কল করুন

কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স

জুলাই ঘোষণা ও নির্বাচন : স্বস্তি-অস্বস্তি

রাষ্ট্রের মৌলিক ১৯ সংস্কার বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন একমত হয়েছে। এসব বিষয় হচ্ছে- সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ নমনীয় করণ, কমিটির ভাগাভাগি, নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণ, রাষ্ট্রপতির ক্ষমা সংক্রান্ত বিধান আইনানুগকরণ, বিচার বিভাগীয় বিকেন্দ্রীকরণ, জরুরি অবস্থা ঘোষণা সীমিতকরণ, প্রধান বিচারপতি নিয়োগ, প্রধানমন্ত্রীর একাধিক পদে থাকার বিধান, নির্বাচন কমিটি গঠন, প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদকাল, সংসদে নারী প্রতিনিধিত্ব, সংসদের উচ্চকক্ষ গঠন, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনপদ্ধতি, তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠা, নাগরিকের মৌলিক অধিকার সম্প্রসারণ, রাষ্ট্রীয় মূলনীতি নির্ধারণ এবং সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ বিধান ইত্যাদি ড. আবদুল লতিফ মাসুম [প্রকাশ : নয়াদিগন্ত, ৭ আগস্ট ২০২৫]

জুলাইয়ের বিপ্লবোত্তর সরকারের এক বছর

সামনের পথ কঠিন এবং অনেক চ্যালেঞ্জ এখনো বিদ্যমান বিশেষত নির্বাচনের পূর্ববর্তী রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা, দীর্ঘমেয়াদি অর্থনৈতিক কাঠামো প্রতিষ্ঠা এবং বিচার প্রক্রিয়ার দ্রুততা- তবুও এই এক বছরে জাতি বুঝে গেছে : মুক্তি শুধু শাসক পরিবর্তনে নয়; বরং কাঠামোগত রূপান্তরের মধ্যেই নিহিত। এক বছরের মাথায় বলা যায়, জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে একটি নতুন রাজনৈতিক অধ্যায়ের সূচনা হলেও এই সরকার এখনো অন্তর্বর্তী, এখনো তার পরীক্ষার সময়। তবে স্বচ্ছতা, জনগণের অংশগ্রহণ ও গণতান্ত্রিক সংস্কারের ধারাবাহিকতা যদি বজায় থাকে- তবে ২০২৬ সালের ‘জনগণের সংবিধান’ ও নতুন সরকার গঠনের মাধ্যমে বাংলাদেশ একটি দীর্ঘমেয়াদি বিকল্প রাষ্ট্রগঠনের পথে অগ্রসর হওয়া সম্ভব হতে পারে। মাসুম খলিলী [প্রকাশ : নয়া দিগন্ত, ৪ আগস্ট ২০২৫]