কল করুন

কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স

রাজনৈতিক পটপরিবর্তনে তৃতীয় শক্তি

বাংলাদেশের অভ্যুদয় এবং পরবর্তীতে বিভিন্ন সময় দেখা গেছে, ক্ষমতার পটপরিবর্তনে তৃতীয় শক্তির ভূমিকা মুখ্য ছিল। আবার এ কথাও ঠিক, তৃতীয় শক্তির ভূমিকার ব্যাপারে জনমতের অবস্থান গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখা দেয়। আমরা মুখে বললেও গণতন্ত্রের প্রতি সেভাবে শ্রদ্ধাশীল না হওয়ায় এ দেশে কখনো ক্ষমতাসীন দলের অধীনে অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনে বিরোধী দল সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও বিজয়ী হতে পারেনি। আগামীতে যে বিজয়ী হতে পারবে এ ধারণা অমূলক। তাই অতীতের ঘটনাবলি এবং বর্তমানের ঘটনাপ্রবাহ বিশ্লেষণে বোঝার কী অবশিষ্ট আছে অস্থায়ী বা তত্ত্বাবধায়ক বা অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনেও তৃতীয় শক্তির নিরপেক্ষ ভূমিকা ছাড়া রাজনৈতিক পটপরিবর্তন আদৌ সম্ভব নয়-ইকতেদার আহমেদ [সূত্র : নয়া দিগন্ত, ২৬ মে ২০২৫]

রাজনৈতিক পটপরিবর্তনে তৃতীয় শক্তি

ঔপনিবেশিক ব্রিটিশ শাসকরা ১৯০ বছর ভারতবর্ষ শাসন করে। ১৯৪৭ সালে ভারতবর্ষ বিভাজনের মাধ্যমে পাকিস্তান ও ভারত নামে দু’টি পৃথক রাষ্ট্রের জন্ম হয়। পাকিস্তান রাষ্ট্রটি দু’টি অংশে বিভক্ত ছিল। এর পশ্চিম অংশের নাম পশ্চিম পাকিস্তান। আর পূর্ব অংশের নাম ছিল পূর্বপাকিস্তান। ভারত দিয়ে বিচ্ছিন্ন ছিল পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তান। স্থলপথে উভয় পাকিস্তানের দূরত্ব ছিল হাজার মাইলের বেশি।

 
 

 

 
 

ধর্মীয় জাতিসত্তার ভিত্তিতে ভারতবর্ষ বিভক্ত হলে সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দু জনগোষ্ঠী সমন্বয়ে ভারত রাষ্ট্রটি গঠিত হয়। অন্য দিকে সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম জনগোষ্ঠী সমন্বয়ে পাকিস্তান রাষ্ট্র গঠিত হয়। ভারতবর্ষে বসবাসকারী হিন্দু ও মুসলিমÑ উভয় সম্প্রদায় দীর্ঘদিন ধরে স্বাধীনতার জন্য আন্দোলন করে। ওই আন্দোলন সহিংস ও অহিংস, উভয় রূপে পরিচালিত হলেও অবশেষে সমঝোতার মাধ্যমে ভারতবর্ষ বিভাজিত হয়ে ভারত ও পাকিস্তান স্বাধীন রাষ্ট্ররূপে আত্মপ্রকাশ করে। ভারত ও পাকিস্তান রাষ্ট্র দু’টি সৃষ্টিতে হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গায় যত না লোক প্রাণ হারিয়েছেন, হিন্দু ও মুসলিম উভয়ে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে স্বাধীনতার জন্য যে আন্দোলন করেছিলেন; তাতে প্রাণহানির সংখ্যা সে তুলনায় কম ছিল।

 
 

 

 
 

ধর্মীয় জাতিসত্তার ভিত্তিতে সৃষ্ট পাকিস্তানে ১৯৭০ সালে যে সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল; তাতে জাতীয় পরিষদের ১৬৯টি আসন পূর্বপাকিস্তানের জন্য এবং ১৩১টি পশ্চিম পাকিস্তানের জন্য নির্ধারিত ছিল। পূর্বপাকিস্তানে নির্ধারিত ১৬৯টি আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগ ১৬৭টিতে জয়ী হয়। এতে করে পাকিস্তানের একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসেবে আওয়ামী লীগ দেশের শাসনক্ষমতা পরিচালনার যোগ্যতা অর্জন করে। কিন্তু পাকিস্তানের সামরিক শাসকগোষ্ঠী আলাপ-আলোচনার নামে কালক্ষেপণ করে শেষ পর্যন্ত ক্ষমতা হস্তান্তর না করলে তা বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে রূপ নেয়। ৯ মাস যুদ্ধের পর স্বাধীন রাষ্ট্ররূপে বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে।

 

 

 

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, ভারত ও বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রশিক্ষণ গ্রহণান্তে মুক্তিবাহিনী ১৯৭১ সালের মার্চ মাসের শেষভাগ থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশের অভ্যন্তরে এবং সীমান্ত এলাকায় পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে যেসব অভিযান পরিচালনা করেছিল, সেগুলোর সাফল্য খুব একটা আশাব্যঞ্জক ছিল না। অক্টোবর ও নভেম্বরে ভারতের সেনাবাহিনীর সমর্থন নিয়ে সীমান্ত অঞ্চলে যে সফল অভিযান পরিচালিত হয়েছিল তা পাকিস্তানি বাহিনীর ব্যাপক ক্ষতি করতে থাকে। অবশেষে ৩ ডিসেম্বর ভারত ও পাকিস্তানের সাথে আনুষ্ঠানিক যুদ্ধ শুরু হয়। ভারত পূর্ব পাকিস্তানে অবস্থানরত পাকিস্তানি বাহিনীর সাথে প্রত্যক্ষভাবে সর্বাত্মক যুদ্ধে লিপ্ত হয়। ওই যুদ্ধে ভারতের সেনা, নৌ ও বিমান এ তিন বাহিনী অংশ নেয়।

 

 

 

ভারত ও পাকিস্তানের সাথে পূর্ব রণাঙ্গনে যুদ্ধ এক সপ্তাহের মধ্যে চূড়ান্ত পরিণতি পেলেও পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণের শর্ত ও আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করতে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত গড়ায়। ভারত-পাকিস্তান সর্বাত্মক যুদ্ধের সময় আমাদের মুক্তিবাহিনী ভারতীয় বাহিনীগুলোর সাথে যৌথবাহিনী নামকরণে অংশ নেয়।

 

 

 

পূর্ব পাকিস্তানে পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের অভ্যুদয় ঘটলে পাকিস্তানের পূর্বাংশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তন ঘটে। এ পটপরিবর্তনে পাকিস্তানের পূর্ব রণাঙ্গনে ভারতের সেনাবাহিনী পাকিস্তানের সাথে প্রত্যক্ষ যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়ে তৃতীয় শক্তি হিসেবে মুখ্য ভূমিকা পালন করে। একাত্তরে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ ভারতের লোকসভা দ্বারা অনুমোদিত হওয়ায় বাংলাদেশ রাষ্ট্রটি সৃষ্টির পেছনে ভারতের রাজনৈতিক অভিলাষ চরিতার্থ হয়েছে।

 

 

পূর্ব পাকিস্তান পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত থাকাকালীন আওয়ামী লীগ দীর্ঘদিন গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করেছে। যে আওয়ামী লীগ পাকিস্তান শাসনামলে দীর্ঘদিন গণতন্ত্রের জন্য আন্দোলন ও সংগ্রাম করেছে; স্বাধীন বাংলাদেশে জনপ্রত্যাশা ছিল নতুন সৃষ্ট রাষ্ট্রের শাসনভার আওয়ামী লীগের হাতে ন্যস্ত হওয়ায় এ দেশে গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পাবে। কিন্তু সে প্রত্যাশা দীর্ঘায়ত হতে পারেনি। ১৯৭৫ সালে সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে একদলীয় শাসনব্যবস্থা প্রবর্তন করা হলে এ দেশে গণতন্ত্র ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা কালোমেঘে আচ্ছাদিত হয়।

 

 

 

পৃথিবীর যেকোনো দেশে গণতন্ত্রের পথ রুদ্ধ হলে অগণতান্ত্রিকভাবে রাজনৈতিক পটপরিবর্তন ঘটে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশেও ব্যতিক্রম হয়নি। একদলীয় শাসনব্যবস্থার মাধ্যমে গণতন্ত্রের পথ রুদ্ধ হওয়ার ছয় মাসের কিছু দিন পর দেখা গেলÑ মর্মান্তিক ও বিয়োগান্তক ঘটনার মাধ্যমে রাজনৈতিক পটপরিবর্তন ঘটেছে। এ পটপরিবর্তনে আওয়ামী লীগের ভিন্ন নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হলেও এর পেছনে তৃতীয় শক্তি হিসেবে যে শক্তিটি কাজ করেছিল, সেটি ছিল সেনাবাহিনীর একটি বিক্ষুব্ধ অংশ। পটপরিবর্তন-পরবর্তী সেনাবাহিনী বা অন্য কোনো বাহিনী থেকে কোনো ধরনের প্রতিরোধ না হওয়ায় ধারণা করা হয়, শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি অনুগত আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃত্বের কেউ পটপরিবর্তনে বিপক্ষে অবস্থান নিতে উদ্যোগী হননি।

 

 

 

শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুপরবর্তী তার একান্ত বিশ্বস্ত সহকর্মী খন্দকার মোস্তাক ক্ষমতা গ্রহণ করলেও মাত্র আড়াই মাস ক্ষমতাসীন থাকার পর সেনাবাহিনীর অভ্যুত্থান-পাল্টা অভ্যুত্থানে তাকে রাষ্ট্রক্ষমতা থেকে সরে যেত হয়। এ সময়ে বিভিন্ন ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্য দিয়ে অনেকটা অপ্রত্যাশিত ও আকস্মিকভাবে সেনাপ্রধান জিয়াউর রহমান ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসেন।

 

 

 

জিয়াউর রহমান সেনাপ্রধান থাকাবস্থায় দল গঠন করে সফলতা পান। তার শাসনামলে অনুষ্ঠিত রাষ্ট্রপতি ও সংসদ উভয় নির্বাচনে তার দল বিজয়ী হয়। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে জিয়াউর রহমানের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক এম এ জি ওসমানী।

 

 

 

জিয়াউর রহমান মর্মান্তিকভাবে নিহত হলে তার দল ক্ষমতাসীন থাকাবস্থায় যে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় তাতে তার দল বিএনপির প্রার্থী ছিলেন তৎকালীন উপরাষ্ট্রপতি বিচারপতি আব্দুস সাত্তার এবং প্রধান বিরোধী দল আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছিলেন ড. কামাল হোসেন। এ নির্বাচনে ব্যাপক ব্যবধানে বিচারপতি আব্দুস সাত্তারের বিজয় ঘটে।

 

 

 

 

বিচারপতি আব্দুস সাত্তার রাষ্ট্রপতি হিসেবে অধিষ্ঠিত হওয়ার পর এক বছর পার না হতে তৎকালীন সেনাপ্রধান এরশাদের নেতৃত্বে পরিচালিত রক্তপাতহীন সেনা অভ্যুত্থানে রাষ্ট্রক্ষমতা হতে বিদায় নিতে হয়। এরশাদ ক্ষমতা গ্রহণ-পরবর্তী ৯ বছর ক্ষমতাসীন ছিলেন। এরশাদের ক্ষমতা গ্রহণে এবং তাকে ক্ষমতাসীন রাখার ব্যাপারে সেনাবাহিনীর সমর্থন ছিল। এরশাদের দুঃশাসনের বিরুদ্ধে সম্মিলিতভাবে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, বাম এই তিন জোট এবং জামায়াত মিলে যে গণ-অভ্যুত্থান সৃষ্টি করেছিল তা যতক্ষণ পর্যন্ত সেনাসমর্থন এরশাদের অনুকূলে ছিল; ততক্ষণ পর্যন্ত সফলতা পায়নি। যে মুহূর্তে দেখা গেল, এরশাদের পেছনে সেনাবাহিনীর সমর্থন নেই, সে মুহূর্তে এরশাদের ক্ষমতা থেকে বিদায় আর বিলম্বিত হয়নি। এরশাদকে ক্ষমতায় আসীন করার ব্যাপারে তৃতীয় শক্তি হিসেবে সেনাবাহিনী যেমন ভূমিকা রেখেছিল, অনুরূপ তাকে ক্ষমতা থেকে বিদায়েও সেনাপ্রধানের সমর্থন প্রত্যাহার অনন্য ভূমিকা হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে।

 

 

 

এ দেশে অস্থায়ী ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে যে তিনটি সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে এর কোনোটিতে অব্যবহিত আগের ক্ষমতাসীন দল বিজয়ী হতে পারেনি। তাই তুলনামূলক বিচারে পঞ্চম, সপ্তম ও অষ্টম সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হলেও তা বিজিত দলের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়নি।

 

 

 

 

নবম সংসদ নির্বাচনটি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পরিবর্তে সেনাসমর্থিত সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সেনাসমর্থিত ওই সরকার যে সাংবিধানিকভাবে গঠিত ছিল না এ বিষয়ে কোনো বিতর্ক নেই। সেনাসমর্থিত সরকার ক্ষমতা গ্রহণের আগে যে তত্ত্বাবধায়ক সরকারটি ক্ষমতায় ছিল সেটিও যে সংবিধানের সব বিকল্প নিঃশেষ করে গঠন করা হয়েছিল এমন দাবির পেছনে কোনো যৌক্তিকতা নেই। সেনাসমর্থিত সরকারের পক্ষে দুই বছর ক্ষমতায় থাকা সম্ভব হয়েছিল। কিন্তু ওই সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী দলগুলো জনমতের প্রকৃত প্রতিফলনে আসন প্রাপ্ত হয়েছিল তা কি জোর দিয়ে বলা যাবে?

 

 

 

চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতার যে ব্যাপক অংশগ্রহণ ছিল তাতেও দেখা গেছে সে সময় ছাত্র-জনতার পক্ষ হতে স্লোগান উঠেছিল ‘এ মুহূর্তে দরকার সেনাবাহিনীর সরকার’। এটি বাস্তব সত্য যে, সেনাবাহিনী শেখ হাসিনা থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করে না নিলে আন্দোলন সফলতা পেত কি না তা নিয়ে নানামুখী প্রশ্ন দেখা দেয়। এ কথাও সত্য যে, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার নেপথ্যে থেকে যতদিন সেনাবাহিনীর অকুণ্ঠ সমর্থন পাবে ততদিন তারা মোটামুটি নিরাপদ।

 

 

 

বাংলাদেশের অভ্যুদয় এবং পরবর্তীতে বিভিন্ন সময় দেখা গেছে, ক্ষমতার পটপরিবর্তনে তৃতীয় শক্তির ভূমিকা মুখ্য ছিল। আবার এ কথাও ঠিক, তৃতীয় শক্তির ভূমিকার ব্যাপারে জনমতের অবস্থান গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখা দেয়। আমরা মুখে বললেও গণতন্ত্রের প্রতি সেভাবে শ্রদ্ধাশীল না হওয়ায় এ দেশে কখনো ক্ষমতাসীন দলের অধীনে অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনে বিরোধী দল সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও বিজয়ী হতে পারেনি। আগামীতে যে বিজয়ী হতে পারবে এ ধারণা অমূলক। তাই অতীতের ঘটনাবলি এবং বর্তমানের ঘটনাপ্রবাহ বিশ্লেষণে বোঝার কী অবশিষ্ট আছে অস্থায়ী বা তত্ত্বাবধায়ক বা অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনেও তৃতীয় শক্তির নিরপেক্ষ ভূমিকা ছাড়া রাজনৈতিক পটপরিবর্তন আদৌ সম্ভব নয়।

 

লেখক : সাবেক জজ, সংবিধান, রাজনীতি ও অর্থনীতি বিশ্লেষক