কল করুন

কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স

মরুভূমিতে বিস্ময়কর ঘটনা

মরুভূমিতে অমীমাংসিত বহু রহস্য লুকিয়ে আছে। এখনো নিত্যনতুন রহস্যের খোঁজ মিলছে মরু গহিনে। এসব মরুভূমির উপরিতলের রহস্য। বালুর নিচে লুকিয়ে থাকা রহস্যগুলোর তো কোনো কূলকিনারাই হয়নি। কৌতূহলী মানুষ এই রহস্যের পেছনে ছুটছে। দেখা মিলেছে লবণের পাহাড়, যেখানে বৃষ্টি হয়নি গত ৪০০ বছরেও। আবার অল্প বৃষ্টিতে কোথাও রঙিন ফুলে ছেয়ে যায় গোটা মরুপ্রান্তর। কোথাও ছাই হয়ে ১৫০ বছর ধরে বেঁচে আছে মরুগাছ। নীল মানুষ এখনো মরুর বুকে জীবন কাটায়। এমনি রোমাঞ্চে ভরা মরুভূমি নিয়ে আজকের রকমারি-

মধ্যপ্রাচ্যে উত্তাপ কি আরও বাড়ছে

মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতির উত্তাপ এবার কতটা ছড়াবে তা নির্ধারণ করাই কঠিন হয়ে পড়েছে। সিনওয়ারের মৃত্যুর পর মধ্যপ্রাচ্যের রাজনৈতিক জটিলতা, আরব বিশ্বের ঐক্য এবং মিসরের সামরিক শক্তির পুনরুত্থান ইসরায়েলের জন্য বিপদের শঙ্কা তৈরি করছে। হামাসের প্রধান নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ার নিহত হওয়ার পর ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গত বৃহস্পতিবার বলেন, ‘গাজায় যুদ্ধ শেষ হয়নি। এটি কেবল শেষের শুরু।’ নেতানিয়াহু বলেন, ‘আমাদের সামনে এখনও অনেক পথ বাকি। যুদ্ধ চলবে যতক্ষণ পর্যন্ত হামাসের হাতে আটক জিম্মিদের মুক্তি নিশ্চিত না হয়।’ তবে তার এই কথার জবাব গতকাল শুক্রবার হামাস দিয়েছে। হামাস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘যতক্ষণ পর্যন্ত যুদ্ধবিরতি ও স্থল অভিযান বন্ধ না হবে তত দিন পর্যন্ত জিম্মিদের মুক্তি দেওয়া হবে না।’

৩ গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব নিয়ে বিশ্বব্যাংক-আইএমএফে যাচ্ছে বাংলাদেশ

দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে আসন্ন বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফের বার্ষিক সভায় বাংলাদেশ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব নিয়ে যাচ্ছে। এবারের সভায় বাংলাদেশ সাইড লাইনে দ্বিপক্ষীয় বিষয় নিয়ে বিভিন্ন দেশের পাশাপাশি বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফের সঙ্গে আলাদা একাধিক বৈঠক করবে। এসব বৈঠকে তিনটি ইস্যু প্রাধান্য দেবে। এগুলোর মধ্যে অগ্রাধিক পাবে আইএমএফ থেকে বাড়তি ঋণের ৩০০ কোটি ডলারের প্রতিশ্রুতি নিশ্চিত করা। দ্বিতীয় গুরুত্ব, বাংলাদেশ থেকে পাচার টাকা সংশ্লিষ্ট দেশগুলোতে জব্দ করে রাখা এবং তৃতীয় গুরুত্ব ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের জুলাই-আগস্টের গণহত্যা ও ১৫ বছরের লুটপাটের চিত্র তুলে ধরা।

কম্পিউটেশনাল প্রোটিন ডিজাইন ও প্রোটিনের গঠন অনুমানে তিন রসায়নবিদের নোবেলজয়

চলতি বছর রসায়নে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন বিজ্ঞানী ডেভিড বেকার, ডেমিস হ্যাসাবিস ও জন এম জাম্পার। কম্পিউটেশনাল প্রোটিন ডিজাইন ও প্রোটিনের গঠন অনুমানের জন্য তাঁদের এ পুরস্কার দেওয়া হয়। তাঁদের এ কাজ দেহের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা, গঠন ইত্যাদি বোঝার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। বাংলাদেশ সময় বুধবার বিকাল ৩টা ৪৫ মিনিটে সুইডেনের স্টকহোম থেকে এ বছরের রসায়নে নোবেল বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করে দ্য রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অব সায়েন্সেস।

যন্ত্রকে শেখানোর ভিত্তি গড়ে দিয়ে পদার্থবিদ্যায় নোবেল জয়

চলতি বছর পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন জন জে হপফিল্ড ও জফ্রি ই হিন্টন । কৃত্রিম নিউরাল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে মেশিন লার্নিং সম্ভবপর করে তোলার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার ও উদ্ভাবনের জন্য তাঁদের এ পুরস্কার দেওয়া হয়। তাঁদের গবেষণা মেশিন লার্নিং ও এআই, তথা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ১০ দেশ

জিডিপি’র ওপর ভিত্তি করে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে বিশ্বের শীর্ষ ১০টি ধনী দেশের তালিকা প্রকাশ করেছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, আইএমএফ এর তালিকার শীর্ষে রয়েছে ইউরোপের দেশ লুক্সেমবার্গ। দেশটির জনগণের মাথাপিছু আয় ১ লাখ ৪০ হাজার ৩১২ ডলার যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ১ কোটি ৫৪ লক্ষ টাকা। তালিকার বাকি দেশগুলো হলো : ২. ম্যাকাও : চীনের বিশেষ প্রশাসনিক অঞ্চল ম্যাকাও। এর মাথাপিছু জিডিপি (পিপিপি) ১ লাখ ৩৪ হাজার ১৪০ মার্কিন ডলার। ৩. আয়ারল্যান্ড- ১,১৭,৯৮৮ ডলার বা প্রায় ১ কোটি ২৯ লক্ষ টাকা ৪.সিঙ্গাপুর- ৯১,৭৩৩ ডলার বা প্রায় ১ কোটি ১ লক্ষ টাকা ৫.কাতার- ৮৪,৯০৬ ডলার বা ৯৩ লক্ষ টাকা ৬. সংযুক্ত আরব আমিরাত সংযুক্ত আরব আমিরাত এশিয়ার দেশ। মাথাপিছু জিডিপি (পিপিপি) ৯৬ হাজার ৮৫০ মার্কিন ডলার। ৭. সুইজারল্যান্ড- ১,১০,২৫১ ডলার বা প্রায় ১ কোটি ২১ লক্ষ টাকা ৮. সান মারিনো সান মারিনো ইউরোপের দেশ। মাথাপিছু জিডিপি (পিপিপি) ৮৬ হাজার ৯৯০ মার্কিন ডলার। ৯. যুক্তরাষ্ট্র- ৮৩,০৬৬ ডলার বা ৯১ লক্ষ টাকা ১০. নরওয়ে- ১,০২,৪৬৫ ডলার বা প্রায় ১ কোটি ১৩ লক্ষ টাকা

রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধ প্রতিশোধের হুমকি রাশিয়ার

রাশিয়ার পশ্চিমের কুরস্ক অঞ্চলে হামলা চালাচ্ছেন ইউক্রেনের সেনারা। এ হামলা ঠেকাতে মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে রাশিয়া। ওই অঞ্চলে পাঠানো হয়েছে বাড়তি সেনা। এ ছাড়া ইউক্রেনের বিভিন্ন এলাকায় পাল্টা বোমা হামলা শুরু হয়েছে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি গত শনিবার রাশিয়ার ভেতরে তাঁদের বাহিনীর হামলার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তিনি বলেছেন, ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী এই যুদ্ধকে ‘আগ্রাসীদের অঞ্চলের দিকে নিয়ে যাচ্ছে’। রাশিয়ার কাছে ইউক্রেনের এই হামলা ছিল অপ্রত্যাশিত। আকস্মিক হামলায় অপ্রস্তুত রাশিয়া এখন নিরাপত্তার জন্য সীমান্তের দুই পাশ থেকেই প্রচুর মানুষকে সরিয়ে নিচ্ছে

চুক্তির জন্য ইসরায়েলকে চাপ দিতে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশের প্রতি আহ্বান জিম্মি পরিবারের

ফিলিস্তিনের গাজায় হামাসের হাতে জিম্মি থাকা ব্যক্তিদের দেশে ফেরাতে যুক্তরাষ্ট্রসহ কয়েকটি দেশের কাছে সহায়তা চেয়েছে তাঁদের পরিবার। এ লক্ষ্যে হামাসের সঙ্গে একটি চুক্তিতে যেতে ইসরায়েল সরকারের ওপর চাপ দেওয়ার জন্য ওই দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তারা। গত সোমবার এক বিবৃতিতে হামাস জানায়, মধ্যস্থতাকারী দেশ মিসর ও কাতারের প্রস্তাবিত একটি যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তির চুক্তিতে অনুমোদন দিয়েছে তারা। পরদিন মঙ্গলবার হামাসের হাতে জিম্মি থাকা ব্যক্তিদের পরিবারের সংগঠন ‘হোস্টেজ অ্যান্ড মিসিং ফ্যামিলিস ফোরাম’ বিদেশি সরকারের প্রতি তাদের আহ্বান জানায়। গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে ঢুকে হামলা চালায় হামাস। ওই হামলায় প্রায় ১ হাজার ২০০ জন নিহত হন। এ ছাড়া ইসরায়েল থেকে প্রায় আড়াই শ জনকে জিম্মি করে নিয়ে যান হামাস সদস্যরা। জিম্মিদের মধ্যে ইসরায়েলি ছাড়াও বেশ কয়েকটি দেশের নাগরিকেরা রয়েছেন। এর পর থেকে গাজায় নির্বিচার হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে নিহত হয়েছেন ৩৪ হাজার ৮৪৪ জন। ইসরায়েল ছাড়া অন্য যেসব দেশের নাগরিক এখনো হামাসের হাতে জিম্মি, ওই দেশগুলোর দূতাবাসে চিঠি পাঠায় হোস্টেজ অ্যান্ড মিসিং ফ্যামিলিস ফোরাম। তাতে বলা হয়, ‘বর্তমানে সংকটের সময় চলছে। এরই মধ্যে জিম্মিদের মুক্তির বাস্তব সুযোগ তৈরি হয়েছে। তাই এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ যে আপনাদের সরকার যেন (হামাসের সঙ্গে) চুক্তির প্রতি সমর্থন জানায়। চিঠিতে আরও বলা হয়, ‘একটি চুক্তি নিশ্চিত করার জন্য ইসরায়েল সরকার ও সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের ওপর আপনাদের প্রভাব খাটানোর এখনই সময়। এমন কোনো চুক্তি হলে আমাদের প্রিয়জনেরা শেষ পর্যন্ত বাড়ি ফিরতে পারবে।’ হামাসের হাতে জিম্মিদের মধ্যে ইসরায়েলি ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র, থাইল্যান্ড, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য ও রাশিয়ার নাগরিকেরা রয়েছেন। এর মধ্যে গত নভেম্বরে সাত দিনের যুদ্ধবিরতির সময় বেশ কয়েকজনকে মুক্তি দেওয়া হয়। এরপরও এখনো গাজায় ১২৮ জন জিম্মি। তাঁদের মধ্যে অন্তত ৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে আশঙ্কা ইসরায়েলি বাহিনীর।