সরকারের বিদেশ সফরের প্রাপ্তি
মো. আকতার হোসাইন [প্রকাশ : দেশ রূপান্তর, ১৭ জুন ২০২৫]

বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর অনেকে ক্ষমতায় বসলেও, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ও গ্রহণযোগ্য অর্থনীতিবিদ এবারই প্রথম। বর্তমান সরকার বিশেষ অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে গঠিত হলেও সরকার ক্ষমতা গ্রহণের সময় দেশে অর্থনীতিতে ছিল চরম অস্থিরতা। এই রকম অস্থির অর্থনীতিকে স্বস্তি দিতে বর্তমান সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও অন্যান্য উপদেষ্টাসহ আপ্রাণ চেষ্টা করছেন। এর ধারাবাহিকতায় গত ১০ জুন ২০২৫ তারিখে চার দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে যুক্তরাজ্যে যান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা। অন্তর্বর্তী সরকার প্রধানের যুক্তরাজ্য সফর রাজনৈতিকভাবে সফল কিনা সেটি বিবেচ্য নয়, বিবেচ্য হলো অর্থনৈতিকভাবে কতটা সফল হয়েছে। বর্তমান সরকার যখন ক্ষমতা গ্রহণ করে, তখন দেশের মূল্যস্ফীতি দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছিল।
বৈদেশিক রিজার্ভ দ্রুত কমে আসছিল, ডলার বিনিময় হার ব্যাপকভাবে ওঠানামা করছিল। এসব সমস্যা বা চ্যালেঞ্জগুলোর সামনে রেখেই বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা গ্রহণ করে। এই অন্তর্বর্তী সরকার কোনো রাজনৈতিক সরকার না হলেও জনসাধারণের আশা-আকাক্সক্ষার শেষ নেই এ সরকারের প্রতি। বিশেষত মোট ২১ জন উপদেষ্টার মধ্যে ৫ জন হলেন অর্থনীতিবিদ এবং বাকিরাও তাদের স্ব স্ব কাজে নিজের অবস্থান থেকে সফল। এ কারণে জনসাধারণের বর্তমান সরকারের প্রতি আগ্রহ ও আশা-ভরসা একটু বেশি। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের সময় যদিও সাবেক একজন সংসদ সদস্য ইউটিউবে এক ভিডিও বার্তায় বলেছিলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ হবে ১৫ দিন বা এক মাস, তার বেশি নয়। কারণ হিসেবে বলেছিলেন, উপদেষ্টাদের কোনো রাজনৈতিক দল নেই, নেই জনসম্পৃক্ততা, ফলে অন্তর্বর্তী সরকার জনগণের ভাষা বুঝতে পারবে না ইত্যাদি। কিন্তু তার স্থায়িত্বই প্রমাণ করে, রাজনৈতিক সরকারের চেয়েও বর্তমান সরকারের প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস বেশি বলেই তারা টিকে আছেন বহাল তবিয়তে। এর কারণ হিসেবে চীন, সংযুক্ত আরব আমিরাত, জাপান ও যুক্তরাজ্যের রাষ্ট্রীয় সফর একটু বিচার-বিশ্লেষণ করলেই পরিষ্কার হবে।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান চীন সফরের সময় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে বিনিয়োগ, তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন ও চিকিৎসার ব্যাপারে। বাংলাদেশ ও চীন রাষ্ট্র দুটির মধ্যে দ্বিপক্ষীয় আলোচনার মাধ্যমে, চীনের কুনমিংয়ের চারটি হাসপাতালকে বাংলাদেশিদের জন্য নির্দিষ্ট করে দিয়েছে সে দেশের সরকার, যেখানে বাংলাদেশিদের চিকিৎসা করা হবে। এছাড়াও তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে দেশের উত্তর অঞ্চলে লাখ লাখ লোকের কর্মসংস্থান হবে, পাশাপাশি দরিদ্রতার অভিশাপ থেকে মুক্ত হবে দেশের উত্তরাঞ্চল। যদিও এখন পর্যন্ত তিস্তা মহাপরিকল্পনা আলোর মুখ দেখেনি বা আদৌ আলোর মুখ দেখবে কি না, সন্দেহ রয়েছে। তবুও বলতে হয়, চীন সফরটি অনেক ক্ষেত্রেই সফল, কারণ বাংলাদেশের চিকিৎসাব্যবস্থা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ভারতের ওপর নির্ভরশীল। সেই নির্ভরশীলতা কমানোর জন্য হলেও চীন সফরটি ছিল অত্যাবশ্যকীয়। আরও একটি বিষয় হলো, আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের ভারসাম্য বজায় রাখা। তারই ফলে এবার চীনে আম রপ্তানি হচ্ছে। গত ফেব্রুয়ারিতে অন্তর্বর্তী সরকার সংযুক্ত আরব আমিরাত সফর করে। সেখানেও দ্বিপক্ষীয় অনেক বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আলোচনা হয়েছে ভিসা ও শ্রমবাজার প্রসার নিয়ে, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ এবং হালাল পণ্য উৎপাদন কেন্দ্র, বিশেষ শিল্পপার্ক স্থাপন নিয়ে। বাংলাদেশের প্রবাসী শ্রমিকদের একটি বিরাট অংশ মধ্যপ্রাচ্যে অবস্থান করে এবং বৈদেশিক মুদ্রার সিংহভাগ অর্জিত হয় এই মধ্যপ্রাচ্য থেকে। তাই ভিসা উন্নয়ন ও কর্মসংস্থানের আলোচনা অত্যন্ত যুগান্তকারী।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা গত মে মাসে বন্ধুপ্রতিম রাষ্ট্র জাপান সফর করেন। বন্ধুপ্রতিম দেশ দুটির মধ্যে দ্বিপক্ষীয় স্বাক্ষরসহ অনেকগুলো বিষয়ে আলোচনা হয়। যেখানে জাপানের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশকে বাজেট সহায়তা ও রেলপথ উন্নয়নের জন্য ১ দশমিক ০৬৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ঋণের প্রতিশ্রুতি দেন। অর্থনৈতিক সংস্কার ও জলবায়ু পরিবর্তনের সহনশীলতা শক্তিশালীকরণে ডেভেলপমেন্ট পলিসি ঋণ (৪১৮ মিলিয়ন ডলার), জয়দেবপুর-ঈশ্বরদী ডুয়েল-গেজ ডাবল লেন রেলপথ প্রকল্পের জন্য ঋণ (৬৪১ মিলিয়ন ডলার) ও মানবসম্পদ উন্নয়ন বৃত্তির জন্য অনুদান (৪ দশমিক ২ মিলিয়ন ডলার)। বাংলাদেশ ও জাপান দুটি সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করে, যার উদ্দেশ্য বাংলাদেশের মানবসম্পদের দক্ষতা বৃদ্ধি এবং জাপানে তাদের কর্মসংস্থান সহজতর করা, কারণ জাপানে শ্রমিক সংকট বিদ্যমান। জাপানি কর্র্তৃপক্ষ ও ব্যবসায়ীরা আগামী পাঁচ বছরে বাংলাদেশ থেকে অন্তত এক লাখ কর্মী নিয়োগের পরিকল্পনার কথা জানান, যা দেশটির ক্রমবর্ধমান শ্রম সংকট মোকাবিলায় সহায়ক হবে। পাশাপাশি বাংলাদেশের এক লাখ লোকের কর্মসংস্থান হবে, যার সরাসরি প্রভাব পড়বে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে, ঘুচবে বেকারত্ব, অর্জিত হবে বৈদেশিক মুদ্রা। অতিসম্প্রতি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা যুক্তরাজ্য সফর করেন। সফরের অনেক উদ্দেশ্য থাকলেও অন্যতম একটি উদ্দেশ্য হলো, পাচারকৃত অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনা। বাংলাদেশের জন্মলগ্ন থেকে আজ অবধি অর্থ পাচার হয়ে আসছে।
বিগত সরকারের সময় ২০০৯-২০২৩ পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি অর্থ পাচার করা হয়েছে। পাচারকৃত অর্থের পরিমাণ ২৩ হাজার ৪শ কোটি মার্কিন ডলার। সে লক্ষ্যেই এবারের সফরসঙ্গী হিসেবে ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ও দুদক চেয়ারম্যান। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ও দুদক চেয়ারম্যানসহ কর্মকর্তাদের সঙ্গে ব্রিটিশ মন্ত্রী, সংসদ সদস্য ও কর্মকর্তাদের একাধিক বৈঠক হয়, যা ভবিষ্যতে সম্পদ পুনরুদ্ধারের জন্য বৈশ্বিক সহযোগিতার ভিত্তি স্থাপন করতে সহায়ক হবে। অন্তর্বর্তী সরকারের ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে, রাজনৈতিক দলগুলো অস্থির হয়ে আছে কখন তারা ক্ষমতায় আসীন হবে। সাধারণত রাজনীতিবিদরা দেশপ্রেমিক হয়ে থাকেন। কিন্তু আমাদের দেশে রাজনীতিবিদরা কতটা দেশপ্রেমিক, তা প্রশ্ন থেকে যায়। তারা সর্বদাই ক্ষমতার মোহে আসক্ত থাকেন। এর বড় প্রমাণ হলো বর্তমান। যেহেতু অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূস আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন এবং গ্রহণযোগ্য একজন ব্যক্তিত্ব, ফলে তাকে কাজে লাগিয়ে পাচার হওয়া দেশের বিপুল পরিমাণ অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। কিন্তু দেশের অর্থ বিদেশে পাচার হলেও কখনো কোনো রাজনৈতিক সরকার অর্থ ফেরানোর চেষ্টা করেনি, বিশেষত কাগজে-কলমে কখনোই অর্থ ফেরানোর চেষ্টা করেনি। ফলে আমাদের দেশটির কোনো অভিজ্ঞতাই নেই অর্থ ফেরত আনার। অভিজ্ঞতা না থাকলেও বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার চেষ্টা করছে শতভাগ।
আমাদের দেশে দুই প্রকারের মামলা হয়, যেমন ফৌজদারি (ক্রিমিনাল) ও দেওয়ানি (সিভিল)। ফৌজদারি মামলায় আপস করা যায় না। শেষ পর্যন্ত লড়াই করে যেতে হয়, এ মামলা পরিচালনায় যথেষ্ট তথ্য-উপাত্ত লাগবে এবং এ মামলাটি বিদেশের মাটিতে করা খুবই কঠিন। কিন্তু দেওয়ানি মামলা করা সহজ। যদি যথেষ্ট তথ্য-উপাত্ত না থাকে, তাহলে দেওয়ানি মামলায় যেতে হবে। কিন্তু এই সিদ্ধান্তটি নিতে পারবে অভিজ্ঞ আইনজীবীরা, যারা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। একটি জাতীয় দৈনিকে বিশেষ সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, ‘সরকার খুব শিগগিরই উদ্যোগ নিচ্ছে পাচারকৃত অর্থ বিদেশ থেকে দেশে ফিরিয়ে আনতে। এ লক্ষ্যেই আমরা সিঙ্গাপুর গিয়েছি, তাদের সঙ্গে কথা বলেছি।
আমরা সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে কথা বলেছি, সেখানেও গিয়েছি। সংযুক্ত আরব আমিরাত ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের সঙ্গে কথা বলেছি। সরকার বদল হয়ে যাওয়ার কারণে যুক্তরাষ্ট্রে এখন অবশ্য একটু অন্যরকম পরিস্থিতি। তার আগ পর্যন্ত কিন্তু তারা খুবই সমর্থনমূলক ছিল। আমাদের চেষ্টার ফলে যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সি (এনসিএ) এক শীর্ষ হাসিনা-ঘনিষ্ঠ ব্যক্তির ৩২০টি সম্পদ জব্দ করেছে, যার মূল্য ১৭০ মিলিয়ন ব্রিটিশ পাউন্ড। এনসিএ জানায়, এটি সংস্থাটির ইতিহাসে এককভাবে সর্ববৃহৎ সম্পদ জব্দের ঘটনা। এটি দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী এবং রাজনীতিবিদদের জন্য একটি স্পষ্ট বার্তা। পাশাপাশি, ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের সম্পদ উদ্ধার প্রচেষ্টার একটি গুরুত্বপূর্ণ উদাহরণ। আমরা চেষ্টা করছি, লিটিগেশন ফান্ডিং (লিটিগেশন ফান্ডিং বা থার্ড পার্টি লিটিগেশন ফাইন্যান্সিং হলো একটি আর্থিক প্রক্রিয়া, যেখানে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান তাদের মামলা পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ কোনো বিনিয়োগকারী বা বিশেষায়িত ফান্ডের মতো কোনো তৃতীয় পক্ষ থেকে নেয়, যারা মামলার সফল হলে লাভের একটি অংশ পায়) করতে। এই ফান্ডিংয়ের ধরনটা হচ্ছে ইনভেস্টর সাক্ষ্য-প্রমাণগুলো দেখে বুঝবে, তারা এখানে অর্থ দেবে কি না। সম্মত হলে তারাই মামলা পরিচালনার ফিগুলো দিয়ে দেবে। এতে যদি টাকা উদ্ধার হয়, তারা হয়তো ৮০ টাকা আমাকে দেবে, ২০ টাকা তারা রাখবে। এটা একটা উদাহরণ মাত্র। এই প্রক্রিয়াতেই আমরা আগাচ্ছি।’
পূর্বে বাংলাদেশের তদন্তকারী সংস্থাগুলো পৃথকভাবে কাজ করলেও বর্তমানে জয়েন্ট ইনভেস্টিগেশন টিম আকারে কাজ করছে। তদন্তকারী সংস্থা চারটা : বিএফআইইউ, সিআইডি, দুদক, এনবিআরে সিআইসি (সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স সেল) একসঙ্গে কাজ করার ফলে, একই রুমে বসে কাজ করছে টিমগুলো, সবকিছু শেয়ার করছে একে অপরের সঙ্গে। ফলে পাচারকৃত অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনা বা অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা সহজ হবে। যদি একটি উদাহরণ তৈরি করা যায়, পাচারকৃত অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনা যায় বা সম্ভব হয়, তাহলে যারা অর্থ পাচার করতে চায়, তারা আর পাচারের সাহস দেখাবে না। এটি ভবিষ্যতের জন্য চমৎকার উদাহরণ হিসেবে কাজ করবে। অপর দিকে সফরটি ‘সরকারি’ বলা হলেও, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়নি অন্তর্বর্তী সরকার প্রধানের। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ না হওয়া প্রসঙ্গে বিবিসিকে প্রধান উপদেষ্টা বললেন, ‘তিনি স্টারমারের সঙ্গে সাক্ষাতে আগ্রহী ছিলেন। তবে এটি না হওয়াকে হতাশার চোখে দেখছেন না।
বরং এটি একটি নতুন সুযোগ তৈরি করেছে বলে মনে করেন তিনি’। সাক্ষাৎকারে লেবার পার্টির এমপি টিউলিপ সিদ্দিকের প্রসঙ্গও ওঠে। বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) একটি মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। ফলে অনেক বিশেষজ্ঞই মনে করেন, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের সঙ্গে সাক্ষাৎ না হওয়ার পেছনে লেবার পার্টির এমপি টিউলিপ সিদ্দিকের হাত রয়েছে। এমনকি যুক্তরাজ্যে পাচারকৃত অর্থ যাতে ফেরত না দিতে হয়, এ জন্যই গড়িমসি করা বা সাক্ষাৎ না দেওয়ার অন্যতম কারণ বলে মনে করেন অনেক বিশেষজ্ঞ। সুতরাং মূল বিষয় এড়িয়ে, এ বিষয়ে অযথা বিতর্ক করে লাভ হবে না। লক্ষ্য করতে হবে, সরকারের বিভিন্ন দেশ সফরের মাধ্যমে আমরা কতটুকু উপকৃত হয়েছি এবং ভবিষ্যতে হব। সরল চোখে দেখলে, উপকারের পাল্লাই ভারী হবে।
লেখক: ব্যাংকার ও কলামিস্ট