করে আটকে রাখার ব্যবস্থা করা যেতে পারে। সৈকত পরিষ্কার অভিযান নিয়মিত করতে হবে। বর্জ্য সংগ্রহ ও পুনর্ব্যবহারযোগ্য প্লান্ট গড়ে তুলতে হবে।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো মানুষের আচরণ পরিবর্তন। পর্যটক যদি নিজের ব্যবহৃত প্লাস্টিক সঠিকভাবে ফেলে আসার অভ্যাস না গড়ে তোলে, তবে যেকোনো নিয়মই ব্যর্থ হবে। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিবেশ শিক্ষা ও প্লাস্টিক দূষণ সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে হবে। স্থানীয় জনগণকে পরিবেশবান্ধব পর্যটনের প্রশিক্ষণ দিতে হবে।
বাংলাদেশের পরিবেশগতভাবে সংকটাপন্ন অঞ্চলগুলোকে রক্ষা করা শুধু সরকারের দায়িত্ব নয়; এটি পুরো জাতির দায়িত্ব। কারণ প্রকৃতি বাঁচলে আমরা বাঁচব। পরিবেশ দূষণ বাড়লে আমাদের অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, জীববৈচিত্র্য, পর্যটন—সবকিছুই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। পর্যটন ও পরিবেশকে সমান্তরালে এগিয়ে নিতে হলে এখনই প্লাস্টিক ব্যবহার কমানো জরুরি।
আমরা যদি প্লাস্টিক দূষণ কমাতে না পারি, তাহলে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য আমরা একটি বিপর্যস্ত বিশ্ব রেখে যাব। তাই এখনই সময়—পরিবেশবান্ধব পর্যটনের প্রচলন, প্লাস্টিকের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ, মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধি এবং পরিবেশ রক্ষার দায়িত্ব পালন করার।
ড. শফি মুহাম্মদ তারেক: অধ্যাপক, পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়; ফেলো, রয়্যাল কেমিক্যাল সোসাইটি এবং চার্টার্ড পরিবেশবিদ, যুক্তরাজ্য