ভোটাধিকার প্রয়োগের গভীর প্রত্যাশায় জনগণ
ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী [সূত্র : আমাদের সময়, ১৯ জুন ২০২৫]

আমাদের সবার জানা, আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে নানামুখী সন্দেহ-সংশয় জনমনে বাসা বেঁধেছিল। রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে নির্বাচন অনুষ্ঠানের সময়কাল নিয়ে নানা প্রস্তাবও উপস্থাপিত হয়েছিল। অন্তর্বর্তী সরকার এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠানের রোডম্যাপও ঘোষণা করেছিল। রোজা-ঈদের আগে ও পরে নির্বাচন অনুষ্ঠানের যৌক্তিকতা নিয়েও বেশকিছু মতপার্থক্য লক্ষ করা গেছে। অতিসম্প্রতি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের যুক্তরাজ্য সফর ঐতিহাসিক অধ্যায় রচনা করেছে বলে বিজ্ঞ মহলের ধারণা। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার একান্ত বৈঠক অত্যন্ত ফলপ্রসূ হয়েছে বলে দলের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে। দেশের খ্যাতিমান রাজনীতিক চট্টগ্রামের অহংকার আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর উপস্থিতিতে উভয়ের আলাপচারিতায় আসন্ন রোজার আগেই বা আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথমার্ধে নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে একমত পোষণ করার ব্যাপারে বিএনপি মহাসচিবের বক্তব্যে উঠে এসেছে। কয়েকটি রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে যদিও বিরূপ মন্তব্য প্রচারিত হয়েছে, আপাতত দেশবাসী প্রত্যাশা করছে সব দলের ঐকমত্যে ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
ঘোষিত নির্বাচনের সময় অনুযায়ী রাজনৈতিক দলগুলোর নির্বাচনে অংশগ্রহণে প্রস্তুতির জন্য পর্যাপ্ত সময় পাওয়া গেছে। জনকল্যাণে সব ধরনের অসংযত আচার-আচরণ, জনগণকে ভয়ভীতি প্রদর্শন, দখল-চাঁদাবাজি সংহার করে নেতারা দলকে সুসংহত করার সতর্কবার্তা দিয়েছেন। জনগণ অধীর আগ্রহে ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে পছন্দের প্রার্থীকে নির্বাচিত করার প্রতীক্ষায় রয়েছে। নির্বাচনকেন্দ্রিক সব বিরূপ ধারণাকে অবজ্ঞা করে নিরাপদ-অহিংস পরিস্থিতি তৈরি একান্তই বাঞ্ছনীয়। জয়-পরাজয়ের সমীকরণে জনগণের রায়কে সমধিক গুরুত্ব দিয়ে নির্বাচনের ফলাফল গ্রহণ করাই হবে প্রার্থীদের পবিত্র দায়িত্ব। উদ্ভূত যে কোনো সমস্যা সমাধানে সহিংসতামূলক কার্যক্রম পরিহার করে পর্যাপ্ত যৌক্তিক আলাপ-আলোচনা ও সম্প্রীতি-সৌহার্দের পারস্পরিক সমঝোতাই হয়ে উঠুক অন্যতম নির্বাচনী ব্রত। ধর্ম-বর্ণ-দল-মত-অঞ্চল নির্বিশেষে প্রত্যেক নাগরিক নিজের অবস্থান থেকে যথাযোগ্য ভূমিকা পালন করে নিরপেক্ষ নির্বাচনের দৃষ্টান্ত স্থাপনই প্রত্যাশিত।
ইতোমধ্যে নির্বাচন কমিশন (ইসি) নির্বাচনের প্রস্তুতিমূলক কাজগুলো দ্রুত সম্পন্ন করার জন্য নির্বাচনী কর্মকর্তাদের বেশকিছু নির্দেশনা প্রদান করেছে। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছেÑ সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালার সংশোধনী, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র স্থাপন এবং ব্যবস্থাপনা নীতিমালা, নির্বাচন পর্যবেক্ষণ নীতিমালা ও নির্বাচনি সংবাদ সংগ্রহে দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংবাদিক বা গণমাধ্যমকর্মীদের জন্য নীতিমালার সংশোধনী ওয়েবসাইটে প্রকাশের ব্যবস্থা করা, নতুন রাজনৈতিক দল নিবন্ধন এবং সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ কাজ দ্রুত এগিয়ে নেওয়া, জাতীয় নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকারীদের প্রশিক্ষণের কর্মপরিকল্পনা ইসিতে উপস্থাপন, ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের ম্যানুয়াল তৈরির জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ ইত্যাদি। তা ছাড়া জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রধান আইন আরপিও সংশোধনীর মাধ্যমে নির্বাচন বন্ধে নির্বাচন কমিশন এবং প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের ক্ষমতা পুনর্বহালের উদ্যোগ নিতে ইসি সচিবালয়কে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার নির্বাচনী কর্মকর্তাদের ‘প্রো-অ্যাকটিভ’ ও ‘দলনিরপেক্ষ’ হয়ে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন।
সভ্য সমাজের ইতিহাস পর্যালোচনায় গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা রক্ষা করে সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে পরবর্তী সরকার গঠনের সব কর্মকৌশল অবশ্যই প্রতিপালনযোগ্য। প্রাগ্রসর সমাজের দৃষ্টান্ত হিসেবে মৌলিক অধিকার সুরক্ষায় প্রাপ্তবয়স্কদের ভোটাধিকার প্রয়োগ সুনিশ্চিত করার লক্ষ্যে যে কোনো ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ নির্বাচন কমিশনের ওপর বর্তায়। যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণও এ ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। দেশের আপামর জনসাধারণের আশা-আকাক্সক্ষাকার প্রতিফলন ঘটিয়ে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানই নির্বাচন কমিশনের অবারিত সাফল্য। গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের যথার্থ ধারণ ও পরিচর্যা আধুনিক জাতিরাষ্ট্রে উন্নয়ন-অগ্রগতির অন্যতম উপাদান। সমগ্র জনগোষ্ঠীর সামষ্টিক চিন্তা-চেতনার উপস্থাপনে বিধিবদ্ধ প্রক্রিয়ায় অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠান গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির সাবলীল অনুষঙ্গ। নির্বাচনে অধিকাংশ ভোটার কর্তৃক প্রদত্ত ক্ষমতায়নে জনপ্রতিনিধি দ্বারা পরিচালিত রাষ্ট্রব্যবস্থাই প্রগতিশীল রাজনৈতিক ধারার প্রকৃষ্ট পরিচায়ক। সব দল-মতের সম্মিলিত অংশগ্রহণ-সমর্থনে নেতৃত্ব বাছাই এবং সঠিক প্রতিনিধিত্বের ভিত্তিতে সরকার গঠন ও রাষ্ট্র পরিচালনা গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করে।
প্রকৃতপক্ষে সবার মতামতে ঐকমত্যের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া গণতন্ত্রের মৌলিক অনুষঙ্গ। যদিও আধুনিক গণতন্ত্রের ব্যাখ্যায় আব্রাহাম লিংকনের বক্তব্যকেই প্রাধান্য দেওয়া হয়, তা কতটুকু যৌক্তিক তার বিশ্লেষণও প্রয়োজন। তবুও গণতন্ত্র হলো আধুনিক বিশ্বের সর্বাপেক্ষা সমাদৃত শাসনব্যবস্থা যা বিংশ শতাব্দীর গোড়ার দিক থেকে শুরু করে বিশ্বের সর্বত্রই সর্বোচ্চ জনপ্রিয়তা অর্জনে সক্ষম হয়েছিল। বিপুল পরিবর্তন-পরিমার্জনের মধ্য দিয়ে বর্তমানেও গণতন্ত্র সমধিক জনপ্রিয় শাসনব্যবস্থার রূপ পরিগ্রহ করে চলছে। গণতন্ত্র যে কোনো সমাজে পরিশুদ্ধ পন্থায় সব নাগরিকদের কল্যাণ সাধনে রাষ্ট্র বা সরকার পদ্ধতিকে নির্দেশিত করে। যুক্তি-জ্ঞাননির্ভর সমাজের বিজ্ঞানমনস্ক গুণগত বিকাশমানতার প্রসার পাশ্চাত্যে গণতন্ত্রকে সুপ্রতিষ্ঠিত করার অনবদ্য দৃষ্টান্ত রয়েছে। এরই অনুকরণে অনুন্নয়-উন্নয়নশীল বিশ্বের উন্নয়ন প্রবাহের গতি-প্রকৃতি নির্মিত হয়। রাষ্ট্র পরিচালনার বিষয়টি সমাজে ক্রমবিকাশের ধারায় প্রাচীনকাল থেকেই বিদ্যমান।
গণতন্ত্রের প্রাথমিক মূল্যবোধ হচ্ছে ব্যক্তি স্বাতন্ত্র্যের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ অর্থাৎ ব্যক্তির মৌলিক স্বাধীনতার তথা চিন্তা-স্বাধীনতা, বাক-স্বাধীনতা, সংগঠনের স্বাধীনতা, ভোটদান, দলগঠন এবং অংশগ্রহণ, প্রার্থী হওয়ার স্বাধীনতা, নির্বাচনে অংশগ্রহণের স্বাধীনতা, ভোট দেওয়ার স্বাধীনতা ও অভিযোগ স্থাপনের স্বাধীনতা অর্থাৎ সার্বিকভাবে জীবনধারণের অধিকার, পরিবার গঠনের অধিকার, নিরাপত্তার অধিকার, আইনের আশ্রয় অধিকার, স্বাধীন মতামত প্রকাশের অধিকার, নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার অধিকার, বিরোধিতার অধিকার ইত্যাদি সবকিছুকেই অন্তর্ভুক্ত করে। গণতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থায় ব্যক্তিত্ব বিকাশের সঙ্গে অপর একটি গুরুত্বপূর্ণ মূল্যবোধ হচ্ছে পরমতসহিষ্ণুতা, সহনশীলতা, অন্যের মতামতের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ এবং সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামতকে সাদরে গ্রহণ করার মানসিকতা। যে কোনো সামাজিক প্রক্রিয়াই ব্যক্তির স্বাভাবিক ব্যক্তিত্ব ও সৃজনশীল প্রতিভার বিকাশ একমাত্র সম্পদ গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করে। এজন্যই বিশ্বের সব সভ্য দেশ, বিবেকবান, মানবতাবাদী মানুষ, গণতন্ত্রে বিশ্বাসী ও প্রত্যাশী। গণতান্ত্রিক শিক্ষাই হচ্ছে নিজের ইচ্ছার সঙ্গে অন্যের ইচ্ছার সমন্বয় ঘটানো বা অধিকাংশের ইচ্ছা বা আগ্রহকে যৌক্তিকভাবে নিজের বা ব্যক্তির অধিকারে সন্নিবেশন।
গণতন্ত্রের ঐতিহ্যিক সৌকর্যের তাৎপর্যপূর্ণ ভিত্তি হচ্ছে সর্বজনস্বীকৃত নির্বাচন অনুষ্ঠান। আধুনিক সমাজের চলমান অবস্থানে যে কোনো জাতিরাষ্ট্রে অবাধ-সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে রাষ্ট্র পরিচালনায় ক্ষমতার পালাবদল হয়ে থাকে। জনগণের বিকশিত সত্তায় স্বমহিমায় যুক্তি-মুক্তচিন্তানির্ভর ভালো-মন্দ, ন্যায়-অন্যায়, ব্যক্তি ও জাতির উন্নয়ন-অনুন্নয়ন সাধারণ মানুষের বোধগম্যতে প্রোথিত। স্বল্পশিক্ষিত-শিক্ষিত বা সচেতন জনগণ মাত্রই নিজের পছন্দের প্রার্থীকে নির্বাচিত করার অধিকার প্রয়োগের প্রচেষ্টা অতিসুস্পষ্ট। এ ক্ষেত্রে ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা এবং প্রায়োগিক বাস্তবায়নে ব্যত্যয়ের বিষয়ে আধুনিক যে কোনো নাগরিক অত্যন্ত সচেতন। শহর-নগর-জনপদসহ প্রান্তিক পর্যায়েও বিভিন্ন দলের বা প্রতিষ্ঠানের উদ্দেশ্য-আদর্শ এবং নেতা-নেত্রীর যোগ্যতার মাপকাঠিতে জনপ্রতিনিধি নির্ধারণে মানুষের ধীশক্তি প্রচণ্ড প্রবল। অতীতের মতো অর্থবিত্ত বা নানামুখী চাপ প্রয়োগে ভোট নেওয়া এখন কষ্টসাধ্য ব্যাপার। প্রকৃষ্ট পন্থায় নিজের বিবেকের প্রসারমানতায় ভোটাধিকার প্রয়োগের মাত্রিকতা অনেক বেশি উৎকর্ষ। কথায় বা কাজের মিল খোঁজে এবং অতীতের আচরণকে যাচাই-বাছাই করে নির্বাচনে প্রার্থীর চরিত্র উদ্ঘাটন অনেক সহজসাধ্য ব্যাপার।
এটি অনস্বীকার্য যে, বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী সুচারুরূপে রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য অবাধ-সুষ্ঠু এবং জনগণের অংশগ্রহণমূলক যৌক্তিক ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে সরকার গঠনের প্রক্রিয়াই রাজনৈতিক সংস্কৃতির প্রণিধানযোগ্য ঐতিহ্য। বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশেই যথাযথ আইনি এখতিয়ারে নির্বাচন অনুষ্ঠান এবং জনপ্রতিনিধি নির্বাচন-সরকার গঠন একটি প্রচলিত পরিক্রমা।
জনগণের সমর্থনের ওপর পূর্ণাঙ্গ আস্থার ভিত্তিতে ঘোষিত রায়ে ফলাফল গ্রহণ এবং তদানুসারে রাষ্ট্র পরিচালনায় পরিপূর্ণ সহযোগিতা প্রদান প্রতিটি নাগরিকের পবিত্র দায়িত্ব ও কর্তব্য। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দেশপ্রেমিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ব্যাপক প্রস্তুতি সত্ত্বেও যে কোনো সময় সহিংসতা-নাশকতা ঘটার সন্দেহে জনমনে ভীতি সঞ্চারণ অমূলক নয়। উজ্জীবিত কর্মীদের উদ্দেশে দলীয় নেতাদের উত্তেজক বক্তৃতা-বিবৃতিতে নানা ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ার পাশাপাশি রাজনৈতিক পরিস্থিতি ক্রমান্বয়ে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। সব ধরনের হুমকি-ধমকি এবং সংযত আচরণবহির্ভূত অন্য কোনো বিরোধ-বিচ্ছেদ পন্থা কোনোভাবে কাম্য হতে পারে না। বিশেষজ্ঞদের মতে, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে সচল রাখতে হলে সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই। এ ক্ষেত্রে রাজনীতির সব পক্ষকেই দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে হবে। মোদ্দা কথা দেশ ও বিশ্ববাসীর কাছে নিরপেক্ষ নির্বাচন বলতে সাধারণত যা বোঝায়; বৈশিষ্ট্যগুলোকে যথার্থ তাৎপর্যতায় উদ্ভাসিত করে নির্বাচন কমিশন অবাধ-সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানে তাদের প্রতিশ্রুতি প্রতিষ্ঠা করার যে কোনো উদ্যোগ গ্রহণে ন্যূনতম পিছপা হবেন নাÑ এটুকুই সাধারণ জনগণের কাক্সিক্ষত দাবি।
ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী : শিক্ষাবিদ, সমাজ-অপরাধবিজ্ঞানী