কল করুন

কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স

তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আশঙ্কা! মানবিক সংকটের দ্বারপ্রান্তে পুরো পৃথিবী

সৈয়দ ফারুক হোসেন [প্রকাশ: সময়ের আলো, ২৪ জুন ২০২৫]

তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আশঙ্কা! মানবিক সংকটের দ্বারপ্রান্তে পুরো পৃথিবী
ইসরাইলের ধারাবাহিক হামলার মুখে ইরান সাফ জানিয়ে দিয়েছে তেহরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে আলোচনায় বসার কোনো সুযোগ নেই। এই মুহূর্তে সারা বিশ্ব এক সংকটময় সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে, যার ফলাফল হতে পারে বিস্ময়কর কিংবা ধ্বংসাত্মক। বর্তমানে আগ্রাসনের শিকার ইরান। ইরান এবং ইসরাইলের মাঝখানে দুটি দেশ। সিরিয়া ও জর্ডান। তাদের অতিক্রম করে ইরানে নৃশংস হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইল। তবুও বিশ্বের তাবৎ মোড়লদের অবস্থান ইসরাইলের পক্ষে। তাদের অভিযোগ, ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করছে। তারা ওই অঞ্চলে হামাস, হিজবুল্লাহ ও হুথিদের মতো সংগঠনকে মদদ দিয়ে যাচ্ছে।
 
 
 
অবশেষে সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে ইসরাইল-ইরান যুদ্ধে আমেরিকা সরাসরি জড়িয়ে পড়ল। ইরানের তিন পারমাণবিক কেন্দ্রে এয়ার স্ট্রাইক করেছে আমেরিকা। ইরান এবার যুদ্ধ শেষ করতে বাধ্য- বলছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ইরানে হামলার পর ট্রাম্পের সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছে নেতানিয়াহুর। মধ্যপ্রাচ্যের মহাযুদ্ধে এবার সরাসরি জড়াল আমেরিকা। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেই হামলার কথা জানিয়েছেন ট্রাম্প। ২২ বছর আগে ইরাক আক্রমণের আগে দেশটির হাতে গণবিধ্বংসী অস্ত্র থাকার ধারণা এবং সেই অস্ত্র মানব অস্তিত্বের জন্য হুমকি হতে পারে এমন বয়ান তৈরি করা হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা মিত্রদের পক্ষ থেকে। এবারও একেবারেই বিনা উসকানিতে ইরান আক্রমণের পর ‘একই অজুহাতে’ ইসরাইলের হয়ে যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি এ সংঘাতে জড়িয়েছে।
 
 
 
ইরাক বা সাদ্দাম হোসেনের হাতে কোনো গণবিধ্বংসী অস্ত্র ছিল না। প্রাচীন সভ্যতার দেশ ইরাক ও হাজার বছরের সমৃদ্ধ শহর বাগদাদ ধ্বংস করে ইরাকিদের চরম দুর্দশার ভেতর ফেলে দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র ও মিত্ররা। ২০০৩ সালে শুরু হওয়া ইরাক যুদ্ধ বা দ্বিতীয় উপসাগরীয় যুদ্ধ আনুষ্ঠানিকভাবে চলে ২০১১ সাল পর্যন্ত। বর্তমানে এটি তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের নতুন মোড়, নতুন গতি। তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ বিশ্বের অধিকাংশ দেশ জড়িয়ে যাবে এবং এর ফলে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ ও মানবিক বিপর্যয় ঘটার ইঙ্গিত বহন করে। এই যুদ্ধ পারমাণবিক অস্ত্রের ব্যবহার এবং উন্নত প্রযুক্তির কারণে পূর্ববর্তী যুদ্ধগুলোর চেয়েও বেশি ধ্বংসাত্মক হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের বৈশ্বিক প্রভাব হবে সুদূরপ্রসারী ও ধ্বংসাত্মক। এর ফলে ব্যাপক প্রাণহানি ও মানবিক সংকট দেখা দেবে। যুদ্ধ শুরু হলে বিশ্ব অর্থনীতি ভেঙে পড়বে। বাণিজ্য বন্ধ হয়ে যাবে। সরবরাহ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হবে এবং মুদ্রাস্ফীতি দেখা দেবে। এর ফলে বিশ্বজুড়ে রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি হবে। অনেক দেশ তাদের সার্বভৌমত্ব হারাবে এবং নতুন রাজনৈতিক মেরুকরণ দেখা দেবে। পারমাণবিক অস্ত্রের ব্যবহার এবং যুদ্ধের ফলে পরিবেশ মারাত্মকভাবে দূষিত হবে। তেজস্ক্রিয়তা, অ্যাসিড বৃষ্টি এবং অন্যান্য পরিবেশগত দুর্যোগ দেখা দেবে। যুদ্ধ এবং পারমাণবিক অস্ত্রের ব্যবহারে ঐতিহাসিক এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যবাহী স্থানগুলো ধ্বংস হয়ে যাবে। যুদ্ধের কারণে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অগ্রগতিসহ মানব সভ্যতা মারাত্মকভাবে ধ্বংস হবে।
 
 
 
বিশ্বের অন্যতম ভূরাজনৈতিকভাবে স্পর্শকাতর অঞ্চল মধ্যপ্রাচ্য এখন উত্তাল। ইরান ও ইসরাইলের মধ্যে সরাসরি সামরিক সংঘাত শুরুর পর পুরো অঞ্চলজুড়ে আতঙ্ক ও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। বিশ্লেষকদের মতে, এটি তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের পূর্বাভাসও হতে পারে। এই সংঘাতের সামরিক অভিঘাত বাংলাদেশে না পড়লেও অর্থনৈতিক অভিঘাত হবে গভীর, ব্যাপক ও বহুমুখী। ইরান-ইসরাইল যুদ্ধ শুধু ভূরাজনৈতিক সংঘাত নয় এটি একটি গভীর অর্থনৈতিক সংকটের ইঙ্গিত বহন করছে। বিশেষ করে বাংলাদেশসহ উন্নয়নশীল, রফতানিনির্ভর ও জ্বালানিনির্ভর দেশগুলোর জন্য এই পরিস্থিতি অত্যন্ত সংকটজনক হয়ে উঠতে পারে। তাই এখনই সরকার ও ব্যবসায়ীদের সমন্বিত প্রস্তুতি গ্রহণ করা জরুরি, যাতে সম্ভাব্য অভিঘাতের ঝুঁকি কমানো যায়। ইরানের মাটি ও মানুষ নিয়ে ইসরাইল ষড়যন্ত্রে ব্যস্ত সেই বহু কাল থেকে। ইরানকে নিজেদের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি মনে করে ইসরাইল। তাই সময় সুযোগ পেলেই ইরানের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট যেকোনো কিছুতে আঘাত করেছে। অমানবিকভাবে মানুষ হত্যা করেছে। শেষ পর্যন্ত সীমা অতিক্রম করতে করতে গত এক এপ্রিলে সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানের কনস্যুলেটে বিমান হামলা চালিয়ে বিপ্লবী গার্ডের এক শীর্ষ কমান্ডারসহ ৯ জনকে হত্যা করে ইসরাইল। এবার আর সহ্য করেনি ইরান। প্রথমবারের মতো ইসরাইলের মাটিতে হামলা করেছে তেহরান। ইসরাইল এবং ইরানের মধ্যে যে হামলা-পাল্টাহামলা চলছে, তা মূলত দুই দেশের পুরোনো বিরোধের সবশেষ পর্ব।
 
 
 
মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিতিশীলতার অন্যতম একটি কারণ এটি। এই সংঘাত যদি সর্বাত্মক যুদ্ধে রূপ নেয় এবং হরমুজ প্রণালিতে জাহাজ চলাচল ব্যাহত হয় কিংবা ইরানের জ্বালানি অবকাঠামোতে হামলা হয়, তা হলে বিশ্ব অর্থনীতির সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশের ওপরও সরাসরি এবং বহুমাত্রিক নেতিবাচক প্রভাব পড়বে, এমনটাই আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা। ইরানের পারমাণবিক ও সামরিক স্থাপনায় ইসরাইলের হামলা, এ পর্যন্ত প্রায় শখানেক সামরিক ও পরমাণু বিশেষজ্ঞদের বোমা মেরে হত্যা করার জবাবে ইসরাইলে ইরানের পাল্টা বিমান হামলার মধ্য দিয়ে এবারের সংঘাতের শুরু হয়। ইরান-ইসরাইল যুদ্ধ এখনও একটি দ্বিপক্ষীয় যুদ্ধ। কিন্তু পারমাণবিক অস্ত্রের ব্যবহার ও ভূরাজনৈতিক তৎপরতা এটিকে বিশ্বমঞ্চে ঠেলে দিচ্ছে। ফলে এর ঢেউ আমাদের উপমহাদেশেও নিরাপত্তা ঝুঁকি বাড়াবে।
 
 
এটিও সত্য, সংঘাতের গতি-প্রকৃতি যেমন উদ্বেগজনক, তেমনি কূটনৈতিক চাপ ও বৈশ্বিক চাপে সংঘাত প্রশমনের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না। ইসরাইল কর্তৃক ইরানের পারমাণবিক ও সামরিক স্থাপনায় হামলা এবং তার পাল্টা জবাবে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন আক্রমণ এই দুইয়ের মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যে চরম উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। এমন উত্তেজনার মধ্যে আমেরিকার আক্রমণ আগুনে ঘি ঢালার ফলে বিশ্বযুদ্ধে রূপ নেওয়ার যে গুরুতর আশঙ্কা দেখা দিয়েছে, তা সারা বিশ্বের সাধারণ জনগণ এবং রাষ্ট্রগুলোকে এক বিপজ্জনক ঝুঁকির মুখে ফেলে দিয়েছে। যদি ইরানের অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়ে, তা হলে সেটি ইরানকে তার পারমাণবিক কর্মসূচি আরও দ্রুতগতিতে এগিয়ে নিতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ করে তুলতে পারে।
 
 
একই সঙ্গে ইরান হরমুজ প্রণালি বন্ধ করার মতো চরম প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ নিতে পারে যা বিশ্বব্যাপী তেল সরবরাহের স্রোত বিঘ্নিত করতে পারে এবং অন্যান্য আঞ্চলিক শক্তিকে এই সংঘাতে জড়িয়ে ফেলতে পারে। এই যুদ্ধের সম্ভাব্য পরিণতির মধ্যে রয়েছে ইরান ও ইসরাইল উভয় দেশের বেসামরিক জনগণের মধ্যে ব্যাপক হতাহত, গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোর ওপর পাল্টাপাল্টি হামলা এবং এর ফলে সৃষ্ট অসম প্রতিক্রিয়া। এমন পরিস্থিতি দ্বিপক্ষীয় যুদ্ধকে আরও বিস্তৃত করে তুলতে পারে, যার পরিণতিতে পুরো অঞ্চলই অস্থির হয়ে উঠতে পারে। ইরান-ইসরাইল যুদ্ধ মানবজাতির প্রতি এক গভীর সতর্কবার্তা। যদি তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ হয়, তা হবে এমন ভয়াবহ ধ্বংসযজ্ঞ, যার পরিণতিতে সভ্যতা এমনভাবে ধ্বংস হবে যে মানুষ আবার আদিম যুগে ফিরে যেতে বাধ্য হবে যেখানে অস্ত্র বলতে থাকবে কেবল লাঠি আর পাথর।
 
 
 
এদিকে একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্রের বরাতে ২০ জুন এ তথ্য জানিয়েছে ইরান ইন্টারন্যাশনাল, যে যুদ্ধকালীন পরিস্থিতি বিবেচনায় ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনিকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে গোপন এক বাঙ্কারে। রাজধানী তেহরানের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের লাভিজানে অবস্থিত ওই বাঙ্কারে অবস্থান করছেন ইরানের রাজনীতিতে প্রভাবশালী হয়ে ওঠা তার ছেলে মোজতবা খামেনিসহ পুরো পরিবার। এ অবস্থায় যুদ্ধকালীন ক্ষমতা পেয়েছে ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ডস (আইআরজিসি)। ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি ইতিমধ্যে এলিট এ বাহিনীটির সর্বোচ্চ পরিষদের কাছে এই ক্ষমতা হস্তান্তর করেছেন। তার সঙ্গে তার প্রভাবশালী ছেলে মোজতবা খামেনিও রয়েছেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, ক্ষমতা হস্তান্তরের এ পদক্ষেপ একটি সম্ভাব্য ‘প্রি-এম্পটিভ ট্রান্সফার অব অথরিটি’, যার মাধ্যমে যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে কমান্ড কাঠামো অক্ষুণ্ন রাখা যাবে। ইসরাইলের একাধিক আক্রমণে ইরানের সামরিক ও পারমাণবিক স্থাপনায় বড় ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এবং এর পাল্টা জবাবে ইরানও ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাচ্ছে। ইরান সবসময় শান্তি ও স্থিতিশীলতার পথ অনুসরণ করেছে। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে শান্তি কেবল তখনই সম্ভব, যখন জায়নবাদীরা সন্ত্রাসী আগ্রাসন বন্ধ করবে এবং স্থায়ীভাবে তা বন্ধ রাখার গ্যারান্টি দেবে। ইসরাইল যদি হামলা অব্যাহত রাখে, তা হলে ইরান আগের চেয়ে আরও কঠোর প্রতিক্রিয়া জানাবে।
 
 
 
মধ্যপ্রাচ্যে ইরান ও ইসরাইলের মধ্যে সাম্প্রতিক সংঘাত ও হামলা-পাল্টাহামলার ঘটনায় আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নতুন করে মেরুকরণ তৈরি হয়েছে। ইরানের সঙ্গে ইসরাইলের সংঘাত শুরু হয় মূলত ফিলিস্তিনকে নিয়ে। তাই ফিলিস্তিনের পক্ষে যাদের সমর্থন রয়েছে তারা পরোক্ষভাবে ইরানের পক্ষে। অন্যদিকে ফিলিস্তিন ইস্যুতে মাঝামাঝি অবস্থানে অথবা সরাসরি ইসরাইলের পক্ষে যারা অবস্থান নিয়েছে তারা পরোক্ষ-প্রত্যক্ষভাবে ইসরাইলের পক্ষে। ইসরাইলের ধারাবাহিক হামলার মুখে ইরান সাফ জানিয়ে দিয়েছে তেহরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে আলোচনায় বসার কোনো সুযোগ নেই। এই মুহূর্তে সারা বিশ্ব এক সংকটময় সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে, যার ফলাফল হতে পারে বিস্ময়কর কিংবা ধ্বংসাত্মক। বর্তমানে আগ্রাসনের শিকার ইরান। ইরান এবং ইসরাইলের মাঝখানে দুটি দেশ। সিরিয়া ও জর্ডান। তাদের অতিক্রম করে ইরানে নৃশংস হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইল।
 
 
 
 
তবু বিশ্বের তাবৎ মোড়লদের অবস্থান ইসরাইলের পক্ষে। তাদের অভিযোগ, ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করছে। তারা ওই অঞ্চলে হামাস, হিজবুল্লাহ ও হুথিদের মতো সংগঠনকে মদদ দিয়ে যাচ্ছে। পক্ষান্তরে ইরান বারবার বলে যাচ্ছে তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ উপায়ে ব্যবহারের জন্য। তা সও্বেও সেখানে প্রতিক্ষণ ইসরাইলি যুদ্ধবিমান থেকে বোমা ফেলা হচ্ছে। ক্ষেপণাস্ত্র উড়ে এসে পড়ছে। এই সংঘর্ষ ক্রমশ এক পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধে রূপ নিয়েছে। ইসরাইলের প্রতি দীর্ঘদিনের সমর্থনের ধারাবাহিকতায় যুক্তরাষ্ট্র এখন যুদ্ধ সাজে সজ্জিত। অর্থনৈতিক সংকটের পাশাপাশি যুদ্ধ পরিস্থিতির খবর প্রতিনিয়ত মিডিয়া ও সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে মানুষকে প্রভাবিত করে। বিশ্বজুড়ে এক ধরনের অনিশ্চয়তা, আতঙ্ক ও নিরাপত্তাহীনতা তৈরি হয়। বাংলাদেশে এই সময় ধর্মীয় বা রাজনৈতিক উত্তেজনা বাড়তে পারে, কারণ ইরান ও ইসরাইলের দ্বন্দ্ব কেবল রাজনৈতিক নয়, এতে ধর্মীয় উপাদানও রয়েছে। বিশ্ব রাজনীতির এক অস্থিরতম অধ্যায়ের নাম মধ্যপ্রাচ্য। এখানকার একটি ছোট ঘটনা যেমন তেল বাজারকে আলোচিত করতে পারে, তেমনি বড় কোনো সংঘাত বৈশ্বিক অর্থনীতিকে কাঁপিয়ে দিতে পারে। ইরান ও ইসরাইলের মধ্যকার চলমান সংঘাত যখন সরাসরি দীর্ঘমেয়াদি যুদ্ধের রূপ নিতে পারে, তখন শুধু ওই অঞ্চলের দেশগুলো নয়, দক্ষিণ এশিয়ার মতো দূরবর্তী অঞ্চলেও এর প্রভাব পড়বে।