শহিদ হাদি ছাড়াও নজরুল সমাধিসৌধে চিরনিদ্রায় শায়িত যারা
[প্রকাশ: সময়ের আলো, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫]

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সমাধি। সংগৃহীত ছবি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের পাশের কবরস্থান এবং জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সমাধির পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও জুলাই বিপ্লবী শহিদ শরিফ ওসমান হাদি।
শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সাড়ে তিনটার দিকে হাদিকে দাফন করা হয়। এ সমাধিসৌধে শুধু জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম নন, সময়ের পরিক্রমায় এটি পরিণত হয়েছে দেশের কয়েকজন বিশিষ্ট শিল্পী, শিক্ষাবিদ ও গুণী ব্যক্তিত্বের শেষ ঠিকানায়।
হাদির দাফন সম্পন্নের পর নতুন করে আলোচনায় এসেছে আর কারা কবি নজরুলের সমাধিসৌধে শায়িত আছেন।
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম ১৯৭৬ সালের ২৯ আগস্ট মৃত্যুবরণ করেন। তার ইচ্ছানুযায়ী ঢাকার কেন্দ্রস্থলে, ধর্মীয় ও শিক্ষাঙ্গনের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে তাকে সমাহিত করা হয়। এরপর থেকে এই সমাধিসৌধ জাতীয় স্মৃতিচিহ্নে পরিণত হয় এবং কবির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ এখানে আসেন।
নজরুলের সমাধির আশপাশের এলাকায়ই পরবর্তীকালে সমাহিত হয়েছেন বাংলাদেশের সংস্কৃতি ও শিক্ষাঙ্গনের কয়েকজন খ্যাতিমান ব্যক্তি।
শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন
নজরুল সমাধিসৌধে চিরনিদ্রায় শায়িতদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন, যিনি বাংলাদেশের আধুনিক চিত্রকলার পথিকৃৎ হিসেবে পরিচিত। তার শিল্পকর্ম ও জীবনব্যাপী অবদান দেশের শিল্পচর্চাকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছে।
জাতীয় পতাকার নকশাকার কামরুল হাসান
এখানে সমাহিত প্রখ্যাত শিল্পী ও জাতীয় পতাকার নকশাকার কামরুল হাসান। মুক্তিযুদ্ধ ও পরবর্তীসময়ে তার শিল্পকর্ম জাতীয় চেতনা গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। নজরুল সমাধিসৌধের পার্শ্ববর্তী এলাকায় তার সমাধি শিল্প ও সংস্কৃতিপ্রেমীদের কাছে বিশেষ গুরুত্ব বহন করে।
প্রফেসর আব্দুল মাতিন চৌধুরী
এখানে সমাহিতদের মধ্যে আরেকজন হলেন শিক্ষা ও গবেষণাক্ষেত্রে অবদানের জন্য পরিচিত প্রফেসর আব্দুল মাতিন চৌধুরী, যিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন, তিনিও এই সমাধিক্ষেত্রে সমাহিত।
প্রফেসর মুজাফফর আহমদ চৌধুরী
তালিকায় আছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও গুণী শিক্ষক প্রফেসর মুজাফফর আহমদ চৌধুরীও। বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থা ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন তিনি।