কল করুন

কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স

রোহিঙ্গা ইস্যুতে জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক সম্মেলন ৩০ সেপ্টেম্বর

সমস্যা সমাধানের বড় সুযোগ দেখছেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা নিজস্ব প্রতিবেদক [প্রকাশ: বণিক বার্তা, ১৮ আগস্ট ২০২৫]

রোহিঙ্গা ইস্যুতে জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক সম্মেলন ৩০ সেপ্টেম্বর

জাতিসংঘের উদ্যোগে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর হবে রোহিঙ্গাবিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলন। এর মাধ্যমে রোহিঙ্গা সমস্যার একটি স্থায়ী ও প্রকৃত সমাধান খুঁজে বের করা সম্ভব বলে মনে করেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান।

এর আগে ২৫ আগস্ট কক্সবাজারে ‘অংশীজন সংলাপ: রোহিঙ্গা পরিস্থিতি নিয়ে উচ্চপর্যায়ের সম্মেলনে আলোচনার জন্য প্রাপ্ত বার্তা’ শীর্ষক একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এ বিষয়ে ঢাকায় থাকা কূটনীতিকদের গতকাল ব্রিফ করেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা। রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে অনুষ্ঠিত ব্রিফিংয়ে রোহিঙ্গা পরিস্থিতি তুলে ধরে তিনি কক্সবাজারের সম্মেলনে যোগ দেয়ার আহ্বান জানান। ব্রিফিংয়ে যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, চীন, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ দেশ এবং জোট মিলিয়ে ৫০টি মিশনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান বলেন, ‘রোহিঙ্গাবিষয়ক একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন জাতিসংঘের উদ্যোগে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এর আগে কক্সবাজারে অনুষ্ঠেয় সম্মেলনটি জাতিসংঘের একটি বৃহত্তর সম্মেলনের প্রস্তুতির অংশবিশেষ। সেখানে রোহিঙ্গাদের জন্য এবং বিশ্ব সম্প্রদায়ের জন্য এ সমস্যার স্থায়ী ও প্রকৃত সমাধান খুঁজে বের করার পথনির্দেশিকা দেয়ার একটি বড় সুযোগ। তাই রোহিঙ্গাদের কণ্ঠস্বর, তাদের কথা, তাদের আশা-আকাঙ্ক্ষা এবং স্বপ্নগুলোকে ওই সম্মেলনে তুলে ধরার প্রচেষ্টা চলছে।’

 

 

 

কূটনীতিকদের ব্রিফিং শেষে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এক সময় রোহিঙ্গা ইস্যুটি আন্তর্জাতিক আলোচনার এজেন্ডা থেকে প্রায় বাদ পড়ে যাচ্ছিল। এ পরিস্থিতিতে প্রধান উপদেষ্টা গত বছর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে গিয়ে একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন আয়োজনের জন্য সব সদস্যরাষ্ট্রকে আহ্বান জানিয়েছিলেন। সেই আহ্বানে তাৎক্ষণিকভাবে ও সর্বসম্মতিক্রমে সাড়া পাওয়া যায় এবং জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ এ সম্মেলন আহ্বানের সিদ্ধান্ত নেয়। এতে যথেষ্ট পরিমাণ আন্তর্জাতিক সমর্থন রয়েছে। বিশ্বের ১০৬টি দেশ এ সম্মেলনকে স্পন্সর করেছে।’

 

 

 

সম্মেলনের উদ্দেশ্য সম্পর্কে খলিলুর রহমান বলেন, ‘জাতিসংঘের সদস্যরাষ্ট্রগুলোই এ ধরনের সম্মেলনে অংশ নেয়। রোহিঙ্গারা তো আর সদস্য নয়। কিন্তু কাউকে তো তাদের ভয়েসটা নিয়ে যেতে হবে। আমরা এ ধরনের প্রক্রিয়ায় সে কাজটা করছি। আমরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছ থেকে যথেষ্ট সাড়া পাচ্ছি।’