কল করুন

কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স

যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপ নিয়ে আলোচনায় নেই অগ্রগতি

সূত্র : বণিক বার্তা, ০২ মার্চ ২০২৫

যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপ নিয়ে আলোচনায় নেই অগ্রগতি

ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপ নিয়ে সর্বশেষ আলোচনা এখনো কোনো অগ্রগতি অর্জন করতে পারেনি। ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপ নিয়ে সর্বশেষ আলোচনা এখনো কোনো অগ্রগতি অর্জন করতে পারেনি। এ অবস্থায়ই শনিবার শেষ হলো যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপ। খবর এপি। যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপে গাজায় ১৫ মাসের লড়াই সাময়িকভাবে বন্ধ হয়। এ সময়ে আটটি মৃতদেহসহ মোট ৩৩ জন বন্দি মুক্তি পায়। বিনিময়ে প্রায় দুই হাজার ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেয়া হয়।

 

যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপ গতকাল শেষ হয়েছে। তবে চুক্তি অনুযায়ী দ্বিতীয় ধাপের আলোচনা চলাকালীন লড়াই আবার শুরু হবে না। এ পরবর্তী ধাপ গাজার যুদ্ধ শেষ করতে পারে এবং বেঁচে থাকা বাকি বন্দিদের দেশে ফিরিয়ে আনতে পারে।

 
 

ইসরায়েল, কাতার, মিসর ও যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা কায়রোতে যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপ নিয়ে আলোচনা করছেন। তাদের লক্ষ্য হলো গাজার যুদ্ধ শেষ করা, বাকি বন্দিদের মুক্ত করা ও ইসরায়েলি বাহিনীকে প্রত্যাহার করা।

 

হামাস আলোচনায় অংশ নেয়নি। তবে মিসর ও কাতারের মধ্যস্থতাকারীরা তাদের অবস্থান তুলে ধরেছে। হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর সদস্য বাসেম নাইম অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে (এপি) জানিয়েছেন যে শুক্রবার ইসরায়েলি আলোচকরা দেশে ফেরার আগে কোনো অগ্রগতি হয়নি।

 

 

এখনো অনিশ্চিত যে মধ্যস্থতাকারীরা প্রত্যাশিতভাবে শনিবার মিসরে ফিরে আলোচনা শুরু করবেন কিনা। নাইম বলেছেন, তার কোনো ধারণা নেই যে কবে আবার আলোচনা শুরু হবে। মার্কিন মধ্যপ্রাচ্য দূত স্টিভ উইটকফ রোববার আলোচনার জন্য ওই অঞ্চলে সফর করতে পারেন। তবে এটি এখনো নিশ্চিত নয়।

 

 

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের আক্রমণের মধ্য দিয়ে যুদ্ধ শুরু হয়, যেখানে ইসরায়েলের ১ হাজার ২০০ জন নিহত হয়। এর পর থেকে ইসরায়েলের সামরিক অভিযানে গাজা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের মতে ৪৮ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। দুই পক্ষ জানুয়ারিতে তিন ধাপের যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সম্মত হয়। চুক্তিটির লক্ষ্য যুদ্ধের অবসান ঘটানো।

 

 

শুক্রবার হামাস জানিয়েছে, তারা চুক্তির সব শর্ত সম্পূর্ণভাবে বাস্তবায়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তারা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে ইসরায়েলের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে আহ্বান জানিয়েছে। যাতে কোনো বিলম্ব বা এড়ানোর চেষ্টা ছাড়াই যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপ অবিলম্বে শুরু হয়। যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপের আলোচনা ছাড়াও ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় গত সপ্তাহে জানিয়েছে যে মধ্যস্থতাকারীরা গাজার জন্য মানবিক সহায়তা বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনাও করছে, যাতে জনগণের দুর্ভোগ কমানো এবং অঞ্চলে স্থিতিশীলতা আনা সম্ভব হয়।