কল করুন

কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স

মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ

গত ৫ আগস্ট রাষ্ট্রক্ষমতার পালাবদলের পর এক বিশেষ প্রেক্ষাপটে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর এখনো তিন মাসও গত হয়নি। কাজেই এ অবস্থায় এই সরকারের সাফল্য-ব্যর্থতা নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ করা সম্ভব নয়।

উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে অর্থনৈতিক কূটনীতির বিকল্প নেই

পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিপ্রেক্ষিতে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিয়ে নতুন করে চিন্তা-ভাবনার সময় এসেছে। বিদায়ি সরকারের স্বেচ্ছাচারী শাসনের ফলে দেশের অর্থনীতি এবং সামাজিক অবস্থা বিপর্যয়ের মুখে এসে দাঁড়িয়েছে। উন্নয়নের ফাঁকা বুলি এখন দিবালোকের মতো স্পষ্ট হয়ে উঠছে। এক বিশেষ পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশান্তরিত হয়েছেন। এরপর বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও শান্তিতে নোবেল বিজয়ী প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন।

How do we overcome our corruption crisis?

On Transparency International’s Corruption Perceptions Index, Bangladesh has always ranked at the absolute bottom or near the bottom, faring worse than every other country in the world except a mere handful.

বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের টানাপড়েন

ভারতের সঙ্গে চীনের সীমান্ত দৈর্ঘ্য ৩ হাজার ৪৮৮ কিলোমিটার, পাকিস্তানের ৩ হাজার ৩১০ কিলোমিটার এবং বাংলাদেশের ৪ হাজার ৯৬ কিলোমিটার। প্রতিবেশী হিসেবে ভারত ও বাংলাদেশ দীর্ঘ সীমান্তরেখা বজায় রাখছে। এসব ভারতের হিসাব। কিন্তু বাংলাদেশের জন্য হিসাবটা অন্যরকম। বাংলাদেশের জন্য তার একমাত্র প্রতিবেশী ভারত। কেননা প্রায় তিন দিক থেকে বাংলাদেশ মূলত ভারত দ্বারা বেষ্টিত। চতুর্থ দিকটিতে সমুদ্র। একটুখানি ফাঁক গলে একদিকে মিয়ানমার বাংলাদেশের অন্য প্রতিবেশী। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের প্রায় পুরোটাই ভারত কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে ঘিরে রেখেছে। তবে ভারত তার দুই প্রতিবেশী বাংলাদেশ এবং নেপালের জন্য জারি করে রেখেছে ‘উন্মুক্ত সীমান্ত’ নীতি। সীমান্ত উন্মুক্ত থাকায় দুদেশের মধ্যে পণ্য আদান-প্রদান এবং মানুষের যাতায়াতে একটি সহজ পদ্ধতি কার্যকর আছে। ভারতের কাছাকাছি অবস্থানে যেসব দেশ বেশ গুরুত্বপূর্ণ তার মধ্যে ভুটান, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ, আফগানিস্তান, মিয়ানমার বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। তবে এ দেশগুলোর কোনোটাই ভারতের কাছে গুরুত্বের বিচারে বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং চীনের কাছাকাছি যায় না।

বাংলাদেশ প্রেক্ষাপটে পরিবেশ দূষণ ও জনস্বাস্থ্য ঝুঁকি

ইমার্জিং পলিউট্যান্ট (উদীয়মান দূষক) উপস্থিতির কারণে বাংলাদেশের পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্য হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে। ইমার্জিং পলিউট্যান্ট মূলত প্রাকৃতিক বা কৃত্রিমভাবে সৃষ্ট রাসায়নিক, যা সাধারণত নিয়ন্ত্রণ বা পর্যবেক্ষণ করা হয় না।

Blood on the asphalt

A call for change in Bangladesh’s road safety crisis

এত অভিযান, তবু মশা কেন মরে না - মশকনিধন

গত ৮ থেকে ১৬ মার্চ ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মশা মারতে মাঠে ছিলেন ১২ শ কর্মী। অভিযান নিয়মিত তদারক করেছেন স্বয়ং মেয়র আতিকুল ইসলাম। এত যে তোড়জোড়, এত আয়োজন, তারপরও কিন্তু মশা কমেনি। কিন্তু কেন? রহস্য কী?

মাদককারবারিদের দৌরাত্ম্য ও ঔদ্ধত্য

দেশে মাদককারবারিদের দৌরাত্ম্য দিনদিন বাড়িয়া চলিয়াছে। তাহাদের ঔদ্ধত্য এতটাই বাড়িয়া গিয়াছে, যাহা চিন্তাও করা যায় না। তাহারা তাহাদের অনৈতিক বাণিজ্য অব্যাহত রাখিতে হেন কোনো অপকর্ম নাই, যাহা করিতেছে না। এই জন্য তাহারা হুমকি-ধমকি হইতে শুরু করিয়া খুনখারাবি করিতেও পিছপা হইতেছে না। ইত্তেফাকে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন হইতে জানা যায় যে, তাহারা এখন মাদকবিরোধী সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানগুলিকেও টার্গেট করিতেছে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের অপহরণ, মুক্তিপণ আদায়ের পাশাপাশি তাহাদের জীবননাশের হুমকি দিতেছে। অর্থকড়ি দিয়া ম্যানেজ করিতে না পারিয়া তাহারা এখন কোনো কোনো ক্ষেত্রে আরো বেপরোয়া ও মরিয়া হইয়া উঠিয়াছে।

শ্রমিক ও মালিকপক্ষের দূরত্ব ঘুচাইতে হইবে

বিশ্বব্যাপী শ্রমজীবী মানুষের আন্দোলন ও সংগ্রামের স্বীকৃতির দিন মহান মে দিবস। আন্তর্জাতিক শ্রমিক আন্দোলন ও শ্রম অধিকার আদায়ের এই দিনটি বত্সরের পর বত্সর ধরিয়া যথাযথ মর্যাদায় পালিত হইয়া আসিতেছে। শ্রমিকদের আত্মত্যাগ, সংগ্রাম ও দাবির প্রতি সম্মান জানাইয়া মে দিবস বা পহেলা মে ছুটির দিন হিসাবে পালন করে বিশ্বের প্রায় ৮০টি দেশ। এই দিবস পালনের মূল উদ্দেশ্য শ্রমিকদেরকে তাহাদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন করা, যেন তাহারা মে দিবসের প্রকৃত ইতিহাস সম্পর্কে জানিতে পারেন এবং নিজ অধিকার প্রতিষ্ঠা করিতে পারেন। ১৮৮৬ হইতে ২০২৪ সাল। শ্রমের মর্যাদা ও ন্যায্য মজুরির পাশাপাশি যুক্তিসংগত কর্মসময় নির্ধারণের আন্দোলনের ১৩৯ বত্সরে শ্রমিকদের রক্ত ও ঘামের বিনিময়ে বহু পরিবর্তন হইয়াছে আমাদের সমাজ ও সভ্যতার। কিন্তু এই প্রশ্নের উত্তর আজও খুঁজিতে হয়—মানবসভ্যতার এত উন্নতি ও অগ্রগতি সাধিত হইলেও শ্রমিকের অধিকার কি যথার্থরূপে প্রতিষ্ঠিত হইয়াছে? দূর হইয়াছে তাহাদের বঞ্চনা?