কল করুন

কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স

Consistency in Balance of Power

Bangladesh, as a developing country with a strategic location in South Asia, faces numerous challenges in crafting and maintaining a balanced and consistent strategic and defensive policy, especially in the context of frequent political regime changes or for being ruled by an autocrat over a longer period of time. Therefore, to establish and maintain a robust balance of power, Bangladesh must develop a policy framework that ensures its national security and foreign policy objectives remain stable and are not subject to drastic shifts with leadership changes. Here’s how the country can achieve such a balance, along with the democratic practices needed to uphold this continuity:

ASEAN’s Stuttering Search for a Solution to Myanmar’s Turmoil

The back-to-back summits of two key regional groupings, the Association of Southeast Asian Nations (ASEAN) and the East Asian countries, held in Vientiane last week have failed to raise any hope for resolving the seemingly intractable problem in Myanmar, a country where the raging war between its military junta and rebel groups continues, leaving democracy in limbo.

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ॥ মধ্যপ্রাচ্য ও বাংলাদেশ

যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে, এর সম্ভাব্য ফল নিয়ে ততই বিচার বিশ্লেষণে মেতে উঠছে পত্রিকা, টেলিভিশন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসমূহ। এক্ষেত্রে মূল আলোচ্য বিষয় পপুলার ভোট বা জনপ্রিয়তার নিরিখে ট্রাম্প বা হ্যারিসের কে কতটা এগিয়ে আছেন আর ইলেক্টোরাল ভোটের ক্ষেত্রে কার অবস্থান কেমন, সেটি! আমরা জানি যে, যুক্তরাষ্ট্রে পপুলার ভোটের চেয়েও অনেক সময় ইলেক্টোরাল সিট অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে নির্বাচনের ফল নির্ধারণে।

গতি-প্রকৃতি পাল্টানোর পথে ইউক্রেন যুদ্ধ

রাশিয়া যখন দোনবাস ও জাপোরিঝিয়া অঞ্চলের একের পর এক গ্রাম দখল করছে, তখন হঠাৎ করে ইউক্রেনীয় বাহিনী রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চল আক্রমণ করে প্রায় এক হাজার বর্গকিলোমিটার ভূখণ্ড দখল করে নেয়। প্রথম দিকে ভালোই সাফল্য পাচ্ছিল ইউক্রেনীয় বাহিনী। বেশ জোরেশোরে হামলা শুরু করছিল কুরস্ক অঞ্চলে। একেবারে পশ্চিমা অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে জোরালো আক্রমণ করছিল, ইউক্রেন তার সামর্থ্যের প্রায় সবটা দিয়েই এই আক্রমণ পরিচালনা করছিল।

জেন জি ও বিশ্ব শ্রমবাজার ড. তৌহিদ হোসেন খান

জেনারেশন জেড বর্তমান বিশ্বে বহুল আলোচিত একটি শব্দ। মূলত ২০১০-এর শুরুর দিকে জন্ম নেওয়া শিশুরা এই প্রজন্মের অন্তর্ভুক্ত, যারা ‘জেনারেশন জি’ নামেও পরিচিত। বর্তমান বিশ্বের সমগ্র জনসংখ্যার প্রায় ২৬ শতাংশ এই প্রজন্মের অংশ। এরাই সমাজের অর্থনৈতিক, সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিকসহ সমস্ত জায়গায় নিজেদের চিন্তার বহিঃপ্রকাশ ঘটাতে পূর্ববর্তী প্রজন্মের স্থলাভিষিক্ত হওয়া শুরু করেছে। ধারণা করা হচ্ছে, ২০৩০ সালের মধ্যে শ্রমবাজারের প্রবেশ স্তরসহ সমাজের সব স্তরে জেনারেশন জেড নিজেদের অবস্থান পাকাপোক্ত করবে। বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে এই প্রজন্মকে নিয়ে নতুন করে বলার প্রয়োজন নেই। কারণ তারাই বাংলাদেশের দ্বিতীয় স্বাধীনতার কারিগর। তাই আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানের পর জেনারেশন জেড সম্পর্কে সাধারণের জানার আগ্রহ, তাদের স্বতন্ত্র চিন্তাভাবনা, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাসহ বিভিন্ন বিষয় বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক পটভূমিতে আলোচিত বিষয় হয়ে উঠেছে।

Guidelines for SDGs in Bangladesh

THE United Nations in 2015 granted approval to the Sustainable Development Goals, marking a significant global commitment to fostering a better and more sustainable future for all individuals. As 2030 approaches, marking the deadline for the goals, it becomes essential to evaluate the progress and strategies employed by individual nations. Bangladesh, which has experienced notable advancements in development in the past few years, finds itself at a pivotal juncture. In the face of a significant backlog, Bangladesh making concerted efforts to prioritise the attainment of the Sustainable Development Goals. The nation is witnessing notable advancements in its efforts to achieve various goals although there remains work to be done. In a significant development, the nation has successfully transitioned from the status of the least developed countries, yet to put to effect, and is now setting its sights on attaining middle-income status by 2041.

উন্নয়নশীল দেশগুলি অশাসনযোগ্য হইয়া উঠিতেছে কেন

তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলি বরাবরই বিশৃঙ্খল। তাহার কারণও নিশ্চয়ই রহিয়াছে। এই সকল দেশে রহিয়াছে আইনের শাসনের ঘাটতি। জোর যাহার মুল্লুক তাহার—এই নীতি আজও বিদ্যমান। নাগরিক অধিকার রক্ষার ব্যাপারে এই সকল দেশ উদাসীন ও অযত্নশীল। জাতীয় ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলি ভঙ্গুর। ফলে এই সকল দেশ যাহারা পরিচালনা করেন, তাহাদের অনেক কাঠখড় পোড়াইতে হয়। তাহারা সমস্যার আসল জায়গায় হাত দিতে পারেন না বা দেন না। ইহাতে এই সকল দেশ ম্যানেজ করা সকল সময় সহজ হয় না। অনেক সময় সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে চলিয়া যায় যে, ম্যানেজ করিবার মতো পরিবেশই আর থাকে না। তখন চরম অরাজকতা ও বিশৃঙ্খলা দেখা দিলে একসময় সহজ সমাধান হিসাবে দেখা দিত মার্শাল ল’। ইহাতে সংবিধান স্থগিত হইয়া যাইত। পরিস্থিতির উন্নতি হইলে আবার ফিরিয়া আসিত বেসামরিক সরকার; কিন্তু তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলি ম্যানেজ করিবার এই অস্ত্রে এখন আর ধার নাই বলিলেই চলে। আজকাল মার্শাল ল দেখা যায় কদাচিৎ। তবে এখন অনেক উন্নয়নশীল দেশে ইহার নবসংস্করণ হইতেছে পুলিশি শাসন। এই সকল দেশকে পুলিশি রাষ্ট্র বলিলেও অত্যুক্তি হয় না। অস্ত্রশস্ত্র ও সাজসরঞ্জাম অনেক দিক দিয়াই তাহারা আজ স্বয়ংসম্পন্ন ও অধিকতর শক্তিশালী। তাই পুলিশ দিয়া যেইখানে শৃঙ্খলা আনা যায়, সেইখানে সেনাবাহিনীর কী দরকার? তাহারা কি নিজ দেশে যুদ্ধ করিবেন?

বৈশ্বিক সংকটের সমাধান হউক আলোচনার টেবিলে

ইউক্রেন যুদ্ধের প্রথম বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানের ভাষণে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করিয়া বলিয়াছিলেন, ‘এই যুদ্ধ আঞ্চলিক অস্থিরতা উসকাইয়া দিতেছে এবং সেই সঙ্গে বিশ্ব জুড়িয়া উত্তেজনা ও বিভেদ সৃষ্টি করিতেছে।’ ভাষণের শেষাংশে তিনি আহ্বান জানাইয়াছিলেন, ‘ধ্বংসের দ্বারপ্রান্ত থেকে সরিয়া আসার এখনই উপযুক্ত সময়। কারণ, যে কোনো ধরনের আত্মতুষ্টি সংকটকে আরো গভীর করিয়া তুলিবে।’ জাতিসংঘ মহসচিবের সেই ভবিতব্যের মর্মকথা আমরা আজ অনুধাবন করিতেছি প্রতিটি মুহূর্ত! বিশ্ব আজ এক গভীর সংকটে নিপতিত। যুদ্ধ চলিতেছে ইউরোপের মাটিতে। সংঘাতের আগুনে পুড়িতেছে মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চল। আত্মতুষ্টির বশবর্তী হইয়া প্রতিপক্ষের উপর প্রথম আঘাত হানিয়া সংকট ডাকিয়া আনিল কোন পক্ষ—ইহা পুরাতন, অমীমাংসিত ও তর্কসাপেক্ষ বিষয়। তবে বৃহত্তর সংঘাতের ঘেরাটোপে পড়িয়া সমগ্র বিশ্ব যে কাহিল হইতে কাহিলতর হইয়া উঠিতেছে, ইহাই আজিকার দিনের বাস্তবতা। ইউক্রেনে হামলা বাড়াইয়াছে রাশিয়া। এই যুদ্ধ কখন, কীভাবে শেষ হইবে, তাহা কাহারো জানা নাই! বরং দুই বত্সরেরও অধিক সময় ধরিয়া চলিতে থাকা এই যুদ্ধ পক্ষগুলিকে মুখোমুখি দাঁড় করিয়া দিয়াছে। ইহার অভিঘাতে বিশ্বব্যাপী যেই অর্থনৈতিক সংকটের অবতারণা ঘটে, তাহা হইতে উত্তরণ তো ঘটেই নাই, উপরন্তু আরম্ভ হইল নূতন সংকট—ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধ। ঘটনা এইখানেই থামিয়া থাকে নাই, গাজা যুদ্ধের পটভূমিতে বিশ্ব নূতন করিয়া প্রবেশ করিয়াছে দুই চিরশত্রু ইরান ও ইসরাইলের সংঘাতের যুগে। দুশ্চিন্তা মূলত এইখানেই! কারণ, বিশ্বরাজনীতি ও অর্থনীতিতে বিশেষ গুরুত্ব বহন করে মধ্যপ্রাচ্য। এই অঞ্চলে অস্থিরতা শুরু হওয়ার অর্থ হইল সমগ্র পৃথিবীতে তাহার ঢেউ আছড়াইয়া পড়া। বিশেষত মধ্যপ্রাচ্য অস্থিতিশীল হইয়া উঠিলে বিশ্বব্যাপী জ্বালানিসংকট তীব্রতর হইয়া উঠিবে।