ভূরাজনৈতিক বাস্তবতা ও সাম্প্রতিক পাক-ভারত যুদ্ধ
ড. একেএম শামছুল ইসলাম [সূত্র : আমাদের সময়, ১৫ মে ২০২৫]

দক্ষিণ এশিয়া বরাবরই রাজনৈতিক, জাতিগত, সামরিক ও কৌশলগত সংঘাতের অন্যতম এক কুরুক্ষেত্র। বিশেষত ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী বৈরিতা এবং চীন-ভারতের প্রভাব বিস্তারের প্রতিযোগিতা এ অঞ্চলের স্থিতিশীলতাকে বারবার প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। ২০২৫ সালের সাম্প্রতিক পাক-ভারত যুদ্ধ এ অঞ্চলের ভূরাজনৈতিক অনিশ্চয়তাকে আবারও উসকে দিয়েছে।
ভূরাজনৈতিক এই সংকটের প্রেক্ষাপটে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের প্রবর্তিত বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ ও তার কৌশলগত পররাষ্ট্রনীতি নতুন করে মূল্যায়নের দাবি রাখে। তার জাতীয়তাবাদী দর্শন নিছক কোনো আবেগতাড়িত দেশপ্রেম ছিল না, সেটি বরং বাস্তবতানির্ভর কূটনীতি, সামরিক নিরাপত্তা ও আঞ্চলিক ভারসাম্যের ওপর প্রতিষ্ঠিত এক পরিণত দৃষ্টিভঙ্গি বলে বিবেচিত হয়েছে সর্বদাই।
এই নিবন্ধে আমাদের আলোচ্য বিষয় : (১) দক্ষিণ এশিয়ার বর্তমান ভূরাজনৈতিক চিত্র, (২) ২০২৫ সালের পাকিস্তান-ভারত যুদ্ধের প্রেক্ষাপট ও ফলাফল, (৩) শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ ও পররাষ্ট্রনীতির মৌলিক বৈশিষ্ট্য, (৪) কৌশলগত নিরাপত্তা ও সামরিক বাস্তবতা এবং (৫) আজকের বাংলাদেশ ও আঞ্চলিক কৌশল প্রণয়নে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদনির্ভর রাষ্ট্র দর্শনের প্রাসঙ্গিকতা।
(১) দক্ষিণ এশিয়ার বর্তমান ভূরাজনৈতিক চিত্র
দক্ষিণ এশিয়া মূলত পাঁচটি প্রধান ভৌগোলিক শক্তিকে নিয়ে গঠিত- ভারত, পাকিস্তান, চীন, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান। এর মধ্যে ভারত হচ্ছে একক বৃহৎ রাষ্ট্র, যার প্রতিবেশীদের ওপর রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক প্রভাব দীর্ঘদিন ধরেই রয়েছে। পাকিস্তান তার সঙ্গে সামরিক ভারসাম্য বজায় রাখতে চায় এবং চীনের সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে এক ধরনের ‘ব্যালেন্সিং অ্যাক্ট’ পরিচালনা করে।
বাংলাদেশ, শ্রীলংকা, নেপাল ও ভুটান- এই তুলনামূলক ছোট দেশগুলো ভারতীয় বলয় থেকে ক্রমাগত চীনের অর্থনৈতিক কূটনীতির বলয়ে প্রবেশ করেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে জটিল সম্পর্ক ভারত-পাকিস্তানকে ঘিরেই, যার কেন্দ্রে কাশ্মীর ইস্যু, জলবণ্টন, সামরিক প্রতিযোগিতা ও ধর্মীয় বিভাজন। ২০২৫ সালে সংঘটিত সাম্প্রতিক যুদ্ধটি কাশ্মীর উপত্যকা ঘিরে সংঘটিত হলেও এর পরিণতি ও প্রভাব দক্ষিণ এশিয়াজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে।
(২) সম্প্রতি সংঘটিত পাকিস্তান-ভারত যুদ্ধ, পটভূমি ও বিশ্লেষণ
২০২৫ সালের যুদ্ধ শুরু হয় ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামে ভারতের একটি হেলিকপ্টার অভিযান থেকে, যা পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রিত আজাদ কাশ্মীরের ওপর চালানো হয়। পাল্টা জবাবে পাকিস্তান ‘রেসপন্স অব গাজওয়া’ নাম দিয়ে সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতীয় সেনাঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালায়। প্রায় দশ দিনের মধ্যে এই সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে সীমান্ত থেকে রাজধানীর ঘনবসতিপূর্ণ এলাকাগুলোর দিকেও।
উল্লেখযোগ্য দিক হলো- উভয় পক্ষ পারমাণবিক শক্তিধর হলেও সংঘাত সীমিত পরিসরে ছিল। কিন্তু কূটনৈতিক মহলে উদ্বেগের মূল বিষয় ছিল। এটি মাত্রা ছাড়ালে একটি ‘প্রক্সি থার্ড ওয়ার্ল্ড’-এর প্রেক্ষাপট তৈরি হতে পারত, যেখানে চীন, রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভূমিকা থাকত।
এই পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রের ট্রাম্প প্রশাসনের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি হয়, কিন্তু বর্তমানে অন্তর্ভুক্তিকালীন অনির্বাচিত নেতৃত্ব ও জনগণের স্বার্থ উপেক্ষার কারণে বাংলাদেশ সরকার কার্যকর কোনো কূটনৈতিক অবস্থান গ্রহণে ব্যর্থ হয়।
(৩) শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের জাতীয়তাবাদ ও পররাষ্ট্রনীতি, একটি কৌশলগত দৃষ্টিভঙ্গি
শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের জাতীয়তাবাদ ছিল বাস্তবতার ভিত্তিতে গড়া। তিনি তিনটি মূলস্তম্ভের ওপর জাতীয় নিরাপত্তা ও কূটনৈতিক কৌশল নির্মাণ করেন।
(৩.১) স্বাধীন পররাষ্ট্রনীতি : শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বলেছিলেন, ‘ইধহমষধফবংয রিষষ নব ভৎরবহফং ঃড় ধষষ, বহবসরবং ঃড় হড়হব’। এই নীতির মাধ্যমে তিনি ভারতীয় আধিপত্যবাদ এবং সোভিয়েত-ভারত জোটের প্রভাব কাটিয়ে ইসলামি বিশ্ব, চীন এবং পশ্চিমাদের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপন করেন।
(৩.২) শক্তিশালী সামরিক কৌশল : জাতীয় নিরাপত্তাকে নির্ভরযোগ্য করতে তিনি সেনাবাহিনীর আধুনিকায়ন, সীমান্ত প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, বিএনসিসি ও বিডিআর পুনর্গঠন করেন। এ ছাড়া ‘টোটাল পিপলস ওয়ার’ ধারণার মাধ্যমে সামরিক শক্তিকে জনগণের সঙ্গে সম্পৃক্ত করেন।
(৩.৩) আঞ্চলিক ভারসাম্য রক্ষা : শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ভারতের আঞ্চলিক আধিপত্যের মোকাবিলায় মুসলিম বিশ্ব ও চীনের সঙ্গে জোট গঠন করেন। ওআইসিতে সক্রিয় অংশগ্রহণ, ফিলিস্তিনের পক্ষে অবস্থান এবং আফগান জিহাদে কৌশলগত সমর্থন তার এই দৃষ্টিভঙ্গির প্রমাণ।
(৪) সমকালীন প্রেক্ষাপটে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কৌশলের প্রাসঙ্গিকতা সাম্প্রতিক পাক-ভারত যুদ্ধের আলোকে
বর্তমান দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনৈতিক বাস্তবতায় শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের প্রণীত জাতীয়তাবাদ ও পররাষ্ট্রনীতি কতটা প্রাসঙ্গিক তা বোঝার জন্য আমাদের নতুন করে মূল্যায়ন করতে হবে ২০২৫ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের ভূমিকা ও সম্ভাব্য কৌশল।
(৪.১) রাজনৈতিক নিরপেক্ষতা ও সক্রিয় কূটনীতি : যেখানে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান নিরপেক্ষতা বজায় রেখে সক্রিয় কূটনীতির মাধ্যমে ওআইসি, ন্যাম ও জাতিসংঘে বাংলাদেশকে মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানে নিয়ে গিয়েছিলেন, সেখানে বর্তমান সরকার এখনও পতিত ফ্যাসিস্ট হাসিনার মতোই একটি পক্ষপাতদুষ্ট ও নির্ভরশীল পররাষ্ট্রনীতিতে আটকে রয়েছে। ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধকালে বাংলাদেশ নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে, কোনো ধরনের আঞ্চলিক শান্তি উদ্যোগ বা কৌশলগত উদ্বেগ প্রকাশ করতে পারেনি। এমনকি নাগরিক ও সীমান্ত নিরাপত্তা নিয়েও কোনো কার্যকর বিবৃতি দেওয়া হয়নি।
(৪.২) প্রতিরক্ষা প্রস্তুতি ও জাতীয় প্রতিরোধ কাঠামো : শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ‘সমগ্র জাতিকে প্রতিরক্ষায় সম্পৃক্তকরণ’ ধারণায় বিশ্বাস করতেন। বিএনসিসি, স্কাউটস, গার্লস গাইড ও সিভিল ডিফেন্সের মাধ্যমে একটি সহায়ক প্রতিরক্ষাকাঠামো গড়ে তুলেছিলেন। বর্তমানে সেই কাঠামো নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছে। ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের ধাক্কায় সীমান্তে চোরাচালান, রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ এবং মৌলবাদী তৎপরতা বাড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে, কিন্তু বাংলাদেশে কোনো ধরনের ‘ঝঃৎধঃবমরপ চৎবঢ়ধৎবফহবংং উৎরষষ’ হয়নি। এ ক্ষেত্রে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ‘চৎড়ধপঃরাব উবভবহংরাব উরঢ়ষড়সধপু’ আজও প্রাসঙ্গিক।
(৪.৩) চীন ও মুসলিম বিশ্বের ভারসাম্য : শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ভারতের প্রভাব ঠেকাতে চীনের সঙ্গে সামরিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তুলেছিলেন। তার আমলে বাংলাদেশ প্রথম চীনা অস্ত্র পায় এবং একাধিক প্রশিক্ষণ বিনিময় প্রোগ্রাম চালু হয়। আজকের পরিস্থিতিতে যখন ভারত-মার্কিন ঘনিষ্ঠতা এবং পাকিস্তান-চীন জোট দৃঢ় হচ্ছে, বাংলাদেশ সেই ভারসাম্যহীনতার ফাঁদে আটকা পড়েছে। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের নীতি অনুসরণ করে বর্তমানে বাংলাদেশ চীন, তুরস্ক, কাতার এবং ইরানের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করতে পারত।
(৫) বাংলাদেশের বর্তমান নেতৃত্ব ও কৌশলগত দুর্বলতা বাংলাদেশের বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের নেতৃত্বে জাতীয় নিরাপত্তা, পররাষ্ট্রনীতি ও আঞ্চলিক কূটনীতিতে যে শূন্যতা তৈরি হয়েছে, তা একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের জন্য গভীর উদ্বেগজনক।
(৫.১) কূটনৈতিক নিষ্ক্রিয়তা : ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধকালে বাংলাদেশ সরকার কোনো আনুষ্ঠানিক উদ্বেগ বা কূটনৈতিক উদ্যোগ গ্রহণ করেনি। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমেও বাংলাদেশের অবস্থান অদৃশ্য ছিল। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কৌশলগত সময়োপযোগী বিবৃতি ও জোট গঠনের চেষ্টা ছিল দৃষ্টান্তমূলক।
(৫.২) নিরাপত্তা হুমকি উপেক্ষা : যুদ্ধকালে সীমান্ত সুরক্ষা, জনসচেতনতা এবং জরুরি অবস্থা প্রস্তুতির অভাব স্পষ্টভাবে বোঝা গেছে। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সময়ে ‘চবড়ঢ়ষব-ঙৎরবহঃবফ উবভবহংব ঝঃৎধঃবমু‘ বাস্তবায়ন হতো, যেখানে জনগণ প্রতিরক্ষা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে প্রশিক্ষণ পেত।
(৫.৩) ভারতনির্ভরতা : বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার পূর্ববর্তী ফ্যাসিস্ট হাসিনার গৃহীত ভারতের ওপর নির্ভরশীল পররাষ্ট্রনীতিই অনুসরণ করে চলছে, যার ফলে বাংলাদেশ আঞ্চলিক ভারসাম্যে অসহায় হয়ে পড়ছে। এটি শুধু জাতীয় স্বার্থ পরিপন্থী নয়, বরং কূটনৈতিকভাবে আত্মঘাতী।
(৬) সুপারিশ ও উপসংহার : কীভাবে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের দর্শন আবার কার্যকর হতে পারে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের জাতীয়তাবাদ এখন শুধু ইতিহাস নয়, বরং বর্তমান কৌশলগত বাস্তবতায় একটি কার্যকরী রূপরেখা। নিচে কিছু সুপারিশ উপস্থাপন করা হলো :
(৬.১) নীতিগত নিরপেক্ষতা পুনঃপ্রতিষ্ঠা : বাংলাদেশকে ‘বন্ধুত্ব সবার সঙ্গে, বৈরিতা কারও সঙ্গে নয়’ নীতিতে ফিরে যেতে হবে। ভারত বা পাকিস্তান কোনো পক্ষ নয়- শুধু বাংলাদেশের স্বার্থই প্রধান বিবেচ্য হবে।
(৬.২) জাতীয় নিরাপত্তায় নাগরিক সম্পৃক্ততা : ইঘঈঈ, ঝপড়ঁঃং, ঈরারষ উবভবহংব- এই কাঠামোগুলোকে সক্রিয় করে প্রতিরক্ষা সচেতনতা বাড়াতে হবে। দুর্যোগ, হামলা, সন্ত্রাস ও আঞ্চলিক উত্তেজনার পরিপ্রেক্ষিতে জাতীয় প্রতিরোধ সক্ষমতা গড়ে তুলতে হবে।
(৬.৩) চীন-ওআইসি-তুর্কি-আসিয়ান কৌশলগত অংশীদারত্ব : ভারতের বাইরে বাংলাদেশকে কৌশলগত বিকল্প অংশীদার গড়ে তুলতে হবে। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মতো করেই চীন ও মুসলিম বিশ্বকে কাজে লাগাতে হবে- সামরিক প্রশিক্ষণ, প্রযুক্তি ও কূটনৈতিক সহায়তা পাওয়ার ক্ষেত্রে।
(৬.৪) আঞ্চলিক শান্তি উদ্যোগে নেতৃত্ব গ্রহণ : বাংলাদেশ বর্তমান ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে শুধু দর্শক নয়, বরং একটি সক্রিয় শান্তির দূত হয়ে উঠতে পারে। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ‘চবধপব ঞযৎড়ঁময ঝঃৎবহমঃয’ নীতির আলোকে বাংলাদেশ নিজস্ব শান্তি প্রস্তাব দিতে পারে, বিশেষত যখন দক্ষিণ এশিয়া ক্রমেই একটি সংঘাতের কেন্দ্রে পরিণত হচ্ছে।
উপসংহার
আজকের ভূরাজনৈতিক বাস্তবতা আমাদের সামনে এক কঠিন প্রশ্ন রেখেছে- বাংলাদেশ কি একটি নতজানু রাষ্ট্র হয়ে থাকবে, নাকি একটি কৌশলগতভাবে সচেতন, নিরাপদ ও সম্মানজনক রাষ্ট্রে পরিণত হবে? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে আমরা যদি ফিরে দেখি, দেখব একজন নেতা ১৯৭৭ সালেই সেই উত্তর দিয়ে গেছেন- জাতীয়তাবাদ, কৌশলগত ভারসাম্য, সামরিক প্রস্তুতি এবং জনসম্পৃক্ততার মাধ্যমে। সেই নেতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান।
তার প্রবর্তিত দর্শন আজ দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি, স্বাধীনতা ও আত্মমর্যাদার ভিত্তি হতে পারে। তিনি আমাদের শিখিয়েছিলেন- রাষ্ট্রের স্বাধীনতা রক্ষা শুধু অস্ত্রের মাধ্যমে নয়, বরং দূরদর্শী কৌশল ও পররাষ্ট্রনীতি দিয়েও সম্ভব।
এই যুগে যখন প্রতিটি সিদ্ধান্ত একটি রাষ্ট্রের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করে, তখন শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ আমাদের কণ্ঠে উচ্চারিত হওয়া উচিত- ‘নিজস্ব কৌশল, নিজস্ব সিদ্ধান্ত, নিজস্ব পথ।’
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ড. একেএম শামছুল ইসলাম : পিএসসি, জি (অব.), সাবেক সেনা কর্মকর্তা ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক