কল করুন

কৃতিকথন

প্রশাসনে ৩য় অবস্থানের পেছনে বিসিএস কনফিডেন্স গুরুত্বপূর্ণ  অবদান রেখেছে

পরম করুণাময় সৃষ্টিকর্তার নামে শুরু করছি। আজকের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত প্রধান অতিথি, বিশেষ অতিথি এবং আমার ভবিষ্যৎ সহকর্মী যারা আছেন তাদের সবাইকে জানাচ্ছি জাতীয় পতাকা দিবসের শুভেচ্ছা। আমার এই বিসিএস জার্নির পেছনে সবচেয়ে বড় অবদান আমার মা এবং আমার বাবার। এরপরে আমার এই রেজাল্ট গঠনের পেছনে, প্রথম বিসিএসে প্রশাসনে ৩য় অবস্থানের পেছনে বিসিএস কনফিডেন্স গুরুত্বপূর্ণ  অবদান রেখেছে বলে আমি মনে প্রাণে বিশ্বাস করি।

আমার এখনও মনে আছে- আমি ২০২০ সালের ডিসেম্বরের ২০ তারিখে কনফিডেন্সে গিয়ে ভর্তি হই। এরপরে রাজু ভাইয়ে  ২টি কথা আমাকে বেশ অনুপ্রাণিত করে। উনি একটি সেমিনারে বলেছিলেন, বিসিএসে যারা অ্যাপ্লাই করেন তারা ২ রকমের প্রার্থী। এক প্রিলি প্রার্থী। আরেক প্রকার হচ্ছে সত্যিকার অর্থে বিসিএস প্রার্থী। আমি তার বক্তব্য শুনেই সিদ্ধান্ত নেই বিসিএস প্রার্থী হওয়ার। সাথে উনি বলেছিলেন প্রথম বিসিএসেই সাফল্য অর্জনের জন্য প্রত্যয় রাখা উচিত। সে সময় আমি প্রথম বিসিএসেই ভাল প্রিপারেশন নেয়ার জন্য অনুপ্রেরণা লাভ করেছিলাম। এই জন্য রাজু ভাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ। বিসিএস কনফিডেন্সের অনেক বিষয় অত্যন্ত ভালো । এখানে অনেক অভিজ্ঞ শিক্ষক রয়েছেন। তাদের খাতা মূল্যায়ন এবং প্রশ্ন করার পদ্ধতি অত্যন্ত সুন্দর।

বিসিএস কনফিডেন্সের যে বিষয়টি আমার সব থেকে প্রিয় ছিলো তা হল জরিমানার বিষয়।  এই জরিমানা থেকে বাঁচার জন্য আমি সবসময় চেষ্টা করতাম প্রতিটি পরীক্ষায় উপস্থিত থাকার জন্য।  আমি একটা বিষয় শেয়ার করতে চাই, আমার কাছে একটা ছেড়া ১০০ টাকার নোট ছিলো। সেটা  আসলে কোনোভাবেই চালানো সম্ভব ছিলো না। যেহেতু আমি সায়েন্স ব্যাকগ্রাউন্ডের এবং ইঞ্জিনিয়ারিং পড়েছি তো আমার ম্যাথে কোন সমস্যা ছিলো না। এই কারণে আমি যেটা করি, একটা ম্যাথ পরীক্ষা আমি স্কিপ করি। প্রিলি মডেল টেস্টের সময় আরকি। পরের দিন আমি আমার সেই ছেড়া নোটটি তাদেরকে জরিমানা হিসেবে দিই প্রচণ্ড ভিড়ের মধ্যে। শিক্ষার্থীদের লম্বা লাইন, ছেড়া নোট তাদের চেক করার সময়ও নেই। পরবর্তীকালে আমি যে চ্যালেঞ্জটি নিই তা হলো- বাংলাদেশ বিষয়াবলিতে অবশ্যই পাস করতে হবে। পাস করলেই আগের জরিমানার টাকা ফেরত দেবে। ভালো পরীক্ষা দিয়েছিলাম এবং জরিমানার টাকা ব্যাকও পেয়েছিলাম। কিন্তু ছেড়া ১০০ টাকার পরিবর্তে খুব ভালো একটা নোট পেয়েছিলাম।


বিসিএস কনফিডেন্স আমাকে যেইটা দিয়েছে সেইটা হচ্ছে যে , আমার সাথে এখন আমার দুই জন বন্ধু (শরীফ ও বিজয়) উপস্থিত আছেন। এই  দুই জন আমার প্রিপারেশনের নিউক্লিয়াস। এই দুই জনকে আমি পেয়েছিলাম আমার বিসিএস কনফিডেন্সের যাত্রা  শুরু করার সময়ে এবং আমরা  তিন জন মনে হয়  একটা  থিংক ট্যাংক ছিলাম। সেইখান থেকে একসাথে প্রিপারেশন নেয়ার চেষ্টা করতাম। তো বিসিএস কনফিডেন্সকে এইজন্য আরও ধন্যবাদ।


যাইহোক, অনেক গল্প শেয়ার করলাম। আমি চাই আমার বিসিএসের গল্প আমার কাছেই থাকুক। আমার গভীরেই থাকুক। এটা  আসলে আমি শেয়ার করতে এতটা আগ্রহী নই। তবে আমি আশা করছি যে, বর্তমান সরকারের যে প্লান রয়েছে সেইটা হচ্ছে স্মার্ট বাংলাদেশ । আমরা ৪৩তম  বিসিএসের সুপারিশপ্রাপ্ত যারা রয়েছি তারা আমাদের সিনিয়র স্যারদের দিক নির্দেশনায় স্মার্ট ক্যাডার হিসেবে স্মার্ট বাংলাদেশ অর্জনের পেছনে অবদান রাখতে পারবো। এই প্রত্যাশা নিয়েই আমি আমার বক্তব্য শেষ করছি। জয়তু কনফিডেন্স।

রায়হান ফেরদৌস

প্রশাসন ক্যাডার

৪৩তম বিসিএস