১৮২৪ সালে আজকের এই দিনে (২৫ জানুয়ারি) জন্ম নেওয়া কবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত তাঁর কবি-প্রতিভার বাইরেও একজন নাট্যকার হিসেবে সুপরিচিত। মাত্র তিন বছর ১৮৫৯ থেকে ১৯৬১ সাল পর্যন্ত রচনা করেছেন নাটক। এই অল্প সময়ে জুলিয়াস সিজারের ‘এলাম, দেখলাম, জয় করলাম’ বাণীটি যেন মধুসূদনের নাটক রচনার ক্ষেত্রে যথোপযুক্তভাবেই প্রযোজ্য।
মুসলিম নবজাগরণের অন্যতম অগ্রদূত রেনেসাঁর কবি ফররুখ আহমদ; যিনি ছিলেন একজন বিখ্যাত কবি, গল্পকার ও প্রাবন্ধিক। ইসলামী চিন্তা-চেতনার অত্যধিক প্রভাব আর প্রচুর আরবি ও ফারসি শব্দমালার ব্যবহার ছিল ফররুখ রচনাবলির অন্যতম বৈশিষ্ট্য। ১৯ অক্টোবর কবির ৫০তম মৃত্যুবার্ষিকী।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রধান পরিচয় তিনি কবি। তবে একাধারে তিনি কবি, গল্পকার, নাট্যকার, ঔপন্যাসিক, প্রাবন্ধিক, দার্শনিক, সঙ্গীতস্রষ্টা, চিত্রকর, অভিনেতা, কণ্ঠশিল্পী। শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতির এমন কোন শাখা নেই যেখানে তার বিচরণ ছিল না। আসাধারণ তার সাহিত্যকর্ম। বাংলা ভাষার সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ সাহিত্যিক মনে করা হয় তাকে। রবীন্দ্রনাথের কাব্যগ্রন্থের সংখা ৫২টি। তার ৩৮টি নাটক, ১৩টি উপন্যাস, ৯৫টি ছোটগল্প, ৩৬টি প্রবন্ধ ও অন্যান্য গদ্যসংকলন যার অধিকাংশ তার জীবদ্দশায় এবং কিছু তাঁর মৃত্যুর পরে প্রকাশিত হয়। তাঁর রচিত গানের সংখ্যা ১৯১৫। তার সবগুলো ছোটগল্প ও গান গল্পগুচ্ছ ও গীতবিতানে অন্তর্ভুক্ত।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (১৮৬১-১৯৪১) ও প্রমথ চৌধুরীর (১৮৬৮-১৯৪৬) পরিণত পর্যায়ে- ১৯১৯ সালে কাজী নজরুল ইসলাম (১৮৯৯-১৯৭৬) বাংলা সাহিত্যে আত্মপ্রকাশ করেন। তার প্রথম প্রকাশিত গল্প ‘বাউণ্ডেলের আত্মকাহিনী’। এটি মাসিক ‘সওগাত’ (১৯১৮) পত্রিকা (প্রথম বর্ষ, সপ্তম সংখ্যায়-১৩২৬) ১৯১৯ সালের মে মাসে প্রকাশিত হয়। মোহাম্মদ নাসিরউদ্দীন লিখেছেন, ‘বাউণ্ডেলের আত্মকাহিনী’ প্রকাশের সাথে সাথেই ঘোষিত হয় সাহিত্য ক্ষেত্রে কাজী নজরুল ইসলামের প্রথম আবির্ভাব এবং এই রচনাটি সেকালেই পাঠক ও সাহিত্যিক সমাজের বিস্মিত দৃষ্টি আকর্ষণ করে